**কর্তব্য**
'জীবন দর্পন''
••••••••••©••••••••©•••••••••© ••••••©••••••••••
ছোট বেলায় দেখেছি আজও দেখছি মা বাবার
অসম্ভব কর্তব্যপরায়ণতা,
নিজেরা না খেয়ে ,দাঁতে দাঁত চেপে ক্ষুদার জ্বালাকে অবদমিত করে,
সকল দুঃখ কষ্ট ভুলে মিষ্টি হাসিতে সন্তানদের মুখে তুলে দেয় ক্ষুদার অন্ন!
মা বাবাদের আদর যত্নে ধীরে ধীরে বড় হয় তারা,শত অভাবের মাঝখানেও অভাব বুঝতে দেয়
নি তাদের.যখন যেটা প্রয়োজন অবলীলাক্রমে তা
জুগিয়ে গেছে মা বাবা .এতটুকুও দুঃখের আঁচ
লাগতে দেয় নি তাদের ,কোনোরূপ জীবন শৈলীর
ছন্দ পতন না ঘটে তার জন্যে সদাসতর্ক বাবা-
মায়েরা.!
সন্তানদের রক্ষনাবেক্ষন ও লেখাপড়ার মান উন্নয়ন
ঘটানোই তাদের একমাত্র লক্ষ্য.
দিন যায়-মাস যায়- বছর যায়....ধীরে ধীরে বড়ো
হয় তারা,নিজেদের ভালো মন্দ ভাবনাটা তারা
বুঝতে শেখে,আস্তে আস্তে বাবা মায়েদের অনেক
নিষেধ আর শুনতে চায় না,কারণ বাবা মা আজ
ব্যাক ডেটেড- আধুনিক সভ্যতা সম্পর্কে তাদের
কোনো আইডিয়া নাই ,বস্তা পচা আলুর মতোই
তাদের দাম.
বাহারে আধুনিক যুগের উচ্চ শিক্ষিত সন্তানগণ ..
বাবা মা আজ বোঝা!
ধুম করে বাড়িতে চলে এল আধুনিক সাজসজ্জায় সুসজ্জিতা আধুনিক মর্ডান বৌমা.
শুরু হলো মা বাবাদের উপর অকথ্য অত্যাচার,বাড়ির জুতো সেলাই থেকে চন্ডিপাঠ সবরকম কাজের দায়িত্ব পড়ে যায় তাদের উপর!
শুরু হয় দুঃখ দুর্দশার পালা,নিরালায় নিভৃতে
অশ্রুজল ফেলা ছাড়া আর তাদের কোনো উপায়
থাকে না!!
দিনের পর দিন আরও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়.
বাবা-মার স্থান আর ওই ঘরে হয় না ,একটা
কুকুরকে রাখার জন্য সুন্দর সাজানো ঘরের
ব্যবস্থা থাকে ,দামি দামি খাবার বাড়ির কুকুরটার
জন্য ব্যবস্থা থাকে কিন্তু বাবা মায়েদের জোটে না
শুকনো মুড়ি বা একখানা পোড়া রুটি.
একি চরম পরিস্থিতির পঙ্কিল আবর্তে ঘুরপাক
খেতে লাগলো মা বাবাদের জীবন,এইকি ছিলো
কর্তাব্যপরায়ন বাবা মায়ের জীবন শৈলী!?
সত্যি আজ আর বলার কিছু নাই ,বৃদ্ধ বৃদ্ধার
সকরুণ দুঃখের কাহিনী আজ প্রতিটা ঘরে ঘরে
জীবাণুর মতো সংক্রমিত হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে
দেশ-বিদেশে.
সত্যি তো-এত কষ্ট করে ,নানা প্রতিকূল পরিস্থিতিকে কোনো ভাবেই, কোনপ্রকারে
ভুক্ষেপ না করে সন্তানদের সুখের স্বর্গ গড়িয়ে
শান্তির আশ্রয় বানিয়ে দেওয়ার প্রতিদান আজ
তাদের কড়ায় গন্ডায় পেতে হবে এতে আশ্চর্যের
কিছু নাই.
তবু সন্তানদের শুভ কামনায় তারা ঈশ্বরের কাছে
অহরহ প্রার্থনা করে যায়, প্রার্থনা করে সন্তানরা
সুখ সমবৃদ্ধিতে আরো বড় হোক ,আরো উন্নতি
তাদের যেন হয় .
কিন্তু তবুও বাবা-মায়েদের স্থান আজ বৃদ্ধাশ্রমেও
হয় না, হয় গোয়াল ঘর ,নয়তো চারিদিক খোলা
হাটচালা কিংবা নির্জন ফুটপাতে.
উঃ- কি নিদারুন সুন্দর জীবনের প্রতিক্রিয়াশীল পরিস্থিতির অবতারণা,কি দুর্বিসহ করুন আর্তনাদে
ভরপুর জীবন রহস্য, কি অসম্ভব মানসিক যন্ত্রনা-কাতর অসহনীয় জীবন যুদ্ধ.
আর নয় -- হে আধুনিক যুগের সন্তানগণ
তোমাদের সুচেতনা হোক, বিবেকবান হোক
তোমাদের অন্তর,জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে
অনুভূত হোক পিতা-মাতাদের অসহায় সকরুণ
অবস্থার অন্তর্নিহিত যন্ত্রনা-কাতর চরম পরিস্থিতির
বাস্তব অবস্থা.কর্তাব্যাপরায়ন মানসিকতা নিয়ে বাবা-মায়েদের বুকে টেনে নিয়ে তাদের দুঃখ
যন্ত্রনাভরা হৃদয়ে আনন্দের প্লাবন বহিয়ে দিয়ে
তাদের বিশ্বাস আর ভরসাকে মর্যাদা দিয়ে
প্রতিটা পরিবারে গড়ে তোলো 'সুখের স্বর্গ'!
~`~~~~~~~~~~~~~~~~```````~~~~~ ~~
21/05/2019
No comments:
Post a Comment