Tuesday, May 28, 2019

কবি সনাতন কুণ্ডু

বিষয়ঃ কবিতা 




শিরোনামঃ " মুক্তির পথ"

কবিঃ সনাতন কুন্ডু 

তারিখঃ-22-05-2019
 

$$$$$$$$$ " মুক্তির পথ "$$$$$$$$


রহমতের ডালি নিয়ে আসছে মাহে রমজান
উদিত হবে নূতন সূর্য হবে পাপের অবসান ।
চাঁদ উঠেছে রমজানের চলে মুমিনের খোঁজ
রোজা যে তার বিজয়নিশান রাখতে হবে রোজ।।
মুসলিম উম্মাহর নীড়ে রোজাকে সু-স্বাগতম্
ত্রিশ দিনে রোজাদার বান্দা দেখাবে যে তার দম।
পবিত্র মাহে রমজান আসে প্রতি বছর ঘুরে ঘুরে
সিয়াম সাধনা সঠিকভাবেই বান্দারা পালন করে।।
ত্রিশ রোজা ত্রিশ ফরজ খোলে জাম্মাতের দ্বার
জমা হয় যত কিছু সওয়াব আমল নামায় বান্দার।
প্রথম দশ রমজান হয় রহমতের ছায়ায় ঘেরা
মাঝখানের রমজান দশ মাগফেরাতের গন্ধে ভরা ।।
রমজানের ওই শেষ দশে হয় যে নাজাত
সিয়াম সাধনায় কবুল করেন প্রভুর বান্দার মোনাজাত।
এইভাবেই যে কাটিয়ে দেয় তিরিশটা রমজান
নিয়মমাফিক নাজিল হয় পবিত্র আল কোরান।।
লাইলাতুল রজনীর ঊষা ওই আবির্ভাব কালেও
কর্ম সিয়াম সাধনায় জাহান্নমে মুক্তি মেলে।
মহান আল্লাহ্র নেয়ামত থাকলেও আজ অজানা
অভিশপ্ত জীবনে মুক্তি দিবেন আল্লাহ্র রাব্বানা।।
একটি নফল ইবাদত রমজানের ওই মাসেই
একটি ফরজ ইবাদত হয়ে অপর মাসে আসে ।
রমজানেরই একটি ফরজ ইবাদতের মান
পরের মাসের সত্তরটি ফলজ ইবাদতের সমান।।
আজকে যা আছে হীরে, পান্না জহরত আর মণি
নিজের করে নিলেই হবে আখেরাতের ধ্বনি।।
দানের সওয়াব তুলতে হলে দান যে চাই বেশি
তাহাজ্জুদের পুণ্যটুকু পেলেই হবে তাঁরা খুশি।।
পড়বে কোরআন প্রতিদিন মিষ্টি মধুর সুরে
আনন্দেতেই সবার কেমন উঠবে যে মন ভরে।
রমজানেরই পূণ্যে সবে হতে চাই ধনবান
ইনসা-আল্লাহ্ মোবারক হো মাহে রমজান ।।

       
    ######### সমাপ্ত ########

ঈশ্বর ও প্রেমিকা : কবি রুদ্র সুশান্ত



ঈশ্বর ও প্রেমিকা


রুদ্র সুশান্ত


সেদিন ঈশ্বর আমাকে ডেকে করলো বসে কান্ড এক,
- অ্যাই, এদিকে আয়,  আমার ধ্যান ভেঙে গেছে জানিস?

আমি কাঁচুমাচু হয়ে হাতজোড় করে বললাম - "না তো প্রভূ, কি হয়েছে?" 

একটা ছবি দেখিয়ে ঈশ্বর বললেন- "বালিকাটারে চিনিস?"

আমি বেমালুম ছবির দিকে চেয়ে দেখি, প্রেমিকা ছবির ভিতর বসা রয়েছে।

- "কি রে, বলছিস্ না কোন কথা ক্যান? 
বেয়াদব বালিকা হেসে ভাঙ্গিয়েছে আমার ধ্যান।"

আমি নিরুত্তর।
আবার কাঁপা কণ্ঠে বলি- " ধ্যান ভেঙ্গেছে আপনার আর আমাকে নিয়ে করেছে খেলা" 

অগ্নিচোখে ঈশ্বর আমাকে বলে- "কি বলিস?" 
 
আমার হাঁটু জোড়া কাঁপছে তখন 
আর কণ্ঠ থেকে বের হলো অবাধ্য এক স্বর- "কি বালিকা পাঠালেন গুরু, এবার সামলাও ঠ্যালা।
ঈশ্বর এবং প্রেমিক,উভয়ইকে নিয়ে করে খেলা। " 

ঈশ্বর এবার চুপ হয়ে মাথা নিচু করলেন। 
আমি বলি-"ছবিখান দেন মোরে,
 টাঙিয়ে রাখি ঘরে।" 

ধুর! ধুর ব্যাটা, নিয়ে যাহ্! 
আমি মনে মনে বলি- "প্রেমিকা, আমার নয় ঈশ্বরের মাথা খাহ্!" 

বালুঘাট, ঢাকা
০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ইং

যাবে আমার সনে
ফাতেমা তুজ জোহরা 
পড়ায় আমার মন বসে না
নেই লেখাতে এখন,
মন টা আমার খেলার মাঠে
থাকে সারাক্ষণ।
বন্ধুরা সব করছে খেলা
দূরের ঐ মাঠে,
দিনদুপুরে স্বপ্নে দেখি
চড়ি ঘোড়ার পিঠে।
খেলার মাঠের পাশে আছে
একটা বদ্ধভূমির ফলক,
জালানা দিয়ে দেখতে গেলে
মা দিচ্ছেন ধমক।
বন্ধুরা সব খেলার মাঠে
দিচ্ছে আমায় ডাক,
অংক করতে বসে আছি
গুন করছি ভাগ।
পড়ালেখার চেয়ে ভালো
বনের শোভা দেখা,
রংতুলিতে ক্যানভাস ভরে
জগৎটাকে আঁকা।
বক,শ্যামা,টুনটিনি আর
শালিক,ময়না,কোয়েল,
বন্ধু হবে আরোও আমার
চড়ুই, টিয়া,দোয়েল।
ওদের সাথে খেলবো আমি
খেলবো ঘুরে বনে,
এইতো আমি ডাকছি তোমায়
যাবে আমার সনে ? 

যাবে আমার : কবি সনে ফাতেমা তুজ জোহরা





যাবে আমার সনে




ফাতেমা তুজ জোহরা 





পড়ায় আমার মন বসে নানেই লেখাতে এখন,মন টা আমার খেলার মাঠে থাকে সারাক্ষণ।বন্ধুরা সব করছে খেলা দূরের ঐ মাঠে,দিনদুপুরে স্বপ্নে দেখিচড়ি ঘোড়ার পিঠে।খেলার মাঠের পাশে আছে একটা বদ্ধভূমির ফলক,জালানা দিয়ে দেখতে গেলেমা দিচ্ছেন ধমক।বন্ধুরা সব খেলার মাঠে দিচ্ছে আমায় ডাক,অংক করতে বসে আছিগুন করছি ভাগ।পড়ালেখার চেয়ে ভালো বনের শোভা দেখা,রংতুলিতে ক্যানভাস ভরেজগৎটাকে আঁকা।বক,শ্যামা,টুনটিনি আরশালিক,ময়না,কোয়েল,বন্ধু হবে আরোও আমারচড়ুই, টিয়া,দোয়েল।ওদের সাথে খেলবো আমিখেলবো ঘুরে বনে,এইতো আমি ডাকছি তোমায়যাবে আমার সনে ? 





নিচের লিঙ্ক টি আপনার জন্য 





Monday, May 27, 2019

কবি ফাতেমা তুজ জোহরা

জন্মভূমি 



ফাতেমা তুজ জোহরা






ও আমার জন্মভূমির দেশ,
তোমার রুপের নাইকো শেষ।
তোমার ঐ ধানের শীষে প্রজাপতির মেলা,
তোমার ফুলের বাগানে কত মৌমাছি কাটায় বেলা।
তোমার কোল জুরে বিছিয়ে আছে সবুজের মাঠে,
সময় পেরিয়ে গেলো তবুও জমা আছে মনের স্মৃতি পটে।
তোমার ঐ নদীর বাঁকে কত শত স্মৃতি,
নায়ে ভেসে যাওয়া ভাওয়ালিয়া গীতি।
রং বাহারি রুপ সুন্দরী তোমার কালো কেশ,
প্রজাতির অলংকারে লাগছে তোমায় বেশ।
তোমার আঁকাবাঁকা মেঠুপথে,
সবুজ ছায়ায় প্রান মাতে।
তোমার কাজল কালো দীঘির পাড়ে,
চাঁদের হাসি উঁকি দেয় বাঁশের ঝাড়ে।
তোমার বুকের উপর মন মাতানো ফুলের সুবাসে,
চাদনী রাতে ঝিলিমিলি আলোয় ঘুম না আসে।
একদিন ছেড়ে যাব তোমায় তবু যেতে নাহি মন চায়,
তুমি জড়িয়ে নিও আমায় তোমার আপন আঙ্গিনায়। 

কবি শেখ আজিজুল ইসলাম




কবিতাঃপ্রচুর গরম


লেখকঃআজিজুল ইসলাম 




বোশেখ মাসে ঝড়ের পরে পড়েছে যে  ভীষণ গরম
ছোট জামা কিংবা জামা ছাড়া সবাই ভুলছে শরম
খারাপ লাগছে ঘাম ও ঝরছে আজকে তৃষ্ণা পাচ্ছে  চরম

মাঝে মাঝে বাতাস এলে আমি শান্তি পাচ্ছি পরম
সূর্য মামা কয়দিন ধরে দিচ্ছে প্রচুর গরম তাপ
সহ্য করতে পারব না আর মামা এবার করো যে মাপ!
কোনো কিছুই এই গরমে আমার ভালো যে লাগে না
কি করে আজ মনরে বুঝাই আমার মন তো আর বুঝে না
কত বিকাল  হয়ে  গেল গরম নাহি এবার কমে
তাইতো আমি প্রভুকে ভাই ডাকছি প্রতি দমে দমে
আমার কাছে মনে হচ্ছে গরম পড়ছে গীরি সম
এবার বুঝি গরমে ভাই প্রাণটা চলে যাবে মম
আজ মনে হয় উঠেছে ভাই  গ্রীষ্মকালের যে সেরা রোদ
গরমে মোর হাতে পায়ে আজি নাহি যে কোনো বোধ
রোদে পুড়ে গরম সয়ে কৃষকেরা করছে কর্ম
কষ্ট সহ্য করে কর্ম করবে এটাই তাদের ধর্ম
এই গরমে শুধু  শীতল বাতাসেরই একটু অভাব
গ্রীষ্মকালে গরম দিবে এটাই সূর্য মামার স্বভাব

জৈষ্ঠের_সূর্য # লিখক : শেখ শাহরিয়ার হোসেন






জৈষ্ঠের_সূর্য 

#লিখাঃশেখ শাহরিয়ার হোসেন


জৈষ্ঠের সূর্য, তুমি কি একটু ঠান্ডা হতে পারোনা?
কিসের উপর এত রাগ তোমার, ধুত ছাই এবার একটু ছাড়না।
তখন তুমি বললে হেসে কিঞ্চিত, "রাগ কি আমার সত্যিই আছে?"
করো তোমরা নিজেরে প্রশ্ন, এ উত্তর যে তোমাদের কাছে।
তাই তো, ঠিক বলেছ হায়!
গাছ লাগানো ছাড়া যে বাঁচার কোনো উপায় নাই।
শেষ পর্যন্ত ভাগ্নে মানলে কি তবে?
বল দেখি তোমাদের বাড়তি গরম দিলাম কবে?
তোমরাই তো গাছ কেটে করছ নিজেদের ক্ষতি,
কখনো কি ভেবে দেখেছ গাছ না থাকলে কি হবে তোমাদের গতি?
পরিবেশের তাপমাত্রা সেদিন ধীরে ধীরে যাবে বেড়ে
আমার দগ্ধতাপ নিবে সেদিন তোমাদের প্রাণবায়ু কেড়ে।
তাই বলছি ভাগ্নে না দিয়ে আমায় দোষ
আশেপাশে তোমার লাগাও গাছ "বাচাও পরিবেশ"

Friday, May 24, 2019

যুগ (কবিতা) পঞ্চানন মল্লিক








যুগ

  পঞ্চানন মল্লিক

আজ কাল শিয়ালেরা খুব বেশিলোকালয়ে আসেনা,মুরগীরাই এক পা-দু'পা করেচলে যায় শিয়ালের ফ্লাটে।রাতের কুঠিরে চাঁদ ঘুমালেঅথবা রুপালি চাঁদের চোখে ধুলো দিয়ে,কান পেতে শোনে শিয়ালের ফিসফাস।ক্ষুধার্ত আবর্জনার ঘরেশিয়াল ও রেডি  রাখে মুরগীর প্রাতঃরশ,ওরা জানে-যুগ পরিবর্তনেএখন হরিণ ও চাটে বাঘের গাল।

-------------------------------
পঞ্চানন মল্লিক
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস
পাইকগাছা পৌরসভা শাখা, খুলনা।





শুধু এটুকুই:-

তার গালে একটা তিল ছিল,
নাকের ডগায় জমে যেত শুভ্র মুক্তাদানার মত ঘাম রাশি।
তার চোখ হাসতো;অনুসূয়া কুমারী,
অনিন্দ্য আহামরি-প্রিয়ংবদা।
একদিন ঘন কুয়াশার জলে তার মুখ ডুবে গেল!

আর কিচ্ছু ছিলোনা আমার কাছে;
শুধু এটুকুই!

আমি চাদরের ভিতর লুকিয়েছি চাঁদ কতবার!
আমার যতন ছেড়ে,সব টুকু আলো নিয়ে-
দুরাকাশে গেল;
আমার চোখ দুটো হয়ে গেছে বোবা,
চাঁদ ওখানে পেতেছে সংসার!

আর কিচ্ছু ছিলোনা আমার কাছে;
শুধু এটুকুই!

গাজী রায়হান হাফিজ                   হোসেনপুর-কালিগজ্ঞ
18.05.19.   ঢাকা                                     সাতক্ষীরা

      



**কর্তব্য**

                         



          'জীবন দর্পন''





••••••••••©••••••••©•••••••••©••••••©••••••••••
ছোট বেলায় দেখেছি আজও দেখছি মা বাবার 
অসম্ভব কর্তব্যপরায়ণতা,
নিজেরা না খেয়ে ,দাঁতে দাঁত চেপে ক্ষুদার জ্বালাকে অবদমিত করে,
সকল দুঃখ কষ্ট ভুলে মিষ্টি হাসিতে সন্তানদের মুখে তুলে দেয় ক্ষুদার অন্ন! 
মা বাবাদের আদর যত্নে ধীরে ধীরে বড় হয় তারা,শত অভাবের মাঝখানেও অভাব বুঝতে দেয়
নি তাদের.যখন যেটা প্রয়োজন অবলীলাক্রমে তা 
জুগিয়ে গেছে মা বাবা .এতটুকুও দুঃখের আঁচ 
লাগতে দেয় নি তাদের ,কোনোরূপ জীবন শৈলীর  
ছন্দ পতন না ঘটে তার জন্যে সদাসতর্ক বাবা-
মায়েরা.! 
সন্তানদের রক্ষনাবেক্ষন ও লেখাপড়ার মান উন্নয়ন 
ঘটানোই তাদের একমাত্র লক্ষ্য.
দিন যায়-মাস যায়- বছর যায়....ধীরে ধীরে বড়ো 
হয় তারা,নিজেদের ভালো মন্দ ভাবনাটা তারা 
বুঝতে শেখে,আস্তে আস্তে বাবা মায়েদের অনেক 
নিষেধ আর শুনতে চায় না,কারণ বাবা মা আজ 
ব্যাক ডেটেড-  আধুনিক সভ্যতা সম্পর্কে তাদের 
কোনো আইডিয়া নাই ,বস্তা পচা আলুর মতোই
তাদের দাম.
বাহারে আধুনিক যুগের উচ্চ শিক্ষিত সন্তানগণ ..
বাবা মা আজ বোঝা!
ধুম করে বাড়িতে চলে এল আধুনিক সাজসজ্জায় সুসজ্জিতা আধুনিক মর্ডান বৌমা.
শুরু হলো মা বাবাদের উপর অকথ্য অত্যাচার,বাড়ির জুতো সেলাই থেকে চন্ডিপাঠ সবরকম কাজের দায়িত্ব পড়ে যায় তাদের উপর!
শুরু হয় দুঃখ দুর্দশার পালা,নিরালায় নিভৃতে 
অশ্রুজল ফেলা ছাড়া আর তাদের কোনো উপায় 
থাকে না!!
দিনের পর দিন আরও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়.
বাবা-মার স্থান আর ওই ঘরে হয় না ,একটা 
কুকুরকে রাখার জন্য সুন্দর সাজানো ঘরের
ব্যবস্থা থাকে ,দামি দামি খাবার বাড়ির কুকুরটার
জন্য ব্যবস্থা থাকে কিন্তু বাবা মায়েদের জোটে না 
শুকনো মুড়ি বা একখানা পোড়া রুটি.
একি চরম পরিস্থিতির পঙ্কিল আবর্তে ঘুরপাক
খেতে লাগলো মা বাবাদের জীবন,এইকি ছিলো
কর্তাব্যপরায়ন বাবা মায়ের জীবন শৈলী!?
সত্যি আজ আর বলার কিছু নাই ,বৃদ্ধ বৃদ্ধার  
সকরুণ দুঃখের কাহিনী আজ প্রতিটা ঘরে ঘরে 
জীবাণুর মতো সংক্রমিত হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে
দেশ-বিদেশে.
সত্যি তো-এত কষ্ট করে ,নানা প্রতিকূল পরিস্থিতিকে কোনো ভাবেই, কোনপ্রকারে
ভুক্ষেপ না করে সন্তানদের সুখের স্বর্গ গড়িয়ে  
 শান্তির আশ্রয় বানিয়ে দেওয়ার প্রতিদান আজ 
তাদের কড়ায় গন্ডায় পেতে হবে এতে আশ্চর্যের
কিছু নাই. 
তবু সন্তানদের শুভ কামনায় তারা ঈশ্বরের কাছে
অহরহ প্রার্থনা করে যায়, প্রার্থনা করে সন্তানরা  
সুখ সমবৃদ্ধিতে আরো বড় হোক ,আরো উন্নতি  
তাদের যেন হয় .
কিন্তু তবুও বাবা-মায়েদের স্থান আজ বৃদ্ধাশ্রমেও
হয় না, হয় গোয়াল ঘর ,নয়তো চারিদিক খোলা 
হাটচালা কিংবা নির্জন ফুটপাতে.
উঃ-  কি নিদারুন সুন্দর জীবনের প্রতিক্রিয়াশীল পরিস্থিতির অবতারণা,কি দুর্বিসহ করুন আর্তনাদে
ভরপুর জীবন রহস্য, কি অসম্ভব মানসিক যন্ত্রনা-কাতর অসহনীয় জীবন যুদ্ধ.
আর নয় --  হে আধুনিক যুগের সন্তানগণ 
তোমাদের সুচেতনা হোক, বিবেকবান হোক 
তোমাদের অন্তর,জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে 
অনুভূত হোক পিতা-মাতাদের অসহায় সকরুণ 
অবস্থার অন্তর্নিহিত যন্ত্রনা-কাতর চরম পরিস্থিতির 
বাস্তব অবস্থা.কর্তাব্যাপরায়ন মানসিকতা নিয়ে বাবা-মায়েদের বুকে টেনে নিয়ে তাদের দুঃখ 
যন্ত্রনাভরা হৃদয়ে আনন্দের প্লাবন বহিয়ে দিয়ে 
তাদের বিশ্বাস আর ভরসাকে মর্যাদা দিয়ে 
প্রতিটা পরিবারে গড়ে তোলো 'সুখের স্বর্গ'!

~`~~~~~~~~~~~~~~~~```````~~~~~~~
21/05/2019

পাহারাদার প্রবীর রায়





পাহারাদার 

                     প্রবীর রায়




গহীন সমুদ্র বিশাল তার গহ্বর
গর্ভ জলহীন তবু ও প্রাণ সঙ্কটে
সুবিস্তৃত তীর বক্ষভাগ কঙ্কালসার
দিগ্বিদিকে ধ্রুবতারার কান্নাকাটি
প্রাণ ফেরাতে অমরতরু ও ব্যর্থ
নিম গাছের ডালে শকুনির বাসা
সুধা বিকোচ্ছে আজকের কীটাণু
মিষ্টতা ছেড়ে তেতোতে পিঁপড়ের ভীর
চুষে খাচ্ছে ঘিলু,রক্তে অ্যান্টিবডি--
একটি কান্নারত শিশু মাঝি,পাহারাদার
ধুলো আর রক্ত খাচ্ছে আপনমনে
বিষণ্ণ হয়ে খুঁজছে, কিন্তু কেউ নেই কোত্থাও।

Thursday, May 23, 2019

নৃপেন্দ্রনাথ চক্রবতী






অথচ তুমি-

-নৃপেন্দ্রনাথ চক্রবতী 



সময়ের ব্যবধানে চোখে একটা
আচ্ছণতা নেমে এসেছে
এখন সব কিছু ঝাপসা ঝাপসা বোধ করি
হয়তো ভিটামিন এ’ অভাবে
কিন্তু তুমি চলে গেছো কিসের অভাবে
আমার তো সবই ছিল
তোমাকে দেবার মতো
তোমাকে দিয়েছি সীমাহীন ভালবাসা
জীবনের সর্বত্র স্বপ্ন ভূমি
এই হৃদয়ের বিস্তার অরন্য
আনন্দ আর উৎসব
এমনকি আমার কবিতা
অথচ চলে গেছো ।
নৃপেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

গ্রাম + ডাক- –বালিয়া,চাকদাহ,নদিয়া
পিন- ৭৪১২২৩






অনু তাপনৃপেন্দ্রনাথ চক্রবতী


উঠোনে সেদ্ধ হচ্ছে ধান
আকাশে পুড়ছে নক্ষত্র
ভেতর ঘরে  বাতের ব্যথায়  ছট ফট করছে বাবা
 যদি জিভ দেখায় সাপ, উঠোনে বাহিরে
সেদ্ধ ধানের  ভাঁপে বহিরাগত জলের কষ্টে জম্মে শোক
 এখন কেউ যদি বলে সিদ্ধাচায হলেন
 এই সময়ে ধ্যানী ,আমি বলি পাপ 
উঠোনে সেদ্ধ  হচ্ছে ধান
 আর আমাদের গোলা  হা হয়ে আছে
 জম্মে মরনে উম্মুখ, কাউ কে না দেখে
বাবার ব্যথায় সারা রাত শূন্যতা বলি
মায়ের শিয়রে সদা  জ্বালিয়ে চিতা 
 এই আগুনে সেদ্ধ হয় ধান
  আর আমাদের কেবল বাড়ে  অনুতাপ।













পতিতা’দের জীবন কেমন হয়? জেনে নিন!• - নৃপেন্দ্রনাখ চক্রবতী




কারা সেই ক্রেতা, যাঁরা আসেন মুন্নিদের কাছে? মুন্নি জানাচ্ছে, বেশিরভাগই আসে কলেজছাত্র। তবে আইনজীবী, রেস্তোরাঁ মালিক, ট্যাক্সি চালক থেকে শুরু করে ছাপোষা মধ্যবিত্ত, কিছু বিদেশি পর্যন্ত আসেন তাদের কাছে।সমাজ তাঁদের চিহ্নিত করেছে ‘পতিতা’ নামে। তাঁদের বসতিস্থলও তাই চিহ্নিত ‘পতিতাপল্লি’ হিসেবে। কিন্তু তাতে তাঁদের মানবিক পরিচিতিটুকু ক্ষুণ্ণ হয় না। তাঁদের আশা-আকাঙ্ক্ষা আনন্দ-বেদনা— সবকিছুই আর পাঁচটা মানুষের মতোই।তারাও তো রক্তে মাংসে গড়া মানুষ। তারা আমাদের মতনই মানুষ, ভিনগ্রহের প্রাণী নয়।কেমন রয়েছেন নিষিদ্ধপল্লির সেই মেয়েগুলি? কেউ কি খোঁজ রাখে!!সেখানকারই এক পতিতা মুন্নি। মুন্নি আসলে বাংলাদেশের মেয়ে। বাংলাদেশের মুন্নি যখন ১৩ বছরের ,তখনই এক রঙিন জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে আর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক যুবক তাকে তার মা বাবার থেকে আলাদা করে বাংলাদেশ থেকে কলকাতার সোনাগাছিতে তাকে পাচার করে দেয়। তার পর থেকে সোনাগাছিতেই কেটে গিয়েছে তার পাঁচ বছর। বাবা-মার কথা এখন সে ভুলে গিয়েছে প্রায়। আজ তার মহিলা দালালটিকেই ‘মা’ বলে ডাকে সে। তিনি ভালবাসেন তাঁকে। প্রতি বছর দুর্গাপুজোয় কিনে দেন শাড়ি। এখন মু্ন্নির বয়স ১৮। কিন্তু দালাল ‘মা’-এর পরামর্শে ‘খদ্দের’দের কাছে সে নিজের বয়স বলে ২০ বছর।সোনাগাছিতে আসার পরে একেবারে প্রথম দিনগুলির অভিজ্ঞতা এখনও ভুলতে পারে না মু্ন্নি। সোনাগাছিতে এক মাসির ঘরে এনে তোলে মুন্নিকে। সেই মাসি প্রথম কয়েকদিনেই ভাল ভালে পোশাক-আশাক আর খাবার-দাবারের বিনিময়ে মন জয় করে নিয়েছিলেন মুন্নির। মুন্নি বোঝেওনি কী উদ্দেশ্যে তাকে আনা হয়েছে এখানে। কিন্তু সোনাগাছিতে আসার তৃতীয় দিনে মুন্নিকে আরও জনা কুড়ি মেয়ের সঙ্গে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হল রাস্তায়। প্রথমটায় মুন্নি ভেবেছিল নতুন কোনও বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি করা হচ্ছে বুঝি তাদের। কিন্তু একটু পরেই ভুল ভাঙে তার, সে বুঝতে পারে ‘খদ্দের’ ধরার জন্য দাঁড় করানো হয়েছে তাকে। বোঝা মাত্রই পালানোর চেষ্টা করেছিল সে। কিন্তু মাসির লোকজন তাকে ধরে ফেলে। একটা অন্ধকার ঘরে বেশ কয়েকদিন বন্দি করে রাখা হয় তাকে। একটা মোটা লাঠি দিয়ে মারধোরও করা হয়। মানসিক নির্যাতন করা হতো। তবে এখনও মনে আছে মুন্নির, কিছুতেই তার মুখ, বুক বা উরুতে কোনওরকম আঘাত করা হত না। ওইসব জায়গায় আঘাতের দাগ পড়লে শরীরের বাজারে ‘দাম’ পড়ে যাবে যে তার।মুন্নি জানাচ্ছে, বছর দুয়েক আগেও প্রতি ক্রেতার কাছ থেকে ঘন্টা প্রতি হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেত সে। তেমন তেমন মেয়েরা পেত ঘন্টা প্রতি ছয়-সাড়ে ছয় হাজার টাকা। কিন্তু এই দু’বছরে পরিস্থিতি অনেক বদলেছে। ব্যবসা আর এখন আগের মতো চলে না। তাই মাসির নির্দেশে সব মেয়েই এখন তাদের ক্রেতাদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে নেয়। রোজগারের ৫০ শতাংশ দিতে হয় মাসিকে।কারা সেই ক্রেতারা যাঁরা আসেন মুন্নিদের কাছে? মুন্নি জানাচ্ছে, কর্মচারী ,আইনজীবী, রেস্তোরাঁ মালিক, ট্যাক্সি চালক থেকে শুরু করে ছাপোষা মধ্যবিত্ত, এমনকী কিছু বিদেশি পর্যন্ত আসেন তাদের কাছে।সোনাগাছিতে তো এখন অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যৌনকর্মীদের অধিকার নিয়ে কাজ করছে বলে শোনা যায়। তাদের কথা জানে মুন্নি? মুন্নি বলল, জানে সে। এনজিও-গুলি নিয়মিত প্রচারসভা, অনুষ্ঠান ইত্যাদি আয়োজন করে সোনাগাছিতে। এইচআইভি, বা এইডস-এর মতো রোগ নিয়ে চালায় সচেতনতা অভিযান। তাদের কথা শুনে ক্রেতাদের কন্ডোম ব্যবহারে বাধ্য করার চেষ্টা করে মুন্নিরা। বেশি টাকা দিলে সে কন্ডোম ব্যবহারের বাধ্যবাধ্যতা থেকে মুক্তি মেলে মুন্নিদের ক্রেতাদের।ড্রাগ-আসক্তরা আসে মুন্নিদের কাছে? মুন্নি জানিয়েছে, আসে। শুধু তাই নয়, তারা জোর করে মুন্নিদেরও ড্রাগ সেবনে বাধ্য করে। একদিনের ঘটনা মনে পড়়ে মুন্নির। সেবার এক মাদকাসক্ত জোর করে মুন্নির গলায় ঢেলে দিয়েছিল মাদক। অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েকদিন বিছানায় শুয়ে থাকতে হয়েছিল মুন্নিকে।সোনাগাছি থেকে বেরিয়ে আসার স্বপ্ন দেখে না মুন্নি? প্রশ্ন শুনে বলে যে ওদের স্বপ্ন দেখা মানা। রোজ খরিদ্দারের আনা গোনা, পতিতা শব্দটা তার নামের সঙ্গে জুড়ে গেছে। স্বপ্ন দেখলেও পূরন হওয়ার আশা রাখি না ঠিক। তা ছাড়া এখান থেকে বেরিয়ে মুন্নি যাবেই বা কোথায়? এই নির্মম সত্যটা আঠারো বছর বয়সেই বুঝে গিয়েছে মুন্নি যে, সে যা-ই করুক না কেন, যত টাকাই রোজগার করুক না কেন, ‘পতিতা’বৃত্তির কলঙ্ক তার গা থেকে কোনওদিন ঘুচবে না। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কাছে সে চিরকাল ‘পণ্য’ হয়েই থাকবে। তাহলে এখন কি আর কোনও স্বপ্নই নেই মুন্নির চোখে? আছে। তার ঘরে প্রায়শই আসে এক ট্যাক্সি ড্রাইভার। মুন্নিকে বিয়ে করতে চায় সে। আপত্তি নেই মুন্নিরও। সেই পুরষকে নিয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখে মুন্নি। আর মনে মনে গড়ে তোলে সংকল্প— কোনও দিন যদি কন্যা সন্তানের মা হয় সে, তা হলে সেই মেয়েকে যেন কিছুতেই মুন্নির মতো আর একটা বিড়ম্বিত জীবন কাটাতে না হয়। আসলে মুন্নি তো পতিতাপল্লি নিবাসী অজস্র মেয়ের একজন প্রতিনিধিমাত্র।মুন্নির মতোই আশা ও আশঙ্কার দোলাচলে দিন গুজরান হয় আরও হাজার হাজার মুন্নির। ক’জন ভাবে তাদের কথা?
--নৃপেন্দ্রনাথ চক্রবতীনৃপেন্দ্রনাখ চক্রবতীগ্রাম+পোঃ-বালিয়া, থানা – চাকদাহ, জেলা – নদিয়া ,পিন- ৭৪১২২৩



https://banglasahittos.blogspot.com/2019/05/blog-post_45.html?m=1

ছোট গল্প:-সোনার হরিণ লেখক:- কাঞ্চন চক্রবর্তী(স্বাধীন)






ছোট গল্প:-সোনার হরিণ
লেখক:- কাঞ্চন চক্রবর্তী(স্বাধীন)








~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~










১ম পর্ব,
ছোট গ্রাম সুখছড়ী। চট্টগ্রাম শহর থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে এই গ্রাম। আর এই গ্রামেই জন্ম
হয় সবুজ এর। সবুজ স্কুল ও কলেজ জীবন কাটে গ্রামেই। ছোট কালে বাবা মারা যাওয়া সবুজ পরিবার আর্থিক ভাবে সচ্ছল ছিল না। সবুজের মা অন্যদের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাতেন। স্কুলে শিক্ষকরা সবুজকে বিনা খরচে পড়াতেন। ইস্কুলের সকল
শিক্ষক তাকে নিজের ছেলের মতো
দেখতেন। অবশ্যায় এর পেছনে একটা কারণ ছিল, আর সেই কারণটি হলো সবুজের ব্যবহার আর বুদ্ধীমত্তা। শুধু যে তার ব্যবহার ভালো তা নয় লেখা-পড়ায় ও সবুজ ছিলেন তুখোর। যেমন ভালো স্টুডেন্টস তেমন  নম্র ভদ্র ব্যবহার সাধারণত কোন ছেলে করতে পারে বলে সন্দেহ আছে। শুধু যে শিক্ষকরা ভালোবাসতো তা নয় গ্রামের সবাই তাকে
ভালোবাসতো। সকলের এই ভালোবাসা দেখে সবুজ আনমনে অনেক স্বপ্নের জাল বুনে। একদিন সে মানুষের মতো মানুষ হয়ে
গ্রামের নাম উজ্জ্বল করবে। এই ভাবেই স্বপ্নের জাল বুনতে বুনতে  দিন যায় রাত যায়। এক সময় HSC পাস করে সবুজ গোল্ডেন A+ পায় সবুজ। কিন্তু সবুজ এখন কি করবে সে ভেবে পাচ্ছেনা! বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য শহরে থেকে কোচিং এর বেতন, থাকা,খাওয়া ইত্যাদি কিছুর খরচ বহন করার  মতো আর্থক অবস্থা তার নেই। তবে কি তার সব স্বপ্ন মাঠে মারা যাবে?
২য় পর্ব,
এই সবুজ এই দিকে আয়। বজেন্দ্র জ্যাঠার ডাক শুনে সবুজ এগিয়ে যায়। বজেন্দ্র জ্যাঠা হলেন এই গ্রামের মুরব্বি। উনার ছেলে-মেয়ে, বউ সবাই শহরে থাকেন। একমাত্র উনি থাকেন গ্রামে। সবুজকে উনি খুব ভালোবাসেন কারণ সবুজের বাবা ছিলেন বজেন্দ্রবাবুর বাল্য বন্ধু আর তাছাড়া সবুজ ও ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত।
---- সবুজ ভর্তি ফরম পূরণ করছিস?
-- না জেঠামশাই পূরণ করতে পারিনি।
---কেন পূরণ করিস নাই কেন?
--- জী মানে জেঠামশাই......
--- ও বুঝতে পেরেছি আর জী মানে করতে হবেনা। আমি আছি তো, তুই আজকেই ফরম পূরণ করবি। পরেরটা আমি দেখব।
---- আজ্ঞে হে জেঠামশাই।
বজেন্দ্র বাবুর কথা শুনে সবুজের মনে
আশার সঞ্চার হলো। সে বাজারে গিয়ে অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরণ করে আসলো।সবুজ জানে বজেন্দ্র বাবু চাইলে সব ব্যবস্থা করতে পারেন।
৩য় পর্ব,
আজকে সবুজ শহরে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম
ইউনিভার্সিটিতে 'গ' ইউনিটে ভর্তি হয়েছে সবুজ। সবুজের থাকা খাওয়ার সব ব্যবস্থা বজেন্দ্র জেঠাই করে দিয়েছেন। বজেন্দ্র জেঠার ৫তালা বিল্ডিং চকবাজারে আর সেখানেই  থাকবে খাবে সবুজ। আর পড়া-লেখার খরচ ও কিছু কিছু দিবেন বজেন্দ্র বাদ বাকিটা যাতে সে সামলে নিতে পারে তার জন্য তাকে
কিছু টিউশান ও ধরিয়ে দিয়েছেন জেঠামশাই এর ছেলে পার্থ দাদা। এখন অনেক সুখের স্বপ্ন দেখেছে সবুজ তার স্বপ্ন গুলো পূরণ হতে চলেছে। ভার্সিটি শেষ করে সে
ভালো একটা চাকরী নেবে। এই ভেবেই দিন যায় মাস যায় বছর যায়।
একসময় মহিন ভর্সিটিতে ভালো রেজাল্ট করে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যে সেই সর্বাধিক নাম্বার পায়। রেজাল্ট এর পর সবুজ ভাবে এইবার তার স্বপ্ন পূরণ হতে চেলেছে।
৪র্থ পর্ব,
সবুজ এই পর্যন্ত ২০টার ও অধীক চাকরীর
ইন্টারভিউ দিয়েছে। কিন্তু এতো ভালো নাম্বার থাকার পরেও সে টিকতে পারেনি। চাকরী হবে কি করে, সবুজের তো সেই সব নেই, যা অন্যদের আছে। সবুজের আছে শুধু সার্টিফিকেট মামা- চাচা কিছুই নেই। সবুজ এখন হাঁড়ে হাঁড়ে টের
পাচ্ছে ভালো রেজাল্ট দিয়ে কিচ্ছু হয়না। যায় হয় তা শুধু টাকা আর রেফারেঞ্চ। সবুজ একবার ভাবলো বজেন্দ্র জেঠাকে বলবে
কিন্তু পরক্ষনে ভাবলো বজেন্দ্র বাবুকে
বলে লাভ নেই কারণ তিনি সবুজের জন্য এই পর্যন্ত অনেক কিছু করেছেন।
সবুজ এইসব ভাবতে ভাবতে একটি অফিসের সামনে এসে দাড়াল আজকে তার এই
অফিসে ইন্টারভিউ দেওয়ার কথা। সবুজ ২য় তালায় উঠে অন্য পরিক্ষার্থীদের সাথে বসে পরলো। এক এক করে সবাই ভাইবা বোর্ডে চলে গেছে এখন সবুজের ডাক
পরলো। সবুজ যথাবিহীত সম্মান জ্ঞীয়াপন করে বোর্ডে ডুকলেন। বোর্ড কর্মকর্তাদের দেখে সবুজ একটু ঘাবড়ে গেলেন এই কি এতো ফাহিদ! কিন্তু ফাহিদ তো SSC পাস করে কারিগরী শিক্ষা নিয়েছিল। সবুজ নিজেকে সমলে নিলেন। বোর্ড কর্মকর্তারা একে একে প্রশ্ন করলেন সবুজ সুন্দর ভাবে সবগুলো প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলেন। কিন্তু সব শেষে যে প্রশ্নটা করলো তার কোন উত্তর দিতে পারলো না সবুজ কি উত্তর দেবে ৩লাক্ষ টাকা ঘুষ দেওয়া বা রেফারেঞ্চ দেওয়া তো সবুজের পক্ষে সম্ভব নয়।
৫ম পর্ব,
আজকের চাকরীটাও হলো না সবুজের। সবুজ অফিস থেকে বের হতে যাবে এমন সময় ফাহিদ ডাক
দিলো
---এই সবুজ দাড়া।
---- জী বলেন স্যার।
---- এই সবুজ আমার সাথে ইয়ার্কি
মারছি? বেটা ফাজিল।
---কি করবো বলুন? আপনি তো এই অফিসের
একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা তায় নয় কি?
---হুম বুজতে পারছে ফাজলামী করতে ভালো দক্ষতা অর্জন করেছিস। যাক আসল কথায় আসি, দোস্ত দেখ ওখানে ৩ লাক্ষের
কথা বলেছে। তুই একলাক্ষ মেনেজ করতে পারিস কিনে দেখ আমি সব ঠিক করে দিব
-----টাকা ছাড়া কি  হয়না দোস্ত? তুই তো জানিস আমার অবস্থা।
----নারে দোস্ত। টাকা ছাড়া কিছুই
হবেনা। আমি ৫লাক্ষ দিয়ে ডুকেছি। আর দেখ আমি এখন বোর্ড মেম্বার।
--- আচ্ছা দোস্ত দেখি টাকা জোগাড়
করতে পারি কিনা। এই বলে সবুজ চলে এলেন। সবুজ জানে তার পক্ষে ১ লাক্ষ কি ৫০০০০ টাকা জোগাড় করাও সম্ভব নয়। এদিকে সে এই মাসে মাকে টাকা ও পাটাতে পারেনি।
৬ষ্ট পর্ব,
সবুজ বুঝতে পেরে গেছে ভালো চাকরী নামক সেই সোনার হরিণ সে স্বপ্নে যত সহজে ধরে ফেলতে পারত বাস্তবে সেটা অনেক দ্রুত গতিতে চলে। দোড় করে সেই সোনার হরিণ ধরা যায় না। তাকে ধরতে
হলে তীর ধনুর প্রয়োজন যেটা সবুজের কাছে নেই। সবুজ বুঝতে পারছে সার্টিফিকেট এর মূল্য শুধু তাদের আছে, যাদের কাছে অর্থ আছে। অর্থ ছাড়া সার্টিফিকেট মূল্যহীন।
৭ম পর্ব,
বালিশের পাসে মোবাইলটা বেজেই চলেছে। সবুজ মোবাইল নিয়ে দেখলো রবিন এর ফোন।
.....হেল্লো রবিন এই সকালে ফোন দিলি যে কিছু বলবি?
.....  হে দোস্ত, তুমি যত তারাতারি পারিস বাড়িতে চলে আয়। তোর মা এর খুব অসুখ। কালকে তোমার সাথে কথা বলার পর থেকে অসুস্থ হয়ে গেছে। আমি হাসপাতালে ভর্তি করেছি। তুই চলে আয়।
........... দোস্ত মাকে একটু দেখে রাখ। আমি এখনি গাড়িতে উঠছি।
রবিন এর কল কেটে সবুজ নতুনব্রীজ থেকে গাড়িতে উঠে পড়ল। গাড়ি চলেছে তার আপন গতিতে কিন্তু রবিন এর মন চলে গেছে বাড়িতে মায়ের কাছে। সবুজের বুক ফেটে কান্নাঁ আসছে। সে বুঝতে পারছে তার মায়ের শরীর খারাপ হয়েছে অনেক আগে কিন্তু সবুজকে বলেনি কারণ সবুজ যে টিউশানের টাকায় চলতে হিমসিম খাচ্ছে সেটা সবুজের মা খুব ভালো করে বুঝতে পারে।
৮ম পর্ব,
সবুজের মা মারা গেছে আজকে ১ মাস হতে চলেছে। সবুজ পাগল প্রায় হয়ে গেছে। সারাক্ষণ কাদঁছে  আর চিৎকার করে বলছে হে ঈশ্বর তুমি তোমার আমার কিছুই রাখলেনা। আমার ভাই নেই,বোন নেই বাবা নেই সহায় সম্পত্তি, চাকরী অর্থ কিছুই নেই কিন্তু আমি তো তোমার কাছে কখনো কোন অভিযোগ করিনি। তুমি আমার মাকে কেনো কেড়েঁ নিলে? আমি কি পাপ করেছিলাম?
সবুজ আজ কাদেঁ আর সবাইকে বলে লেখা-পড়া করিসনা, সর্টিফিকেট এর কোন মূল্য নেই। সবাইকে এই কথা  বলে আর কাদেঁ। সবুজের এই রকম অবস্থা দেখে পুরো গ্রাম কাদঁছে আজ।  সবুজের এই পাগল অবস্থা সবাইকে মর্মাহত করে দিচ্ছে। সকলের এখন একটি কামনা সবুজ আবার সাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক।
















লেখক পরিচিতি:-
লেখক কাঞ্চন চক্রবর্তী চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থানার সুখছড়ী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।১৯৯৬ সালে ১২ই জুন।

কবিতা



 এ লজ্জা কার ! ! 


        রাজু কর্মকার
 



দুর্ভাগ্যের কীট_মাঝে 
নাড়ী ছিঁড়েছে কুমারী মায়ের, ধাত্রী প্রকৃতি । 
সদ্য মায়ের শুকনো বুকে হাহাকার দুধের । 
উন্মুক্ত আকাশ তলে বেড়ে ওঠে 
অপরিনত লিকলিকে শরীর ! 
কুকুরের গাল হতে 
লালা মাখা উচ্ছিষ্ট কেড়ে উদরসাতের 
প্রতিযোগিতায় ক্লান্ত অবয়ব । 
পেটটা না থাকলে তবু 
স্বস্তিতে বাঁচতুম সভ্য মানুষের সমাজে । 
ন্যুব্জ উলংগ শরীরের কাছে 
ক্ষমা চাই বারবার .. ঢাকতে পারলাম না তোকে । 
দু হাঁটুর ফাঁকে গোঁজা মাথা আর বন্ধ চোখ 
চেষ্টা করে আমাকে বাঁচাতে লজ্জা হতে ! 
পথ চলতি মানুষেরা
 নোংরা দুর্গন্ধ বিবস্ত্র শরীর দেখে থুতু ফেলে । 
না পরোয়া আমি প্রহর গুনি মৃত্যুর __
এ লজ্জা কার ? ? 

হাবড়া , উ  24 প  , প :ব :রাজু কর্মকার । 







































 


দুর্ভাগ্যের কীট_মাঝে 
নাড়ী ছিঁড়েছে কুমারী মায়ের, ধাত্রী প্রকৃতি । 
সদ্য মায়ের শুকনো বুকে হাহাকার দুধের । 
উন্মুক্ত আকাশ তলে বেড়ে ওঠে 
অপরিনত লিকলিকে শরীর ! 
কুকুরের গাল হতে 
লালা মাখা উচ্ছিষ্ট কেড়ে উদরসাতের 
প্রতিযোগিতায় ক্লান্ত অবয়ব । 
পেটটা না থাকলে তবু 
স্বস্তিতে বাঁচতুম সভ্য মানুষের সমাজে । 
ন্যুব্জ উলংগ শরীরের কাছে 
ক্ষমা চাই বারবার .. ঢাকতে পারলাম না তোকে । 
দু হাঁটুর ফাঁকে গোঁজা মাথা আর বন্ধ চোখ 
চেষ্টা করে আমাকে বাঁচাতে লজ্জা হতে ! 
পথ চলতি মানুষেরা
 নোংরা দুর্গন্ধ বিবস্ত্র শরীর দেখে থুতু ফেলে । 
না পরোয়া আমি প্রহর গুনি মৃত্যুর __
এ লজ্জা কার ? ? 

হাবড়া , উ  24 প  , প :ব :রাজু কর্মকার । 

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন • চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু


বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

   চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু


সারা বিশ্ব তোলপাড় করে
অাসলে স্বাধীন দেশে,
বুক ফুলিয়ে বাঙালির মাঝে
যেন বীরের বেশে।

শকুনের দল মহান নেতাকে
রাখতে পারেনি ধরে,
ঐ কারাগার লাথি মেরে ভেঙে
অাসলে নিজের ঘরে।

তুমি অাসছো খবর ছড়ায়
বাতাসের কানে কানে,
বাঙালি জাতি উল্লসিত
যেন নাড়ির টানে।

বিমান বন্দর এলাকা জুড়ে
মানুষের নামে ঢল,
জয়বাংলা ধ্বনিতে ফাটে
বেড়ে যায় মনোবল।

নামলে তুমি খুব ধীরে ধীরে
হাত দু'টো নেড়ে নেড়ে,
বাঙালির নেতা তুমি যে মহান
বাঙালিরা এনেছে কেড়ে।

কাঁন্নায় তুমি পড়লে ভেঙে
সেদিন এসব দেখে,
উত্তাল স্রোত শ্লোগানে ফাটে
হাতে হাত উচু রেখে।

করলো বরণ কোটি জনতা
ফিরে পেলো এই দেশ,
মনের মাঝে অাজও জাগ্রত
হবে না কখনো  শেষ।
♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥
বড় বাজার, চুয়াডাঙ্গা, বাংলাদেশ

ভালোবাসি __________ রেজাউল করিম রোমেল








ভালোবাসি 

__________
রেজাউল করিম রোমেল 
_____________________
প্রেমের জ্বরে কেঁপে কেঁপে 
স্বপ্নের বুকে ভেসে ভেসে,

ভালোবাসো?
ভালোবাসি। 

অন্ধকার ছুঁড়ে ফেলে
কষ্টের রঙ মেখে,
হেসে হেসে...
কেঁদে কেঁদে...

ভালোবাসো?
ভালোবাসি।

মা বিষাদ রান্না করে ---আবদুস সালাম


মা বিষাদ রান্না করে   ---আবদুস সালাম


উচ্ছছল জীবন আঁতকে ওঠে
ময়লা ধরা চিমটেকাটা আঁচলে নেমে আসে রাত
আমরা ঘুমিয়ে পড়ি

মিথ্যে চেতনার শ্লোগানে মুখরিত হয় পৃথিবীর বারান্দা
মায়ের আঁঁচল  ছিঁড়ে পতাকা বানায়

বৃদ্ধা শ্রমে ছেলে ফেরার আশায় দিন পেরিয়ে সন্ধ্যা হয়
 সম্মোহনী বিষাদ রান্না করেন  মা।  
@@@@@




অন্ধকারের   বর্ণমালা  --আবদুস সালাম


যেদিকে তাকায় অন্ধকার ডানা মেলে উড়ছে
পোশাক খুলে পড়ছে রাতের
দিব্যি অনাবিল সময় মাতছে অন্ধকারের রঙে

খেলার অভ্যাস মেনে খেলছি
ধেয়ে আসছে পরকাল
পরকালের ভাবনা নিঙড়ে ইহকাল মরনাপন্ন

ঘরে ঘরে পালিত হয় জন্মদিন
নিত্য জন্ম নিচ্ছে বেহায়া বাস্তব
বেহায়ার খোলস মেখে অন্ধকার শুয়ে আছে
বিবর্ণ বিছানায়

ফানুস উড়ছে মরা বিবেকের বনে
ডানা ভেঙে পড়ে আছে প্রজাপতি
সভ্যতার মান ভাঙাতে ছড়িয়ে দিলাম 
অন্ধকারের ইস্তাহার
অন্ধকারের ছায়ায় মেলে ধরলাম বিবর্ণ বর্ণমালা 
---@@---
উত্তর এর আশায় রইলাম
21/05/19




আবদুস সালাম
প্রয়াস ,শ্রীকান্তবাটী মাদারল‍্যান্ড
ডাক রঘুনাথগঞ্জ মুর্শিদাবাদ (পশ্চিম বঙ্গ ,ভারত)742225
973433






জবাব দাও ( কবিতা ) প্রবীর রায়




জবাব দাও


      প্রবীর রায়

হে সমাজের সভ্য ব্যক্তি তোমরা জবাব দাও?
এক রক্ত সকল শিরায় কেনহে ভুলে যাও! 
একটাই প্রাণ-মাতৃ নাড়ী-জন্মদাতাও এক
এক সে ঈশ্বর তারি সৃষ্টি সুখ-দুঃখের ভাক
তবে-কেনহে বিভেদ,খুনোখুনি কেনই অহংকার
জবাব দাও জনগণকে যত আছো সব সরকার
মুখ খুললেই প্রশ্ন প্রচুর উত্তর বিহীন সবটাই
বোকা জনগণ নৃত্যে নাচে খোঁড়েন মরণ খাঁই
নেতার ভাষণ রক্ত মিছিল ধুলোয় জমে কবিতা
দৈত্যি মাতে যীশুই গাঁথে লাশ হয় কোরান-গীতা
নিত্য চলে জনসভা, মিটিং ব্যস্ত তারা
ফায়দা লুটে রাজ করে, পতিত সর্বহারা
প্রশ্ন শুনেই মন্ত্রী ফাঁসে গরিব পেটে জ্বালা
ঢোক গিলতেই ঘর্ম ঝরে নেতা সাজে কালা
জীবনানন্দ ঠিক বলেছেন অন্ধই দেখেন বেশি
নিঠুর-লোভীর পরামর্শহীন পৃথিবী প্রায় শেশি
কৃষক কেন দিচ্ছে জীবন মরছে কেন বেকার যুব
কি হবে পরিবার গুলোর?জবাব দাও ধ্বংস ধ্রুব?

গমন কবিতা জয়ন্ত দেওঘরিয়া

গমন


                   জয়ন্ত দেওঘরিয়া


রোদেলা গমন উদ্ভিদেরই মানায়
     মৃত্যু উপেক্ষা করে, পোড়া হাত, অর্ধ পা-এ ভর দিয়ে থেকে থেকে অনন্তের দিকে।
নীলাকাশে প্রত্যন্ত ইচ্ছা অনুভূতিগুলো ছিটিয়ে দিয়ে যৌবনকে পিছনে ফেলে এক মন্থর গমন।
একবার নিরেট শরীর তৈরি হলে সূর্য ছুঁতে আর কত দেরি?
পার্শ্ব আয়নায় শরীর দেখে এগিয়ে যায় সে অগ্নিপিন্ডের উদ্দেশ্যে।
                 _________________
জয়ন্ত দেওঘরিয়া
আনারা পুরুলিয়া পশ্চিমবঙ্গ

Mending Wall BY ROBERT FROST in bangla. ম্যান্ডিং ওয়াল রবার্ট ফ্রস্ট । Mending Wall বাংলা অনুবাদ। Mending Wall bangla onubad


ম্যান্ডিং ওয়াল

রবার্ট ফ্রস্ট 



এমন কিছু আছে যা দেয়াল পছন্দ করে না,
এটি এর নিচে হিমশীতল-স্থল-স্ফীতিকে প্রেরণ করে,
এবং রোদে উপরের পাথর ছড়িয়ে দেয়;
এবং ফাঁক তৈরি করে এমনকি দু'জন সমুদ্রের নিকটে যেতে পারে।
শিকারিদের কাজ অন্য জিনিস:
আমি তাদের পিছনে এসে মেরামত করেছি
যেখানে তারা পাথরের উপরে একটিও পাথর রাখেনি,
তবে তারা খরগোশকে লুকিয়ে রাখত,
ইয়েলপিং কুকুরকে খুশি করার জন্য। ফাঁকগুলি আমি বলতে চাইছি,
কেউ এগুলি তাদের তৈরি বা শুনে দেখে নি,
তবে বসন্তের সংস্কারের সময় আমরা তাদের সেখানে পাই।
আমি আমার প্রতিবেশীকে পাহাড়ের ওপারে জানাই;
এবং একদিন আমরা লাইনটি হাঁটার জন্য দেখা করি
এবং আমাদের মাঝে আবার প্রাচীর সেট করুন।
আমরা যেতে যেতে আমাদের মাঝে প্রাচীর রাখি।
প্রতিটি যে পাথর পড়েছে তাদের কাছে।
এবং কিছু রুটি এবং কিছু তাই প্রায় বল
তাদের ভারসাম্য বজায় রাখতে আমাদের একটি স্পেল ব্যবহার করতে হবে:
‘আমাদের পেছন ফিরে না আসা পর্যন্ত আপনি যেখানেই থাকুন!’
আমরা আমাদের আঙ্গুলগুলি তাদের পরিচালনা করার সাথে মোটামুটিভাবে পরিধান করি।
ওহ, অন্য ধরণের বাইরের গেম,
একদিকে। এটা আরও কিছু আসে:
সেখানে যেখানে আমাদের প্রাচীর প্রয়োজন নেই:
তিনি সব পাইন এবং আমি আপেল বাগান।
আমার আপেল গাছগুলি কখনই পার হবে না
এবং তার পাইনের নীচে শঙ্কু খাও, আমি তাকে বলি।
তিনি কেবল বলেছেন, ‘ভালো বেড়া ভাল প্রতিবেশী করে তোলে।’
বসন্ত আমার মধ্যে দুষ্টামি, এবং আমি অবাক হই
আমি যদি তার মাথায় ধারণা রাখতে পারি:
‘কেন তারা ভালো প্রতিবেশী করে? তাই না
গরু আছে কোথায়? তবে এখানে কোনও গরু নেই।
আমি একটি প্রাচীর নির্মাণ করার আগে আমি জানতে চাই
আমি যা প্রাচীর করছিলাম বা দেয়াল করছিলাম,
এবং যার কাছে আমি অপরাধ দিতে চাই।
এমন কিছু আছে যা দেয়াল পছন্দ করে না,
এটি এটিকে চায় ’'আমি তাকে' এলভেস 'বলতে পারি,
তবে এটি সঠিকভাবে নয়, বরং আমি চাই
তিনি নিজের জন্যই বলেছিলেন। আমি ওকে সেখানে দেখছি
শীর্ষে দৃ firm়ভাবে আঁকড়ে ধরে একটি পাথর এনে দেওয়া
প্রতিটি হাতে, পুরানো পাথরের মতো বর্বর সজ্জিত।
আমার কাছে যেমন মনে হয় সে অন্ধকারে চলে আসে,
কেবল কাঠের নয় এবং গাছের ছায়া নয়।
সে তার বাবার পিছনে পিছনে যাবে না,
এবং এটি এত ভাল করে চিন্তা করা পছন্দ করে
তিনি আবার বলেছেন, ‘ভালো বেড়া ভাল প্রতিবেশী করে তোলে।’


Mending Wall
BY ROBERT FROST


Something there is that doesn't love a wall,
That sends the frozen-ground-swell under it,
And spills the upper boulders in the sun;
And makes gaps even two can pass abreast.
The work of hunters is another thing:
I have come after them and made repair
Where they have left not one stone on a stone,
But they would have the rabbit out of hiding,
To please the yelping dogs. The gaps I mean,
No one has seen them made or heard them made,
But at spring mending-time we find them there.
I let my neighbor know beyond the hill;
And on a day we meet to walk the line
And set the wall between us once again.
We keep the wall between us as we go.
To each the boulders that have fallen to each.
And some are loaves and some so nearly balls
We have to use a spell to make them balance:
‘Stay where you are until our backs are turned!’
We wear our fingers rough with handling them.
Oh, just another kind of out-door game,
One on a side. It comes to little more:
There where it is we do not need the wall:
He is all pine and I am apple orchard.
My apple trees will never get across
And eat the cones under his pines, I tell him.
He only says, ‘Good fences make good neighbors.’
Spring is the mischief in me, and I wonder
If I could put a notion in his head:
‘Why do they make good neighbors? Isn't it
Where there are cows? But here there are no cows.
Before I built a wall I'd ask to know
What I was walling in or walling out,
And to whom I was like to give offense.
Something there is that doesn't love a wall,
That wants it down.’ I could say ‘Elves’ to him,
But it's not elves exactly, and I'd rather
He said it for himself. I see him there
Bringing a stone grasped firmly by the top
In each hand, like an old-stone savage armed.
He moves in darkness as it seems to me,
Not of woods only and the shade of trees.
He will not go behind his father's saying,
And he likes having thought of it so well
He says again, ‘Good fences make good neighbors.’


🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄




বিষয় :  পৌষ পার্বণ
বিভাগ : গল্প
গল্পের নাম : ক্ষীরপুলি
লেখক : কবিরুল হোসেন মল্লিক  (রঞ্জিত মল্লিক)
  তারিখ :    17/01/19


  কলেজের নবীন বরণের দিন থেকেই বিদিশা আর দিগন্তের মধ্যে রচিত হয়েছিল এক বৈরীর প্রাচীর। সেই থেকে দুজনের মুখ দেখা দেখি বন্ধ । হয়ত খুব প্রয়োজন হলে বছরে অল্প বিস্তর হাই হ্যালো । শহরের নামী শিল্পপতি বাবা আর অধ্যাপিকা মায়ের একমাত্র কন্যা দিশার অহংকারও ছিল গগনচুম্বী। দামী গাড়ি , নিপুন তুলির টানে সাজানো ফ্ল্যাট,   বিত্ত বৈভবে নিমজ্জিত দিশা সেরকম কাউকে বিশেষ পাত্তা দিত না।

      কলেজ এর ইতি টানার পর আমাদের সকলের আবার দেখা এক নাটকের দলে -  "ছন্নছাড়া"। ছন্নছাড়া দলকে টিকিয়ে রেখেছেন বিদিশার বাবা।  সিংহভাগ অর্থ সাহায্য আসে বিদিশার বাবার ঘর থেকে।নাটকের দলের মূল কাণ্ডারী বিদেশদা হলেও চালিকাশক্তির মূল password কিন্তু দিশার হাতে।দলটি বছরে বেশ অনেক কটাই শো করে। বেশ কিছু মূল্যবান পুরষ্কার ও জুটেছে। এবারের শো বোলপুর , শান্তিনিকেতনে - রাঙা মাটির দেশে।
      
  পৌষের মিঠে রোদ বিরাট কোহলির মতন বেশ ভালই ব্যাটিং দাপট দেখিয়ে আর দু এক দিন পরে চলে যাবে। লাজুক রোদের ঘোমটা পড়ে পৌষ মেলা ক দিন আগেই শেষ তুলির ছোপ মেরে চলে গেছে। বিদেশদা সকাল থেকেই ব্যাস্ত তার টিম কে নিয়ে। শেষ সময়ে তুলির টান দিচ্ছেন। সকলেই যাবার জন্য প্রস্তত।দিগন্তের দেখা নেই।বিদিশার চোখ জ্বলজে রাগে।
    " দেশ দা দিগন্তকে কি নেওয়া খুবই জরুরী ", কথা গুলো বলেই দিশা রাগে গজ গজ করতে করতে  গাড়িতে উঠল।
       "না রে তা হয় না। ছন্নছাড়া একটা পরিবারের মতন, এখানে কাউকে একা ফেলে......"
    বিদেশদার কথা শেষ না হতেই দিগন্ত স্কুলে হোম টাস্ক করে না আসা ছেলের মত মাথা নিচু করে গাড়িতে উঠল।
    আমাদের গাড়ি যখন কলকাতা ছাড়ল, তখন হাড় কাঁপানো শীত ভালই T 20 খেলছে।গোটা গাড়ি গানের আবেগে ভাসছে। ইন্তাজ গিটার টা একবার ' টং ' করতেই আরো বেশী চাঙ্গা হলাম। দিশা গুনগুন করে গাইছে। দিশ (দিশা/বিদিশা) কে আজকে দারুন লাগছে। নীল শালোয়ার, বহুদিনের যত্নে লালিত সোনালী চুলের ঝালর, নোখে বাহারী নেল পালিশের এর বসন্ত, ফাটা ঠোঁটের আঁকাবাঁকা জ্যামিতি।দিগন্ত গুম মেরে আছে। দিশ গান করলে ও যেন কোথায় হারিয়ে যায়।
    আমরা যখন শান্তিনিকেতনের মাটি টাচ করলাম তখন সবুজের মখমলে শিশিরের চন্দন, নিকানো উঠোনে সোনারোদের দস্যিপনা। চারিদিকে পিঠেপুলির গন্ধ। রাত পোহালেই পৌষ পার্বণ। গ্রামের মেয়ে ,  বৌ রা খুব সুন্দরভাবে ছন্দে দুলে দুলে নেমে পড়েছে চাল গুড়োঁ করার কাজে। আকাশে   বাতাসে শিল নোড়া ঠোকাঠুকির দুরন্ত শব্দ এক আলাদা আবেগে মায়াবী  পরিবেশ তৈরী করেছে। আলাস্কার বরফের চাদরে মোড়া লেকের মত খেজুরের গুড় জমে রয়েছে পাত্রে পাত্রে। সব বাড়িতেই পাটালী গুড়ের  কম বেশী ছোট বড় চাঁই। ছেলে বুড়ো খোকা সবাই মেতে উঠেছে আনন্দে।  
  নেমে গিয়েই নিজেদের দায়িত্বটা বুঝে নিলাম।বিদেশদার কড়া বার্তা ," এবারের শো কিন্তু বিশাল হাই প্রোফাইল"। চারিদিকে যুদ্ধকালীন মেজাজ। লাল মাটির ধুলোই ভরে উঠল শাড়ি আর পাঞ্জাবীর রঙ। এবার দিশারও solo performance রয়েছে। ও খুবই টেন্সড।

     সব কিছুই ঠিক ছিল , বিনা মেঘের বজ্রপাতের মতন সংবাদটা যখন পেলাম তখন শো শুরু হতে আর কুড়ি মিনিট বাকি। আমাদের মেল  lead singer আসতে পারবে না, ওর ছেলে হসপিটালে ভর্তি।আসিফই শেষে একটা উপায় বাতলে দিল। কিন্ত ভয় ছিল শুধু দিশ কে নিয়ে। দেশদাই বলল দিশ কে জানানো হবে পরে। আসিফের টোটকাটা যখন ঠিক সময়ে কাজে লাগল তখন ঘড়িতে পুরো সন্ধ্যা সাতটা।  গীতাঞ্জলী অডিটোরিয়াম ভিড়ে থিক থিক করছে। বিদিশা স্টেজের দিকে পা মেলল। ওর বেশ কিছু নাচ আছে রবীন্দ্র সঙ্গীতের তালে , শেষে নৃত্য নাট্য।

    পর্দা শিথিল হতেই একটি ছেলে দেখলাম গান করার জন্য খুব  কাশতে কাশতে স্টেজের পিছনের বাঁ দিকে চলে গেল। দিশের হাতে কডলেশ।count down শুরু
    .........three two one
    গোটা হল মোহিত হয়ে উঠল এক সুরের জাদুতে। সঙ্গে বিদিশার অসাধারণ নৃত্য।
   " পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে আয়রে চলে আয় আয় আয়
      ডালা যে তোর ভরেছে...........
             হায় হায় "।
 কবিগুরুর এই অমর শব্দ জাদুর মায়া অডিটোরিয়াম ছাড়িয়ে বহু দূর পাড়ি দিল। পৌষ পার্বণের আবেগ কে করল আরো বেশী মোহময়। কাঠের উনুনে চড়ানো খাঁটি দুধ মিশ্রিত চালের হাঁড়িতে পাটালী গুড়ের ছোটো ছোটো টিলা গানের তালে তালে নৃত্য নাট্য শুরু করেছে।  
    রবি ঠাকুর ঠিকই বলেছেন, 'ডালা ভরেছে'। শো তে অনেকের ডালা ভরবে , দিশা, বিদেশদা , দিশার অর্থ পিচাশ বাবা। হলের উপচে পড়া ভিড়, টিকিট বিক্রি সব কিছুই মুনাফার পারদ কে উর্ধগামী করবে।  শুধু একজনের নয়। দিগন্ত। আমি দিগন্তের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিভার বিচ্ছুরণ দেখছি। কি সুন্দর গাইছে। ও যে ভাল গান গায় সেটা আমরা তিন জন জানতাম।  শস্তা ধার করা পাঞ্জাবীটা ঘামে ভিজে গেছে। জমা ঘাম গুলো হলুদ সুতোর পাঞ্জাবীতে  একটা একটা  করে  ম্যাপ একে চলেছে -  কোনোটা না খেতে পাওয়া বুরুুণ্ডি, কোনোটা ইয়েমেনের অপুষ্টি, কোনোটা ভিজে জলের দুর্ভিক্ষ, কোনোটা আবার আরব বেদুইনদের খোলা আকাশের নীচে নির্মম লড়াই। 
     আমি দেখছি আর অবাক হয়। চাপ দাড়ির গালের নিকানো আঙিনার নীচে লুকানো ক্লান্ত ঠোঁটের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসছে ভিসুভিয়াসের লাভা। লাল পাটালীও গ্রামের মেয়েদের নিপুণ জাদুতে দুধের সাথে মিশে ছোট ছোট লাভা স্রোত তৈরী করছে। দিগন্তর জমাট বাঁধা দুঃখগুলো এই পৌষ পার্বণে ঝরাপাতার মতন খসে খসে পড়ছে। দিদির বিয়ে ভাঙ্গা, বোনের SSC প্যানেল থেকে নাম বাতিল, দাদার বাইক এক্সিডেন্টে প্রচুর টাকার দেনা, বাবার বন্ধ জুটমিল , মায়ের বাতের ব্যথার যণ্ত্রণার ফিক্সড ডিপোজিট। অবলম্বণ বলতে কিছু টিউশন, আর বাড়ি বাড়ি পেপার দেওয়া।
    গোটা হল করতালিতে ফেটে পড়ল। বিদিশাও ভীষণ ভাল আজ পারফর্ম করেছে। ওর wh app এর সবুজ গালিচায় ফুল ফুটতে শুরু করেছে sms এর। বিদেশদা একটা সিগারেট ধরাল। সাদা রিং এর ধোঁয়া গুলো গ্রাম মাঠ ছাড়িয়ে বহু দূরে যেন দিগন্তের ঝুরঝুরে টিনের চালের বাড়িতে কড়া নাড়তে গেল। একটু দম নিয়ে দিগন্ত আবার শুরু করল - 
    " গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙ্গা মাটির... 
     ...............ভুলাই রে
    সে যে .........  করে
     .............." ।
    বিদেশদা দরাজ কণ্ঠে ঘোষণা করল , পরবর্তী অনুষ্ঠান ' চণ্ডালিকা '। আমরা সবাই ভীষণ একসাইটেড। খুব টাফ নৃত্য নাট্য। বনশ্রী বলল, " বিদেশ দা ও পারবে তো?"
    অল্প একটু ব্রেক নিয়ে শুরু হল বহু কাঙ্খিত dance drama।বিদিশা জানতেও পারল না আসল কারিগর কে।ভিসুভিয়াস আবার জেগে উঠল স্বমহিমায়। এবার লাভা স্রোত আরো দামাল। পৌষের হাড় কাঁপানো শীতে ছন্নছাড়ার সমস্ত ইউনিট দরদর করে ঘামছি। গোটা অডিটোরিয়াম একেবারে pindrop silence। পুরুলিয়ার মাওবাদী অধ্যুষিত বান্দোয়ান ব্লকের অখ্যাত  এক গ্রাম থেকে নিংড়ে উঠে আসা এক তরুণ তুর্কী সমস্ত দর্শক কে বিমোহিত করেছে।
    
    "............................
    ...........................
     ছুঁয়োনা ছুঁয়োনা  .......ও যে চণ্ডালিকা. "
    .........
    .........
    ." জল দাও , জল দাও ......"
    
    আমাদের অনুষ্ঠান শেষ হতেই আমরা গেস্ট হাউসে ফিরে গেলাম। দিশার ইচ্ছা সিঙ্গারের সাথে মিট করবে। আমিই বললাম উনি এখন বকুলতলায়। দিগন্ত দাড়িয়ে সুখটান দিচ্ছিল। দীর্ঘ 11 বছর পরে একটা শীতল অথচ দাম্ভিক হাত দিগন্তের হালকা  ঘামে সিক্ত শরীর স্পর্শ করল। বেশ কিছুক্ষণের নীরবতা। যেন টেলি ফিল্ম দেখছি। দিগন্ত পকেট থেকে একটা ঠুনকো টিফিন বক্স বের করে দিশার হাতে দিল,
  " মা পাঠিয়েছে , তোমার জন্য"।
   " কাকিমা ভাল আছে? গোপা দি? শীতল দা, কাকু? "
" হ্যা "
   দিগন্তের চোখে পৌষের চুয়ে পড়া খেজুর রস। দিশার ও চোখে বিন্দু বিন্দু বাষ্প।

"তোমার বোন তুলির স্কুলের চাকরিটা হল? "
" না।" 
 " আমি চলি "
" দিগন্ত! দাড়ও!" দিগন্ত!
 দিগন্ত চলে যেতেই ওর পকেট থেকে খসে পড়া একটা কাগজ সমস্ত সমীকরণ বদলে দিল। নেল পালিশ শোভিত নরম ম্যানিকিওরড্ আঙুল ডুবল টিফিন বক্সের ক্ষীর পুলিতে।  কি অপৃর্ব স্বাদ! পৌষের অহংকার যেন উপচে পড়ছে বাতের ব্যথায় কাবু জীর্ণ আঙুলের মায়াবী জাদুতে। রোগাটে চাঁদের আলোয় ক্ষীরপুলির স্বাদ নিতে নিতে দিশা যখন দিগন্তের পকেট থেকে পড়ে যাওয়া প্রেসক্রিপশনটায় চোখ বোলাল,  কাগজের ভিতর থেকে বেরলো একটা ছেলের জীবন্ত অথচ সমাধিস্থ কংকাল।বেশ বড় করেই লেখা,  
'Chronic Lukaemia '।
  দিগন্ত! 
 সকল মান অভিমানের ও পৌষ পার্বণ  চিরদিনের মত বিদায় নিল।

  আমাদের নাটকের দলের এবারের সমস্ত রকম performance ছিল thunderous। বেশ কিছু নামী খবরের কাগজে স্থান পেল আমাদের নজরকারা অনুষ্ঠান।  তবে একটা নতুন script তৈরী হল। যা আমাদের কিছু মানুষের কল্পনার বাইরে। পৌষ পার্বণের ক্ষীরপুলি নিয়ে আসল দুটো সজীব  হৃদয়ে প্রেমের দাবানল। সমস্ত অভিমান বিসর্জন দিয়ে দিশা দিগন্তকে সারা জীবনের মতন আঁকড়ে ধরল। শিল্পপতি বাবার উন্নাসিকতা আদুরে মেয়ে দিশার  ভালবাসা কে স্বীকৃতি দিলেও , চুয়ে পড়া খেজুর রস আমাদের সকলের চোখে পাকাপাকি বাসা বাঁধল। চোখের কোণে কান্নার জল ক্ষীর হয়ে জমাট বাঁধল।

 দিগন্তের এই ভয়ানক রোগের কথা আমি একমাত্র জানতাম। শেষবারের মত ভিসুভিয়াসের লাভা আমরা দেখলাম Apollo Hospital এর তিন তলার ছ নম্বর ঘরে। কোনো sound system নেই, মিউজিক  নেই, তবে উপচে পড়া কান্নায় ডোবা প্রচুর নীরব শ্রোতা আছে। শুধু একজন আনমনে চোখের জলের বেহালা বাজিয়ে চলেছেন -  চিরকালের অভিমানী, অহংকারী , বিদূষী, নৃত্য পটিয়সী গল্ফ গ্রীনের - বিদিশা মিত্র। আসিফের কাঁধে ভর করে আমি যখন দিগন্তকে শেষবার দেখি ওর মুখ দিয়ে সত্যি করে লাভা বেরোচ্ছে - লাল লাল লাভা। মনে পড়ল সেই ভুবন ভোলানো গান 
" গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙ্গা........
............... "
ওর পাজামা রক্তের লাল মাটির পথ তৈরী করল।

  দিগন্ত চির জীবনের মত  চলে যাবার পর আমাদের নাটকের দল শুকিয়ে গেল। আমরা রিয়েলি ছন্নছাড়া হয়ে গেলাম। দিগন্তের অপ্রকাশিত বহু কবিতা আমি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় পাঠানোর জন্য তোড়জোড় শুরু করলাম। দিশাও এই ব্যাপারে অনেক হেল্প করল। কিন্তু কোন ভাল উত্তর পাওয়া গেল না।
  এরপর বহু বছর কেটে গেল। বহুদিন কোনো যোগাযোগ নেই কারুর সাথে। আমাদের শরীরে , চুলে বার্ধক্য থাবা বসাল।
  বছর ঘুরে পৌষ মাস আবার নতুন করে উঁকি মারল। আমার মেয়ে বায়না করল পৌষ মেলায় যাবে।অগত্যা দুই বুড়ো বুড়ি মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। 32 বছর পরে সেই লাল মাটির মেঠো স্বাদ। চোখে জলের বিন্দু বিন্দু স্পন্দন। পুরানো স্মৃতির ঝাঁপি আবার টাটকা হতে শুরু করল। স্টল গুলো ঘুরে ঘুরে দেখছি। একটা স্টলের সামনে উপচে  পড়া ভিড় দেখে এগিয়ে গেলাম।স্টলের নাম " ক্ষীরপুলি "। বেশ কিছু কবিতার বই আর ম্যাগাজীন এ ভর্তি। তার মধ্যে একটা পত্রিকা - ' ক্ষীরপুলি ' উজ্জ্বলডাবে প্রতীয়মান। সেখানে জ্বল জ্বল করছে সম্পাদকের নাম - বিদিশা মিত্র , গল্ফ গ্রীন , কলকাতা। স্টলে বসে দিগন্তের একটার পর একটা কবিতা পড়ছি যার কিছু চেনা কিছু অজানা; আর ভিতরে ভিতরে ভিসুভিয়াসের উত্তাপ উপলব্ধি করছি। 

  বিদিশাকে পাওয়া গেল অনেক পরে।মাথার চুলে সাদা রেখার ছোপ ছোপ সরলরেখা, সিঁথি লাল বসন্তহীন।পরম মমতায় দিগন্তের ছবি মালার আদরে মুড়ে দিচ্ছে। ছবির নীচে নিপুণ যত্নে শোভা পাচ্ছে ছোট একটা টিফিন বক্স - যা দুটি চির পিপাসিত কোমল হৃদয়ের পৌষ পার্বণের সোহাগে ডোবা ভালবাসার আজও স্বাক্ষ্য বহন করে চলেছে।সন্ধ্যা নামতেই একটা গান আমার দু চোখের কোণে শ্রাবণধারা নামাল , যে গান আমার বহুকালের চেনা , আমাদের বেঁচে থাকার রসদ - 

 " পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে

     ................     আয় "