Daily activities / daily life/ daily life routine
I am a student. My daily life is very simple. I get up early in the morning. I wash my hands and face. Then I go ot for a walk. I walk for half an hour. The morning walk refreshes me. I come back and take my breakfast. I eat an egg and drink a cup of tea. Then I sit down to prepare my homework. I read for two hours. After finishing my study, I was myself and take my food. I put on my school dress and go school. I reach school punctually. I like to sit on the first bench i attend school regularly. I am very attentive in the class. I wash myself and take my food. I put on my school dress and go school. i listen carefully to what the teachers say. There are some naughty boys in my class. I do not like them. I mix with good boys. After the fourth period, we have a recess for half an hour i go to the reading- room and read book or a magazine. I do not like to waste my time. This is my daily life. I try to utilize every day. Time is very valuable for us. We should not waste it. At time, I take my supper and watch TV. I go to bed around ten o’clock. Besides this I read the daily newspapers .There are minor changes in my routine on holidays. On holidays I go to different places to remove my monotony .This is in brief the description of my typical day. I am happy about the way I spend my daily life.
I enjoy every bit of my life and enjoy things around me such as, beautiful landscape, budding flowers, green scenery, wonders of science seen in different forms, marvels of city life, the leisure of free time, etc. Though much of my daily life is routine-based, yet the variety and diversity of daily existence make my daily life an exciting adventure. My day begins at 5.30 a.m. My mother wakes me up with a hot cup of tea. After sipping the hot tea, I do jogging for half an hour on the terrace of my house, along with my elder brother. After the jogging I brush my teeth and get ready for my study which continues undisturbed up to my breakfast.
ADVERTISEMENTS:
I have my breakfast at 8.00 a.m. along with the rest of my family. We also watch the TV news at this time and also go through the day’s newspaper. I never miss the day’s paper and go through the headlines on the front page as well as the sports column. After breakfast, the family chats for sometime. By 8.30 a.m. all are off to their respective work. I get ready and proceed to school on my bicycle.
I reach school at about 8.45 am. The school Assembly takes place at 8.55 a.m. and classes begin immediately after. The classes continue up to 12.00 .p.m after which we have lunch break. During the lunch break, I go home as my home is not very far from the school.
The afternoon classes recommence at 1.00 p.m and continue till 3.00 p.m. After the school gets over I stay back in the school campus to attend some tuition which gets over by 4.00 p.m.
After the tuition, I return home and after a cup of tea and some snacks I go to play with my friends in a near-by field. Generally, I return home by 5.30.p.m. and after a bath, I begin my study which continues undisturbed till 8.00 p.m. From 8.00 p.m to 9.00 p.m the entire family watches two TV serials.
ADVERTISEMENTS:
In fact, the entire family is addicted to these two serials and has been following up the story from the start. We take our supper at 8.30 p.m., while we watch the serials. After the serials are over, the family chats for sometime discussing about the various events of the day. By 9.30 p.m., I go to bed.
On holidays, I have a slightly different programme. After breakfast, I visit some of my friends and play with them up to the lunchtime. In the afternoon I sleep for an hour or watch a movie. On some holidays I give bath to my pet dog or clean my room. Sometimes, I help my mother in the kitchen or go to market along with her for various purchases.
Honestly speaking, boredom is a word which is missing in my dictionary of life. Life is too precious to be idled away in lethargic existence and in useless ventures. My daily routine is jam-packed with actions and activities and keeps me and my mind busy all the time. The adventures of daily life make it interesting and an exciting journey.
Md. Monirul Islam
Roll: 11
Submitted date
23/12/2019
🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄End🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄
আমি সবাইকে ক্ষ’মা করি কিন্তু বিজেপির দা’লা’ল’দের না: মমতা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বাংলা দখল করার প্ল্যান ভেস্তে দেব। সবাই রাষ্ট্রপতিকে চিঠি পাঠান। আমি সবাইকে ক্ষমা করি। কিন্তু বিজেপির দালালদের ক্ষমা করি না। আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। আমরা ধর্মের ভিত্তিতে ভাগাভাগি মানি না।
ধর্ম যার যার আপনার, সংবিধান সবার।’ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রেড রোড থেকে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার পদযাত্রা শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। ভারতের গণমাধ্যম জানায়, সিএএ এবং এনআরসির বিরুদ্ধে ‘অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস’ পদযাত্রাটির আয়োজন করে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় হাজার হাজার জনতা।
পদযাত্রা শেষে মমতা বলেছেন, ‘আমরা বাংলায় আছি। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কোনো কোনো নেতা এখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথা বলছে। আমাদের সরকার ফেলে দেবেন? ফেলে দিন। ইজ্জতের জন্য যখন লড়তে নেমেছি, তখন আর মাথা নত করব না।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের নাম উল্লেখ না করে তৃণমূল কংগ্রেসের এই নেত্রী বলেন, ‘এখানে আরেক বড় বিজেপি নেতা এসেছেন। তিনি আমাদের সাবধান করছেন, কেন অশান্তি হচ্ছে? আমি বলতে চাই, আগে আসামের সরকারকে বলুন।
সেখানেও তো বিজেপির সরকার রয়েছে।’ উপস্থিত সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, ‘রাজ্যে সিআইএসএফ বা বিএসএফ লাগবে কিনা আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছে। আমি বলেছি কিছুই লাগবে না। আপনারা কি ভোট দেন না?? তাহলে কিসের নাগরিকত্ব আপনাকে দেবে?’
এর আগে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজ্যের দিঘা শহরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে এক বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই নেত্রী। তিনি বলেছিলেন, ‘আপনাদের কোনো ভয় নেই, শান্তিতে থাকুন। কেননা বিতাড়িত হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।
মমতার ভাষায়, ‘এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (ক্যাব) নিয়ে ক্ষমতাসীনদের বারংবার বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কেননা দেশের সব রাজ্যেরই আলাদা আবেগ রয়েছে।’ গত ৯ ডিসেম্বর ভারতের লোকসভায় বহুল আলোচিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়।
বিলটিতে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা অমুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পার্লামেন্টে বিলটি উত্থাপন করেন ক্ষমতাসীন বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ। এরপর ১১ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় পাস হয় বিলটি।
রাজ্যসভায় এই বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ১২৫টি। আর বিপক্ষে পড়েছে ১০৫টি ভোট। যার প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে বিতর্কিত এই বিলটি রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মাধ্যমে আইনে পরিণত করা হয়।
🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄
ক্ষুদার্ত বিড়াল
মঞ্জুরুল হোসেন জুবায়েদ
তারিখঃ ০৯/১২/১৯
-
ক্ষুদার্ত বিড়াল খেতে যায়
পরের ঘরের মাছ-
পড়শী ওয়ালী টের পেয়ে
মারলো ঝাড়ু ঠাশ।
কৈ'কিয়ে উঠে দৌড়ে চলে
লাগলো ঝাড়ু পায়-
তিনপা নিয়ে এগিয়ে চলে
সামনে জংগল রায়।
সারাদিন বনে খাদ্য খোঁজে
পাইনা খুঁজে আহার,
যন্ত্রণা নিয়ে ফিরে আসলে
মরণ লেখা তাহার।।
ঘুরে ফিরে একই বাড়ীতে
আসে যখন ফিরে-
পড়শী ওয়ালী লাঠি নিয়ে
মাথায় মারে কষে।
লাফালাফি করতে জীবন
চলে গেলো পারে-
যমেরবাড়ি নাম-খানা তার
জীবন নিল কেড়ে।
🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄
প্রেম
বিশ্বজিৎ কর্মকার
প্রেম এতো নিষ্ঠুর কেন তুমি ?
পোড়ো তবু পোড়াও না
জ্বলো তবু জ্বালাও না ।
মাঝে মাঝে প্রশ্ন ওঠে
প্রেম এতো নীরব কেন তুমি ?
তবে কি,এই পৃথিবীতে
তোমাকে প্রকাশ করার ভাষা নেই ?
নাকি , আমরাই বুঝি না প্রেম ?
আমি জানি
তুমি আছো সবার মাঝে
তাই হয়তো জ্বলো, জ্বালাও না
পোড়ো তবু পোড়াও না ।
নিজেকে টিকিয়ে রাখতে চাও পৃথিবীতে
তাই তুমি নীরব
তাই তুমি নিষ্ঠুর ।
বিশ্বজিৎ কর্মকার
গ্রাম- চাগ্রাম
পো:-গ্রাম-চাগ্রাম
থানা- কালনা
জেলা- পূর্ব-বর্ধমান
পিন - 712146
🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄
ভালো থাকতে চাই "
খোদেজা মাহবুব আরা
ঘাস মোড়ানো নিস্তব্ধতা
আড়াল করে রেখেছে অস্তিত্ব
সেতো ফিরে আসেনি
স্বপ্নের ঘোরে অনুভব ছুঁয়ে
গেথে রাখে সুতীব্র কষ্টের কাঁটা
মৃওিকা খুঁড়ে কিছু পাব কিনা জানিনা
দুঃখ বাদী বটবৃক্ষের পরিধি আকাশ পাতাল
রাশি রাশি নিসংগতার অসহায় চিত্রাবলী
হৃদয়ের ভাংগন নোনাজলের স্রোতে
পুরোনো স্মৃতির পাতা ঝড়ো বাতাসে
বারবার ফিরে আসে যন্ত্রণার কাঁটায়
একটু স্বস্তি চাই অসীম দুঃখ বলয়ে
একটু ভালো থাকতে চাই
ঝড় ঝঞ্জার পৃথিবীতে।
৩০,রাজাবাড়ি, সাভার, ঢাকা —১৩৪০
🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄
ওরে মেয়ে
Sahajan Hossain
আছিস পথ চেয়ে ,
কবে বেরবি মায়ের জঠর থেকে
কবে দেখবিপৃথিবীর আলো
আসিস না নরপিশাচ দের পৃথিবীতে
পেটেই আছিস ভালো।
যদি আসবি তবে তৈরী হ
কিভাবে নিস্তার পাবি
নরখাদক দের থেকে
বিপদে কেউ আসবে না পাশে
যতই কাঁদ না হেঁকে ডেকে।
শুনিস নি কি নিভ'য়া-আসিফা-রেডডির
কি করেছে হাল
করবে কেউ মোমবাতির মিছিল
কেউ বা ধর্ষকদের বাঁচাতে ধরবে মশাল।
হত্যা-পাচার-ধষন হবে
তোর নিত্যদিনের সঙ্গী
রাস্তা - ঘাটে বেরোলেই দেখবি
কটুক্তি - কু-অঙ্গভঙগি।
দূর্গা তোরা, বিদ্যার দেবীও তোরা
তোরাই ঘরের লক্ষী
কিন্তু মা তোকে জন্মানোর
পারব না নিতে ঝক্কি।
আসিস না দুরবৃতদের মাঝে
করে নে পণ
দেখি কি ভাবে সৃষ্টির সেরারা
বানায় তোদের ছাড়া মানুষজন।
🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄
উপসংহার
চন্দ্রাবলী ব্যানার্জী
যেদিন লাল টুকটুকে বেনারসি পরে,আলতা পরা পা নিয়ে,এ বাড়ির চৌকাঠ পেরলাম, সেদিন সবাই বললো,- নতুন বৌকে দাঁড় করিয়ে দুধ উতলাও, দেখতে হবেতো বৌ পয়মন্ত কিনা? পিসিশাশুড়ী একটা গোটা জ্যান্ত ল্যাঠা মাছ জোর করে হাতের মুঠোয় ঢুকিয়ে দিল,আমার নাকে তখন খাবারের গন্ধ,
আমি বললাম -'খেতে দেবে আমায়? ননদ বলে -ও মা !! এ কি বৌ, ও ছোটো- কি বৌ আনলিরে তুই ?
ছিঃ মরমে মরে যেতে ইচ্ছা করলো আমার,
আমিতো বৌ, মেয়েতো নই, সেই প্রথম পাপ করলাম আমি ।
বাপের দেওয়া গয়না গুলো নিজের কাছে রেখেছিলাম,বাবা বলেছিলেন,- নতুন মা পেলি ,নতুন বাড়ি,নতুন লোক,দেখিস আমাদের আর মনেই পড়বেনা তোর। সেই প্রথম দেখলাম আপন মানুষকে,অতিথির আঙ্গিকে । শাশুড়ী বলল- এইটুকু মেয়ে এত গয়না কি ঠিক করে রাখতে পারে ?
আলাদিনের প্রদীপ তুলে দিলেন বাবা । মা বললো- পরমেশ্বর পেলি,যত্ন করে রাখিস ।
ননদের ছেলে হল,আমার খাতির বাড়লো,লাউমাচাতে জালি পড়লো, শাশুড়ী বললো- অনেক ভাগ্য করে বৌ পেয়েছি । আর আমি? নিজের নামটাই ভুলতে বসেছি ।
যেবার আমি প্রথম পোয়াতি, কত নিয়ম,খোঁপায় লোহার কাজললতা, পায়ে অঙ্গুরীয় , শনি,মঙ্গল,বৃহস্পতি,একাদশীতে পায়ে আলতা ।
পিসিশাশুড়ী পাঁজি খুলে বসলো,- ও বৌমা কৃষ্ণপক্ষ না শুক্লপক্ষতে এলো ? ছেলে না মেয়ে আসছে দেখতে হবেতো । শাশুড়ী নাক শিটকালো- মেয়ে কিগো ঠাকুরঝি ! বংশেরবাতি আসবে ।
শুধু আমি জানলাম আমি মা হবো ।
যেদিন দুটো সোহাগী কবুতর দেখেছিলাম ছাতের কার্নিশে, সেদিন বুঝলাম মানুষের থেকেও ওরা অনেক বেশী ভাষা জানে ।
লতানো জুঁইশাখা যখন আবেশ ছড়াতো, মন খুঁজতো স্কুল ফেরতা যে কুলের আচার খাওয়াতো তাকে । ইস, এসব ভাবাও পাপ,বাড়ির বৌ যে আমি ।
ভোরের কুয়াশা ভেজা পাতার উপর যখন একা হেঁটে বেড়াতাম একটু ভাললাগা খুঁজে নেওয়ার জন্য, শুনতাম ডালে বসে থাকা চড়াই দম্পতির কলহ,এর জন্যও তো দুজন চায়, ভাললাগা বা মন্দ লাগা নিয়ে যারা অযথা তর্কে মাতবে ।
কানুকাকা বলেছিল,- বৌমা লক্ষীর পাঁচালীটার সুর তোমার ঠিকমত হয়না, এত লেখাপড়া জানো আর পাঁচালীর সুর জানো না?
শাশুড়ি বললো - ও সব কি আর লেখাপড়া দিয়ে হয় ঠাকুরপো, মনে ভক্তি না থাকলে এসব হয়না ।
খড়ের ছাউনিতে যখন একটু একটু করে আগুন লাগলো, তখন তাকে জড়িয়ে বেয়ে উঠছিল একটা লতানো গাছ-- জল দিয়ে সে আগুন নেভানোর যে কেউ ছিলোনা । খড় পুড়তে পুড়তে ছাই হল । অক্ষত ছিল লতানো গাছটা। এখন ছটা বাজলে রেডিওতে বন্দেমাতরম গানটা আর হয়না, গার্লস স্কুলবাসের হর্ন শুনি, আমার ছোট্ট লতা বেড়ে উঠছে আপন খেয়ালে ।সে এখন মাচা বাইতে শিখেছে । মুক্ত আমি, শ্লথ পায়ে নিজের শেষ ঠিকানায় এগোলাম, শাশুড়ি বললো,-তোমার কি হয়েছে বৌমা ? মাথা নিচু করে নিজের ঘরে ঢুকে খিল দিলাম ।
অনেকদিন পর হাতে খাতা কলম নিলাম,শেষ বারের মত লিখলাম জীবন নাটকের উপসংহার ।।
চন্দ্রাবলী ব্যানার্জী
১৬২, মহেন্দ্র ব্যানার্জী রোড, বেহালা
কলকাতা -৭০০০৬০
🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄
যা অনিবার্য
মোঃজুনায়েদ আল_হাবিব
==========================
যা অনিবার্য তা ভালোবাসায় শ্রেয়।
এই যে ধরুন মৃত্য -যা অনিবার্য
আসবেই জীবনে কখনো না কখনো।
তাহলে তো তাকে ভালোবাসায় শ্রেয়।
যে মৃত্যুকে ভালোবাসতে পার
সে আর যাই হোক পাপ করতে পারে না।
পাপী তো সে যে মৃত্যুকে ঘৃণা করে।
পাপ তো সে করে মৃত্যুকে যে অবহেলা।করে।
ফরিদি বলেছিলেন--
মৃত্যুর মতো এতো স্নিগ্ধ
মৃত্যুর মতো এতো গভীর সুন্দর
আর কিছু নেই কারন মৃত্যু অনিবার্য।
জন্মেছ যেহেতু নিয়েছ -মরতে তো হবেই
এটা যদি মাথায় থাকে আর যায় হোক -
তুমি পাপ করতে পারবে না।
তোমার দ্বারা পাপ অসম্ভব।
আর যেটা অনিবার্য
তাকে ভালোবাসাটায় শ্রেয়।
তাকে যদি ভয় পাও সেটা যে মূর্খতা হয়
তুমিই জ্ঞানী তুমিই শিক্ষিত
তবে মৃত্যুকে ভয় পাবে কেন বল?
মৃত্যুকে তুমি আলিঙ্গন করবে
গ্রহন করে বরন করবে।
তাহলেই দেখবে জীবন অনেক সুন্দর।
কখনো কখনো মানুষ
তার সময়ের আগে চলে যায়
এটা দেখতে খুবই মর্মান্তিক
আবার সুন্দরও বটে।
মাঝে মাঝে অসময় সময় বলে দেয়
বার্তা দেয় নতুনের।
কিন্তু এ যে এক বার্তা তোমার
এ যে বার্তা দেয় মৃত্যুর -এ বলে যে
মৃত্যুের কোনো সময় ক্ষণ নেই।
নেই কাল বা বৎসর -যুগ
তবে অসময়ের চলে যাওয়া কাঁদায়
আবার শিখিয়েও যায় -বলেও যায়
আমাকেও চলে যেতে হবে।
বাবার কাঁধে ছেলের ও
মায়ের হাতে মেয়ের লাশ
কত বীভৎস দৃশ্য তাহার।
এর চেয়ে ভালো শিক্ষা
আর কি-ই বা হতে পারে?
ফরিদি এ ও বলেছিলেন--
কেন-ই বা দিলেন তিনি সময়ে, আবার
কেন-ই বা নিলেন -তা ও অসময়ে!
হয়তো! এটাই তার সুন্দর।
সময়ের মৃত্যু আমায় উদ্ধেলিত করে -
আন্দোলিত করে।
অসময়ের মৃত্যু আমায় বার্তা দিয়ে বলে
যেতে হবে তোমানও রবে না তুমিও
এই না সসীম ভবে।
মানুষ কখনোই বৃদ্ধ হয় না
মানুষ সারা জীবনই
একুশ বছরে-ই থাকে মনে-মনে।
কিছু কিছু পরিবর্তন মানুষ নিজেরাই করে
আর কিছু পরিবতর্ন এমনি তেই আসে-
যেটা সে কখনোই চায় নি
কখনোই আশা করে নি।
সেটাই অনেক বার ঘটে।
সেটা আমার জীবনেও বহুবার ঘটেছে।
আমি যা করতে চেয়েছি তা করতে পারিনি।
আমি যাকে আকড়ে ধরতে চেয়েছি
তাকে ধরতে পারিনি।
সে আমাকে ফেলে চলে গেছে বা
যাকে আমি স্নেহ দিতে চেয়েছি
সে আমাকে ঘৃণা করেছে।
দুরাশা কিন্তু ভালো জিনিস না।
দুরাশা বলতে আমি বলছি
এইটা যে তুমি এমন কিছু আশা করবে না
যেটা তোমার নাগালের বাহিরে।
দুরাশা করতে নেই।
আশা কর যা ক্ষমতার ভিতরে
যা তুমি অর্জন করতে পারবে
যা তুমি গ্রহন করতে পারবে।
ঐটুকু আশা নিয়েই মানুষ বাঁচে।
অনেক সময়ই অনেক আশা পূর্ণ হয় না।
আবার অনেক সময় আশা করনি
এমন জিনিস ঘটে যাবে।
এই এই তো জীবন
এ নিয়েই জীবন।
একটু বসে একটু ভাব
কি করার কথা ছিল কিন্তু করছটা কি
কি ভাবার কথা ছিল ভাবছটা কি।
একটু কল্পনা কর চোখটা বুঝে --
বুঝেছ-----?
এই বার দেখ সবাই কাঁদছে
কেউ বা দৌড়াচ্ছে তোমার কাফন নিয়ে
কেউ বা তোমার গোসল নিয়ে।
সকল কান্নার শেষ হচ্ছে তোমার বিদায় দিয়ে।
তোমার প্রাণের মানুষ
প্রাণের স্ত্রী কিংবা পুত্র
কিংবা প্রাণের স্বামী
প্রাণের বাবা প্রাণের মা-
কেউ তো বলে নাই, তারে
আমি রাখতে চাই!
চলে যাওয়ার একটু পরে
কেউ বা আবার চিন্তা করে
কেউ বা খুঁজে নতুন স্ত্রী
কেউ বা নতুন স্বামী।
নতুন করে সংসার পাতে
এটাই আমরা জানি।
এত কিছুর পরও যদি
তোমার হুশ না হয়!
তোমার মতো বোকা বুঝি
এই মর্তে আর নেই।
তুমি কিন্তু তোমার নাহ
আসলে-ই কেউ আপন না!
আপন সে তো আন্ধার ঘর
একলা রবে জনম ভর।
আপন ঘরের চাউনি নেই
একটু আলোর কুপিও নেই
অন্যের ঘরের আলোয় তুমি
আছ সদা ব্যাস্ত।
মোঃজুনায়েদ_আল_হাবিব
ইংরেজি বিভাগ (চতুর্থ বর্ষ)
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄
অমোঘ কথন
আবদুস সালাম
মুখে আঁকা ভাঙাচোরা ভূগোল
বিছানা ছাড়লেই চোখে পড়ে
চেনা মুখে অচেনা অক্ষর উঁকি মারে
দিনেরা ছায়া ফ্যালে,বাড়ে রাতের কলরব
অচেনা প্রহর কেঁদে উঠবে জানি
আগে পরের ভাবনায় টালমাটাল স্পষ্ট বিন্যাস
###
দিন হীন দিনপঞ্জি
আবদুস সালাম
সভ্যতার টিলায় বেপরোয়া আ্যডভান্স
সভ্যতার ঈগল উড়ে চলছে জাগরনের দেশে
খবর শুকিয়ে যায়
অসহিষ্ণুতা ভরা দেশ
রাতে র শয্যায় যুদ্ধ যুদ্ধ অবসর
পৃথিবীর সুখ শুষে নিচ্ছে অবাধ্য সূর্য
গর্ভধারিনী মেঘের রহস্য বুঝে নিয়েছে সভ্যতার কালপুরুষ
আত্মারা বন্দি হয়েছে বন্দরে বন্দরে দিনহীন পঞ্জিকা মেনে
####
প্রয়াস শ্রীকান্তবাটি, মাদার ল্যান্ড, মুর্শিদাবাদ
শিয়াল গুলোই ভালো ছিল
আবদুস সাত্তার বিশ্বাস
ব্লাড টেস্ট রিপোর্টে রিসেন্টলি রক্তে সুগার ধরা পড়েছে প্রমিলার।ডাক্তার হাঁটাহাঁটি করতে আর ওষুধ চালাতে বলেছে।যেকারণে প্রমিলা সকাল সন্ধ্যা দু-বেলা নিয়ম করে হাঁটে।
মাস দেড়েক আগে প্রমিলা তার শরীরে বেশ কিছু অসুবিধা টের পেয়েছিল।অসুবিধা বলতে ঘুম কম হচ্ছিল।চোখ জ্বালা করছিল।জিভ শুকিয়ে যাচ্ছিল।ঘনঘন জল তেষ্টা লাগছিল।আর খাবার বেশি খাচ্ছিল।সে খাবার গায়ে লাগছিল না। শরীর শুকিয়ে যাচ্ছিল।কাজে মন বসছিল না। অলসতা ভাব।হাতে পায়ে ব্যথা।সময় সময় মাথা ঘোরা ঘোরা হচ্ছিল।
এরজন্য প্রমিলা গ্রামের ডাক্তারের কাছে দু-দিন ওষুধ কিনে খেয়ে দেখেছিল।কাজ না পেয়ে বড় ডাক্তারের কাছে গিয়েছিল।ডাঃ অরূপ রতন বিশ্বাসের কাছে।হাসপাতালের ডাক্তার।পাঁচশো টাকা ভিজিট।তা ভিজিটের ভয় করলে তো আর অসুখ সারানো যাবেনা।যাওয়ার পর প্রমিলা ডাক্তারকে তার অসুবিধার কথা বলেছিল। ডাক্তার প্রমিলার অসুবিধার কথা শুনেছিল। শোনার পর প্রমিলার কাছে ডাক্তার নাম জানতে চেয়েছিল,"কি নাম বলুন!"
"প্রমিলা দাশ।"প্রমিলা নাম বলেছিল।
"বয়স?"
"সাতচল্লিশ।"প্রমিলা বয়স বলেছিল।
ডাক্তার প্রেসক্রিপশনে প্রমিলার নাম, বয়স ও অসুখের বিবরণ লিখেছিল।লিখে তাকে পূর্ব দিকে মাথা আর পশ্চিম দিকে পা করে বেডের উপর শুয়ে যেতে বলেছিল।
প্রমিলা শুয়ে গিয়েছিল।
ডাক্তার প্রমিলার বুকে,পেটে স্টেথো লাগিয়েছিল।ও ব্লাড প্রেসার মেপে দেখেছিল। দেখে বলেছিল,"আপনার ব্লাড প্রেসার ওকে আছে।উঠে বসুন!"
প্রমিলা উঠে বসেছিল,"তাহলে এরকম কেন হচ্ছে,ডাক্তার বাবু?"
ডাক্তার প্রমিলাকে তখন অন্য কোন ডাক্তার দেখানো কাগজ টাগজ আছে কি না জিজ্ঞেস করেছিল।
প্রমিলা এরজন্য যে আগে কোন ডাক্তার দেখায়নি সেটা বলেছিল।
"ঠিক আছে।"ডাক্তার রক্ত পরীক্ষা লিখে দিয়েছিল।এবং রিপোর্ট করে এনে দেখাতে বলেছিল। রিপোর্ট না দেখে ডাক্তার কোন ওষুধ লিখেছিল না।
প্রমিলা রক্তের রিপোর্ট করে নিয়ে গিয়েছিল। রিপোর্ট দেখে ডাক্তার প্রমিলাকে "আপনার রক্তে সুগার ধরা পড়েছে" বলেছিল।
প্রমিলা শুনে আঁতকে উঠেছিল,"কি!আমার রক্তে সুগার ধরা পড়েছে!"
"হ্যাঁ।"ডাক্তার পরে তাকে সাহস দিয়েছিল,"এরজন্য এত ভয় পাওয়ার কিছু নেই।আজকাল প্রায় মানুষেরই রক্তে সুগার।বাচ্চাদেরও রক্তে সুগার ধরা পড়ছে।"
প্রমিলা বলেছিল,"কিন্তু আমাদের বংশে যে কারও রক্তে সুগার নেই।তাহলে আমার হল কিভাবে?"
ডাক্তার বলেছিল,"সুগার কোন বংশগত রোগ নয় যে,আপনার বংশে কারো নেই বলে আপনার হবে না।সুগার হল একটি বিপাকজনীত রোগ। অনিয়মিত খাদ্যাভাস্যের ফলে এই রোগ হয়। সবকিছু নিয়মের মধ্যে থাকলে এই রোগ হয়না। এই রোগ একবার হয়ে গেলে মানুষকে খুব ভোগায়।যাইহোক,আমি ওষুধ লিখে দিচ্ছি কিনে খাবেন আর নিয়মিত দু-বেলা হাঁটাহাঁটি করবেন। তাহলে সুগার আপনার কিচ্ছুটি করতে পারবে না। কি বললাম,বুঝতে পেরেছেন?"
প্রমিলা 'হ্যাঁ' সূচক ঘাড় নেড়েছিল।নেড়ে সে পরে কি কি খাবার খেতে পাবে আর কি কি খাবার খেতে পাবেনা জিজ্ঞেস করেছিল।
ডাক্তার মিষ্টি,চর্বি ও মশলা জাতীয় খাবার খেতে প্রমিলাকে নিষেধ করেছিল।
প্রমিলা তখন "ভারি মুশকিল হয়ে গেল" বলে ডাক্তারের মুখের দিকে তাকিয়েছিল।
ডাক্তার"কিচ্ছুটি করার নেই।সুস্থ ভাবে বাঁচতে গেলে এগুলো খাওয়া বন্ধ করতে হবে।"বলে প্রমিলাকে ওষুধ লিখে দিয়েছিল।
প্রমিলা প্রেসক্রিপশনটা হাতে নিয়ে বলেছিল,"ডাক্তার বাবু,আর কি আসতে হবে?"
"হ্যাঁ।"বলে ডাক্তার প্রমিলাকে বলেছিল,"একমাসের ওষুধ লেখা থাকল।সবগুলো কিনে খেয়ে শেষ করে তারপর আসবেন।আর হ্যাঁ,আসার আগে রক্ত পরীক্ষা করে রিপোর্টটা সঙ্গে করে নিয়ে আসবেন।ওষুধ খেয়ে সুগার কিরকম থাকল আবার দেখতে হবে।আসুন!"
প্রমিলা বেরিয়ে এসেছিল।
দুই
গত পরশু দিন প্রমিলার ডাক্তার দেখিয়ে আসা একমাস হয়ে গেছে।ওষুধও কাল শেষ হয়ে গেছে। আগামীকাল চেকআপে যাওয়ার ডেট আছে। আজ সকালে প্রমিলা তাই রক্ত পরীক্ষা করতে দিয়ে এসেছে। কিন্তু রিপোর্ট পায়নি।রিপোর্টের জন্য ফের বিকালে যেতে বলেছে।রক্ত দিয়ে এসে প্রমিলার শরীর খারাপ করলে বিকালে সে আর রিপোর্ট আনতে গেল না। কলেজ থেকে টুম্পা বাড়ি ফিরলে প্রমিলা তাকে পাঠাল। টুম্পা প্রমিলার একমাত্র মেয়ে।তার আর কেউ নেই। না ছেলে।না মেয়ে।ছেলেমেয়ে অবশ্য হতো। যদি টুম্পার বাবা বেঁচে থাকত।টুম্পা যখন পাঁচ বছরের মেয়ে তখন তার বাবা ব্লাড ক্যানসারে মারা গেছে। প্রমিলা পরে আর বিয়ে করেনি।স্বামীর চাকরিটা সে পেয়েছে।
তিন
রিপোর্ট আনতে গিয়ে টুম্পার হঠাৎ রীতার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল।রিপোর্ট নিয়ে টুম্পা যখন বেরিয়ে আসছে সেইসময় একেবারে সামনাসামনি দেখা হয়ে গেল।রীতা বলল,"আরে টুম্পা, তুই!"
এই রীতা হল টুম্পার কলেজ বান্ধবী।গার্লস কলেজের এরা দু-জনই বিজ্ঞান বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী।
টুম্পা বলল,"মায়ের রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট নিতে এসেছিলাম।কিন্তু তুই কি করছিস এখানে?"
স্মিত হেসে রীতা বলল,"এটাই তো আমাদের বাড়ি।"
"তারমানে 'রক্ত পরীক্ষা সেন্টার' তোদেরই?"
"না।সব ভাড়ায় দেওয়া আছে। আমরা উপরে বাস করি।প্রতিদিন বিকাল বেলায় এখানে একটু বেড়াতে আসি।তাই এলাম।"
টুম্পা বলল,"জানতাম না তো।"
পরে রীতা বলল,"এখানে যে আসবি কলেজে সেটা বললি না তো?তাহলে তখনই একসঙ্গে চলে আসা যেত।"
টুম্পা বলল,"আমি জানতাম নাকি?"
রীতা বলল,"রিপোর্ট পেলি?"
"হ্যাঁ, পেলাম।"
"চল তাহলে বাড়ির ভিতর থেকে আসি!"
টুম্পা যেতে চাইল না।বলল,"আজ নয়।পরে একদিন এসে যাবো।"ও পরে বলল,"আজ সময় নেই। দূরে বাড়ি বুঝতেই পারছিস।দেরি করলে বাড়ি যেতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে।"
"ধুর, সন্ধ্যা হয়ে যাবে!স্কুটি তো আছেই।সন্ধ্যা হলে কি হবে?জোরে চালিয়ে চলে যাবি।"রীতা কিছুতেই টুম্পার কথা শুনল না।টানতে টানতে সে ভিতরে নিয়ে চলে গেল।যাওয়ার সাথে সাথে রীতার মা চা-বিস্কুট-ডিম সেদ্ধ করে দিল। খেয়ে গল্প করতে করতে ওখানেই টুম্পার সন্ধ্যা হয়ে গেল।ফলে রীতা ও রীতার মা টুম্পাকে থাকতে বলল।বারবার করে থাকতে বলল।টুম্পা থাকল না।স্কুটি চালিয়ে সে চলে এল।আসতে আসতে রাস্তায় তার অন্ধকার হয়ে গেল।সেই অন্ধকারে একটা জনহীন রাস্তায় তার স্কুটি খারাপ হয়ে গেল।টুম্পা বিরাট সমস্যার মধ্যে পড়ে গেল।
চার
রাস্তার দু-ধারে সারিসারি গাছ।আর ঝোপঝাড়।টুম্পা তারমধ্যে শিয়ালের ডাক শুনতে পেল।হুক্কা হুয়া, হুয়া হুয়া...।একসঙ্গে অনেক শিয়ালের ডাক।দু-একটা শিয়াল তার সামনে দিয়ে যে দৌড়ে চলে গেল টুম্পা সেটা বুঝতে পারল। ভয়ে টুম্পার কণ্ঠাগত প্রাণ হল।মনে সাহস আনার জন্য সে তখন মোবাইলটা জ্বালাতে গেল।কিন্তু জ্বলল না।কখন যে লক হয়ে গেছে লক খুলল না। টুম্পা তখন ধরেই নিল যে,আজ সে আর বাঁচবে না।এই বিজন পথে হিংস্র শিয়ালের দল তাকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাবে। এই অন্ধকারে তাকে কেউ বাঁচাতে আসবে না। বাড়িতেও জানতে পারবে না যে তাকে শিয়ালে খেয়ে নিয়েছে।জানাবে কি করে? ফোন তো লক হয়ে পড়ে আছে।খুলছে না। ভাবতে ভাবতে একটা সময় টুম্পা দূরে একটা মোটরবাইকের লাইট দেখতে পেল।বাইকটা যে এদিকেই আসছে লাইট দেখে টুম্পা বুঝতে পারল। টুম্পা তখন মনে সাহস পেল।যাক,মানুষের দেখা মিলবে।শিয়ালের দল তাকে আর খেতে পারবেনা। টুম্পা দুই দিকে হাত প্রসারিত করে রাস্তা ঘিরে দাঁড়াল।বাইকটা তার কাছে এসে থেমে গেল।লাইট নিভে গেল। অন্ধকারে টুম্পা দেখতে না পেলেও বুঝতে পারল বাইকের উপর থেকে তিনজন নামল।নেমে টুম্পাকে তারা শুধাল,"কি ব্যাপার?কে তুমি?"
টুম্পা বলল,"আমার বাড়ি সতীপুর।আমার নাম টুম্পা।আমি ভীষণ বিপদে পড়েছি। আপনারা আমাকে বাঁচান,প্লিজ!
"কি বিপদে পড়েছ?"
"স্কুটির চাকা পাংচার হয়ে গেছে।"টুম্পা তার বিপদের কথা বলল।
তারা তখন টুম্পাকে সতীপুরে কোন পাড়ায় বাড়ি জিজ্ঞেস করল।
টুম্পা হিন্দু পাড়ায় বাড়ি বলল।
তারা এবার টুম্পার বাবার নাম জিজ্ঞেস করল।
টুম্পার বাবার নাম যে অভীক দাস টুম্পা সেটা বলল।
তারা তখন বলল যে,তার বাবাকে তারা চেনে। প্রাইমারি স্কুলের মাস্টার ছিল।অনেক দিন আগে মারা গেছে।তার মাকেও তারা চেনে।তার বাবার চাকরিটা তার মা পেয়েছে।
টুম্পার মন থেকে তখন সব ভয় কেটে গেল। এরা তার মা-বাবাকে যখন চেনে বলছে।
পাঁচ
মানুষের কথার শব্দ পেয়ে শিয়াল গুলো এখন দূরে চলে গিয়ে ডাকছে।টুম্পা সেই ডাক শুনতে পেয়ে তাদের বলল,"আপনারা আসার আগে শিয়াল গুলো এখানেই ডাকছিল।"
"আমরা না এলে তো তোমাকে খেয়ে নিত তাহলে।"
"তা খেয়ে নিত বৈকি!"
"আর খেতে পারবে না।আমরা এখন চলে এসেছি।তুমি আমাদের সঙ্গে এসো।"
টুম্পা জানতে চাইল,"কোথায়?"
বিরক্ত হয়ে তারা বলল,"সব সময় প্রশ্ন করো কেন?আসতে বলছি আমাদের সঙ্গে এসো না!" টুম্পার হাত ধরে তারা টানল।টানতে টানতে রাস্তার একেবারে নিচে নিয়ে গেল।
টুম্পা প্রশ্ন করল,"এখানে আনলেন কেন?"
উত্তরে টুম্পাকে তারা বলল,"তোমাকে ধর্ষণ করব।....ও কাল আমরাই আবার মোমবাতি মিছিল করব।"
টুম্পার ভিতরে তখন বারবার গাইতে লাগল, মানুষ গুলো নয়,শিয়াল গুলোই ভালো ছিল। শিয়াল গুলোই.....
----সমাপ্ত----
ঠিকানা:-গ্রাম-সারাংপুর খাসপাড়া,পোস্ট-সারাংপুর, থানা-ডোমকল, জেলা-মুর্শিদাবাদ। পিন-৭৪২৩০৪।
সাহেব ও পথশিশুর কথোপকথন
গোলাম মোস্তফা লিটু
বাবা-মা কি,খুব বকেছে খোকন
পড়ার জন্য দিয়েছে খুব ঝাড়ি ?
ঘুরছ কি তাই পথে পথে
করেছ কি তাদের সাথে আড়ি।
বাবা সে-তো মরে গেছে
অনেক আগে,মা-ও গেছে ছাড়ি!
একা আমি জগৎ মাঝে
নসিব দোষে পথে পথে ঘুরি।
এই এ-ই যে খোকন
যাচ্ছ কেন,বলছি তোমায় শোন,
উদোম গায়ে ঘুরছ কেন
তোমার নেই কি কাপড় কোন ?
বোকার মতো প্রশ্ন সাহেব
করছেন কেন আমায় ?
থাকতে কাপড় কেউ কি আর
ঘোরে উদোম গায় ?
শীতের রাতে নাঙ্গা পায়ে
ঘুরছ কেন হেথা,
শীত লাগেনা তোমার বুঝি
তাই দাওনি পায়ে জুতা ?
রক্ত মাংসের মানুষ আমিও
আমায় লাগে শীতও !
নাই জুতা,তাই ঘুরি নাঙ্গা পায়ে
শীতকে করে উপেক্ষিত।
লেপ কম্বল মুড়িয়ে সবাই
ঘুমিয়ে আপন ঘরে,
তোমার কি তা ভাল লাগেনা
তাই শুই'ছ পথের ধারে ?
লেপ কম্বল পরের কথা
নেইকো আমার ঘর ই !
গ্রীষ্ম বর্ষা শীতেও তাই
ঘুমাই পথের ধারে-ই।।
২১/১১/২০১৯ ইং
পরিবার, সমাজ ও একজন ধর্ষিতা
-আব্দুল
রাস্তায় অনেক লোকের জটলা দেখে দা°ড়িয়ে গেলাম। আশপাশ থেকে অকুস্থলের দিকে রুদ্ধশ্বাসে লোকজন ছুটে আসছে। আমার কৌতূহল বেড়ে যায়। ভিড় ঠেলে উ°কি মারতেই ভেতরটা আ°তকে উঠল। একজনের মাথা থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত ঝরছে। আর একজন বিষম যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। অদূরে একটি মেয়ে ঘাসের ওপর দু'পা মেলে আঘাতপ্রাপ্ত গোড়ালিতে বার বার হাত বুলাচ্ছে। প্রাদাহিক গোড়ালি অনেকখান ফুলে গেছে। মেয়েটির চোখে পানি, ভীতবিহবল চাহনি। আঘাত যত না পেয়েছে, ঢের বেশি পেয়েছে ভয় ও আতন্ক। চোখ মুখ থেকে ভয়ের হিমস্রোত বেয়ে আসছে। দুর্ঘটনায় লিপ্ত হওয়া দু'টি মোটরবাইক সৌন্দর্য হারিয়ে রাস্তার পাশে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।
আমি অপরিচিত মেয়েটির কাছে যেতেই সে দা°ড়ানোর ব্যর্থ চেষ্ঠা করল। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলাম। সে শক্ত করে হাতটি ধরে দেহের সমস্ত ভার আমার ওপর অর্পণ করে কোনোমতে দা°ড়াল কিন্তু ব্যথায় ক°কিয়ে উঠল। আর্ত করুণ স্বরে বলল," আমাকে হাসপাতালে নিয়ে চলুন প্লিজ।"
মেয়েটিকে নিয়ে ঝড়ের বেগে ছুটলাম। ছুটোছুটি দৌড়াদৌড়ি করে ডাক্তার ডেকে আনলাম। পরীক্ষা করে ডাক্তার রিপোর্ট দিলেন। না, কোন বিপদ নয়। ব্যথানাশক ইনজেকশন পুশ করা হল; সাথে ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল তো আছেই। ঘন্টাখানেকের মধ্যেই ব্যথা কমতে শুরু হল। মেয়েটি এখন খু°ড়িয়ে খু°ড়িয়ে হা°টতে পারছে।
সন্ধ্যা সমাগত। আমার আর দেরি করবার ফুসরত নেই। অনেকগুলো কাজ জমা পড়ে আছে। মেয়েটির কাছে গিয়ে বললাম, "এবার তাহলে আমি আসি।"
মুখে সে কিছুই বলল না; চোখ তুলে সে তাকালো মাত্র।
আমিও আর উত্তরের অপেক্ষা না করে প্রস্থান করলাম।
মাসখানেক গত হয়েছে। মেয়েটিকে কোনদিন মনেও পড়েনি। যাপিত জীবনের কর্মস্রোতে ভেসে চলেছি নিরন্তর। কে কাকে মনে রাখে! চলার পথে কতো কিছুই তো ঘটে, জীবনের ডায়রিতে সব লেখা থাকে না।
এরমধ্যে একদিন ধরলা ব্রিজে তার সাথে আমার দেখা হয়ে গেল। রেলিং এ ভর দিয়ে একাগ্রচিত্তে সে দা°ড়িয়ে আছে। চুলগুলো উড়ছে এলোমেলো হাওয়ায়। নিষ্পৃহ দৃষ্টি দূরে কোথাও নিবদ্ধ। আলাপিত হওয়ার আনন্দ নিয়ে তার পাশে গিয়ে দা°ড়াই। প্রবাহমান জলে খেলা করে শেষ বিকেলের সোনা রোদ। বিমুগ্ধ নয়নে দেখি বকের সারির দলবে°ধে ওড়াউড়ি। এভাবে অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়। মেয়েটির কোনো ভাবান্তর নেই। মৃর্তির মতো ঠা°য় দা°ড়িয়ে আছে।
শুনুন? এই যে শুনছেন?
প্রথম ডাকে কোনো সাড়া নেই। দ্বিতীয় ডাক মেয়েটির গভীর তন্ময়তার বিচ্যুতি ঘটাতে সক্ষম হল। সে ঘাড় ঘুরিয়ে চকিত চাহনি নিক্ষেপ করে আবার মুখ ফিরিয়ে নিলে। কা°দছিল সে; শব্দহীন চাপা কান্না। চোখদু'টি জলে ছলছল করছে। অভিব্যক্তিতে গাঢ় বিষন্নতার ছাপ। কষ্ট যেন মেয়েটিকে কুরে কুরে খাচ্ছে। ওড়নায় চোখ মুছে নির্লিপ্ত স্বরে বলে, 'ভালো আছেন?' ইস! সেদিন আপনি না এলে খুব বিপদ হত।
-' ব্যথা কি সেরেছে?'
মেয়েটি মাথা নেড়ে জানিয়ে দেয় ব্যথা সেরেছে।
-'এখানে আপনি বুঝি প্রায়ই আসেন?:
-'প্রতিদিনই আসি। পাশেই তো আমার বাসা। বাসা মানে ভাড়া বাসা। আসল বাসা বগুড়া।
এখানে একটা এনজিওতে সবে যোগদান করেছি।'
স্মিত হেসে বলি, 'খুব ভাল। আপনার নামটি জানতে পারি? প্লিজ।'
-বিজলী
-'বাহ: সুন্দর নাম।'
আমিও আমার পরিচয় গড়গড় করে উগড়ে দেই। নাম শাহিন। বাড়ি রংপুর। অষুধ কোম্পানীতে কর্মরত।
পরিচয়ের পর থেকেই মনের ভেতর গভীর এক টান অনুভূত হতে লাগল। শত কাজের ভীড়েও সে ছায়ার মতো সারাক্ষণ থাকত মনে। ঝেড়ে- মুছে ফেলে দেই। আবার দেখি মনের মনের জানালায় উ°কি মারে অহর্নিশ। অদ্ভুত এক অদৃশ্য শক্তি আমাকে পরাস্ত করে টেনে হি°চড়ে নিয়ে যেতে লাগল ধরলার পাড়ে। ব্রিজের ওপর দিয়ে পাশাপাশি হে°টে চলেছি দু'জনে প্রতিদিন। ধরলার পাড় ধরে গিয়েছি বহুদূর। কখনো বা তীরে বসে সাজিয়েছি গল্পের পসরা। কিন্তু বিজলী এমন কেন? কথা বলতে বলতে হঠাৎ আনমনা হয় যায়। চোখদু'টি জলে ভরে ওঠে। বড়বেশি দুর্বোধ্য লাগে বিজলীকে। কীসের কষ্ট মেয়েটিকে ধু°কে ধু°কে মারছে? আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে। বোঝাতে পারিনা, তার কষ্টগুলো আমার বুকের সাগরে ভেসে বেড়ায়; ছু°তে চাই- পারি না। দু:সহ এই কষ্টভার কতদিন বয়ে বেড়াব। মনস্থির করেছি এবার তাকে জানাব ভালবাসার কথা।
সেদিন ধরলা ব্রিজের শেষ প্রান্তে তার সাথে দেখা হল। নদীর বহতা জলের দিকে তাকিয়ে আপন ভাবনায় বু°দ হয়ে ছিল সে। বিষন্নতা লেপ্টে ছিল তার মুখখানিতে। দু'চোখে জলের বন্যা। কাছে গিয়ে ডাকতেই সে অশ্রুসিক্ত চোখ মুছে আমার দিকে তাকাল।
আঙ্গুল উ°চিয়ে বললাম,' চলো ঐ দিকটায় গিয়ে বসি। আজ তোমার সাথে আমার অনেক কথা আছে।'
নদীর পাড় ধরে দক্ষিনে একটি হেলেপড়া গাছের তলে গিয়ে বসি। সুনসান নীরবতা। গাছ গাচষছালিতে ভরা চারদিক। বুনোফুলের মিষ্টি গন্ধ ভাসছে বাতাসে। সবুজে ঘেরা নির্মল পরিবেশে খুব সুন্দর লাগছে বিজলীকে। শান্ত বিকেলের স্নিগ্ধতা বিজলীর চোখে- মুখে লুটোপুটি খাচ্ছে। অপলক চেয়ে থাকি; সে লজ্জাবতীর মতো গুটিয়ে যায়। এরপর একবার আকাশ পানে, একবার বিক্ষুব্ধ জলের পানে এবং শেষে বিজলীর মুখপানে চেয়ে গড়গড় করে এক নিশ্বাসে বললাম, ' বিজলী, আমি তোমাকে ভালবাসি, আমি তোমায় ছাড়া বা°চতে পারব না।'
বিজলী খিলখিল শব্দে হেসে উঠল; আমি যেন কা°চের চুড়ির রিনিঝিনি শুনি। বিজলীর হাতকে নিজের হাতে মুঠোবন্দী করে ব্যাকুল স্বরে বললাম, 'হাসছো কেন বিজলী? এ যে আমার মনের গহীনের লুকানো কথা; আমাকে ফিরিয়ে দিও না।'
উচ্ছলতা উবে গিয়ে কালো মেঘের ছায়া এসে ভর করেছে বিজলীর মুখে।
মোলায়েম সুরে ডাকলাম, 'বিজলী?'
ফু°পিয়ে কা°দতে লাগল সে। কান্নার দমকে শরীর কে°পে উঠল ক্ষণে ক্ষণে। উচ্ছ্বসিত কান্নার বেগ সংবরনে দু'হাতে মুখ ঢাকল।
-'বিজলী, কা°দছো কেন? কী হয়েছে তোমার? আমাকে বল।'
কান্নাভেজা কন্ঠে বলল, 'না, না, এ হয় না, হতে পারে না।'
-'কেন হবে না? আমি কি তোমার যোগ্য নই?'
-'ঠিক তা নয়। আমি, আমি যে--
অনুনয়ের সুরে বলি, 'বল বিজলী; তোমাকে বলতেই হবে।'
- 'আমি যে-
-'বলো, বল বল। আমি যে---কী তুমি?'
-'আমি যে ধর্ষিতা' বলেই ডুকরে কে°দে উঠল।'
উত্তপ্ত লোহার পেরেক কে যেন আমার দু'কানে ঢুকিয়ে দিল। আমি বিষম যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠলাম। আমার বুকে বড় ধরনের ভূমিকম্প চলছে। সমস্ত শরীর ক্ষণে ক্ষণে কে°পে উঠছে। বিজলীও ফুপিয়ে ফুপিয়ে সমানে কা°দছে।- -'তুমি মিথ্যে বলছ। আমি বিশ্বাস করি না।' বিজলী বলল, 'আমি মিথ্যে বলি না। আমি তখন বিএ পরীক্ষা শেষ করেছি। আমাদের গ্রামের জিসান নামে একজনকে খুব ভালবাসতাম। সেও আমাকে ভালবাসত। একদিন বাসায় বাবা-মা কেউ ছিল না। একা পেয়ে সে খারাপ কিছু করতে উদ্যত হল। সজোরে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলাম তাকে। আবার সে উন্মত্ত বেগে লাফিয়ে পড়ে আমার উপর। আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মুখ চেপে ধরে'- কথা শেষ না করতেই ঝুর ঝুর করে কে°দে ফেলল।
-'তারপর?'
'তারপর আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি। ওর পরিবার তথা অনেকেই মীমাংসার প্রস্তাব দিয়েছিল। ওর সাথে বিয়ে হবে মর্মে মামলা তুলে নিতে অনেক অনুরোধ করেছিল। আমি সবেগে তাদের প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছি। অসম্ভব! জেনে শুনে একজন ধর্ষককে মরে গেলেও বিয়ে করব না। '
-'তারপর?'
'বিচারের রায় ঘোষণা হয়েছে। এখন সে কারাগারের চার দেয়ালে বন্দী থেকে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। তার ফা°সির রায় শুনে সেদিন যে আমি কী খুশি। আনন্দের বা°ধভাঙ্গা জোয়ার তরতর করে বেয়ে চলছিল আমার মনে।
এ ঘটনার পর থেকে সমাজের মানুষদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত নিগৃহিত হতে থাকি। আমাকে দেখলেই ব্যঙ্গোক্তি করে। কটূক্তি করে। ঘৃণা আর অবজ্ঞায় নাক সি°টকায়-যেন আমি অপয়া, অস্পৃশ্য। ক্রমে বিষিয়ে উঠল আমার জীবন। গ্লানি, লজ্জা, অপমান নিয়ে বা°চি কী করে? মাঝেমধ্যেই আত্নহত্যার ঝো°ক আসে। নিজেই নিজেকে শাসিয়েছি বার বার। আমি মরবো কেন? মরবে ধর্ষক- ধর্ষিতারা বা°চবে, বে°চে থাকবে।
আমি কারও অনুকম্পা নিয়ে বা°চতে চাই না। তাইতো চাকরি করছি, নিজের পায়ে দা°ড়িয়েছি।'
এবার সে থামল।
সন্ধ্যা উতরে গেছে কখন খেয়ালই করিনি। ঘনান্ধকারে ঢাকা পড়েছে চারদিক। একহাত কাছেই বিজলী, তাকেও তো দেখছি না। গহীন অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছি। বিজলী কা°দছেই। সেই ঘনীভূত অন্ধকারে সে আমার হাতটি ধরে অঝোর ধারায় কা°দতে লাগল। ফো°টা ফো°টা চোখের জলে আমার হাতটি ভিজে গেল। করুণ স্বরে বলল, 'আমিও আপনাকে খুব ভালবাসি। ঐ যেদিন হাসপাতালে এনেছেন, ডাক্তার দেখিয়েছেন, সেদিন থেকেই। কত বিনিদ্র রজনী কেটে গেছে আপনাকে ভেবে ভেবে! সুখ- স্বপ্নের দোলায় আপনাকে নিয়ে দুলেছি প্রতিদিন। ভেবেছি প্রকাশ করব না। মনে মনে আজীবন ভালবেসে যাব কিন্তু আপনি জানিয়ে দিলেন আপনার ভালবাসা। আর তাই তো আমাকেও প্রকাশ করতে হল। সত্য একদিন প্রকাশ হবেই। মিথ্যে দিয়ে যা কিছু হোক ভালবাসা সুদৃঢ় হয় না।'
হাতটি ছেড়ে নিয়ে বিমর্ষ কন্ঠে বললাম, 'রাত বাড়ছে। চল,আর দেরি নয়।'
মাতালের মতো টলতে টলতে পথ চলছি। ভাবনাক্লিষ্ট মন। আমার পরিবার, সমাজ কিংবা অন্য কেউ মেনে নেবে কী? কখনোই না। আকাশ বাতাস ধ্বনিত হতে থাকবে, ছি, ছি, শেষ পর্যন্ত ধর্ষিতাকে বিয়ে!
বিজলী বলল, 'বসবে একটু?'
এতক্ষণ ঘোরের মধ্যেই ছিলাম। অবশ পা দু'টি টেনে টেনে কখন ব্রিজ পেরিয়ে বিজলীর বাসার দোরগোড়ায় পৌ°ছে গেছি বুঝতেই পারিনি।
আমি বললাম, 'না।'
বিজলী আমার খুব কাছে এসে মুখের দিকে স্থির দৃষ্টিতে চেয়ে থাকল। বুকের ভেতর থেকে গভীর দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ক্ষীণ স্বরে বলল,' কিছুই বললে না যে!'
-সম্ভব নয়" বলেই আবার হা°টা শুরু করলাম।
অন্তর্দ্বন্দ্বে নির্ঘুম রাত কেটে গেল। পরিবার, সমাজ -এসব কি ভালবাসার চেয়ে বড় হতে পারে? বিজলীকে ছাড়া জীবনটাকে মনে হল খা° খা° রসকষহীন মরুভূমি কিংবা পথ হারিয়ে আ°ধারে মিলিয়ে যাওয়া মানুষের মতো।
অতি প্রত্যুষে ছুটলাম বিজলীর কাছে। ভুল করেছি; বিজলীকে ফিরিয়ে দেয়া ঠিক হয় নি। উচ্চকিত স্বরে 'বিজলী' ' বিজলী ' বলে ডাকতে শুরু করলাম। চোখ কচলাতে কচলাতে একটি ছেলে বেরিয়ে এলো।
-'উনি তো কাল রাতেই চলে গিয়েছেন।'
- 'কোথায়? কোন ঠিকানা দিয়ে গেছে কি?:
- 'না। '
বুকটা হাহাকার করে উঠল।
তোমরা যদি কেউ কখনো বিজলীর দেখা পাও, তেজোদীপ্ত, বিদ্রোহিনী, বিজয়িনী সেই মেয়েটির, তাকে বল সে যেন ক্ষমা করে দেয়।
হারিয়ে যাওয়ার সময় ০৬/১২/১৯ চেন্নাই
আমিনুল ইসলাম
হারিয়ে যাওয়ার আগে সে বলে গেল,
ছড়িয়ে পড়ার আগেও বললো
তুমি খুব বোকা, পাক্কা হাদুরাম!
সে থেকেই, চোখের কোনে,
আয়নার ভেতর, ওঁত পেতে, অন্তঃসারশূন্য,
বিষুবরেখার পাঁজর ছুঁয়ে-
এঘর-ওঘর, হাতড়ে মরার পূর্বেই, হারিয়ে গেলাম...
হারিয়ে গেলাম, গতানুগতিক, পরম্পরা থেকে-
বিয়োগ স্পর্শ করে,
অথবা-
ফুঁ- য়ের গভীর থেকে, আগুনের সূত্রপাতে!
ধন্যবাদের সহিত
আমিনুল ইসলাম (কবি, গদ্যকার)
সম্পাদক ও পরিচালক:- ভুবনডাঙা ওয়েব ম্যাগাজিন ও প্রকাশনা।
সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য:- সমিধ পত্রিকা।
ই-মেল:- bhubondanga19@gmail.comঠিকানা:-
চালতিয়া, বারি সেবা নিকেতনের পাশে, বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ-৭৪২১০১
তুই সুখে থাকিস
বিপ্লব গোস্বামী
আমায় তুই করে পর
নূতন নিয়ে গড়ছিস ঘর !
আমায় মনে নাইবা রাকিস
তবু তুই সুখে থাকিস।
আমার খবর নাইবা রাকিস
তবু নূতনকে আলগিয়ে রাকিস।
আমিতো তোর যোগ্যই নই
সত্যিরে নূতন কই আর আমি কই !
আমারতো তোর কাছে শুধুই দেনা
এখন নূতন মিটাবে তোর সব বাহানা।
এতদিনে তোর মিটল আপদ
নূতনতো তোর স্থায়ী সম্পদ।
দোহাই তুই সত্যটা বল
আমার মতো সেও কি পাগল।
আমায় মনে নাইবা রাকিস
তবু তুই সুখে থাকিস।
মনপাড়ায়
মঞ্জুরুল হোসেন জুবায়েদ শেক
কেন জানি তোকে নিয়েই
লিখতে চাই এই গান-
কেন তুই আসিশ মনে
রাঙাতে এই প্রাণ।
তোকে ভেবে মনটা আমার
হয়ে যায়- মাতাল-
তোকে নিয়েই ভাবনা গুলো
আজি বেসামাল।
জানিনা ও কেন তুই- থাকিস এ মনপাড়ায়-
তোকে নিয়েই মনের মাঝে
স্বপ্নো কতে দেখি-
কল্পনা জুড়ে তোরই ছবি
স্বপ্নে শুধু আঁকি-
ভালোবাসার ইচ্ছে ঘুড়ির
সুতোই ধরে রাখি,
যেন তুই হারিয়ে না'জাস
হাতটি ধরে থাকি।
জানিনা- ও কেন তুই- থাকিস এ মনপাড়ায়-
হারানো গুপ্তধন
> *********************
> আখতারুল ইসলাম খোন্দকার
>
> জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ। এ বছর শীত টা একটু বেকেঁই বসেছে আর এর মধ্যে আমার ফুপাতো বনের বিয়ে।বাড়ী শুদ্ধ দাওয়াত তাও আবার চার পাচঁ দিনের জন্য।যাক ভাল হয়েছে,
> আমার এস,এস,সি'র টেস্ট পরীক্ষা শেষ তবে ছোট বোনটা নতুন ক্লাসে কিন্তু ক্লাস এখুনো সেভাবে শুরু হয়নি।মা'র তো সমস্যাইই নেই সব দিক থেকে উপযুক্ত সময় কয়েকটা দিন আনন্দ করার জন্য।
> মা ও বোনটাকে নিয়ে বিয়ের অনুসঠানে যোগ দেওয়ার জন্য গ্রামের বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আব্বা আমাদের সংগে নেই তিনি বৃহস্পতিবার অফিস ছুটির পর আসবে। আমরা বাস থেকে রিক্সাই উঠেছি, সরু পাকা রাস্তা তার দু' পাশে সব্জি ক্ষেত। মনোমুগ্ধকর দোলান বাতাসের ঝাপ্টাই শরীরটা যেন কেপেঁ উঠছে। দুরে একটা গ্রাম দেখা যায় সেখানেই আমরা যাব। আমাদের আগ বাড়িয়ে নিতে চাচাতো ভাইয়েরা এসেছে। দুপুরের আগেই আমরা পৌছে গেছি।
> আজ বুধবার আর শুক্রবার বিয়ে। অথচ এখুন থেকেই জমজমাট আয়োজন। গ্রাম্য মেয়েদের নাচ,গান আর লম্বা বাঁশের মাথাই লাগানো দু' টো মাইকে বিরতি হীন ভাবে চলছে গান বাজনা যেন বিয়ের আয়োজন পুরো এলাকা মগ্ন হয়ে পড়েছে। চার পাচঁ হাত দুর থেকে কেউ কথা বললে শোনা যায়না। হই হুল্লোড় আর রং মাখা মাখি নিয়ে ব্যস্ত বড়রাও
> পিছিয়ে নেই হুলি খেলাই। কে কাকে কোন ফাঁকে রং দিয়ে পালিয়ে যায় বোঝা মুশকিল।
> ফুঁপা অবশ্য আমাদের রং দিতে নিশেধ করে দিয়েছেন সবাইকে।
> এতো হৈ চৈ এর মধ্যে দিয়ে আক দিন পার করে দিলাম। আজ বৃহস্পতিবার গায়ে হলুদের দিন। আস্তে আস্তে লোকজনের সমাগম পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এখানে আসার পর থেকে যতটা
> আতিথেয়তা ছিল এখুন অনেক কম মনে হচ্ছে।
> কারন এতো লোকজনের মাঝে কে খেল আর কে খেলোনা এমন খোজ নেওয়ার সময় কারো নেই। তাই নিজের গরজে রাত আটটার মধ্যে খাবার শেষ করেছি। এখুন রাত প্রায় বারটা বাজতে চলল তবু সারাটা বাড়ী মেতে আছে নাচ,
> গান নিয়ে। আজকে কোথাই ঘুমাবো বুঝতে পারছিনা। গত রাতে ঘর অনেক গুলো ফাকাই ছিল। সমস্যার কথা মাকে জানিয়ে কাজ হলো না তিনিও বিয়ে নিয়ে মেতে আছেন। শীতের সময় না হলে যেখানে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়তাম। এখুন তো শুলেই হবেনা সাথে একটা গরম লেপেরও দরকার আছে। কিন্তু কি করবো বুঝতে পারছিনা।
> অনেক খোজা খুঁজির পর একটা ব্যবস্থা হয়েছে বলে মনে হলো। দাদীর ঘরে খাটের উপর জাইগা নেই তবে মেঝের ডান দিকে সারি করে ধানের বস্তা সাজানো তার পাশে কেউ একজন লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে। তার পাশে দু' একজন শোবার মতো জাইগা হবে তাই সেই সুজোগ টা কাজে লাগালাম। গায়ের শুয়েটার পরেই একটু লেপ টেনে নিয়ে শুয়ে পড়লাম। আমার ঠান্ডা হাত পা যেন পাশের জনকে স্পর্শ না করে তেমন সাবধানে নিজের কোলের মধ্যে গুঁজে নিলাম। কেননা, তার ঘুম ভেংগে গেলে
> আমাকে যদি এখানে শুতে না দেই এই ভয়ে চুপটি করে কাত হয়ে পড়ে থাকলাম। তখনো চোখে ঘুম আসেনি এমন সময় সে আমার পেছন দিকে ফিরে আমাকে অজাগর সাপের মত করে জড়িয়ে ধরলো । আচমকা ভয়ে আম আঁতকে উঠে শামুকের মতো নিজেকে গুটিয়ে নিলাম। অবস দেহে কাপটি মেরে থাকলাম কাঠেরপুতুল হয়ে। ও এমন ভাবে জাপটে ধরে আছে যে,আমার নড়া চড়া করার কোন উপায় ছিলোনা। ক্রমশ সে আমাকে উষনতার চাদরে ঢেকে ফেললো। কানের পাশে ওর ঘন ঘন গরম
> নিঃস্বাসের শব্দে কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বর্গ শুখের বাসিন্দার মতো ঘুমিয়ে পড়লাম।
> ভোর হতে না হতেই আবার গুঞ্জন আর মাইকের গান বাজনাই মুখরিত হয়ে উঠলো। মেয়েদের রানা বান্নার হাড়ির হট মট শব্দ, বাড়ির বাইরে থেকে গরু, খাসির মাংস কাটা আর ছেলে মেয়েদের চেঁচা মেচিতে গোটা বিয়ে বাড়ি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আমি অবশ্য ঘুমের ঘোরে এসব শুনছি। কিছুতেই আলসেমি কাটিয়ে উঠতে পারছিনা। ইচ্ছে থাকলেও আর ঘুমিয়ে থাকা গেলনা। এদিকে পিঠের নিচে কি যেন পড়েছে খুব ব্যথা করছে। চোখ খুলে দেখি পাশের জন নেই এবং খাটের উপরের সবাই উঠে গেছে। তাহলে পিঠের নিচে কিসে গুঁতা মারার মতো মনে হচ্ছে বুঝতে পারলাম না। বাধ্য হয়ে লেপ ঠেলে উঠে বসলাম। কি আশ্চর্য! আমি যেখানে শুয়ে ছিলাম সেখানে মেয়েদের মাথার ক্লিপ,পাশেই ক্ষোপা,চুলের ফিতা পড়ে আছে।
> আমি অবাক হয়ে ভাবতে লাগালাম এগুলো এখানে কেমন করে এলো।
> এতোক্ষনে বুঝলাম আমি কোন মেয়ের সংগে একই লেপের নিচে একে অপরকে জড়িয়ে ছিলাম। এও কি সম্ভব! আমাকে কেমন যেন ভাবিয়ে তুললো। বর্তমানে আমার বয়স ১৭/১৮ বছর হবে। এ সময় আমি অচেনা অজানা কোন এক মেয়ের সংগে রাত কাটালাম
> অথচ একটুও বুঝতে পারিনি। আমি সত্যিই আগে যদি জানতে পারতাম পাশের জন মেয়ে ছিল তাহলে..........!
> কেন জানতে পারলাম না, নিজেকে শুধু বকা দিতে ইচ্ছে করলো। গুপ্তধনের মতো দামী মানিক হাতের কাছে পেয়েও হারিয়ে ফেললাম।
> কোন ভাবেই মনকে বোঝাতে পারছিলাম না। এমন একটা জিনিষ এ বয়সে অমুল্য রত্নের চেয়েও বেশী কিছু। অথচ দুর্ভাগ্য আমি কোন টেরই পেলেম না। অসম্ভব রাগে নিজেকে ছিঁড়ে ফেলতে ইচ্ছে হলো। এতো সব ভাবতে ভাবতে আমার মাথে গুলিয়ে যাবার উপক্রম। হটাত একটা ১৫/১৬ বছরের মেয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকতে গিয়ে আমাকে দেখা মাত্রই ফিক করে হেসে পালিয়ে গেল।
মনে মনে সারা বাড়ি মেয়েটিকে খুজে ফিরছি
কিন্তু কোথাও পাইনা। আজকে আপুর বিয়ে। সকাল দশটার মত বাজে এখুন বউকে গোসল করানো হবে। আমরা ছোট বড় সবাই যেখানে গোসল করানো হবে সেখানে ভিড় জমিয়েছি। গোসলের সময় আদাগুঁড় খাওয়া নিয়ে অনেক আনন্দ হয়। বউয়ের মাথাই আদাগুঁড় মেশানো আতব চাউল রাখা হয় আর সবাই যে যেভাবে পারে ছিনিয়ে নিয়ে খেয়ে ফেলে। আর কয়েকজন তারা বিবিন্ন ভাবে বাধা দেই যেন না নিতে পারে। মার খেয়েও আদাগুড় খাওয়ার মজাই আলাদা। হটাৎ ঐ মেয়েটিকে দেখি যেই আদাগুড় নিয়ে পালাবে ওমনি একজন আম গাছের পাতাওয়ালা ডাল দিয়ে মেরেছে আর ও মার খেয়েই পালিয়েছে। আমিও ওর পিছনে দৌড়ে আসলাম। কিন্তু তাকে আর কোথাও খুঁজে পেলামনা।
> এক ঝলক দেখেছি মাত্র তাতেই মেয়েটিকে আমার অনেক ভাল লেগেছে। দেখতে সত্যিই সুন্দরি, হালকা পাতলা গঠন এক কাথাই মনে ধরার মতো। এর আগে ওকে কোথাও দেখেছি বলে মনে হয়না। কে হতে পারে মেয়েটি জল্পনা কল্পনা করেও বের করতে পারছিনা। চেস্টার ক্রুটি করিনি তবু মেয়েটির কোন সন্ধান পাইনি। কিন্তু তাকে আর একটিবার দেখার আদম্য কৌতুহল যেন আমাকে পেয়ে বসলো। নাওয়া খাওয়া ছেড়ে সারা বাড়ি তন্য তন্য করে খুঁজেছি। বিয়ের আনন্দটাই আমার ম্লান হয়ে গেছে। হারানো গুপ্তধন খোজার প্রবল
> ইচ্ছে নিয়ে বাসাই ফিরে আসলাম। অনেক দিন
> পার হয়ে গেছে, এখুনো ঐ মেয়েটিকে মনে মনে
> খুজে ফিরি............!
> *******************
>
> আখতারুল ইসলাম খোন্দকার
> গ্রাম- বিদির পুর
> পোস্টঃ বসন্ত কেদার -৬২১০
> উপঃ মোহন পুর
> জেলা- রাজশাহী
> বাংলাদেশ।
যুদ্ধে এসো
আরিফ খান
তারিখঃ ০৬/১২/২০১৯
অগ্নি শিখায় জ্বলছি আজও মোরা বাঁকে বাঁকে,
রুখে দাঁড়াও আজকে সবাই মানবতার ডাকে।
হিংসা বিভেদ ভুলে এসো বৃদ্ধ তরুণ প্রাণ,
আয় রে সবাই রক্ষা করি বাংলা মায়ের মান।
করিস না আর অবহেলা শোন রে সকল মানব,
অধিকারের যুদ্ধ করে ধ্বংস করবো দানব।
গনতন্ত্র রাষ্ট্র মোদের কিসের এত ভয়
অন্যায় কে যে প্রশ্রয় দেওয়া সংবিধানেও নয়।
আমি দেশার্তহীন নয়, মানবতা বিরোধী নয়
অগ্নি শিখায় জ্বলে আজ ঐ মানবতার ক্ষয়!
অধিকারে বঞ্চিত আজ আমি একা নয়
সকল জ্ঞাতিই আজ অধিকার বঞ্চিত হয়।
নেতার চিন্তা আসন পাবার, লোভীর চিন্তা লাভে,
আমজনতার চিন্তা শুধু অধিকার টা পাবে।
এসো যুবক কর্দন মিলে মানবতার ডাকে
অধিকারটা আদায় করি বাঁচাই বাংলা মাকে।