Monday, June 17, 2019

মোবারক হোসেন খানের কবিতা





পরাজিত তুমি নহে

মোঃ মোবারক হোসেন খান


বিস্তারিত: www.banglasahittos.blogspot.com





সময় কতটা গুরুত্বপূর্ণ বুঝতে পারি না আগে,
স্রোতের সাথে গা ভাসিয়ে করেছি প্রপঞ্চনা তবে।
কত মানুষ, কত রং, তুলিতে কত আঁচড়,
আমি তো পারিনি হতে প্রেয়সীর ঘুম ভাঙা ভোর।
আজ যে তোমাকে বলবে, ওগো আমার সব
কয়দিন বাদে সেই বলবে জানোয়ার এখান থেকে ভাগ;
জীবন যুদ্ধে আজ যিনি পরাজিত সৈনিক,
কালের অমোঘ স্রোতে তারাই জীবনের প্রতীক।
যে নদী চলে ভরা যৌবনের ছবি এঁকে,
সর্বনাশা পদ্মার কথা ভাবলেই গা শিওরে ওঠে।
হায়রে! করুণ, হায়রে! ছন্দ, হয়ে গেছে যেন বেসুর;
জীবন তাহার কাছে তুমি এখন, শুধুই তিক্ত মধুর।
বহুদিন বহু পথে হেটেছি আমি অজানার খোঁজে,
সর্বদাই অতৃপ্ত থেকেছি কোনো শুন্যতার মাঝে।
নীড় হারা পাখির অার্তনাদ ক'জনই বা বোঝে,
সারাদিন পথ ঘুরে তব অজানাকেই খোঁজে।
কি আছে এই জীবনের বয়ে চলার মাঝে,
কেন জানি পায়রার স্মৃতিগুলো কপোত হয়েই গাহে।
ছোট শিশু এসেছে ভূবনে কত আনন্দ নিয়ে,
হারিয়ে তার দুগ্ধধারীকে একাএকা শুধু কাঁদে,
বিশ্ব ব্রহ্মান্ড চেয়ে আছে; রহিয়াছে পথ চেয়ে,
পারিবে কি ভাঙ্গিতে করুন সে বজ্র বাহু তারে।
জীবন যুদ্ধে হেরেছে যে,ওপারে রহে শান্তি মনে
আজো যারা টিকে আছে, তারা কি মর্ম বোঝে?
সময় কতটা স্বার্থপর বুঝিনি তো আমি আগে
সুসময়ে যে আপন করে,দুঃসময়ে দলিত পদে,
এত মায়া,এত ভালবাসা,করিয়াছি তার তরে,
জন্ম হয়েছিল তোমার জন্য এই ভেবে সে মরে,
পৃথিবীতে কত আপন কিছু রহি আঁকড়ে ধরে,
কোন কিছুই তো থেমে থাকেনি, চলে আপন মনে।


ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী 
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ।

Tuesday, June 11, 2019

গোস্বামীর কবিতা

রাখী বন্ধনের শপথ---------------------------> বিপ্লব গোস্বামী


বিস্তারিত: www.banglasahittosblogspot.com


এসো আজি রাখী বন্ধন শুভ ক্ষণে।
মোরা শপথ করি ভাই ভগিনীর সনে।।

বনিতা গণে মোরা করব না হেলা।
বিশ্বাস নিয়ে কভু করব না খেলা।।

সহিব না কভু মোরা নারী অপমান।
সতত গাহিব মোরা নারীত্বের গান।।

যদি করতে চাই  মাতৃ ঋণ শোধ।
করতে হবে কন‍্যা ভ্রুণ হত‍্যা রোধ।
আজি ভ্রাতৃ গণে সবে করি এসো শপথ।
করিব রক্ষা মোরা বোনের আসিলে বিপদ।।

-----------------------------৹৹৹৹৹৹৹-------------------
                           
> বিপ্লব গোস্বামী
> প্রযত্ন বাবুলাল গোস্বামী
> গ্ৰাম ও ডাকঘর ভেটারবন্দ
> জিলা করিমগঞ্জ
> আসাম ভারত
> পিন ৭৮৮৭৩৬

সোম কবির কবিতা

     * হে ভারত জননী *

       ******************

                               কলমে: কবি - সোম

বিস্তারিত :www.banglasahittos.blogspot.com


হে ভারত জননী তুমি, 
তুমি মোদের মাতৃভূমি ! 
ভগৎ- সুভাষ- রবি- ক্ষুদি ,
মাইকেল- প্রীতি- বি. বা. দি ! 
আরো জনতা শত শত, 
এঁরা তোমারি গর্ভজাত ! 
ধন্য সবে, আছি বড়ই সুখে ;
মোরা জন্মে তোমারি বুকে ! 

                    হে ভারত জননী তুমি, 
                    তুমি মোদের মাতৃভূমি ! 
                    শস্য শ্যামল পুষ্পে ভরা, 
                    আমার ভারত সবার সেরা ! 
                    হিন্দু- মুসলিম- খ্রীশ্চান- পারসী, 
                    বৌদ্ধ- জৈন- ইয়ুদি- কি ফরাসী। 
                    হেথা আছে যত জাতি, 
                    ভাতৃসম করে মাতামাতি ! 

হে ভারত জননী তুমি, 
তুমি মোদের মাতৃভূমি ! 
তোমারি রূপের মহিমা লাবণ্য, 
পেয়ে পৃথিবী হয়েছে ধন্য ! 
হে ভারত তুমি সোনার দেশ, 
কে করিবে তোমারি গোরিমা শেষ ? 
ওগো মোদের মাতৃভূমি, 
তোমার পাদ- চরণ চুমি !!! 

            ********

 ভারত জননী তুমি, 
তুমি মোদের মাতৃভূমি ! 
ভগৎ- সুভাষ- রবি- ক্ষুদি ,
মাইকেল- প্রীতি- বি. বা. দি ! 
আরো জনতা শত শত, 
এঁরা তোমারি গর্ভজাত ! 
ধন্য সবে, আছি বড়ই সুখে ;
মোরা জন্মে তোমারি বুকে ! 

                    হে ভারত জননী তুমি, 
                    তুমি মোদের মাতৃভূমি ! 
                    শস্য শ্যামল পুষ্পে ভরা, 
                    আমার ভারত সবার সেরা ! 
                    হিন্দু- মুসলিম- খ্রীশ্চান- পারসী, 
                    বৌদ্ধ- জৈন- ইয়ুদি- কি ফরাসী। 
                    হেথা আছে যত জাতি, 
                    ভাতৃসম করে মাতামাতি ! 

হে ভারত জননী তুমি, 
তুমি মোদের মাতৃভূমি ! 
তোমারি রূপের মহিমা লাবণ্য, 
পেয়ে পৃথিবী হয়েছে ধন্য ! 
হে ভারত তুমি সোনার দেশ, 
কে করিবে তোমারি গোরিমা শেষ ? 
ওগো মোদের মাতৃভূমি, 
তোমার পাদ- চরণ চুমি !!! 

            ********

কবি ইমন হোসেন

 ষোড়শী


মোহাম্মদ ইমন হোসেন

বিস্তারিত: www.banglasahittos.blogspot.com


হঠাৎ নিভে যাবে প্রদীপ, সন্ধ্যামালতী ডাকবে না।
স্যাঁতস্যাঁতে নয়ন বিরক্ত, সস্তি নেই।
মুখ লুকানো কান্না, অবহেলাময় মায়াবী পিছুটান।
সর্বস্ব কুয়াশা, অন্ধকার গলি,
কিছুটা হৃদছেড়া অবিক্ষিপ্ত জলাজঙ্গল,
ভালো নেই কথোপকথন !
পলকহীন কাজল, অবগাহন নিশ্চুপ !
ভ্রমর চুপচাপ, উষ্ণ সুবাশিত ভোর,
অমলিন অন্তর্দেশীয় আচল?
একটু পালানোর বাহানা,
ছেড়ে যেতে চায় না মন, বৃষ্টি ভেজা নিদ্রা, বেশ সুদর্শন !
নেই সুখ, বিষাদের রূপছায়া জন্মান্তর চুম্মনে মুগ্ধ,
আহা, কি স্বাদ, মন জুড়ানো গন্ধ,
খোলা চুল বেয়ে নামছে চিবুক !
যেন স্বর্গরাজ্য নিঃসঙ্গ, আমি নেই!
অবশ কায়া, লটাটে লাল ছোট্ট টিপ,
ক্ষুধার্ত প্রেয়সী, ক্লান্ত আমি বড় ক্লান্ত !
শঙ্খ অষ্টাতলে লুকায়িত,
জানালার সন্নিকটে ভেসে আশা সুর,
ছন্নছাড়া কোকিলের আশ্রম, লুন্ঠন রশ্মি ভেদ,
রোমশ অস্থাবর, স্ফীত ষোড়শী !
লাল চঞ্চু গলিয়ে দিল, আহা কি প্রশান্তি !

৬ জুন, ২০১৯; সকাল ৯:৩০

আশীষ হাজরার ছড়া



  জানাকথা

আশীষ হাজরা


বিস্তারিত :  www.banglasahittos.blogspot.com


চলতে গিয়ে হোঁচট খাব
এতো জানা কথাই
মজা করে জানতে গেলাম
শিখতে হোল মেলাই৷
শিখতে গিয়ে জানতে পারি
দেশ বিদেশের কথা
 কত রঙ্গে কত রুপে
কত শত দেখা৷
সাদা আছে কালো আছে
বেবাক সবার জানা
আলো আছে আধাঁর আছে
এ নয় নতুন কথা৷
রাম আছে রাবণ আছে
ত্রেতা যুগের কথা
এসব নিয়ে দাঙ্গা বাধায়
এখনকার রাজা৷
শিখতে এসে শিক্ষা পেলাম
এটাতো নয় পথ
দেবতা ঠাকুর মনের মাঝে
পারলে করো জপ৷
দেবতা নামে মানুষ কাটা
একি দেশের ছিরি
বন্ধ করো এসব খেলা
আর করোনা দেরী৷৷






০১/০৬/২০১৯
আশীষ হাজরা, সারেঙ্গা, বাঁকুড়া, পঃবঃ, পিন-৭২২১৫০

পারভেজ আলীর কবিতা



"রক্তভেজা জামা "

_____পারভেজ অালী [০৭/০৬/১৯]

বিস্তারিত:  www.banglasahittos.blogspot.com



দূরে -অদূরে, বহুদূরে
দেশকে বাঁচানোর জন্য ~
ঝাঁপিয়ে পরেছিলাম মুক্তিযুদ্ধে;
ঘাতকের বুলেটে'র অাঘাতে-
ছন্নছাড়া হয়েছিল বুকটা,
রক্তে ভিজে গেছিল ছোট ভাই'র জামাটা।


ঘুম নেই, চোখে ঘুম নেই মায়ের
ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে অাছে মা অন্ধকারে
এক পলক চোখে'র দৃষ্টিতে চেয়ে অাছে~
সেই মা জননী অামাদের দিকে;
কোন দিকে থেকে না জানি মিলিটারি ঢুকে পড়ে,
তাই মা জননী অামার দাঁড়িয়ে আছে -
ঘরের বাইরে অন্ধকারে।


২৬ই মার্চে, বঙ্গবন্ধুর ডাকে -
ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম মুক্তিযুদ্ধে;
দেশের তরে, মায়ের ডাকে-
দেশকে বাঁচানোর জন্য অস্ত্র ধরেছিলাম।


পাকিস্তানি রাজাকারদের হাত থেকে -
অামার ধর্ষিতা মা-বোনদের মুক্ত করেছিলাম;
সারা শরীরটা ভিজে গেছিল তখন রক্তে অামার।


কত পরিবারকে অসহায় করেছিল তারা
কত মায়ের বুক থেকে সন্তানদের ছিনিয়ে নিয়ে-
মায়ের বুকটা খালি করেছিল তারা,
কত মা-বোনদের ধর্ষন করে-
এ রক্তমাখা অবস্থায় ফেলে গেছিল রাজাকারেরা;
ঘাতকদের বুলেট'র অাঘাতে-
ছন্নছাড়া করেছিল মায়ের বুকটা;
ছেলের রক্তে ভিজে গেছিল মায়ের জামাটা।


মাকে রেখে ঘরের বাইরে -
ছুটে গেছিলাম যুদ্ধে,
অস্ত্র হাতে মাথা উঁচু করে ~
পাকিস্তানি রাজাকারদের বিরুদ্ধে -
তুলে নিয়েছিলাম অস্ত্র হাতে;
বঙ্গবন্ধুর ডাকে, ২৬মার্চ রাতে-
ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম মুক্তিযুদ্ধে।


সেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী'রা -
রক্তাক্ত করেছিল অামার মা-বোনদের,
জীবন'কে বাজী রেখে ঝাঁপিয়ে পড়ছিলাম -
মোরা মুক্তিযুদ্ধে।


রক্ষা করেছিলাম অামরা ~
শত শত মা-বোন দের।


কত নির্যাতন করেছিল তারা অামাদের,
যুদ্ধে শেষে বিজয় ছিনিয়ে এনেও -
ফিরে যেতে পারিনি মায়ের কোলে,
কি জবাব দিবো মাকে বলে?


অবশেষে রক্তমাখা ভায়ের জামা নিয়ে ~
ফিরে এসেছিলাম অামার মায়ের কোলে।


কষ্টে অর্জিত অামাদের এ স্বাধীনতা
৩০ লক্ষ্য জীবন দিয়ে গড়ে তুলেছি~
রক্তভেজা এ সোনার বাংলা,
তাই তো বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে-
দাঁড়িয়ে আছি এখন অামরা;
শত শত রক্ত দিয়ে অামরা অর্জন করেছি-
এ লাল-সবুজের বাংলাদেশ টা।


__________________________________
মোঃ পারভেজ অালী
ইংরেজি বিভাগ, ২য় বর্ষ
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা।

শেখ শাহরিয়ার হোসেন সজীব

ভালোবাসার বয়স হয় না


লেখাঃশেখ শাহরিয়ার হোসেন সজীব

বিস্তারিত : www.banglasahittos.blogspot.com





সেদিন সবে বরষা থেমেছিলো, কেমন যেন ঠান্ডার আবেশ চারিদিকে, 
বলেছিলো তার হাতটি ধরে, ও কাজল চোখের মেয়ে তুমি আমার হবে?

মেয়েটি লাজে মুখ ঢেকে মুহুর্তে দৌড়ে পালিয়েছিলো
পেছন থেকে ছেলেটি তার পানে বিমুগ্ধ নয়নে চেয়েছিলো
কি উচ্ছলতা মেয়েটির মাঝে, তার প্রতিটা কথায় যেন কানে বাজে
আজ চল্লিশ বছর কেটে গেলো তার সেই কাজল চোখের মেয়েটির সাথে ।

কমতি হলোনা তার ভালোবাসার, দিনে কিনবা হোক রাতে
মেয়েটির চামড়া বেশ খানিক ঝুলে পড়েছে, চোখেতে ঝাপসা দৃষ্টি
তবুও তার দিকে তাকালে যেন দেখতে পেতো সে খোদার অপরূপ সৃষ্টি
কে বলে বুড়ো মানুষের মনে ভালোবাসার রেশ রয় না?
ছেলেটি চিৎকার করে বলে উঠলো, "ভালোবাসার বয়স হয় না"।

ভালোবাসার বয়স হয় না (কবি শেখ শাহরিয়ার হোসেন সজীব



ভালোবাসার বয়স হয় না


লেখাঃশেখ শাহরিয়ার হোসেন সজীব

বিস্তারিত : www.banglasahittos.blogspot.com





সেদিন সবে বরষা থেমেছিলো, কেমন যেন ঠান্ডার আবেশ চারিদিকে, 
বলেছিলো তার হাতটি ধরে, ও কাজল চোখের মেয়ে তুমি আমার হবে?

মেয়েটি লাজে মুখ ঢেকে মুহুর্তে দৌড়ে পালিয়েছিলো
পেছন থেকে ছেলেটি তার পানে বিমুগ্ধ নয়নে চেয়েছিলো
কি উচ্ছলতা মেয়েটির মাঝে, তার প্রতিটা কথায় যেন কানে বাজে
আজ চল্লিশ বছর কেটে গেলো তার সেই কাজল চোখের মেয়েটির সাথে ।

কমতি হলোনা তার ভালোবাসার, দিনে কিনবা হোক রাতে
মেয়েটির চামড়া বেশ খানিক ঝুলে পড়েছে, চোখেতে ঝাপসা দৃষ্টি
তবুও তার দিকে তাকালে যেন দেখতে পেতো সে খোদার অপরূপ সৃষ্টি
কে বলে বুড়ো মানুষের মনে ভালোবাসার রেশ রয় না?
ছেলেটি চিৎকার করে বলে উঠলো, "ভালোবাসার বয়স হয় না"।


Saturday, June 8, 2019

ওপার বাংলা ​ (কবিতা) - শুভ জিৎ






ওপার বাংলা
​        - শুভ জিৎ

বিস্তারিত : www.banglasahittos.blogspot.com


​পদ্মা নদীর বিস্তৃত দুই পাড়,
​কখনো সমুদ্র সম ঢেউ, 
​ঝাউ বনের শান্ত শীতল হিমেল বাতাস, 
​পূর্ণিমার রাতের কল কল শব্দের সাথে মাঝির ডাক,
​দূরে,  বহু দূরে ভেসে বেড়ানোর অক্লান্ত প্রয়াস,
​কখনো হিমেল ভোরের নেশা ধরানো খেঁজুড়ের রস,
​কখনো পাখিদের কলরব, 
​কখনো মুক্ত জীবনের শিকল ভেঙে উড়ে যাওয়া,
​সূর্যের নব রবের লাল স্পর্শ,
​রাতে চাঁদের স্নিধ আলো,
​মাঠ-মাঠ শুধু সোনালী ধানের কল্লোল, 
​কিংবা নবান্নের উৎসব মুখর হাসি মুখ, 
​পাহাড়িয়া সুরে বাঁশি বাজানো রাখালের দল,
​আর কাঁধে লাঙল নিয়ে এগিয়ে চলা বলদের হাক,
​হাজারো ছাত্রের মাঝে এক নতুন পরিবর্তনের ডাক,
​উত্তাল শুধু একটি ভাষার তরে,
​কত কথাই না শুনেছি তার কাছে,
​সোনার বাংলার নানা রং আর নানা রূপ।
​ইছামতীর তীরে দাঁড়িয়ে তোমার রঙে নিজেকে রাঙানোর মতলব, 
​আর প্রেয়সীর রূপ বর্ণনায় তোমাকে খুঁজে নেওয়া। 
​শত কোটি গল্পের ভিড়ে সেই সোনালী ধানের কল্লোল,
​আর পাহাড়িয়া বাঁশির সুরে মাতোয়ারা হয়ে যাওয়া,
​পূর্ণিমার রাতে কল কল পদ্মার সমুদ্র সম বেশ, 
​হারিয়ে যেতে চাই এমন দেশে।
​প্রেয়সীর কথায় খুঁজে পাওয়া আরেক না দেখা প্রেয়সী,
​রূপের লালসায় হেরিবার এক অদম্য ইচ্ছে, 
​এপারে থেকেও এক দুর্নিবার স্রোত টেনে নিয়ে যেতে চায়,
​এক সোনার বাংলায়, ওপার বাংলায়।
-----------------------------------------------------------------------------
শুভ জিৎ
​আসল নাম শুভজিৎ পাত্র, জন্ম ১৯৯৭ সালের এপ্রিল মাসে, কলকাতা লাগোয়া কল্যাণী শহরে। ছোট বেলা থেকেই বিভিন্ন সাহিত্যের অলিগলিতে বিচরণ। কিছু অনামী প্রচেষ্টা ভিত তৈরি করলেও এক বিশেষ মানুষের কারণে সাহিত্যের মূল কর্মকান্ডে যুক্ত হওয়া। কিছু গল্প আর কিছু কবিতা নিয়ে পথ চলা। শুভঙ্কনা, ইত্রিকা, একটুখানি বিষ, স্বপ্নের ক্যানভাস, বিবাহ কি??, অন্য এক অনুভূতি প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি। 

কবির নাম :- অরিন্দম দাস





কবিতা :-  ষষ্ঠীতে জামাই আদর

কবির নাম :-  অরিন্দম দাস

(তারিখ :-  ০৮/০৬ /২০১৯)
____________________________
বিস্তারিত : www.banglasahittos.blogspot.com




মেয়ের দিয়েছে বিয়ে,
পেয়েছে ভালো জামাই।
কর্তা-গিন্নি বেজায় খুশি,
আনন্দের তো সীমা নাই।

মেয়ের সঙ্গে জামাই
আর নাতি ও নাতনি।
তাদের নানা আবদার
সাথে দুষ্টু মিষ্টি চাহনি।

ঐ দিন সকালে সক্কলে
এসে গেছে তাড়াতাড়ি।
জামাই-মেয়ের দু'হাতে
ফল, দই-মিষ্টির হাঁড়ি।

বছরে তো একবারই
করবে জামাই ষষ্ঠী।
যত পারবে তত খাবে,
যতক্ষণ না হয় মনতুষ্টি।

শাশুড়িমার উপোস বটে,
করেছেন তিনি সব রান্না।
খাবার যেন হয় মনপসন্দ,
এটাই তাঁর বিশেষ ভাবনা।

মাংস-মাছের এত পদ,
ফল-মিষ্টি-দই-সন্দেশ।
এসব চেটেপুটে খেতে,
আহা! লাগে তো বেশ!

ভুঁড়িভোজে তো সবার
খাবার করবে সাবার!
জামাই দেবে শাশুড়িকে
বেশ এক দামী উপহার।

এত আদর জামাই
পাবে আর কোথা?
বিয়ে না করলে তবে
জীবনটাই তো বৃথা!
____________________________

জামাইষষ্ঠী কবি - কাব্যভারতী কবি রূপালী গোস্বামী


---------------

কবিতার নাম - জামাইষষ্ঠী


--------------------------------

কবি - কাব্যভারতী কবি রূপালী গোস্বামী
বিস্তারিত :  www.banglasahittos.blogspot.com


----------------------------------------------------

অফিসার জামাইয়ের কদর বেশী,

কেরানির কিছু কম,

বেচারা পিওনের কল্কে পেতে,

হয় যে হতদ্যম।

ইঞ্জিনিয়ার জামাইয়ের পায়া ভারী,

ডাক্তারের খাই অনন্ত,

পুলিশ, আমলাদের যাবে না ছাড়া,

তারা নাকি লক্ষ্মীমন্ত।

আবার জামাই যদি হয় উঠতি কোন নেতা,

তুলনা তার নাই,

মন্তী হলে আরো ভালো,

দুহাত ভরা কামাই।

একটা প্রশ্ন তবে করি,

মেয়েদের এই বঞ্চনা কেন এখনো?

নেই কেন কোন বউ ষষ্ঠী,

ভেবে দেখেছো কি কখনো ।।

-----------------------------------

জামাই ষষ্ঠী ( কবিতা ) মেহেদী হাছান মোল্লা




জামাই ষষ্ঠী


মেহেদী হাছান মোল্লা

বিস্তারিত :  www.banglasahittos.blogspot.com



বউ নাই মোর, এলো জামাই ষষ্ঠী!
বড় দাদার যতন দেখে, আঁখিতে এলো বৃষ্টি!
দাদা যায় বউ লয়ে শ্বশুর বাড়ি!
পিরিতে বসে, কপালে হাত দিয়ে, দাদার আনন্দ দেখি!
প্রেম করবো, বউ খুঁজবো, যাবো শ্বশুর বাড়ি।


ফুল, চন্দন, মিষ্টি - মালা লয়ে করবে বরণ শাশুড়ি।
আমিও যাবো একদিন শ্বশুর বাড়ি!
খাবো মহানন্দে, ঘুরবো বউয়ের হাত ধরে।


শালা শালি জ্বলবে মোদের যতন দেখে!
পান চিবুতে চিবুতে রঙিন মুখে, ডাকবো আম্মা আম্মা,
ঘুম যাবো একটু পাশে বসেন না!



সমাপ্ত||

জামাই - ষষ্ঠী ( কবিতা ) চৈতালী দাসমজুমদার




জামাই - ষষ্ঠী 

চৈতালী দাসমজুমদার

০৮/০৬/২০১৯
================
বিস্তারিত : www.banglasahittos.blogspot.com



শুনছো সবাই আটই আষাড় 
আসছে জামাই ষষ্ঠী ।।
প্রথম বছর যাদের বিয়ে 
তাদেরই খুব মস্তি ।।


বিশ্বরূপের খেলা ঘরে 
হরেক রকম নিয়োম।।
শ্বাশুড়ি মা উপোস করে 
করবে জামাই বরণ।।


সকাল থেকে চলবে ভোজন 
তিন চার টি ধাপে ।।
কি দিয়েছে শাশুড়ি মা
এটাও জামাই মাপে।।


শাশুড়ি মা সারাটা দিন 
উপোস করেই থাকেন ।।
জামাই বাবা কি এনেছেন 
এটাও তিনি দেখেন।।


দেখেন তিনি কত দামী 
এনেছে তার শাড়ি ।।
বিশাল বড় গাড়ি করে
এসেছে শশুর বাড়ি ।।


আধুনিকতায় জামাই ষষ্ঠী 
একটু হলেও ভিন্ন ।।
রিতি রেয়াজ নিয়োমকানন
পুরো পুরি অন্য ।।


ষষ্ঠীর দিন জামাই বাবু 
আনতে গেল বিয়ার ।।
বিয়ার খেয়ে শালিকে বলে
ইউ আর মাই ডিয়ার ।।


শাশুড়ি শুনে অবাক হয়ে 
তার দিকেই দেখে ।।
মাতাল হয়ে জামাইবাবা
তাকে ধরে রাখে।।


মা ও মেয়ে একই রঙের 
পরে ছিল শাড়ি ।।
এটাই ছিল আমার কাছে 
ভীষণ বাড়াবাড়ি ।।


দোষ ছিলনা তেমন কিছুই 
বৌ এর কাছে বলে ।।
ষষ্ঠীর দিনে রাগ করে সে
কোথায় গেলো চলে ।।


এত কিছু পরেও কিন্তু 
জামাইষষ্ঠী হয় ।।
জামাইরা সব জামাই সেজে 
শশুর বাড়ি রয় ।।

Wednesday, June 5, 2019

নেই - সন্দীপ দাস

নেই 
- সন্দীপ দাস


দশক পরে ফিরে আসা কলকাতা বইমেলার মাঠে আবার 
নতুন নতুন ফুল ফুটেছে , আনন্দের ঝর্ণায় 
হাজার হাজার নতুন নতুন বইয়ের গন্ধ 
মানুষ আসছে , বই কিনছে চলে যাচ্ছে হাসি মুখে 
যেমনটা দশ বছর আগেও হতো 
পথ চলছি আর দেখছি বই এর পাতা নেড়ে চেড়ে 
অনেক মুখ , আমি চিনে নিচ্ছি অনেক কে 
তবু কেউ চিনতে পারছে না আমায় 
কবিতার তরঙ্গে থামলাম এসে আমি । কত ভিড় 
জমে আছে সেখানেও 
এগিয়ে যেতেই দেখা এক বন্ধুর সাথে 
লম্বা চুলের ফাঁক দিয়ে উঁকি মারা মুখে চেনা খুব দায় 
গলা জড়িয়ে ভেতরে নিয়ে গেলো । সেখানে অনেকের সাথে দেখা হল 
কত কথা হল , যাদের সাথে কোনদিন ঝগড়া , কবিতা করেছিলাম আমিও 
আরও দুপা এগিয়ে যেতেই প্রেস ক্লাব – দেখি মানুষকে ভালোবেসে 
মনন এখন বিশাল এক নাম 
আরও এগিয়ে যেতেই বই ফেরি পেলাম পথের ওপরেই 
বাংলার তরুণ দের দেখানো পথে সাহিত্যের ভ্যানটি এগিয়ে চলেছে 
বই এর ডালি নিয়ে 
যদিও গনতান্ত্রিক সম্পূর্ণ এই বইমেলার দেশটা 
তবু দেখলাম নতুন কলমচিদের দিক্ষিত পেশাটা 
অপরুপ পরিবেশ ওই হৃদয়ের আসে পাশে 
এগারো জনের সাজানো দলের সবাই 
বুদ্ধম শরনমের নামাবলি জপে 
আনন্দ , দেজ সবাই আছে – নামি দামি হকার আছে 
যারা সই বেচতে বেচতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে

বেড়িয়ে আসার আগে একটা বই কিনেছিলাম 
পড়া হয় নি আজও 
পড়তে পড়তে মনে পড়ছে এখন 
নিজের শেষ একটা লাইন –

আমাকে কবি বলিস নি তোরা , বেশ করেছিস 
কবি হতে গেলে সরলতা বেচতে হয় আগে 
সে মানুষ হোক আর কবিতায় ।

তবে একটা কথা ঠিক , ফেলুদা তোপসে এ যুগেও হিট 
সুপারহিট ।

Tuesday, June 4, 2019

ক্ষুধার্ত ভিক্ষুক "কবিতা_____ কবি পারভেজ অালী

ক্ষুধার্ত ভিক্ষুক 


_____পারভেজ অালী [০৩/০৬/১৯]


একদা দুয়ারে অাসিয়া চাইলো ভিক্ষা
এক অসহায় ক্ষুধার্ত ভিক্ষুক,
পেটের জালায় ছুটে বেরায় সে~
মানুষের দরজায় ;
ক্ষুধার জালায় মা বলে ডাক দেয়
খাবারের অাশায়।
পেটে ক্ষুধা নিয়ে হাজির হয়েছে
ছুটে চলেছে মানুষের দুয়ারে
ক্ষুধার জালায় সে ~
হাত পেতে বেরায় মানুষের দরজায়।
দয়া যদি করো মা অামায়
তবে পেট ভরে খেতাম অামি -
দয়া যদি হয় মা তোমায়।
ভিক্ষুকদের নিয়ে অনেকেই তো ভাবে
কিন্তু গুটিকয়েক লোক ~
তাদেরকে কিছু অর্থ দান করে;
তোমার পেটে তো নেই ক্ষুধা ~
তবে বুঝবে কিভাবে গরীবদের ক্ষুধা;
তোমরা খাও অাপত্তি নাই
কিন্ত ভিক্ষুকদের পেটে লাথি কেন?
তাদেরকে দেখে মুখ ফিরাও কেন?
দরজায় এসে হাত পাতলে তারা,
তাদেরকে ধিক্কার দাও কেন?
থাকো তো ৫তলা অট্রলিকায়
ঘুমাও তো দামি দামি সোফাখাটে
তারা তো ঘুমায় রাস্তার পাশে,
কষ্ট করে দু'বেলা খেয়ে তারা বাঁচে;
বুঝবে কি তাদের কষ্ট তুমি?
বুঝবে কি তাদের পেটের জালা?
দু'মুঠো খাবারের জন্য ~
মানুষের দরজায় ছুটে চলে তারা।
কত খাবার নষ্ট করো তুমি
কত খাবার ডাস্টবিনে ছুরে ফেলো,
একবার কি সেই ক্ষুধার্ত ~
মানুষগুলোর কথা ভাবো?
তাদের পেটে যে অাছে ক্ষুধা~
একবার কি তুমি ভাবো?
যাদের পেটে ক্ষুধা নেই
তাদের তুমি খাইতে বলো
কিন্তু দারে দারে ছুটে চলা-
ক্ষুধার্ত সেই ভিক্ষুকটির কথা তুমি কি ভাবো?
দানের সময় তো তাদের দেখে~
মুখ ফিরায়া থাকো,
একবার কি তাদের কথা ভাবো?
---------------------------------------------------------
মোঃ পারভেজ অালী
ইংরেজি বিভাগ, ২য় বর্ষ;
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা।

Monday, June 3, 2019

রিফাত ফাতিমা তানসি কবির কবিতা



শূন্যগর্ভতা

--------------

কবি- রিফাত ফাতিমা তানসি


            একফালি ভাসন্ত চাঁদ করতে গিয়েও বায়না:
হলো নিবৃত্ত, কী জানি; থমকে!
             বন্ধনহীন পানকৌড়ির ইটিশপিটশ,
সে ও কি করছে আগেরই মতোন দৌড়ঝাপ;
অশান্ত ঠোকাঠুকি!
              শাদা-কালোয় আবৃত বিনিদ্র ডাহুকেরা আঁখি মেলে চায়, ফিরে ফিরে একটু চমকে; চমকে!
               রোদ্ররা আজ করছেনা স্নান,
               হলোনা হেসে কুটিকুটি-
               মেঘের ওপারে মেঘ জমেছে
               দেখছে অপার ভ্রুকুটি!
পত্র-পাপড়ি হুড়মুড় করে
ভেঙে যায় উন্নাসিক ছন্দে,
হৃষ্টপুষ্ট রূদ্রমূর্তি ধারণ করিছে, সে কবে গো!
অসহায় টমেটো মাখানো
ওষ্ঠ দুখানার মালিক তোতা;
চেয়ে আছে অনিরুদ্ধ
খাঁচার বাহির কন্ধে...
পাগলা সাগলা ঘুড়িটিও আজ:
বেভুল ঘোরে ঘুরতে ঘুরতে কোথায় যেন আটকে গেছে,
আর ফিরে আসেনি!
সাম্পানের ভিশতিওয়ালারা
ঘামঝড়ানো,
কিছুটা কর্দমাক্ত;
হাকডাকে
আত্মনিমগ্ন...
কিন্তু,
হায়, হায়!
কোথাও কারও নেইকোনো তাড়া
কিংবা ক্ষণিক হুড়োহুড়ি;
সবের মাঝে
কী অদ্ভুত!
কী অদ্ভুত!
এক আসমান শূন্যতা!
এক সমুদ্র স্তব্ধতা!
বড্ড অসময়ে গেলে চলে;
বড্ড অবেলায় দিলে নিজেরে হেলে!

দৈনিক ইংরেজি পত্রিকাগুলোর ইমেইল সমূহ ।

★The Daily Star
letters@thedailystar.net  ও মমত
DSLitEditor@gmail.com
staryouth@thedailystar.net
starweekendtds@gmail.com 

★The Daily Observer
editorial@dailyobserverbd.com

★The New Nation 
n_editor@bangla.net (lette r & column)
n_news@bangla.net 

★Daily Sun
suneditorial@gmail.com. ( lette r & column)

★Bangladesh Dost 
editorialbdpost@gmail.com 
★The Financial Express
fexpress68@gmail.com










বাঘা



বটু কৃষ্ণ হালদার




রাত তখন প্রায় দুই টা, লিখতে লিখতে হঠাত চোখ পড়ে ফোনটার দিকে. মেসেঞ্জার টা খুলতে হাই বলে লেখা, প্রোফাইল টা চেক করে নেয় বিমান. নাম অর্পিত রায়, তার নিজস্ব কোনো ছবি নেই প্রোফাইল এ শুধু কুকুরের ছবি আপ ডেট করা. বিমান ও হাই বলে উত্তর দেয়
রিপ্লাই আসে আপনি কোথায় থাকেন 
আমি হরি দেব পুর, আপনি?
আমি বারাসাত
ও, বিমান তাকে জিজ্ঞেস করে, প্রোফাইল এ আপনার ছবি নেই দেখলাম, শুধু কুকুরের ছবি দেখলাম, আপনি কুকুর দের খুব ভালোবাসেন বুঝি
হাঁ, শুধু ভালোবাসি নয়, ওরা আমার সন্তান. আমার বাড়িতে তিনটে কুকুর আছে, এরাই আমার এই জীবনের সঙ্গী.
বুঝলাম, কিন্তু সব জিনিসের একটা লিমিট আছে, এটা কি জানেন?
আপনার কথা বুঝতে পারলাম না, একটু খুলে বলবেন বন্ধু.
অবশ্যই, আপনি চানক্যর নাম শুনেছেন?
অর্পিত উত্তর দেয়, হাঁ নিশ্চয়.... 
ওনার একটা শ্লোক এ  আছে সব জিনিসে "অতি" শব্দ টা ভালো নয়.
যেমন, একটা উদাহরণ দেবে বন্ধু আমায়... 
হাঁ, নিশ্চয়ই যেমন অতি ভালোবাসা ভালো নয়. কিন্তু আমি  এই কথা মানি যে প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব স্বকিয়তা আছে.
একটা ফোন করতে পারি রিপ্লাই আসে. 
বিমান উত্তর দেয় করুন
ফোন এর রিংটোন টা বেজে ওঠে, মুছে যাওয়া দিন গুলি, আমার যে পিছু ডাকে,
বিমান ফোন টা রিসিভ করে, হ্যালো, হাঁ বলুন...
আপনার বয়স টা জা নতে পারি কি? ওদিক দিয়ে একটা মহিলার কন্ঠ স্বর জানতে চায়. 
বিমান উত্তর দেয় তেত্রিশ.....
তুমি আমার থেকে অনেক ছোটো, তাই তুমি বললাম কিন্তু কিছু মনে করো না কিন্তু, 
OK, OK thanks...... 
না না ধন্যবাদ এর তেমন কিছুই হয় নি, আর বন্ধু দের মধ্যে এমনে ফর মালিটিস, আমি পছন্দ করি না. এবার আসি কাজের কথায়, তুমি কি কারো বন্ধু, যদি বলতে আপত্তি না থাকে তো.
না না আ ত্তি থাকবে কেন? আমি একটা প্রাইভেট কোম্পানি তে চাকরি করি.. বিমান উত্তর দেয় জড়সড় ভাবে. 
ও, বিয়ে করেছ? 
হাঁ, আমার একটা মেয়ে ও আছে পাঁচ বছরের. 
কি নাম মেয়ের? 
মেঘলা, মেঘলা হালদার 
দারুণ, রোমান্টিক নাম, 
আমার সব কিছু তো জেনে নিলে বন্ধু, এবার তোমার কথা একটু বলো pls 
আমি, আমার স্বামী নীরব মোদী, আর এক ছেলে, কিন্তু আমার সারা সপ্তাহ কেটে যায় তিনটে কুকুরের সঙ্গে, যারা আমার নিঃসঙ্গ জীবনের একান্ত সঙ্গী.
নীরব মোদী মানে টা বুঝতে পারলাম না. 
আমার স্বামী একজন ভবঘুরে লেখক, পঞ্চাশ কথায় একটা উত্তর দেয় না তাই নাম রেখেছি নীরব মোদী, সারা সপ্তাহ কোথায় থাকে জানিনা, মানে আমি ও খোঁজ  নেবার চেষ্টা করি না, নিয়ে ও লাভ নেই, রবিবার বাড়িতে আসে, আর ছেলে থাকে দমদম  কলেজ এ পড়ায় সে ফেরে শনিবার বিকালে, এই হল আমার জীবন.
ও তাই বলো আর কুকুর গুলো তাই তোমার সঙ্গী তাই তো.
হাঁ, জানো বন্ধু এরা আমার কথা খুব মন দিয়ে শোনে, কিন্তু মানুষ রা শোনেনা, আমি তখন খুব ছোট, আমার যখন  আট নয় বছর বয়েস বাবা মারা যায়, মা আবার বিয়ে করে এই বাড়িতে নিয়ে আসেন , মায়ের অত্যাচার সাথে বাড়তে থাকে আমার প্রতি অবহেলা, নতুন বাবা তেমন কিছু না বললে ও আমাকে মন থেকে মেনে নিতে পারেনি সহজেই সেটা বুঝতে আমার বিশেষ অসুবিধে হয় নি , দিদি কে মা খুব ভালোবাসতেl তাই দিদি আমাকে সহ্য করতে পারতো না, আমার জেঠুর কোনো সন্তান ছিল না, জেঠিমা  একটা কুকুর পুষেছিল, ছিল বাঘা তার নাম ছিল বাঘা.
বাঘা আমাকে খুব ভালোবাসতেl, সময় পেলে সবার নজর এড়িয়ে আমার কাছে পাগলের মত ছুটে আসতো আদর খেতে. বাঘা আমার কাছে আসুক জেঠিমা পছন্দ করতেন না . আমি তার গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতাম. আমার কোলে মাথা দিয়ে সে ঘুমিয়ে পড়তো.
সেবার ছিল পয়লা বৈশাখ, মা ও বাবা দুই জন সেজে গুজে কোথায় বেরিয়ে গেলো, আর বললো একটু চাল ফুটিয়ে খেয়ে নিবি কিন্তু, এর  দিদি তো অনেক আগেই গেছে  মামার বাড়ি তে, মা কে জিজ্ঞেস করলাম তোমরা কোথায় যাবে?
উত্তর দেয় জাহান্নামে যাব যাবি তুই, সব কথার উত্তর তোকে দিতে হবে নাকি?
বেরিয়ে যায় বাড়ি থেকে, আমি শুধু তাকিয়ে রইলাম. বাঘা আসে, আমি তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলাম.
ধীরে ধীরে আমি উঠে ঘরে চলে গেলাম, বিছানায় শুয়ে শুয়ে বালিশ মুখে দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি তার খেয়াল নেই.
আচমকা আমার ঘুম ভেঙে যায় চেঁচামেচির আওয়াজ শুনে. ঘড়ির দিকে তাকালাম, দেখি বেলা এক টা বাজে. খিদেতে পেটে আগুন জ্বলছে, কিন্তু কিছু ছিল না ঘটে. তবু বিস্কুট রাখার প্লাস্টিক এর কৌটা টা হতে নিলাম, ঢাকনা খুলে হতে দিতে প্লাস্টিক কাগজের মধ্যে দুটি ভাঙা টুকরো পেলাম, সেগুলি মুখে দিয়ে জল খেলাম. জেঠুর গলার স্বর শুনতে পেলাম, আমি ভয়ে ভয়ে বাইরে বেরিয়ে এলাম. বারান্দায় একটা বাঁশের খুঁটি তে হেলান দিয়ে বসলাম. জেঠু জেঠিমার হাত ধরে টানতে টানতে ও বাড়ির বারান্দায় নিয়ে এলো. তারপর জেঠু দৌড়ে রান্না ঘরে ঢোকে. জেঠিমা তখনও বাঁশের খুঁটি ধীরে অনর্গল কেঁদে চলেছে, হাতে ভাত লেগে আছে.
জেঠু ভাতের হাঁড়ি টা প্রথমে বাইরে নিয়ে আসে, পরে একটা কড়াই ও নিয়ে আসে, আর চেঁচাতে থাকে,
বলছে, তোর আজ রসের খাওয়া ঘুচিয়ে দেবো, এই
বলে কড়াই এর মধ্যে ভাতের হাঁড়ি টা ঢেলে দেয়, তরকারির সঙ্গে ভাত মাখাতে থাকে, 
জেঠিমা বলছে, কি করছেন আপনি, আমার ভুল হয়ে গেছে, আর কোনো দিন হবে না, থামুন, থামুন. 
জেঠু জোর করে জেঠিমার হাত ধরে টেনে নিয়ে কড়াইয়ের মধ্যে মুখ টা গুজে দেয়, বলে খা, তুই সব খা.. 
মুখ তুলে জেঠিমা বলে, এ আপনি কি করলেন, আমি যে মাংস খাই না, ছি ছি.. এ আপনি কি করলেন.
তারপর জেঠু ঊর্ধ্বশ্বাসে বাড়ির বাইরে চলে যায়, গজ গজ করতে করতে. 
আমি চুপ করে দেখলাম সবটুকু, আজও বুঝতে পারলাম না তাদের ঝগড়া টা কেনো হয়েছিল সেদিন? 
আজও স্পষ্ট মনে আছে সেই দিনের কথা, জেঠিমা পুরো কাড়াই ভর্তি ভাত উঠোনে এক কোণে রেখে, হাঁক দেয়, বাঘা, এ বাঘা...... 
জেঠিমা ঘরের মধ্যে চলে যায়, মনে হয় স্নান করতে, যাই হোক আমি তখন ভাবছি নিজের কথা. 
আমি পেটে হাত দিয়ে বসে ছিলাম, উঠোনে নেমে গেলাম, ইস যদি একটু ভাত পেতাম, দুঃখ লাগলো যে আমাকে একটু ভাত খেতে দিল না. 
বাঘা এলো, আমি তাকিয়ে ছিলাম খাবারের দিকে দুর থেকে, বাঘা একটু দূর থেকে খাবার টা দেখলো, এরপর দৌড় এলো আমার কাছে, আমার জামা টা টানতে টানতে নিয়ে গেলো সেই খাবারের কাছে, আমি বলতে লাগলাম,ছাড় বাঘা একটা জামা আমার ছিঁড়ে গেলে, কে কিনে দেবে বল? বাঘা আমাকে খাবারের কাছে নিয়ে গেয়ে, নিজে চলে যায় দরজার সামনে পাহারা দিতে. 
আমি আজও ভুলতে পারিনি সেই দৃশ্য. আমি পেট ভরে খেলাম, তারপর চলে এলাম বারান্দায়. 
বাঘা আমার কাছে এলো, আমি তাকে জড়িয়ে ধরলাম, কাঁদতে কাঁদতে বললাম যে সমাজের মানুষ এর ভাষা বোঝে না আর তুই, আমার কথা বুঝতে পারলি, আমার খুব খিদে পেয়েছে, আমি হাউ হাউ করে তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলাম. 
এরপর বাঘা গিয়ে তার ভাগের খাবার টুকু শেষ করে লেজ নাড়াতে নাড়াতে ঘরে ঢুকে যায়. 
জানো বন্ধু NRS হাসপাতালের নার্স যখন কুকুর গুলো কে মেরে ফেলেছে, সেই খবর টা আমি প্রথম ফেসবুক এ পোস্ট করেছি. সারা রাত আমি ঘুমাতে পারিনি. 
বিমান একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে, বলে বুঝলাম. আচ্ছা শুভ রাত্রি বন্ধু আবার পরে কথা হবে. 
OK শুভ রাত্রি. 




বটু কৃষ্ণ হালদার 
327 /3 M. G ROAD, ROSY APEARMENT
P. O_R. C THAKURANI, HARIDEVPUR, 
KABAR DANGA, KOL - 700104 
PH, 9830420904,8617255958


মৃত্যুঞ্জয়ের কবিতা

ভালবাসার টেম্পারেচার

-মৃত্যুঞ্জয় রায়






ধরো,আকাশটা মেঘলা ভীষণ-
রাত্রির আঁধার অমাবশ্যা সেজেছে,
মাঝে মাঝে বিজলি চমকাচ্ছে ভীষণ
বুঝবে আমি মনে করেছি তোমায়,
আমার মন কেমনের রাতে।
হঠাৎ করে বৃষ্টি নামলো-
তোমার দক্ষিণের খোলা জানালাটা দিয়ে
ঢুকছে ঘরে শিরশিরানি বাতাস-
বুঝবে তখন,আমার তোমায়
ছুঁয়ে যাওয়ার আভাস।।
দেখবে তখন দুএক ফোঁটা জল
পরছে তোমার মুখে-
বুঝে নিও, আমি বাষ্প হয়ে
ভিজিয়েছি তোমায় সুখে।।
হঠাৎ তোমার লাগবে ঠান্ডা
কাঁপনি দিবে ভয়ে-
থামবে তখন বাতাস বৃষ্টি
তুলে নিবো হৃদয়ে।।
কাঁপনি দিয়ে আবার যদি
আসে তোমার জ্বর -
বুঝে নিও আমি তোমার পাশে
আছি অষ্টপ্রহর ।
তোমার ঘুমের পাহারাদার হতে।
চাইলে তুমিও মাঝে মাঝে
করিও জ্বরের ভান-
তোমার জ্বরের ছলে থাকব পাশে
করবো আলাপন।
জলপট্টিটা দেয়ার ছলে
কপাল দিব ছুঁয়ে-
আমার ভালবাসার খেয়ালিপনায়
তুমিও পড়বে নুয়ে।
বাড়তে থাকবে-ভালবাসার টেম্পারেচার।।

Farewell Love and all thy Laws for ever BY SIR THOMAS WYATT in bangla. Farewell Love bangla onubad. Farewell Love poem এর বাংলা অনুবাদ । Farewell Love বঙ্গানুবাদ ।



বিদায়ী প্রেম এবং চিরকালের জন্য আপনার সমস্ত আইন

স্যার থমাস ওয়াইট 



বিদায় ভালবাসা এবং আপনার সমস্ত আইন চিরকাল;
তোমার ঠোঁটযুক্ত হুক আর আমাকে জট দেবে না।
সেনেক এবং প্লেটো আমাকে আপনার শ্রদ্ধা থেকে ডাকেন
নিখুঁত সম্পদ, চেষ্টা করার জন্য আমার বুদ্ধি।
আমি যখন অধ্যবসায় করি তখন অন্ধ ত্রুটিতে
তোমার তীক্ষ্ণ বিকর্ষণ, যে এত খারাপ হয়ে পড়েছে,
হাফ আমাকে ট্রাইফলে কোনও স্টোর স্থাপন করতে শিখিয়েছিল
স্বাধীনতা যেহেতু লিপিবদ্ধ হওয়ায় এবং উপেক্ষা করা উচিত।
অতএব বিদায়; অল্প বয়সী লোকদের কষ্ট দিন
এবং আমার মধ্যে আর কোন কর্তৃত্ব দাবি।
অলস যুবকদের সাথে আপনার সম্পত্তি ব্যবহার করুন
এবং এটিতে আপনার প্রচুর ক্ষুরধার ডার্টগুলি ব্যয় করুন,
এখনও পর্যন্ত আমি আমার সমস্ত সময় হারিয়েছি,
আমাকে লম্বা করার জন্য কোনও লম্বা পচা মাংস climb.

👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇


Farewell Love and all thy Laws for ever

BY 

SIR THOMAS WYATT


Farewell love and all thy laws forever;
Thy baited hooks shall tangle me no more.
Senec and Plato call me from thy lore
To perfect wealth, my wit for to endeavour.
In blind error when I did persever,
Thy sharp repulse, that pricketh aye so sore,
Hath taught me to set in trifles no store
And scape forth, since liberty is lever.
Therefore farewell; go trouble younger hearts
And in me claim no more authority.
With idle youth go use thy property
And thereon spend thy many brittle darts,
For hitherto though I have lost all my time,
Me lusteth no lenger rotten boughs to climb.




👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆

⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️💩💩💩💩💩💩💩💩💩💩💩💩💩💩💩💩💩💩💩💩💩



#স্মরণে মননে রবীন্দ্রনাথ#

                # মনালি বসু #   


হে রবি, 
আমার মনের দেবতা, প্রাণের ঠাকুর, 
আমার প্রেমের কবি, 
তুমি নির্ধনের ধন, অসহায়ের সম্বল। 
তুমি জড়িয়ে রয়েছ 
আমাদের সুখে দুঃখে, 
আনন্দে -বিষাদে, মিলনে-বিরহে, 
তোমার লেখাই তো আমাদের 
বেঁচে থাকার শক্তি জোগায়। 
তোমার গানই তো 
পার্থিব দুঃখ ভোলায়। 
তোমার লেখা তো সময়কে অতিক্রম করে
তাই আজও তুমি অতি আধুনিক। 
বর্তমান যুগেও তুমি সমসাময়িক, 
অতি মাত্রায় গ্রহণযোগ্য। 
সমাজের বর্তমান পরিস্থিতিতে 
তোমার লেখাই তো পথ দেখায়, 
আশার আলো নিয়ে বাঁচতে শেখায়। 
আমরা গঙ্গাজলে গঙ্গাপূজার মতো 
তোমার সৃষ্টিই তোমাকে শোনাই, 
তোমাকে দেখাই।
সম্পদে বিপদে তুমিই মোদের রক্ষাকর্তা। 
হে রবি,  হে উজ্জ্বল নক্ষত্র, 
তোমার বাণীর আশার আলো 
আমাদের প্রাণে প্রবেশ করাও। 
নিবিড় অচ্ছেদ্য বন্ধনে 
তুমি মোদের রক্ষা করো।।                                                                                              

কবি মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় দাস এর একটি কবিতা ।


                 
          



               ঘটে যাবে জানি
মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় দাস




কিছু একটা ঘটা চাই—
ঘটনার ঘনঘটা নয়৷
ভাদ্রর আকাশশোষা রোদ
গুমরে ওঠা বান৷
কিছু একটা ঘটা চাই৷
বান বাণে জজ্জরিত
শুকনো চিঁড়ে ভিজে পাঁক৷
তোমার হৃদয়?

কিছু একটা ঘটা চাই, 
ঘটনার ঘনঘটা নয়৷
নাটকীয় ওঠাপড়া নয় কোনে মতে৷
সাদামাটা মেঠে পড়া দুধের মতন৷
যে পাঁপড়িগুলো আপনি তুমি খোলো
গন্ধলোভী হয়ে
খুলে দাও আরও একবার৷
আটকে থাকা শিশিরগুলো 
টসটস করে পড়তে দাও
পরিব্যাপ্ত গুমরে ওঠা বানে৷
গুটিয়ে যাক উচ্ছ্বসিত কানাকানি
চিরতরে চিরশ্রান্তিতে৷

ঘুম আসছে—ঘুম—রাতজাগা৷
জাগিও শিশির ধোওয়া ভোরে৷
কিছু একটা ঘটে যাবে জানি
আশাহত আকাঙ্ক্ষিত
অনাদৃৃত দুচোখে দাঁড়ালে৷
 



মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় দাস

    ডাঙাপাড়া, ডাক : কালনা

     জেলা: পূর্ব বর্ধমান৭১৩৪০৯

Samuel Johnson's the Preface to Shakespeare in bangla. The Preface to Shakespeare by Samuel Johnson bangla onubad. The preface to Shakespeare এর বাংলা অনুবাদ সহ বাংলা সংক্ষিপ্ত সামারি ।


শেক্সপিয়ার সমালোচনার জন্য ডাঃ স্যামুয়েল জনসনের অন্যতম উল্লেখযোগ্য পরিষেবা হ'ল তিনি শেক্সপিয়ারের নাটকের কেন্দ্রীয় স্টাইলকে সর্বজনীনতা হিসাবে প্রকাশ করেছেন। তিনি এই রায়টি পাস করেন যে শেকসপিয়র একটি "প্রকৃতির কবি" যার অর্থ তিনি তাঁর রচনার মধ্য দিয়ে জীবন-আসল জীবন এবং আচার-আচরণ প্রতিফলিত করেন।

শেকসপিয়র প্রকৃতির এমন এক কবি যিনি বিশ্বকাপে তাঁর নাটকগুলিতে মানব প্রকৃতির প্রতিনিধিত্ব করেন। সে বাস্তবকে মিথ্যাবাদী করে না। শেকসপিয়র প্রকৃতির কবি কারণ তাঁর চরিত্রগুলিও স্বাভাবিক; তারা আচরণ করে এবং আচরণ করে মানুষের মতো চিন্তাভাবনা করে এবং কথা বলে। তাঁর চরিত্রগুলি মানবতার বিশ্বস্ত উপস্থাপনা। তিনি আবেগ এবং নীতি যা মানবতার পক্ষে সাধারণ বিষয় নিয়ে কাজ করেন। তিনি কেবল কোনও একটি দেশ বা বয়সের নির্দিষ্ট পদ্ধতি এবং রীতিনীতি চিত্রিত করেন না। তাঁর চরিত্রগুলি কেবল রাজা এবং রোমান নয়। তারা সমস্ত মানুষের উপরে। সুতরাং, তাঁর চরিত্রগুলির সর্বজনীন আবেদন রয়েছে। তবে এর অর্থ এই নয় যে তাদের কোনও স্বতন্ত্র গুণ নেই। একটি চরিত্রের বক্তব্য অন্যের মুখে রাখা যায় না এবং তাদের বক্তৃতাগুলির মাধ্যমে এগুলি একে অপরের থেকে সহজেই আলাদা করা যায়। তিনি যে কথোপকথনটি ব্যবহার করেন তা "সাধারণ আলাপচারিতা এবং সাধারণ ঘটনাগুলির বিভিন্ন নির্বাচন দ্বারা উদ্ভাসিত হয়েছে বলে মনে হয়” "তারা যে বয়স, লিঙ্গ বা পেশার সাথে সম্পর্কিত তাদের ক্ষেত্রেও এগুলি সত্য। তারা টাইপ করা সত্য।



শেক্সপিয়রের চরিত্রায়নে আমরা মানব প্রকৃতির একটি বাস্তববাদী এবং বিশ্বাসযোগ্য চিত্র খুঁজে পাই port শেক্সপিয়র কল্পিত শ্রেষ্ঠত্ব বা অব্যক্ত মডেলচারের ব্যক্তিদের চিত্রিত করে না। তাঁর নাটকের চরিত্রগুলি বীরাঙ্গনা নয়, কেবল এমন মানুষ যাঁরা পরিস্থিতিতে পড়েন এমন পরিস্থিতিতে অভিনয় ও চিন্তাভাবনা করে act এমনকি এজেন্সি যেখানে অতিপ্রাকৃত, সংলাপটি বাস্তব জীবনের সাথে মিলিত হয়। শেকসপিয়র তাঁর নাটকগুলিতে মানব প্রকৃতিটি দেখিয়েছেন কেবল এটি বাস্তব সমাধানগুলিতেই কাজ করে না তবে এটি এমন পরিস্থিতিতে দেখা যাবে যা কখনই উদ্ভূত না হতে পারে।

শেক্সপিয়র তাঁর চরিত্রের চিত্রায়ণে সবচেয়ে আসল। জনসন বলেছেন যে তাঁর আগে কোনও লেখকই চৌসারের সম্ভাব্য ব্যতিক্রম ব্যতিরেকে মানব চরিত্রকে এমন বাস্তববাদী উপায়ে চিত্রিত করেননি। শেক্সপিয়ার এই ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ থেকে মানব প্রকৃতির জ্ঞান সংগ্রহ করেছেন। এই জ্ঞান তাকে চরিত্রের বহুগুণ এবং বৈচিত্র্য চিত্রিত করতে এবং মানুষ ও মানুষের মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য প্রকাশ করতে সক্ষম করেছে। এক্ষেত্রে তাঁর আর কোনও অন্তরঙ্গ নেই, যদিও তিনি নিজেই সমস্ত লেখক নকল হয়েছিলেন। জীবন বা প্রকৃতিই তার বিষয়, তিনি নিজের চোখে জিনিস দেখেছেন তার প্রমাণ দেয়।
তাঁর চরিত্রায়নের সর্বজনীনতার কারণেই শেক্সপিয়রের নাটকগুলি ব্যবহারিক অলঙ্কার এবং ঘরোয়া জ্ঞানের দ্বারা পরিপূর্ণ। এগুলি থেকে বাস্তব দর্শনে জীবনের বাস্তব দর্শনের একটি দর্শন তৈরি করা যেতে পারে। তিনি কেবল নির্দিষ্ট অনুচ্ছেদে মহান নন তবে তাঁর ক্রিয়াকলাপের পুরো আচরণই তাঁর (মানব) প্রকৃতির কবি হিসাবে তাঁর মহত্ত্বকে প্রকাশ করে।
শেক্সপিয়ারের বাস্তববাদ, বলেছেন জনসনকে এও দেখা উচিত যে তিনি তাঁর নাটকগুলিতে প্রেমের আবেগকে অযৌক্তিক গুরুত্ব দেন না। নাট্যকাররা সাধারণত প্রেমের থিমকে অত্যধিক গুরুত্ব দেয় এবং প্রায়শই সম্ভাব্যতা লঙ্ঘন করে এবং জীবনকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে। শেকসপিয়র জানেন যে- "ভালবাসা অনেক আবেগের মধ্যে কেবল একটি" এবং এটি জীবনের যোগফলের উপরে কোনও দুর্দান্ত প্রভাব ফেলে না।

জনসন বাস্তবতার মাটিতে তাঁর নাটকগুলিতে করুণ এবং কমিক উপাদানগুলির মিশ্রণের জন্য শেক্সপিয়রকে রক্ষা করেছেন। এই জাতীয় মিশ্রণ কেবলমাত্র আমাদেরকে বিশ্বের পথ দেখাতে সাহায্য করে যেখানে "একজনের ক্ষতি হ'ল একই সাথে অন্যের লাভ" "" প্রকাশ্য ব্যক্তি তার দ্রাক্ষারসে তাড়াহুড়ো করে এবং শোককারীকে তার বন্ধুকে কবর দেয়। "

জনসন শেকসপিয়রের স্থান এবং সময়কার ইউনিটিগুলি লঙ্ঘন অস্বীকার করেন না। তিনি শেক্সপিয়ার হে নাটকীয় বিভ্রমের ভিত্তি। সাহিত্যের আক্ষরিক অর্থে নয় কল্পনা দ্বারা প্রশংসা করা উচিত। তিনি যখন কোনও নাটক দেখেন তখন দর্শকদের কল্পনাশক্তি খুব সক্রিয় রাখা হয়। শ্রোতারা জানেন যে তিনি একটি কল্পিত বাস্তবতা দেখতে যাচ্ছেন। কোনও থিয়েটারের শ্রোতারা যদি রোম শহরের একটি এলাকা হিসাবে মঞ্চটি গ্রহণ করতে পারেন তবে তিনি রোম থেকে আলেকজান্দ্রিয়াতেও পরিবর্তন গ্রহণ করবেন। সময়ের একতা বুদ্ধিমানদের একই নীতিতে লঙ্ঘিত হতে পারে।

জনসন বলেছেন, শেক্সপিয়র ইংরেজি নাটকের “রূপ, চরিত্র, ভাষা এবং অনুষ্ঠান” -র সূচনা করেছেন। তিনিই প্রথম নাট্যকার, যার মর্মান্তিক পাশাপাশি কমিক নাটকগুলি তাদের জন্য উপযুক্ত নাটকীয় আনন্দ সরবরাহ করতে সফল হয়েছে succeed

এইভাবে জনসন তার অনুপ্রবেশকারী শক্তি দেখান যা শেক্সপিয়ারের বুদ্ধির একেবারে মূল অংশটি অনুসন্ধান করে এবং এর গভীর মানবতা এবং এর সার্বভৌম বাস্তবতা প্রকাশ করে।


⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️⛑️






"আমার ফুটপাত"


     
          ঝন্টু দাস


এক আকাশ ভালবাসা দিয়ে
স্বপ্নবাড়ি গড়েছি
এখন টাকার ক্রাইসিস
তাই জীবনকে নিয়ে ফাটকাবাজি ধরেছি।
প্রেমের জন‍্য সমস্ত হৃদয় ফুল
তাই প্রেমিকদের মরীচিকা দের
চিনতে ভুল হয়।
এ অবস্থায় এখনও 
আমার কবিতা কথা বলে।
ফুটপাতে কমসমে বিক্রি করি,
তাই ঠকে গেলে
লোকে কিছু বলেনা।
_________________________

Name - Jhantu Das
At+ Po - Menkapur,
PS- Dantan,
Dist. - Paschim Medinipur,
Pin No. - 721435
State - West Bengal
Mobile - 9635378046