Monday, March 29, 2021

আমার দেখা নয়া চীন .pdf আমার দেখা নয়া চীন বুক রিভিউ । আমার দেখা নয়া চীন মূল্য ।

 


বইটি dawnload দিতে এখানে ক্লিক করুন




বুক রিভিউ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

অপেক্ষা ( হুমায়ূন আহমেদ) . Pdf . অপেক্ষা বইটির বুক রিভিউ ।

 অপেক্ষা বইটি 👇

Dawnload করতে এখানে ক্লিক করুন



বইঃ অপেক্ষা
লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
প্রকাশনঃ আফসার ব্রাদার্স
প্রকাশকালঃ ডিসেম্বর ১৯৯৭
প্রকাশকঃ আসমা আরা বেগম
মুদ্রিত মুল্যঃ ৩০০ টাকা।
রেটিংঃ ৪.৬ /৫

গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রমূহঃ



হাসানুজ্জামান, সুরাইয়া, ইমন, সুপ্রভা, জামিলুর রহমান, মিতু, ফিরোজ, শোভন ও টোকন।

 

কাহিনী সংক্ষেপঃ

ইমনের( হাসানুজ্জামানের ছেলে) তখন ৫ বছর বয়স। সুরাইয়ার গর্ভে সুপ্রভা(হাসানুজ্জামানের মেয়ে)। বেশ ভালোই কাটছিল তাদের দিন। তাদের সাথে থাকে ফিরোজ (হাসানুজ্জামানের ভাই)। এক দুপুরবেলায় হাসানুজ্জামানের সাথে কথা হয় সুরাইয়ার(হাসানুজ্জামানের স্ত্রী)। কিন্তু ওইদিন রাতে আর ফেরেন না হাসানুজ্জামান সাহেব। তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে থাকে ফিরোজ। কিন্তু তার খোঁজ পায় না। এর মাঝে জন্ম নেয় সুপ্রভা। এরপরে থেকে অত্যন্ত খিটখিটে মেজাজের হয়ে যায় সুরাইয়া। যা গল্পের প্রায় শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। কাউকেই প্রায় সহ্য করতে পারে না। এমনকি শিশু সুপ্রভাকেও সে সহ্য করতে পারে না। এর কিছুদিন পরে সে চলে যায় তার (সুরাইয়ার) ভাই (জামিলুর রহমান) এর বাড়িতে। সেখানে তার ভাই-ভাবি ছাড়াও ছিল তাদের তিন ছেলে মেয়ে (মিতু, শোভন এবং টোকন)।

সেখানে বড় হতে থাকে ইমন ও সুপ্রভা। মিতু অত্যন্ত চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে ছিল এবং এই চঞ্চল প্রকৃতি বড় হওয়ার পরেও অব্যাহত ছিল। এবং শোভন ও টোকন বড় হতে হতে বখে যায় এবং সন্ত্রাসের সাথে জড়িয়ে যায়। ফলে তাদেরকে জেলও খাটতে হয় কয়েকবার। এর মধ্যে জামিলুর রহমানের বাড়িতে আসত এক পীর। সে বলেছিল ইমনের বিয়ের দিন হাসানুজ্জামানের ফেরার কথা। সেই আশায় ছেলের বিয়ের জন্য অপেক্ষা করে সুরাইয়া। অবশেষে ইমনের বিয়েও হয়ে যায়।

কিন্তু ইমনের বাবা কি ফিরেছিলো সেই রাতে??

কার সাথে বিয়ে হয়েছিল ইমনের??

কি হলো শেষ পর্যন্ত সুপ্রভার??

কি হলো শেষ পর্যন্ত ফিরোজের??

এই সবকিছুর উত্তর আছে ‘অপেক্ষা’ বইটিতে।

 

ব্যক্তিগত মতামতঃ

জগতের কঠিন কিছু বাস্তবতা প্রকাশ পেয়েছে এই বইয়ে। অনেক অপ্রিয় বাস্তবতাও প্রকাস পেয়েছে এখানে। সেই সাথে কিছু অপ্রিয় সত্যিও উঠে এসেছে এই উপন্যাসে। মেনে নিতে না পারলেও সত্যি তো সত্যিই। জীবনকে চেনার, বাতবতাকে বোঝার জন্য দারুন একটি বই।


...............................................................


গুরুত্বপূর্ণ বিপরীত শব্দ: খাতক শব্দের বিপরীত শব্দ কি – মহাজন বিষাদ এর বিপরীত শব্দ – হর্ষ সরল এর বিপরীত শব্দ – কুটিল বিদিত এর বিপরীত শব্দ – অজ্ঞাত আকস্মিক এর বিপরীত শব্দ – চিরন্তন নন্দিত এর বিপরীত শব্দ -নিন্দিত সংশয় এর বিপরীত শব্দ – প্রত্যয় ভূত এর বিপরীত শব্দ কি – ভবিষ্যৎ ভূত শব্দের বিপরীত শব্দ – ভবিষ্যৎ প্রাচীন এর বিপরীত শব্দ – অবার্চীন খাতক এর বিপরীত শব্দ – মহাজন দুর্দান্ত এর বিপরীত শব্দ – নিরীহ মক এর বিপরীত শব্দ – বাচাল আপদ এর বিপরীত শব্দ – সম্পদ ভূত শব্দের বিপরীত শব্দ কী – ভবিষ্যৎ উচাটন এর বিপরীত শব্দ – প্রশান্ত মরদ এর বিপরীত শব্দ – জেনানা সংশয় এর বিপরীত শব্দ কি – প্রত্যয় ভূত শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি – ভবিষ্যৎ স্থির শব্দের বিপরীত শব্দ – চঞ্চল ঋজু এর বিপরীত শব্দ – বক্র বিলাপ এর বিপরীত শব্দ কি – হাস্য শ্রেষ্ঠ বিপরীত শব্দ – নিকৃষ্ট ক্রোধ এর বিপরীত শব্দ – ক্ষমা শহীদ এর বিপরীত শব্দ – গাজি অর্জন এর বিপরীত শব্দ – বর্জন অন্ত শব্দের বিপরীত শব্দ – সরল বিপরীত শব্দ – অনন্ত ঔদ্ধত্য এর বিপরীত শব্দ – বিনয় সুশীল এর বিপরীত শব্দ কি – দুঃশীল আলো এর বিপরীত শব্দ কি – আঁধার/অন্ধকার এখন এর বিপরীত শব্দ – তখন চঞ্চল এর বিপরীত শব্দ – অবিচল গুণ এর বিপরীত শব্দ – দোষ অনুগ্রহ বিপরীত শব্দ – নিগ্রহ বিদিত এর বিপরীত শব্দ – অজ্ঞাত সৌম্য এর বিপরীত শব্দ কি – উগ্র আদিষ্ট এর বিপরীত শব্দ কোনটি – নিষিদ্ধ নিষেধ এর বিপরীত শব্দ – বিধি অনুরাগ এর বিপরীত শব্দ – বিরাগ আসার শব্দের এর বিপরীত শব্দ – চিহ্ন রাগ এর বিপরীত শব্দ – বিরাগ ক্ষীয়মাণ এর বিপরীত শব্দ – বর্ধমান খিড়কি এর বিপরীত শব্দ – সিংহদ্বার তাপ এর বিপরীত শব্দ – সৈত্য গ্রহণ এর বিপরীত শব্দ – বর্জন আদর্শ এর বিপরীত শব্দ – কোমল এর বিপরীত শব্দ – কর্কশ সন্ধি এর বিপরীত শব্দ কি – বিবাদ/বিগ্রহ ইদানিং এর বিপরীত শব্দ – তদানীং সংশয় এর বিপরীত শব্দ – প্রত্যয় ম্লান এর বিপরীত শব্দ – উজ্জ্বল প্রসারণ এর বিপরীত শব্দ – আকুঞ্চন স্বার্থ এর বিপরীত শব্দ – পরার্থ আশা এর বিপরীত শব্দ – নিরাশা সতীন এর বিপরীত শব্দ – শ্রেষ্ঠ এর বিপরীত শব্দ কি – নিকৃষ্ট অন্তরঙ্গ এর বিপরীত শব্দ – বহিরঙ্গ প্রায়শ এর বিপরীত শব্দ কি – কদাচিৎ ঔদার্য এর বিপরীত শব্দ – কার্পণ্য অলীক এর বিপরীত শব্দ – সত্য/বাস্তব বিপদ এর বিপরীত শব্দ কি – সম্পদ মনীষা এর বিপরীত শব্দ – নির্বোধ আকস্মিক এর বিপরীত শব্দ – উত্তীর্ণ এর বিপরীত শব্দ – অনুত্তীর্ণ সংশয় এর বিপরীত শব্দ কি – প্রত্যয় দুহিতার বিপরীত শব্দ – পুত্র মুগ্ধ এর বিপরীত শব্দ – বেজার/ বিরক্ত ব্যস্ত এর বিপরীত শব্দ কি – মসৃণ এর বিপরীত শব্দ কী – অমসৃণ / বন্ধুর বিজিত এর বিপরীত শব্দ – বিজয়ী পরাস্ত এর বিপরীত শব্দ – জয়ী সৌম্য এর বিপরীত শব্দ – উগ্র বিধবার বিপরীত শব্দ – সধবা জঙ্গম এর বিপরীত শব্দ – স্থাবর অনুরোধ এর বিপরীত শব্দ – উপরোধ তন্ময় এর বিপরীত শব্দ – মৃন্ময় আবিষ্কার এর বিপরীত শব্দ – অনাবিষ্কৃত যোজক এর বিপরীত শব্দ কি – বিয়োজক গৃহী শব্দের বিপরীত শব্দ – সন্ন্যাসী পরার্থ বিপরীত শব্দ – স্বার্থ রুষ্ট বিপরীত শব্দ – তুষ্ট মধুর বিপরীত শব্দ – কটু/তিক্ত দুর্দান্ত এর বিপরীত শব্দ – নিরীহ মনীষা শব্দের বিপরীত শব্দ কি – নির্বোধ বিলুপ্ত এর বিপরীত শব্দ – পরবর্তী এর বিপরীত শব্দ – পূর্ববর্তী নৈসর্গিক এর বিপরীত শব্দ – কৃত্রিম স্রোতের বিপরীত শব্দ – প্রাচীন এর বিপরীত শব্দ – অর্বাচীন নিরীহ এর বিপরীত শব্দ – দুর্দান্ত অন্ত বিপরীত শব্দ – অনন্ত অলীক এর বিপরীত শব্দ কি – বাস্তব আবির্ভাব এর বিপরীত শব্দ – তিরোভাব শ্রেষ্ঠ এর বিপরীত শব্দ – নিকৃষ্ট বিরক্ত এর বিপরীত শব্দ – অনুরক্ত অনুপ্রেরণার বিপরীত শব্দ – আরোহণ এর বিপরীত শব্দ – অবরোহণ দম্ভ এর বিপরীত শব্দ – বিনয় গুরু এর বিপরীত শব্দ – লঘু পরার্থ এর বিপরীত শব্দ – স্বার্থ জঙ্গম এর বিপরীত শব্দ কি – স্থাবর দুহিতা এর বিপরীত শব্দ কি – পুত্র হরদম এর বিপরীত শব্দ – কদাচিৎ ঊষর এর বিপরীত শব্দ – উর্বর পৃথিবীর বিপরীত শব্দ কি – খাতক এর বিপরীত শব্দ – মহাজন আগমন এর বিপরীত শব্দ – প্রস্থান আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিপরীত শব্দ ১. খাতক —– মহাজন ২. প্রাচ্য —– পাশ্চাত্য ৩. আর্বিভাব —– তিরোভাব ৪. সন্ধি —– বিগ্রহ ৫. প্রসন্ন —– বিষন্ন ৬. প্রারম্ভ —– শেষ ৭. ক্ষীয়মান —– বর্ধমান ৮. বিপন্ন —– নিরাপদ ৯. আদিষ্ট —– নিষিদ্ধ ১০. আসামী —– ফরিয়াদী ১১. আরোহন —– অবরোহণ ১২. আপদ —– সম্পদ ১৩. আবৃদ —– অনাবৃত ১৪. আকর্ষন —– বিকর্ষণ ১৫. উচাটন —– প্রশান্ত ১৬. উৎকর্ষ —– অপকর্ষ ১৭. উদ্ধত —– বিনীত ১৮. উদার —– সংকীর্ণ ১৯.মূর্ত —– বিমূর্ত ২০. যৌবন —– বার্ধক্য ২১. ঋজু —– বক্র ২২. ওস্তাদ —– সাগরেদ ২৩. নির্মল —– পঙ্কিল ২৪. প্রশ্বাস —– নিঃশ্বাস ২৫. প্রকৃষ্ট —– নিকৃষ্ট ২৪. কৃষ্ণ —– শুভ্র ২৫. উন্নীত —– অবনমিত ২৬. প্রচ্ছন্ন —– ব্যক্ত ২৭. প্রাচীন —– নব্য/নবীন ২৮. গরল —– অমৃত ২৯. সকর্মক —– অকর্মক ৩০. রুদ্ধ —– মুক্ত ৩০. হরদম —– কদাচিৎ ৩১. নির্লজ্জআর্ভিভূত—–তিরোহিত ৩২. আকুঞ্চন —– প্রসারণ ৩৩. আগমন —– নির্গমন/প্রস্থান ৩৪. আদিম —– অন্তিম ৩৫. আর্ভিভূত —– তিরোহিত ৩৬. নিরাকার —– সাকার ৩৭. নিচেষ্ট —– সচেষ্ট ৩৮. হর্ষ —– বিষাদ ৩৯. আকুঞ্চন —– প্রসারণ ৪০. আগমন —– নির্গমন/প্রস্থান ৪১. আদিম —– অন্তিম ৪২. শীঘ্র —– বিলম্ব ৪৩. হৃদ্য —– ঘৃণ্য ৪৪. রুষ্ট —– তুষ্ট ৪৫. তিরস্কার —– পুরস্কার ৪৬. গৃহী —– সন্ন্যাসী ৪৭. সংযোগ —– বিয়োগ ৪৮. সচ্ছল —– অসচ্ছল ৪৯. ক্ষীণ —– পুষ্ট ৫০. রুদ্ধ —– মুক্ত সন্ধি বিচ্ছেদ বিভিন্ন পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি বার আসা ৫১. ক্ষিপ্ত —– শান্ত ৫২. সংক্ষিপ্ত —– বিস্তৃত ৫৩. সংকুচিত—–প্রসারিত ৫৪. আদি —–অন্ত ৫৫. আদান—–প্রদান ৫৬. আস্থা—–অনাস্থা ৫৭. লোভী—–র্নিলোভী ৫৮. আমদানি—–রপ্তানি ৫৯. আবশ্যক —–অনাবশ্যক ৬০. আশা—–নিরাশা ৬১. প্রতিযোগী—–সহযোগী ৬২. ইতর—–ভদ্র ৬৩. ইতি—–শুরু ৬৪. ইচ্ছুক—–অনিচ্ছুক ৬৫. আবিল—–অনাবিল ৬৬. উদয়—–অস্ত ৬৭. উত্তপ্ত—–শীতল ৬৮. প্রকৃত—–অপ্রকৃত ৬৯. পূর্ববতী—–পরবতী ৭০. ঈর্ষা—–প্রীতি ৭১. উজ্জ্বল —– অনুজ্জ্বল ৭২. উর্বর —– অনুর্বর ৭৩. উপকারিতা —– অপকারিতা ৭৪. উপস্থিত —– অনুপস্থিত ৭৫. ঊষর —– ঊর্বর ৭৬. ঊষা —– সন্ধ্যা ৭৭. উড়ন্ত —– পড়ন্ত ৭৮. উত্থিত—– পতিত ৭৯. উৎরাই—– চরাই ৮০. ঊর্ধ্বতন —– অধস্তন ৮১. ঐহিক —– পারত্রিক ৮২. ঐচ্ছিক —– আবশ্যিক ৮৩. ঊহ্য —– স্পষ্ট ৮৪. একতা —– বিচ্ছিন্নতা ৮৫. কঠিন —– কোমল ৮৬. কনিষ্ঠ —– জ্যেষ্ঠ ৮৭. কৃতজ্ঞ —– কৃতঘ্ন/অকৃতজ্ঞ ৮৮. ঐতিহাসিক —– অনৈতিহাসিক ৮৯. ঔদ্ধত্য —– বিনয় ৯০. কুৎসিত —– সুন্দর ৯১. কাপুরুষ —–বীরপুরুষ ৯২. কল্পনা —– বাস্তব ৯৩. কুমেরু —– সুমেরু ৯৪. খ্যাতি —–অখ্যাতি ৯৫. খোঁজ —–নিখোঁজ ৯৬. খুঁত —–নিখুঁত ৯৭. খুব —– অল্প ৯৮. গরিষ্ঠ —– লগিষ্ঠ ৯৯. গুরু —– লঘু ১০০. গ্রাহ্য —–অগ্রাহ্য ১০১. ঘন —–তরল ১০২. গাঢ় —–পাতলা ১০৩. গ্রামীন —–নাগরিক ১০৪. ঘাটতি —–বাড়তি ১০৫. ঘাত —–প্রতিঘাত ১০৬. চঞ্চল —–স্থির/অবিচল ১০৭. চতুর —–বোকা ১০৮. ঘাট —–অঘাট ১০৯. চড়াই —–উৎরাই ১১০. চলিত —–সাধু ১১১. চাকুষ —–অগোচর ১১২. চিন্তনীয় —–অচিন্তনীয় ১১৩. জয় —– পরাজয় ১১৪. জন্ম —– মৃত্যু ১১৫. জীবন —– মরণ ১১৬. জ্ঞাতসারে —– অজ্ঞাতসারে ১১৭. জোয়ার —–ভাটা ১১৮. জীবিক —– মৃত ১১৯. জটিল —– সরল ১২০. জাগ্রত —– সুপ্ত/ঘুমন্ত ১২১. জ্ঞানী —– মূর্খ ১২২. জাতীয় —– বিজাতীয় ১২৩. জরিমানা —– বকশিস ১২৪. তাপ —– শৈত্ ১২৫. তরল —– কঠিন ১২৬. তৃপ্ত —– অতৃপ্ত ১২৭. ঝুনা —– কাঁচা ১২৮. ঝগড়া —– ভাব ১২৯. তেজি —– মন্দা ১৩০. তিমির —– আলো ১৩১. ঠিক —– বেঠিক ১৩২. থৈ —– অথৈ ১৩৩. দুর্বল —– সবল ১৩৪. দ্বিধা —– নির্দ্বিধা ১৩৫. দুর্দিন —– সুদিন ১৩৬. দুর্গম —– সুগম ১৩৭. দিবা —– নিশি ১৩৮. দয়ালু —– নিষ্ঠুর ১৩৯. দ্যুলোক —– ভূলোক ১৪০. দেশি —– বিদেশী ১৪১. দুঃশীল —– সুশীল ১৪২. ধনাত্মক —– ঋনাত্মক ১৪৩. ধৃত —– মুক্ত ১৪৪. ধীর —– অধীর ১৪৫. ধনবান —– ধনহীন ১৪৬. ধর্ম —– অধর্ম ১৪৬. ধনী —- -নিঃস্ব ১৪৭. নিদ্রিত —– জাগ্রত ১৪৮. নিরত —– বিরত ১৪৯. নন্দিত —– নিন্দিত ১৫০. নিয়ন্ত্রিত —– অনিয়ন্ত্রিত ১৫১. নর —– নারী ১৫২. পন্ডিত —– মূর্খ ১৫৩. প্রকাশ —– গোপন ১৫৪. পরকাল —– ইহকাল ১৫৫. প্রতিকূল —– অনুকূল ১৫৬. প্রশংসা —– নিন্দা ১৫৭. প্রবীণ —– নবীন ১৫৮. প্রকৃতি —– বিকৃতি ১৫৯. প্রস্থান —– আগমন ১৬০. প্রশান্তি —– অশান্তি ১৬১. প্রফুল্ল —– ম্লান ১৬২. প্রত্যক্ষ —– পরোক্ষ ১৬৩. প্রবাসী —– স্বদেশী ১৬৪. পরিশোধিত —– অপরিশোধিত ১৬৫. পড়া —– উঠা ১৬৬. পক্ষ —– বিপক্ষ ১৬৭. ফলবান —– নিষ্ফলা ১৬৮. ফল —– অফল ১৬৯. প্রচুর —– অল্প ১৭০. পদার্থ —– অপদার্থ ১৭১. ফাঁপা —– নিরেট ১৭২. বিধি —– নিষেধ ১৭৩. বরখাস্ত —– বহাল ১৭৪. বিনীত —– দুর্বিনীত ১৭৫. বক্তা —– শ্রোতা ১৭৬. বিরল —– বহুল ১৭৭. বিজ্ঞ —– অজ্ঞ ১৭৮. বাচাল —– সল্পভাষী ১৭৯. ব্যর্থ —– সার্থক ১৮০. বিরহ —– মিলন ১৮১. ব্যক্ত —– সুপ্ত ১৮২. বিজন —– সজন ১৮৩. বন্ধন —– মুক্তি ১৮৪. বাদী —– বিবাদী ১৮৫. বন্ধুর —– মসৃণ ১৮৬. বিশ্রী —– সুন্দর ১৮৭. ভীরু —– নির্ভীক ১৮৮. ভেজাল —– খাঁটি ১৮৯. ভদ্র —– ইতর ১৮০. ভূমিকা —– উপসংহার ১৮১. মনীষা —– নির্দোষ ১৮২. মনোযোগ —– অমনোযোগ ১৮৩. মর্যাদা —– অমর্যাদা ১৮৪. মধুর —– তিক্ত ১৮৫. মুখ্য —– গৌণ ১৮৬. মুক্ত —– বন্দি ১৮৭. মৌখিক —– লিখিত ১৮৮. মৃদু —– প্রবল ১৮৯. মিথ্যা —– সত্য ১৯০. মোটা —– সরু ১৯১. যশ —– কলঙ্ক ১৯২. যান্ত্রিক —– প্রাকৃতিক ১৯৩. মহাত্মা —– নীচাত্মা ১৯৪. মানা —– অমানা ১৯৫. মিল —– অমিল ১৯৬. যুক্ত —– বিযুক্ত ১৯৭. রুগ্ন —– সুস্থ ১৯৮. রাজা —– প্রজা ১৯৯. যুগল —– একক ২০০. লঘিষ্ট —– গরিষ্ঠ ২০১. লম্ব —– তির্যক ২০২. লাজুক —– নির্লজ্জ ২০৩. লিপ্সা —– বিরাগ ২০৪. রত —– বিরত ২০৫. রক্ষক —– ভক্ষক ২০৬. লৌকিক —– অলৌকিক ২০৭. লেন —– দেন ২০৮. শূন্য —– পূর্ণ ২০৯. শোভন —– অশোভন ২১০. শুকনা —– ভিজা ২১১. শিষ্ট —– দূরন্ত ২১২. শত্রু —– মিত্র ২১৩. শোক —– হর্ষ ২১৪. শহিদ —– গাজী ২১৫. সুখ্যাতি —– অখ্যাতি ২১৬. সৃষ্টি —– ধবংস ২১৭. স্থির —– চঞ্চল ২১৮. সিক্ত —– শুল্ক ২১৯. সৌখিন —– পেশাদার ২২০. সুশ্রী —– কুশ্রী ২২১. সাদৃশ —– বৈসাদৃশ ২২২. সমতল —– অসমতল ২২৩. সুদর্শন —– কুদর্শন ২২৪. সতী —– অসতী ২২৫. সতর্ক —– অসতর্ক ২২৬. সঞ্চয় —– অপচয় ২২৭. সজীব —– নির্জীব ২২৮. সংশ্লেষণ —– বিশ্লেষণ ২২৯. সচ্চরিত্র —– দুশ্চরিত্র ২৩০. হ্রাস —– বৃদ্ধি ২৩১. হালকা —– ভারী ২৩২. হিসেবী —– বেহিসেবী ২৩৩. আঁঠি —– শাঁষ ২৩৪. আহার —– অনাহার ২৩৫. ইহলোক —– পরলোক ২৩৬. ইহলৌকিক —– পরলৌকিক ২৩৭. ঈমান —– বেইমান ২৩৮. হিত —– অহিত ২৩৯. ইতিবাচক —– নেতিবাচক ২৪০. উচিত —– অনুচিত ২৪১. উগ্র —– সৌম্য ২৪২. উত্তাপ —– শৈত্য ২৪৩. উষ্ণ —– শীতল ২৪৪. উত্থান —– পতন ২৪৫. উৎসাহ —– নিরুৎসাহ ২৪৬. উৎকৃষ্ট —– নিকৃষ্ট ২৪৭. উন্মুখ —– বিমুখ ২৪৮. উদ্যম —– বিরাম ২৪৯. উজান —– ভাটি ২৫০. উল্লেখ —– অনুল্লেখ ২৫১. উপচিকীর্ষা —– অপচিকীর্ষা ২৫২. উদ্বৃত্ত —– ঘাটতি ২৫৩. ঊর্ধ্ব —– অধঃ ২৫৪. ঐকমত্য —– মতভেদ ২৫৫. ঐশ্বার‌্য —– দারিদ্র্য ২৫৬. ঔদার্য —– কার্পণ্য ২৫৭. ঔচিত্য —– অনোচিত্য ২৫৮. কড়ি —– কোমল ২৫৯. কপট —– অকপট ২৬০. হৃদ্যতা —– শত্রুতা ২৬১. হাল —– সাবেক ২৬২. হৃদ্য —– ঘৃণ্য ২৬৩. হরদম —– কদাচিৎ ২৬৪. সংক্ষিপ্ত —– বিস্তৃত ২৬৫. সংকুচিত —– প্রসারিত ২৬৬. সংযোগ —– বিয়োগ ২৬৭. হলাহল —– অমৃত/সুধা ২৬৮. ক্ষুদ্র —– বৃহৎ ২৬৯. হর্ষ —– বিষাদ ২৭০. উৎকৃষ্ট —– নিকৃষ্ট ২৭১. উষ্ণ —– শীতল ২৭২. উগ্র —– সৌম্য ২৭৩. কড়ি —– কোমল ২৭৪. কুৎসা —– প্রশংসা ২৭৫. ঔচিত্য —– অনৌচিত্য ২৭৬. কপট —– সরল ২৭৭. কোমল —– কঠিন ২৭৮. কৃশ —– স্থুল ২৭৯. কার্যকর —– অকার্যকর ২৮০. কৃত্রিম —– স্বাভাবিক ২৮১. কুটিল —– সরল ২৮২. কল্যাণ —– অকল্যাণ ২৮৩. ক্রোধ —– ক্ষমা ২৮৪. ক্ষয়িষ্ণু —– বর্ধিষ্ণু ২৮৫. ক্ষয় —– বৃদ্ধি ২৮৬. ক্ষুদ্র —– বৃহৎ ২৮৭. গৌণ —– মুখ্য ২৮৮. ক্ষতি —– লাভ ২৮৯. গোপন —– প্রকাশ ২৯০. গন্য —– নগন্য ২৯১. ঘোলা —– ফর্সা ২৯২. গতি —– স্থিতি ২৯৩. ঘুমন্ত —– জাগ্রত ২৯৪. গৌরব —– লাঘব ২৯৫. গ্রহণ —– বর্জন ২৯৬. গুন —– দোষ ২৯৭. চেতন —– অবচেতন ২৯৮. চোর —– সাধু ২৯৯. জঙ্গম —– স্থাবর ৩০০. জাগরণ —– নিদ্রা ৩০১. জটিল —– সরল ৩০২. জ্যেষ্ঠ —– কনিষ্ঠা ৩০৩. জ্বলন্ত —– নিবন্ত ৩০৪. জলে —– স্থলে ৩০৫. জৈব —– অজৈব ৩০৬. তখন —– এখন ৩০৭. দাতা —– গ্রহীতা ৩০৮. দয়ালু —– নিষ্ঠুর ৩০৯. দুষ্কৃত —– সুকৃত ৩১০. তিক্ত —– মধুর ৩১১. তীব্র —– লঘু ৩৫১. সদাচার —– কদাচার ৩৫২. সম্বল —– নিঃসম্বল ৩৫৩. সুপ্ত —– জাগ্রত

সরকারি অনুদান

সরকারি অনুদান/ টাকা পেতে এখানে ক্লিক করুন । টাকা পেতে এখানে ক্লিক করুন  

Sunday, March 28, 2021

বাংলা সাহিত্য থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন : ১.বাংলা আদি অধিবাসীগণ কোন ভাষাভাষী ছিল- অস্ট্রিক ২.বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে কোন ভাষা থেকে- প্রাকৃত ৩.বাংলা ভাষা পৃথিবীতে- ৭ম ৪.বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ- ৬৫০-১২০০ ৫. বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ- ১২০০-১৮০০ ৬. বাংলা ভাষার প্রাচীন নিদর্শন- চর্যাপদ (আবিস্কারক- ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী) ৭. চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয়- নেপালের রাজগ্রন্থশালা থেকে ১৯০৭ সালে ৮. চর্যাপদের পদকর্তা কতজন- ২৩ ৯.বাংলা লিপির উৎস- ব্রাম্মী লিপি ১০.উপমহাদেশের প্রথম ছাপাখানা স্থাপন- ১৪৯৮ সালে ১১.শ্রীরামপুর ছাপাখানা স্থাপন-১৮০০ সালে ১২.ঐতিহাসিক আইনে-আকবরি এর রচয়িতা- আবুল ফজল ১৩.বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ- ১২০১ থেকে ১৩৫০ (তুর্কি যুগ) ১৪.বিদ্যাপতি কোথাকার কবি- মিথিলা ১৫. ব্রুজবুলি ভাষার প্রবর্তক- বিদ্যাপতি ১৬.শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রচয়িতা- বড়ু চণ্ডিদাস ১৭.মঙ্গলকাব্যের বিষয়বস্তু- ধর্মবিষয়ক আখ্যান ১৮.মঙ্গলযুগের শেষ কবি- ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর ১৯.বাংলা সাহিত্যের প্রথম ইতিহাস গ্রন্থ রচনা করেন – দীনেশ চন্দ্র সেন ২০. কলিঙ্গ পুরষ্কার পান – আবদুল্লাহ আল মুতী ২১."আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে" কার উক্তি?- ঈশ্বরী পাটনী ২২."মৈমনসিংহ গীতিকা" সংগ্রহ করেন- দীনেশচন্দ্র সেন ২৩.প্রাচীন মুসলমান বাঙ্গালী কবি- শাহ মুহাম্মদ সগীর ২৪.ইউসুফ জোলেখার রচয়িতা- শাহ মুহাম্মদ সগীর ২৫."পদ্মাবতী" কাব্যে গ্রন্থের রচয়িতা- আলাওল ২৬.পুঁথি সাহিত্যের কবি- সৈয়দ হামজা/ফকির গরীবুল্লাহ ২৭.ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা সন- ১৮০০ সাল ২৮.ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা বিভাগ চালু করা হয়- ১৮০১ সালে ২৯.বাংলা পিডিয়া প্রকাশিত হয়- বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে ৩০.বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত-১৯৫৫ সালে ৩১.বাংলা একাডেমির মূল ভবনের নাম- বর্ধমান হাইজ ৩২.বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস- আলালের ঘরে দুলাল (বিখ্যাত চরিত্র- ঠকচাচা) ৩৩."উত্তম পুরুষ" উপন্যাসের রচয়িতা- রশীদ করিম ৩৪."আনোয়ারা" উপন্যাসের রচয়িতা- নজিবর রহমান সাহিত্যরত্ন (১৯১৪) ৩৫."আব্দুল্লাহ" উপন্যাসের রচয়িতা- কাজী এমদাদুল হক ৩৬. "জোহরা" উপন্যাসের রচয়িতা- মোজাম্মেল হক ৩৭. "তিতাস একটি নদীর নাম" উপন্যাসের রচয়িতা- অদ্বৈত মল্লবর্মণ ৩৮."নদী ও নারী" উপন্যাসের রচয়িতা- হুমায়ূন কবির ৩৯.বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত- মুহাম্মদ আঃ হাই ৪০.বাংলা সাহিত্যের কথা- ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ৪১.বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি- চন্দ্রাবতী ৪২."মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র" সংলকন করেন- হাসান হাফিজুর রহমান ৪৩."কালকূট" কার ছদ্ধনাম- সমরেশ বসু ৪৪."বনফুল" কার ছদ্ধনাম- বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় ৪৫."বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে" উক্তিটির তাৎপর্য- জীব মাত্রই স্বাভাবিক অবস্থানে সুন্দর ৪৬."কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক... সুরাসুর" উক্তিটি কার- ফজলুল করিম ৪৭.কথোপকথন- এর গ্রন্থকার- উইলিয়াম কেরী ৪৮.যুগসন্ধিক্ষণের কবি- ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ৪৯.বাংলা গদ্যের জনক- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ৫০.বাংলা আধুনিক কবিতার প্রবর্তক- মাইকেল মধুসূদন দত্ত ৫১.বাংলা সনেটের রচয়িতা- মাইকেল মধুসূদন দত্ত ৫২."নীল দর্পণ" কার রচনা?- দীনবন্ধু মিত্র (এটি ঢাকা থেকে প্রথম প্রকাশিত) ৫৩.বাংলা সাহিত্যের জনক- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (প্রথম সার্থক উপন্যাস- দুর্গেশনন্দিনী ৫৪."হুতোম প্যাঁচার নকশা"-এর রচয়িতা- কালীপ্রসন্ন সিংহ ৫৫.মীর মোশাররফ হোসেনের "বিষাদ সিন্ধু" কী ধরণের রচনা?- উপন্যাস ৫৬."শেষের কবিতা" কী ধরণের রচনা?- উপন্যাস ৫৭.টি এস এলিয়টের রচনার প্রথম বাংলা অনুবাদক- বরীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৫৮.রবীন্দ্রনাথ নজরুলকে কোন নাটক উৎসর্গ করেন?- বসন্ত ৫৯.ধনধান্যে পুষ্পে ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা... কার রচনা?- দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ৬০.বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক- প্রমথ চৌধুরী (ছদ্ধনাম- বীরবল) ৬১.শরৎচন্দ্রের কোন উপন্যাস সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল?- পথের দাবী ৬২."অনল প্রবাহ" কার রচনা?- ইসমাইল হোসেন সিরাজী ৬৩."পদ্মরাগ" কার রচনা?- বেগম রোকেয়া ৬৪."পথের প্যাঁচালী" কার রচনা?- বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় ৬৫."আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর"- কার রচনা?- আবুল মুনসুর আহমদ ৬৬.জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্যগ্রন্থ- ঝরাপালক (তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ- ধূসর পাণ্ডলিপি) ৬৭. কাজী নজরুলের জীবনকাল- ১৮৯৯ থেকে ১৯৭৬ ৬৮.নজরুলের প্রথম লেখা- বাউন্ডেলের আত্মকাহিনী ৬৯. বিদ্রোহী কবিতা কোন কাব্যের অন্তর্গত?- নজরুলের প্রথম কাব্যগ্রন্থ "অগ্নিবীণা" ৭০.নজরুলের প্রথম উপন্যাস ও কবিতা কী কী?- মৃত্যুক্ষুধা (উপন্যাস) ও মুক্তি (কবিতা) ৭১.নজরুলের সঞ্চিতা কাকে উৎসর্গ করেন?- রবীঠাকুরকে ৭২."The field of the embroidered quilt" পল্লিকবি জসিম উদ্দিনের কোন কাব্যের অনুবাদ?- নক্সী কাঁথার মাঠ ৭৩."চাচা কাহিনী" ও "পঞ্চতন্র" কে লেখেন?- সৈয়দ মুজতবা আলী ৭৪.সৈয়দ মুজতবার "দেশে-বিদেশে" কোন শহরের প্রাধান্য পেয়েছে?- কাবুল ৭৫."নেমেসিস" কার রচনা?- নুরুল মোমেন ৭৬."পদ্মানদীর মাঝি" প্রাগৈতিহাসিক" বকুল পুরের যাত্রী" ও "পতুল নাচের ইতিকথা"- গ্রন্থগুলো কার রচনা?- মানিক বন্দোপাধ্যায় ৭৭."সাঝের মায়া" কার রচনা?- সুফিয়া কামাল ৭৮."ছায়া হরিণ" ও "মেঘ বলে চৈত্রে যাব" কার রচনা?- আহসান হাবিব ৭৯."ক্রীতদাসের হাসি" কার রচনা?- শওকত ওসমান ৮০. ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য কোন কাব্যের উপজীব্য?- "সাত সাগরের মাঝি (ফররুক আহমেদ) ৮১."সংষ্কৃতি" গ্রন্থটি কার রচনা?- ড.আহমদ শরীফ ৮২."বিশ শতকের মেয়ে" কার রচনা?- ড. নীলিমা ইব্রাহিম ৮৩. জাতীয় সংগীত কে ইংরেজি অনুবাদ করেন?- সৈয়দ আলী আহসান ৮৪."লালসালু" কে রচনা করেন?- সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ৮৫.বিখ্যাত "রক্তাক্ত প্রান্তর" নাটকটি কার রচনা?- মুনীর চৌধুরী ৮৬. মুনীর চৌধুরীর "কবর" নাটকের পটভূমি?- ভাষা আন্দোলন ৮৭."কাবনের কন্যা" কী জাতীয় রচনা?- উপন্যাস ৮৮."সূর্যদীঘল বাড়ী" উপন্যাস কার রচনা?- আবু ইসহাক ৮৯.'সংশপ্তক' কার রচনা?- শহীদুল্লাহ কায়সার ৯০."বাংলাদেশ স্নপ্ন দেখে" কার কাব্যগ্রন্থ?- শামসুর রহমান ৯১."তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা" কার কবিতা?- শামসুর রহমান ৯২."তেইশ নম্বর তৈলচিত্র" কার উপন্যাস?- আলাউদ্দিন আল আজাদ ৯৩."হাজার বছর ধরে", "আরেক ফাল্গুন" ও "Stop Genocide" কার উপন্যাস?- জহির রায়হান ৯৪."পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়" নাটকটি কার?- সৈয়দ শামসুল হক ৯৫."সোনালী কাবিন" কার কাব্যগ্রন্থ?- আল মাহমুদ ৯৬. "চিলেকোঠার সেপাই", " দুধে-ভাতে উৎপাত" খোয়াব নামা" ও "সংষ্কৃতির ভাঙ্গা সেতু" কার রচনা?- আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ৯৭."অয়োময়", "এইসব দিন রাত্রি" আগুনের পরশমণি" ও "শঙ্খনীল কারাগার" কর রচনা?- হুমায়ুন আহমেদ ৯৮. "আগুনের পরশমণি" গ্রন্থটি চলচিত্রয়ানে কী ফুটে উঠেছে?- মুক্তিযুদ্ধের খণ্ডচিত্র ৯৯."জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন" সেলিম আল দীনের- নাটক ১০০."জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরনো শকুন" কোন কবির উক্তি?- রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।

Friday, March 26, 2021

শেখ হাসিনা কত বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ? শেখ হাসিনা কত বার প্রধানমন্ত্রী হন ? শেখ হাসিনা প্রথম সংসদ সদস্য হয় ১৯৮৬ সালে ( বিরোধী দল)। শেখ হাসিনা দ্বিতীয় বার সংসদ হয় ১৯৯১ সালে (বিরোধী দল)। শেখ হাসিনা তৃতীয় বার সংসদ সদস্য হয় ১৯৯৬ সালে ( শেখ হাসিনা প্রথম প্রধানমন্ত্রী হয় ১৯৯৬ সালে)। শেখ হাসিনা চতুর্থ বার সংসদ সদস্য হয় ২০০১ সালে ( বিরোধী দল)। শেখ হাসিনা পঞ্চম বার সংসদ সদস্য হয় ২০০৮ সালে ( কিন্তু ২০০৯ সালে হয় দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী)। শেখ হাসিনা ষষ্ঠ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয় ২০১৪ সালে ( তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী)। শেখ হাসিনা সপ্তম বার সংসদ সদস্য হয় ২০১৮ সালে ( চতুর্থ বার প্রধানমন্ত্রী) । সুতরাং শেখ হাসিনা সংসদ সদস্য নির্বাচিত মোট সাত বার এবং প্রধানমন্ত্রী হয় মোট চার বার । বাংলাদেশ সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী হল শেখ হাসিনা ।

 


Wednesday, March 17, 2021

বঙ্গবন্ধু,কোথায় তুমি আজ তনুশ্রী রানি ঘোষ

কোথায় বঙ্গবন্ধু, কোথায় তুমি আজ? তোমার দেশ যে আজ মৃত্যুর ঔছ্বলায়। মানুষের মাঝে আতঙ্ক আজ, ভয় যে মরিবার। ডাকছে সবাই শোনো___ কোথায় তুমি আজ? সেদিন ও ছিল মৃত্যুপুরি স্বদেশ আমার তুমি ছিলে পাশে তাই,_ জনতা দিয়েছিল প্রাণ। বাঁচিয়েছিল দেশটাকে, ধরেছিল হাল। তবে কথায় জাতি ঘুমিয়েছে আজ? COVID--19 একি করছে সব! অকাতরে প্রাণ দিচ্ছে দেশের সূর্য সন্তান। সমস্ত দেশ ই আজ এরি ছবলে তার ই বিষে আজ নিল যে স্বদেশ আমার।। দেশটা আমার ধ্বংশের মুখে যে আজ! তাইতো বঙ্গবন্ধু ------ খুব মনে পরে তেমায়!
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(ইংরেজি বিভাগ)

Saturday, March 13, 2021

Ode on Lungi - Kaiser Haq - Translation in Bengali . ode to lungi in bangla. Ode on Lungi - Kaiser Haq - Translation in Bangla ... in Bangla. ওড অন দি লুঙ্গি - কায়সার হক । odd to lungi summary in bangla

ওড অন দি লুঙ্গি ওড অন দি লুঙ্গি মূল: কায়সার হক। অনুবাদ: ফিরোজ আহমেদ। Grandpa Walt, allow me to share my thoughts with you, পিতামহ ওয়াল্ট হে, আমার ভাবনামালাকে আপনারটির সঙ্গে মেলানোর আজ্ঞা দিন। if only because every time I read “Passage to India” and come across the phrase “passage to more than India” নিতান্ত যদি তা একারণেও হয় যে- যতবারই আমি “প্যাসেজ টু ইন্ডিয়া” (ভারত-যাত্রা) পড়ি আর “প্যাসেজ টু মোর দ্যান ইন্ডিয়া” (অধিকন্তু ভারত) শব্দবন্ধের মুখোমুখি হই I fancy, anachronistically, that you wanted to overshoot the target by a shadow line and land in Bangladesh. ততবারই আমি সময়স্রোতের বিপরীতে হলেও কল্পনা করি যে, আপনি হয়ত লক্ষ্য অভিসারী হয়ে একটি সীমানাচিহ্ন পার হয়ে এসে বাংলাদেশেই থিতু হতে চেয়েছিলেন। Lately, I’ve been thinking a lot about sartorial equality, How far we are from this democratic ideal! সম্প্রতি আমি প্রচূর ভাবছি পরিধেয়গত সাম্য বিষয়ে। গণতন্ত্রের আদর্শ হতে কতই না দূরে রয়েছি আমরা! And how hypocritical! “All clothes have equal rights” – this nobody will deny and yet, some obviously are more equal than others. কতই না কপটবুদ্ধি এটা- যখন কেউই অস্বীকার করেনা একথা, “সব পোষাকেরই আছে সমান মর্যাদা” অথচ, কোনো কোনো পোষাক হয়ে ওঠে অন্যগুলির চাইতে একটু বেশী “সমান”। No, I’m not complaining about the jacket and tie required in certain places – that, like fancy dress parties, is in the spirit of a game. না, আমি জ্যাকেট কিম্বা টাই বিষয়ে করছি না কোনো অভিযোগ, সেথা থাকতেই পারে সুনির্দিষ্ট স্থান-কাল-পাত্র সম্পর্কযোগ। যেখানে সেগুলি যেনবা কোনো বাহারী পোষাক প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগিসুলভ মনোভাব নিয়ে নিজেকে টিকিয়ে রাখে। I'm talking of something more fundamental. Hundreds of millions from the Pacific to Africa wear the lungi, also known variously as the sarong, munda, htamain, saaram, pinon, ma’awalis, kitenge, kanga, kaiki, or the variant dhoti. They wear it day in day out, indoors and out. আমি বলছি- তদাপেক্ষা আরো মৌলিক কিছু বিষয়ের কথা। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে নিয়ে আফ্রিকা অবধি অযুত-লক্ষ মানুষ পরিধান করে “লুঙ্গি”, আরও কত সব নাম আছে তার যেমন: সারং, মুন্ডা, হামেইন, সারাম পিনন, মাওয়ালি, কিটেং, কঙ্গা, কাইকি কিম্বা তার এক জ্ঞাতিভাই আছে যার নাম হলো “ধূতি”। এটা পরে তারা পার করে দেয় দিবস- সন্ধ্যা-রাতি কিবা ঘর কিবা বহিরাঙ্গন নেই তাতে কোনো ক্ষতি। Just think – at any one moment there are more people in lungis than the population of the USA. ভেবে দেখো- যে কোনো মূহুর্তের কথাই ধরো না কেন বা তুমি ঐ মার্কীন দেশে সবমিলিয়ে যতনা লোকের বাস। তারও চেয়ে বেশী লোক আছে ধরায় লুঙ্গি যাদের বাস। Now try wearing one to a White House appointment – not even you. Grandpa Walt, laureate of democracy, will make it in. তাহলে এবার এসো যাওয়া যাক হোয়াইট হাউসের কোনো নিমন্ত্রণে একটা লুঙ্গি পরে- গণতন্ত্রের পুরোধা-ব্যক্তি তুমি দাদু ওয়াল্ট। তুমিও সেখানে ঢুকতে পাবেনা (ও পোষাক নিয়ে ধড়ে)। You would if you affected a kilt – but a lungi? No way. But why? – this is the question I ask all to ponder তুমি ঘাগরা পরে গেলেও বুঝিবা ঢুকতে সেথায় পাবে। কিন্তু লুঙ্গি? কক্ষণো নয়; নৈব নৈব চ। কিন্তু কেন? জিজ্ঞাসা মোর এ-ই। সকল বিজ্ঞজনের কাছে, মোর এই নিবেদন আছে। Is it a clash of civilisations? The sheer illogicality of it – the kilt is with “us” but the lungi is with “them!” এটা কি তবে সভ্যতার সংঘাত? এক বিপুল প্রহসন- ঘাগরা আমার “ঘরের জিনিষ” আর লুঙ্গি হলো “পরের”! Think too of neo-imperialism and sartorial hegemony, how brown and yellow sahibs in natty suits crinkle their noses at compatriots (even close relations) in modest lungis: নব্য সাম্রাজ্যবাদ সম্পর্কেও ভেবে দেখো আর ভাবো পোষাকীয় আগ্রাসনের কথা। জমকালো সব স্যুটপরা বাদামী আর হলদে চামড়ার সাহেবরা ভদ্রোচিত লুঙ্গিপরা তাদের স্বজাতিয়দের (এমনকি যদি তারা আত্মীয়জনও হয়) দেখে কীভাবে নাক সিঁটকায়। exceptions only proving the rule: Sri Lanka, for instance, where colourful sarongs are party wear, হ্যাঁ, ব্যাতিক্রম বরং বিপরীতপক্ষে নিয়মকেই সুপ্রামাণ করে। উদাহরণতঃ শ্রীলংকা যেখানে রংবেরংয়ের বাহারী লুঙ্গি হচ্ছে তাদের উটসবের পোষাক। or Myanmar where political honchos queue up in lungis to receive visiting dignitaries. অথবা ধরো মিয়ানমারের কথা। যেখানে রাজনীতির হোমরাচোমরাগণ লুঙ্গি পরে একলাইনে দাঁড়ায় সিধে ভিনদেশী কোনো অভ্যাগতের অভ্যর্থনা দিতে। But then, Myanmar dozes behind a cane curtain, a half pariah among nations. কিন্তু জোনো, মিয়ানমার তখন আসলে ধুঁকছে জান্টার শাসনদন্ডের নিচে সেই জাতির মাঝে অর্ধেক লোক ইতরসুলভ জীবন নিয়ে আছে। Wait till it’s globalised: Savile Row will acquire a fresh crop of patrons. আর কিছুদিন পরে যখন গতরসওয়া হয়ে তা বিশ্বায়িত হবে Savile Row বিপুল একদল গ্রাহক- শুভানুধ্যায়ী পাবে। Hegemony invades private space as well: my cousin in America would get home from work and lounge in a lungi – till his son grew ashamed of dad and started hiding the “ridiculous ethnic attire” এ আগ্রাসন ব্যক্তিগত সীমানাতেও চলছে যেমন ধরো: আমেরিকায় আমার জ্ঞাতিভাই কর্মস্থল হতে বাড়িতে ফিরে লুঙ্গি পরে আরাম করতে পারত যতদিন না তার ছেলে বড় হল এবং পিতার লুঙ্গি পরায় লজ্জা পেতে লাগল এবং “ঘৃণ্য সেই গাঁইয়া পোষাক” লুকিয়ে রাখতে লাগলো। It’s all too depressing. But I won’t leave it at that. The situation is desperate. Something needs to be done. এটা সত্যিই খুব পীড়াদায়ক। কিন্তু আমি হাল ছাড়বাড় পাত্র মোটেও নই। অবস্থা খুব সঙ্গীন। কিছু একটা করতেই হবে। I’ve decided not to take it lying down. The next time someone insinuates that I live in an Ivory Tower I’ll proudly proclaim I AM A LUNGI ACTIVIST! পণ করেছি ঠাসা খেয়ে হারবো না। স্বপ্নবাজী করছি আমি- এমন কথা কেউ আমাকে ঘুণাক্ষরেও বলতে বলতে এলে আমি তাকে ছাড়বো না। গর্বভরে করব দাবী লুঙ্গিবাদী কর্মী আমি! Friends and fellow lungi lovers, let us organise lungi parties and lungi parades, let us lobby Hallmark and Archies to introduce an international Lungi Day when the UN Chief will wear a lungi and address the world. বন্ধুগণ ও লুঙ্গিপ্রেমী ভ্রাতৃসকল, এসো লুঙ্গিপার্টি গড়ি আর লুঙ্গি সমাবেশ করি। এসো আমরা “হলমার্ক” আর “আর্চিস” এর সাথে আঁতাত করি আর একটা লুঙ্গি দিবস চালু করি যে দিবসে ইউ.এন. প্রধান একটা লুঙ্গি পরবেন এবং বিশ্বের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিবেন। Grandpa Walt, I celebrate my lungi and sing my lungi and what I wear you shall wear. হে দাদু ওয়াল্ট, আমি আমার লুঙ্গিকে অভিবাদন জানাই লুঙ্গির জয়গান গাই এবং আমি যা পরি তুমিও তা পরবে। It’s time you finally made your passage to more than India – to Bangladesh – and lounging in a lungi in a cottage on Cox’s Bazar beach (the longest in the world, we proudly claim) watched 28 young men in lungis bathing in the sea. যাহোক, অবশেষে “অধিকন্তু ভারতে” অর্থাৎ কি-না বাংলাদেশে তুমি তোমার অভিযাত্রা ঘটালে এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের (আমরা সগর্বে এটাকে বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত বলে দাবী করে থাকি) একটা কুটিরে বসে লুঙ্গি পরে আরাম করতে করতে লুঙ্গি পরা ২৮ যুবককে সমুদ্রস্নান করতে দেখলে। But what is this thing (my learned friends, I’m alluding to Beau Brummell) I repeat, what is this thing I’m going on about? কিন্তু “বিষয়”টা কী? (বিজ্ঞ বন্ধুরা আমার, আমি কিন্তু বিউ ব্র“সেলকে পরোক্ষউল্লেখ করছি), আবার বলি, আমি যে পাঁচালী গাইছি তা কী বিষয়ে? A rectangular cloth, White, coloured, check or plaid, roughly 45X80 inches, halved lengthwise and stitched to make a tube you can get into and fasten in a slipknot around the waist – One size fits all! একটা আয়তাকার বস্ত্রখন্ড সফেদ, রঙীন, খোপকাটা অথবা নকশাদার মোটামুটি ৪৫ বাই ৮০ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য বরাবর ফর্দ করে সেলাই দিলে একটা খোলের মতন হয় তুমি এর মধ্যে ঢুকে একটা ফস্কা গেরো মেরে একে কোমর বরাবর বাঁধবে- সবার জন্য একই মাপ! And should you pick up dirt say on your seat you can simply turn it inside out. তোমার যদি ময়লা ফেলার দরকার হয় ধরো তোমার আসনের উপর থেকে তবে শুধু এর (লুঙ্গি) কিনারাট একটু বাড়িয়ে ধর। The hem serves as napkin to wipe the hands or mouth after a rinse, taking a deep bow to bring lips to raised lungi edge: only ensure its' not raised too high, especially if you aren't wearing underwere. এর পাড় বরাবর অংশটি হাত মোছার রুমাল হিসেবে ব্যাপক কাজ দেয় অথবা কুলকুচা করার পর মুখ মোছার জন্য কোমর বেশ খানিকটা হেলিয়ে লুঙ্গির তোলা পাড়ের কাছে মুখ নিতে হবে এগিয়ে, শুধু লক্ষ্য রাখবে খুব বেশী যেন তোলা না হয়, বিশেষ করে যদি অর্ন্তবাস না পরে থাকো। When you are out of it the lungi can be folded up like a scarf. যখন তুমি এটাকে ছাড়াও তখন এটাকে স্কার্ফের মত ভাঁজ করে তুলে রাখতে পারো। Worn out it has its uses – as dish rag or floor wipe or material for a kantha quilt. পুরান হয়ে গেছে? অসুবিধা নেই বাসন মাজনি কিম্বা মেঝে মোছার ন্যাকড়া অথবা কাঁথা তৈরীর উপাদান হিসেবে এর ব্যবহার আছে। Or you can let your imagination play with the textile tube to illustrate the superstrings of the “Theory of Everything” (vide, the book of this title by the venerable Stephen Hawking) অথবা এই তন্তুজাত খোলটি দিয়ে তুমি তোমার কল্পনার ফানুস ওড়াতে পারো “সর্ববাদী তত্ত্বের” সুপারস্ট্রীং এর ব্যাখ্যা বিস্তারণে- (মহামান্য স্টীফের হকিং এর উপর্যুক্ত শিরোনামীয় পুস্তক দ্রস্টব্য) Coming back to basics, the lungi is an elaborate fig-leaf, the foundation of propriety in ordinary mortals. আবার মূল প্রসঙ্গে আসি, লুঙ্গি হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ “ডুমুর পাতা” মরণশীল সাধারণ্যের মাঝে সুশীলব্যতার প্রথম ভিত্তি। Most of the year, when bare bodied is cool, you can lead a decent life with only a couple of lungis, বছরের বেশীরভাগ সময় যখন উদোমগাত্রই আরামপ্রদ, তখন তুমি শুধু একজোড়া লুঙ্গি দিয়েই ভদ্রোচিত জীবন যাপন চালিয়ে যেতে পারো dipping in pond or river or swimming in a lungi abbreviated into a G-string, then changing into the other one. নদী কিম্বা পুকুরে ঝাঁপিয়ে অথবা মালকোঁচা মেরে সাঁতার শেষে বাঁকীখানা নেবে পরে। Under the hot sun a lungi can become Arab-style headgear or Sikh-style turban. তপ্ত রোদের নিচে গেলে লুঙ্গিটা হতে পারে আরবীয় আদলের পাগড়ী কিম্বা শিখদের আদলের উষ্ণীষ। Come chilly weather the spare lungi can be an improvised poncho. শীত আসছে (সমস্যা নেই) বাড়তি লুঙ্গিখানাই হতে পারে বেশ কেজো এক চাদর। The lungi as G-string can be worn to wrestle or play kabaddi কুস্তি অথবা কাবাডি খেলার তরে লুঙ্গি পরে নামা যায় মালকোঁচাটি মেরে। but on football or cricket field or wading through the monsoon it’s folded vertically and kilted at the knee তবে কি-না ফুটবল কিম্বা ক্রিকেট খেলতে অথবা বর্ষাকালের হাঁটুপানি ভাঙতে এটাকে আনুভূমিক ভাঁজ করে হাঁটু বরাবর তোলা হয়। In short the lungi is a complete wardrobe for anyone interested: an emblem of egalitarianism, symbol of global left-outs. সংক্ষেপ করে বলতে গেলে সমঝদারের কাছে লুঙ্গি হলো পূর্ণাঙ্গ এক ওয়্যারড্রোব। সাম্যবাদের কণ্ঠস্বর, দুনিয়াব্যাপি সর্বহারার প্রতীক। Raised and flapped amidst laughter It’s the subaltern speaking. সাম্যবাদের কণ্ঠস্বর, দুনিয়াব্যাপি সর্বহারার প্রতীক। লুঙ্গি উচ্চে তোলা আর তা ঝাড়ার শব্দে যতই হাসি জাগুক এই (শব্দ) আসলে সাবঅল্টার্ণ বয়ান। And more: when romance strikes, the lungi is a sleeping bag for two: সবচে বড় ব্যাপার হলো: যখন প্রেম চাগিয়ে ওঠে, তখন লুঙ্গিই হলো যুগলজনের শয্যা নেয়ার স্থান: a book of poems, a bottle of hooch and your beloved inside your lungi – there’s paradise for you. একটা প্রাপ্তবয়স্কের কৌতুকের বই, এক বোতল চোলাই আর তোমার লুঙ্গির আন্তঃসীমানায় যদি থাকে তোমার প্রিয়া তাহলে সেটাই তোমার জন্য স্বর্গসমান। If your luck runs out and the monsoon turns into a biblical deluge just get in the water and hand-pump air to balloon up your lungi – now your humble ark যদি তোমার তেমন কোনো বদনসীবি আসে যদি বর্ষাকালের বৃষ্টিধারা পুরাণযুগের প্লাবনে রূপ নেয় তবে ঝপ করে লাফ দিয়ে জলে ভেজা লুঙ্গি- মাঝে ঠেলবে বাতাস হাতে লুঙ্গি তোমার বেলুন হয়ে উঠবে ফুলে, তাতে- তুমি বেশ কেজো আর দিগদারী এক কিস্তি পেয়ে যাবে। When you find shelter on a treetop take it off', rinse it, hold it aloft – flag of your indisposition – and wave it at the useless stars. (কিস্তি বেয়ে চলতে চলতে) যখন তুমি কোনো গাছের মগডালেতে ঠাঁইটি খুঁজে পাবে তখন এটা (লুঙ্গি) খুলে নিয়ে নিংড়ে নাও, এটাকে উচ্চে তুলে ধর তোমার দূর্গত অবস্থায় সাহায্য প্রার্থনার পতাকা হিসেবে অকেজো তারকাদের উদ্দেশ্যে নাড়াতে থাকো।। শব্দার্থ ও সংক্ষিপ্ত টীকা Grandpa Walt - বিখ্যাত আমেরিকান কবি ওয়াল্ট হুইটম্যান। তাঁর কবিতা সংগ্রহের নাম ‘Leaves of Grass’ যেখানে তাঁর ‘Passage to India আর ‘Song of Myself’ নাম বিখ্যাত দুটি কবিতা সংকলিত হয়েছে। এই ‘সং অব মাইসেলফ' কবিতাটিরই প্যারডি করেছেন কবি কায়সার হক ‘Ode on the Lungi' শিরোনামে। Shadow Line - বিখ্যাত ঔপন্যাসিক অমিতাভ ঘোষের একটি বিখ্যাত গ্রন্থের নাম। এখানে আন্তর্জাতিক সীমানা বোঝানো হয়েছে। I fancy - আমি ভাবি, আমি চিন্তা করি। Anachronistically – কালের বিরুদ্ধতা বোঝানো হয়েছে। Overshoot the target – কাঙ্ক্ষিত কোন বিষয় অন্যদিকে মোড় নেয়া বোঝানো হয়েছে। Lately - খুব বেশী কাল নয় এমন। Sartorial – পোষাক কিংবা পোশাকপরিধানের রীতি বিষয়ক। Sartorial equality – এখানে পোশাকের সমতা বোঝানো হয়েছে। How far------ idea আমরা গণতন্ত্র হতে কতো দুরে এটা বোঝানো হয়েছে। hypocritical -ভ্রান্তি, মিথ্যে। Fancy ------- Party – কোন উৎসবে নিজের নিজের পছন্দ মাফিক পোশাক পরা। Sarong - Munda - Htamain - Saaram - Pinon - Ma’awalis - Kitenge - Kanga, - Kaiki - পৃথিবীর নানা স্থানের উপজাতি, যারা সবাই লুঙ্গি পরিধান করে। dhoti – ভারতে হিন্দু সম্প্রদায়ের পোশাক। White House - আমেরিকার প্রেসিডেন্টের আবাস ও কর্মস্থল। Laureate – উচ্চ মর্যাদা। Kilt-হাঁটু ঝোলা স্কার্ট, স্কটিশগণ পরিধান করেন। Ponder – বিবেচনা করা। Clash civilizations – সভ্যতার দ্বন্দ্ব। Neo-imperialism - কোন দেশ অন্য দেশের উপর রাজনৈতিক ক্ষমতা খাটিয়ে আয়ত্বে আনা এবং শাসন করা, এখানে লুঙ্গিকে অবমাননা করার বিষয়ে এটা বলা হয়েছে যে, এটাও নব্য সাম্রাজ্যবাদের মতোই একটি বিষয়। Pariah – নিগৃহীত জনদের বোঝানো হয়েছে, অবহেলিতজন। globalised - এখানে বৈশ্বিক দিক। Savile Row – লন্ডনের একটি বানিজ্যিক স্ট্রীট। Patrons - মক্কেল কিংবা খরিদ্দারগণ। invade - জোর করে দখল নেয়া। Private space- এখানে ব্যক্তিগত জীবন। ridiculous – অসম্ভব, হাস্যকর, উপহাসযোগ্য। ethnic - জাতিগত। attire - পোশাক ও পোশাক বিষয়ক depressing – বিষাদাচ্ছন্ন, বেদনাময়। desperate – নিদারুণ হতাশায় ভয়ভাবনাহীন এবং যে কোন পদক্ষেপ গ্রহণে অকুণ্ঠিত; মরিয়া; বেপরোয়া। Proclaim - ঘঘাষনা করা। activist - প্রচারকারী; সক্রিয় অংশগ্রহণকারী। Lungi Parade - লুঙ্গি আন্দোলনের তরে জমায়েত। Hallmark -বিশুদ্ধতা নির্ণয় করে উৎপাদিত পণ্যে যে ছাপ দেয়া হয়। UN chief-ইউনাইটেড নেশনস্ প্রধান। I celebrate my Lungi - আমি লুঙ্গির জয়গান গাই। Beau Brummell – এক কালের বৃটেনের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার, বিশেষ করে বস্ত্রের ক্ষেত্রে। hem - লুঙ্গির কিনারা বা পাড়। dishrag - যে কাপড় দ্বারা ডিশ ধোয়া মোছা করা হয়। the textile tube - The barebodied - বস্ত্রবিহীন শরীর। Chilly weather - ঠান্ডা আবহাওয়া। Subaltern - রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও ভৌগলিক দিক থেকে নিম্নবর্গের মানুষ। deluge - পুরাণে উল্লেখিত বৃষ্টির কারণে মহাপ্লাবন। ark – এখানে নূহের নৌকার কথা বলা হয়েছে। Sikh style turban – শিখদের পাগড়ীর কথা বলা হয়েছে।

Thursday, March 4, 2021

বিসিএসের বই তালিকা । চাকরি বই । বাংলা সাহিত্যের ভালো বই । বইয়ের তালিকা । পাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালের পড়ুয়া ছাত্রদের দ্বারা তৈরি ৫০০ বইয়ের তালিকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৫০০ বইয়ের একটা তালিকা করেছে যা হতে পারে আপনারও মনের খোরাক। সংগ্রহে রাখতে পারেন...(মান, লেখক, মূল্য ও চাহিদার ক্রমানুসারে নয়) ১. যদ্যপি আমার গুরু - আহমদ ছফা ২. বদলে যান এখনই - তারিক হক ৩. রাজনৈতিক আদর্শ - বার্ট্রান্ড রাসেল ৪. আর্ট অব ওয়ার - সান জু ৫. অন দ্য শর্টনেস অব লাইফ - সেনেকা ৬. বেগম মেরী বিশ্বাস - বিমল মিত্র ৭. কবি - তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ৮. সুবর্ণলতা - আশাপূর্ণা দেবী ৯. নারী - হুমায়ুন আজাদ ১০. প্রদোষে প্রাকৃতজন - শওকত আলী ১১. দ্যা লস্ট সিম্বল - ড্যান ব্রাওন ১২. জননী - শওকত ওসমান ১৩. গোরা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৪. পথের দাবী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৫. পাক সার জমিন সাদ বাদ - হুমায়ুন আজাদ ১৬. নারী - হুমায়ুন আজাদ ১৭. মা - ম্যাক্সিম গোর্কি ১৮. সংগঠন ও বাঙালি - আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ১৯. গাভী বিত্তান্ত - আহমদ ছফা ২০. দ্য অ্যালকেমিস্ট - পাওলো কোয়েলহো ২১. এইসব দিনরাত্রি - হুমায়ূন আহমেদ ২২. অসমাপ্ত আত্নজীবনী - শেখ মুজিবুর রহমান ২৩. আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর - আবুল মনসুর আহমদ ২৪. বাংলাদেশ রক্তের ঋণ - এন্থনি মাসকারেনহাস ২৫. ছোটদের রাজনীতি ও অর্থনীতি - অধ্যাপক নীহারকুমার সরকার ২৬. বাংলাদেশের ইতিহাস ১৯০৫-১৯৭১ - ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন ২৭. যোগাযোগ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২৮. ফেরা - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ২৯. অগ্নিরথ - সমরেশ মজুমদার ৩০. শিকল অন্তরে- জাঁ পল সার্ত্রে ৩১. আমি বিজয় দেখেছি - এম আর আখতার মুকুল ৩২. কলকাতা কেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবী - এম আর আখতার মুকুল ৩৩. আমার দেখা দেশ, সমাজ ও রাজনীতির তিনকাল - সাদ আহমেদ ৩৪. কবির আত্মবিশ্বাস - আল মাহমুদ ৩৫. জীবনের শিলান্যাস - সৈয়দ আলী আহসান ৩৬.গঙ্গাঋদ্ধি থেকে বাংলাদেশ - মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ৩৭. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে 'র' এবং সিআইএ -মাকসুদুল হক ৩৮. বাঙালী জাতীয়তাবাদ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ -আবদুল হক ৩৯. সুখ - বাট্রার্ন্ড রাসেল ৪০. অনুস্মৃতি - পাবলো নেরুদা ৪১. জোছনা ও জননীর গল্প - হুমায়ূন আহমেদ ৪২. দেয়াল - হুমায়ূন আহমেদ ৪৩. সাতকাহন -সমরেশ মজুমদার ৪৪. উত্তরাধিকার - সমরেশ মজুমদার ৪৫. কালবেলা- সমরেশ মজুমদার ৪৬. কালপুরুষ- সমরেশ মজুমদার ৪৭. দূরবীন - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ৪৮. মানবজমিন - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ৪৯. যাও পাখি - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ৫০.পার্থিব - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ৫১. আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় ৫২. পথের পাঁচালী - বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় ৫৩. আদর্শ হিন্দু হোটেল- বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় ৫৪. সত্যবতী ট্রিলজি- আশাপূর্ণা দেবী ৫৫. পূর্ব-পশ্চিম - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ৫৬. প্রথম আলো:সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ৫৭. বাদশাহ নামদার - হুমায়ূন আহমেদ ৫৮. মা - আনিসুল হক ৫৯. একাত্তরের দিনগুলি - জাহানারা ইমাম ৬০. বরফ গলা নদী - জহির রায়হান ৬১. বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস : সাম্প্রতিজ বিবেচনা - আহমদ ছফা ৬২. প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ - আরিফ আজাদ ৬৩. তুমিও জিতবে - শিব খেরা ৬৪. ডাকঘর - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৬৫. সেপিয়েন্স - ইউভ্যাল নোয়া হারারি ৬৬. যে গল্পের শেষ নেই - দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় ৬৭. অরিজিন অফ স্পিসিস - চার্লস ডারউইন ৬৮. ক্যাপিটাল - কার্ল মার্ক্স ৬৯. পরিবার, রাষ্ট্র ও ব্যক্তিগত সম্পদের উদ্ভব - ফ্রেড্রিখ এঙ্গেলস ৭০. ওঙ্কার - আহমেদ ছফা ৭১. এক জেনারেলের নীরব সাক্ষী - জেনারেল মঈন আহমেদ ৭২. রক্তাক্ত বাংলাদেশ - ব্রিগেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন ৭৩. আহমদ ছফার প্রবন্ধসমগ্র ৭৪. রাইফেল রোটি আওরাত - আনোয়ার পাশা ৭৫. বায়তুল্লাহর মুসাফির - আবু তাহের মিসবাহ ৭৬. ভিঞ্চি কোড - ড্যান ব্রাউন ৭৭. তোমাকে ভালবাসি হে নবী - গুরুদত্ত সিং ৭৮. উইংস অব ফায়ার - এপিজে আবুল কালাম আজাদ ৭৯. তেঁতুল বনে জোৎস্না - হুমায়ূন আহমেদ। ৮০. ধৈর্য ও কৃতজ্ঞতার সুফল - হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী ( রহঃ) ৮১. অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী - আহমদ ছফা ৮২. মহৎ জীবন - লুৎফর রহমান ৮৩. মানব - লুৎফর রহমান ৮৪. উন্নত জীবন - লুৎফর রহমান ৮৫. জলেশ্বরী -ওবায়েদ হক ৮৬. সংস্কৃতি-কথা - মোতাহের হোসেন চৌধুরী ৮৭. Sapiens: A Brief History of Humankind - Yuval Noah Harari ৮৮. অলৌকিক নয় লৌকিক - প্রবীর ঘোষ ৮৯. হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি - গোলাম মুরশিদ ৯০. উল্টো নির্ণয়- মোহাম্মদ তোয়াহা আকবর ৯১. enjoy your life - আব্দুর রহমান আরিফী ৯২. বিশ্ব রাজনীতির ১০০ বছর- তারেক শামসুর রেহমান ৯৩. নয়া বিশ্বব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি - তারেক শামসুর রেহমান ৯৪. সিনিয়র জুনিয়র- খায়রুল ইসলাম ৯৫. কষ্টিপাথর- আরেফিন সিদ্দিক ৯৬. ডাবল স্টান্ডার্ড- আরেফিন সিদ্দিক ৯৭. আরজ আলী সমীপে- আরিফ আজাদ ৯৮. আঙ্কেল টম'স কেবিন - হ্যারিয়েট বিচার স্টো ৯৯. গর্ভধারিণী - সমরেশ মজুমদার ১০০. বিষাদসিন্ধু - মীর মশাররফ হোসেন ১০১. ফেলুদা সমগ্র - সত্যজিৎ রায় ১০২. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা - সৈয়দ আবুল মকসুদ ১০৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস : আদিপর্ব - শিশির ভট্টাচার্য ১০৪. গনতন্ত্র ও উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ - মওদুদ আহমেদ ১০৫. দ্য পার্ল - জন স্টেনবেইক ১০৬. অগ্নিবীণা - কাজী নজরুল ইসলাম ১০৭. বিষের বাঁশী - কাজী নজরুল ইসলাম ১০৮. সাম্যবাদী - কাজী নজরুল ইসলাম ১০৯. প্রলয় শিখা - কাজী নজরুল ইসলাম ১১০. ছায়ানট - কাজী নজরুল ইসলাম ১১১. মৃত্যুক্ষুধা - কাজী নজরুল ইসলাম ১১২. সিন্ধু-হিন্দোল - কাজী নজরুল ইসলাম ১১৩. বাঙালি বলিয়া লজ্জা নাই - হায়াৎ মামুদ ১১৪. দেবদাস - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১১৫. মুক্তিযুদ্ধের বয়ানে ইসলাম - পিনাকী ভট্টাচার্য ১১৫. প্রেমের কবিতা - নির্মলেন্দু গুণ ১১৬. উপমহাদেশ - আল মাহমুদ ১১৭. কাবিলের বোন - আল মাহমুদ ১১৮. মাতাল হাওয়া - হুমায়ূন আহমেদ ১১৯. ওঙ্কার - আহমদ ছফা ১২০. একজন আলী কেনানের উত্থানপতন - আহমদ ছফা ১২১. আনোয়ারা- নজিবুর রহমান সাহিত্যরত্ন ১২২. ক্রীতদাসের হাসি - শওকত ওসমান ১২৩. পুতুল নাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ১২৪. পদচিহ্ন - সত্যেন সেন ১২৫. আল কুরআন ১২৬. বাইবেল ১২৭. মহাভারত ১২৮. রামায়ণ ১২৯. আল কুরআন, বাইবেল ও বিজ্ঞান - ড.মরিস বুকাইলি ১৩০. অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৩১. আনন্দমঠ - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৩২. গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৩৩. বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ১০০ মনীষীর জীবনী - মাইকেল এইচ হার্ট ১৩৪. কত অজানারে - শংকর ১৩৫. মূলধারা একাত্তর - মইদুল ইসলাম ১৩৬. গীতা ১৩৭. তাও তে চিং - লাও ৎসে ১৩৮. মুকাদ্দিমা - ইবনে খালদুন ১৩৯. রিপাবলিক - প্লেটো ১৪০. Alchemy of happiness - Imam Gazzali ১৪১. Hamlet - Wiliam Shakespeare ১৪২. Faust - Goethe. ১৪৩. বাংলাদেশ সংবিধান ১৪৪. Outliers- Malcolm Gladwell ১৪৫. How to win friends and influence people - Dale Carnegie ১৪৬. Rich dad poor dad - Robert kiyosaki. ১৪৭. The oldman and the Sea - Ernest Hemingway. ১৪৮. The Globalization of Inequality - Francois Bourguignon ১৪৯. শুভ্রসমগ্র - হুমায়ূন আহমেদ ১৫০. ফেরা - সিহিন্তা শরিফা ১৫১. The God of Small Things - Arundhati Ray ১৫২. লা মিজারেবল - ভিক্টর হুগো ১৫৩. A Glimpse of The World History-Jawharlal Neheru ১৫৪. জননী- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৫৫. শেষের কবিতা- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৫৬. The Subtle Art of Not Giving a F*ck - Mark Manson ১৫৭. ক্রাচের কর্নেল - শাহাদুজ্জামান ১৫৮. পুষ্প বৃক্ষ বিহঙ্গ পুরাণ - আহমদ ছফা ১৫৯. সারেং বউ - শহীদুল্লাহ কায়সার ১৬০. শবনম - সৈয়দ মুজতবা আলী ১৬১. সূর্য দীঘল বাড়ি - আবু ইসহাক ১৬২. সব কিছু ভেঙগে পড়ে - হুমায়ুন আজাদ ১৬৩. সপ্তপদী - তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় ১৬৪. গণদেবতা - তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় ১৬৫. জলপুত্র - হরিশংকর জলদাস ১৬৬. জাগরী - সতীনাথ ভাদুরী ১৬৭. ভয়ের সাংস্কৃতি - আলী রিয়াজ ১৬৮. ক্ষুধা - নুট হ্যামসন ১৬৯. ছোটগল্প সমগ্র - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৭০. নুন চা – বিমল লামা ১৭১. রাজনগর - অমিয়ভূষণ মজুমদার ১৭২. গড় শ্রীখন্ড - অমিয়ভূষণ মজুমদার ১৭৩. ক্রান্তিকাল - প্রফুল্ল রায় ১৭৪. কেয়াপাতার নৌকা - প্রফুল্ল রায় ১৭৫. মহাস্থবির জাতক - প্রেমাঙ্কুর আতর্থী ১৭৬. আরজ আলি মাতুব্বরের রচনাসমগ্র ১৭৭. গৃহদাহ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৭৮. দেনাপাওনা- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৭৯. শ্রীকান্ত- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮০. ভোলগা থেকে গঙ্গা - রাহুল সাংকৃত্যায়ন ১৮১. নারী, সৃষ্টি ও বিজ্ঞান - পূরবী বসু ১৮২. ঈশ্বরের বাগান - অতীন বন্দোপাধ্যায় ১৮৩. নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে - অতীন বন্দোপাধ্যায় ১৮৪. আয়না - আবুল মনসুর আহমদ। ১৮৫. ত্রিপিটক - গৌতমবুদ্ধ ১৮৬. গঙ্গা - সমরেশ বসু ১৮৭. প্রজাপতি - সমরেশ বসু ১৮৮. কবি অথবা দন্ডিত অপুরুষ - হুমায়ূন আজাদদ ১৮৯. খেলারাম খেলে যা - সৈয়দ শামসুল হক ১৯০. তিস্তাপারের বৃত্তান্ত - দেবেশ রায় ১৯১. উদ্ধারণপুরের ঘাট - দুলালচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ১৯২. বারো ঘর এক উঠোন - জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী ১৯৩. নকশীকাঁথার মাঠ - জসীমউদদীন ১৯৪. বাঙালি মুসলমানের মন - আহমদ ছফা ১৯৫. লৌহকপাট - জরাসন্ধ ১৯৬. অন্তর্লীনা - নারায়ণ সান্যাল ১৯৭. খোয়াবনামা - আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ১৯৮. চিলেকোঠার সেপাই - আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ১৯৯. সঞ্চয়িতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২০০. সঞ্চিতা - কাজী নজরুল ইসলাম ২০১. মেমসাহেব - নিমাই ভট্টাচার্য ২০২. লালসালু - সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ২০৩. কাঁদো নদী কাঁদো - সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ২০৪. হাজার বছর ধরে - জহির রায়হান ২০৫. দৃষ্টিপাত - যাযাবর ২০৬. তেইশ নম্বর তৈলচিত্র - আলাউদ্দিন আল আজাজ ২০৭. লোটা কম্বল - সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় ২০৮. কড়ি দিয়ে কিনলাম - বিমল মিত্র ২০৯. ন হন্যতে - মৈত্রেয়ী দেবী। ২১০. তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ ২১১. ওদের জানিয়ে দাও - শাহরিয়ার কবির ২১২. কেরী সাহেবের মুন্সী - প্রমথনাথ বিশী ২১৩. নিষিদ্ধ লোবান - সৈয়দ শামসুল হক ২১৪. সেই সময় - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ২১৫. নন্দিত নরকে - হুমায়ূন আহমেদ ২১৬. শঙ্খনীল কারাগার - হুমায়ূন আহমেদ ২১৭. জেনারেল ও নারীরা - আনিসুল হক ২১৮. ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইল - হুমায়ুন আজাদ ২১৯. গোধূলিয়া - নিমাই ভট্টাচার্য ২২০.আগুনপাখি - হাসান আজিজুল হক ২২১. পদ্মা নদীর মাঝি - মানিক বন্দোপাধ্যায় ২২২. নূরজাহান - ইমদাদুল হক মিলন ২২৩. আবদুল্লাহ - কাজী ইমদাদুল হক ২২৪. শেষ বিকেলের মেয়ে - জহির রায়হান। ২২৫. তিথিডোর - বুদ্ধদেব বসু ২২৬. দেশ বিদেশে - সৈয়দ মুজতবা আলী ২২৭. পঞ্চম পুরুষ - বাণী বসু ২২৮. মাধুকরী - বুদ্ধদেব গুহ ২২৯. হাজার চুরাশির মা - মহাশ্বেতা দেবী ২৩০. ঈশ্বর পৃথিবী ভালোবাসা - শিবরাম চক্রবর্তী ২৩২. শাপ মোচন - ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় ২৩৩. আমার মেয়েবেলা - তসলিমা নাসরিন ২৩৪. উতল হাওয়া - তাসলিমা নাসরিন ২৩৫. সংশপ্তক - শহীদুল্লাহ কায়সার ২৩৬. জীবন আমার বোন - মাহমুদুল হক ২৩৭. উপনিবেশ - নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায় ২৩৮. অলীক মানুষ - সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ ২৩৯. মরণবিলাস - আহমদ ছফা ২৪০. কালের নায়ক - গাজী তানজিয়া ২৪১. আমি তপু - মুহম্মদ জাফর ইকবাল ২৪২. আকাশ বাড়িয়ে দাও - মুহম্মদ জাফর ইকবাল ২৪৩. আমার বন্ধু রাশেদ - মুহম্মদ জাফর ইকবাল ২৪৪. অনীল বাগচীর একদিন - হুমায়ূন আহমেদ ২৪৫. জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক স্মারকগ্রন্থ ২৪৬. ফুল বউ - আবুল বাশার ২৪৭. নিশি কুটুম্ব - মনোজ বসু ২৪৮. উত্তম পুরুষ - রশীদ করিম ২৪৯. কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ - সুস্মিতা বন্দোপাধ্যায় ২৫০. আমি বীরাঙ্গনা বলছি - নীলিমা ইব্রাহিম ২৫১. দ্য প্রফেট - কাহলিল জিবরান ২৫২. উপদ্রুত উপকূল - রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ২৫৩. পুত্র পিতাকে - চানক্য সেন ২৫৪. দোজখনামা - রবিশংকর বল ২৫৫. চতুষ্পাঠী - স্বপ্নময় চক্রবর্তী ২৫৬. নামগন্ধ - মলয় রায়চৌধুরী ২৫৭. বিষাদবৃক্ষ - মিহির সেনগুপ্ত ২৫৮. বিষবৃক্ষ - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ২৫৯. জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা ২৬০. ছোটগল্পসমগ্র - সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ্‌ ২৬১. শ্রেষ্ঠ ছোটল্প - তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায় ২৬২. ছোটগল্পসমগ্র - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ২৬২. নবীর বাগান - কাহলিল জিবরান ২৬৩. গল্পমালা - উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ২৬৪. নিমন্ত্রন - তসলিমা নাসরিন ২৬৫. প্রথম প্রতিশ্রুত - আশাপূর্না দেবী ২৬৬. সুবর্ণলতা - আশাপূর্না দেবী ২৬৭. বকুল কথা - আশাপূর্না দেবী ২৬৮. বলাকা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২৬৯. সময়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস - স্টিফেন হকিংস ২৭০. কারাগারের রোজনামচা - শেখ মুজিবুর রহমান ২৭১. বাংলাদেশের অভ্যূদয় - রেহমান সোবহান ২৭২. রবীন্দ্রনাথ কেন জরুরি - সিরাজুল ইসলাম চৌধুরি ২৭৩. আদমবোমা - ড. সলিমুল্লাহ খান ২৭৪. কুবের সাধু খাঁর বিষয় আশয় - শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় ২৭৫. বসুধারা - তিলোত্তমা মজুমদার। ২৭৬. দুচাকায় দুনিয়া - বিমল মুখার্জী ২৭৭. আমার সশস্ত্র শব্দবাহিনী - মুহম্মদ নূরুল হুদা ২৭৮. শোণিতে সমুদ্রপার - মুহম্মদ নূরুল হুদা ২৭৯. ছাড়পত্র - সুকান্ত ভট্টাচার্য ২৮০. হরতাল - সুকান্ত ভট্টাচার্য ২৭১. ঘুম নেই - সুকান্ত ভট্টাচার্য ২৭২. ক্ল্যাশ অব সিভিলাইজেশন - সাম্যুয়েল পি. হান্টিংটন ২৭৩. ভায়োলেন্স এন্ড ইল্যুশন - অমর্ত্য সেন ২৭৪. কলকাতার কাছেই - গজেন্দ্র কুমার মিত্র ২৭৫. পৌষ ফাগুনের পালা - গজেন্দ্র কুমার মিত্র ২৭৬. উপকন্ঠ - গজেন্দ্র কুমার মিত্র ২৭৭. নদী ও নারী - হুমায়ুন কবির ২৭৮. অসাধু সিদ্ধার্থ - জগদীশ গুপ্ত ২৭৯. কথোপকথন - পূর্ণেন্দু পত্রী ২৮০. সেয়ানা - সত্যেন সেন ২৮১. লাল নীল দীপাবলি - হুমায়ুন আজাদ ২৮২. প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে - শামসুর রাহমান ২৮৩. যে জলে আগুন জ্বলে - হেলাল হাফিজ ২৮৪. নিস্ফলা মাঠের কৃষক - আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ২৮৫. কাশবনের কন্যা - শামসুদ্দীন আবুল কালাম ২৮৬. জলরাক্ষস - আবুবকর সিদ্দিক ২৮৭. বিলোরিস - অঞ্জলি লাহিড়ী ২৮৮. উড়ুক্কু - নাসরীন জাহান ২৮৯. কুহেলিকা - কাজী নজরুল ইসলাম ২৯০. কারাগারে রাত দিন - জয়নাব আল গাজালী। ২৯১. কাছের মানুষ - সূচিত্রা ভট্টাচার্য ২৯২. ইলিয়াড ২৯৩. ওডিসি ২৯৪. 48 laws of power - রবার্ট গ্রীন ২৯৫. দ্যা প্রিন্স - নিকোলো ম্যাকিয়াভিলি ২৯৬. The art of seduction - রবার্ট গ্রীন ২৯৭. Bangladesh:State of the Nation -Abdur Razzaq. ২৯৮. Bangladesh :A Biography of a Muslim Nation - Charles Petter O'donnell. ২৯৯. জীবন যাপনের শিল্পকলা -আন্দ্রে মারোয়া ৩০০. রেনেসাঁ -অন্নদাশঙ্কর রায় ৩০১. শাশ্বত বঙ্গ- কাজী আবদুল ওদুদ ৩০২. দেবযান - বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় ৩০৩. রজনী - হুমায়ূন আহমেদ ৩০৪. হলুদ হিমু কালো র্যাব - হুমায়ূন আহমেদ, ৩০৫. হুমায়ুন আজাদের প্রবচনগুচ্ছ ৩০৬. নীললোহিত সমগ্র ৩০৭. সক্রেতিসের জবানবন্দি - প্লেটো ৩০৮. কর্মযোগ - স্বামী বিবেকানন্দ ৩০৯. ভবঘুরে শাস্ত্র- রাহুল সাংকৃত্যায়ন ৩১০. কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো- কার্ল মার্কস, ফ্রিডরিক এঙ্গেলস ৩১১. অন লিবার্টি - জন স্টুয়ার্ট মিল ৩১২. মাই এক্সপেরিমেন্টস উইদ ট্রুথ - মহাত্মা গান্ধী ৩১৩. নেপোলিয়ন ইমমোর্টাল - জেমস কেম্বেল, জন মারি ৩১৪. ফ্রিডম এট মিডনাইট - ডমিনিক লেপিয়ার ও ল্যারি কলিন্স ৩১৫. হিস্ট্রি অব ওয়েস্টার্ন ফিলসফি - বাট্রার্ন্ড রাসেল ৩১৬. দ্য গ্রেটেস্ট মাইন্ড এন্ড আইডিয়াজ অব অল টাইম - উইল ডুরান্ট ৩১৭. সোফির জগত - ইয়োস্তেন গার্ডার ৩১৮. দ্য লিটল প্রিন্স - আন্তোন সেইন্ট দ্য এক্সিপেরি ৩১৯. এ ক্রিটিকাল হিস্ট্রি অব গ্রিক ফিলসফি - ডব্লিউ টি. স্টেইস ৩২০. এমিল অর অন এজুকেইশন -জ্যাঁ জ্যাক রুশো ৩২১. অর্থশাস্ত্র - কৌটিল্য ৩২২. এ হিস্ট্রি অব ওয়েস্টার্ন ফিলসফি - রালফ ম্যাকলনার্নি ৩২৩. শেষপ্রশ্ন - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ৩২৪. চরিত্রহীন - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ৩২৫. দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ৩২৬. শুভদা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ৩২৭. মতিচূর - বেগম রোকেয়া ৩২৮. সুলতানার স্বপ্ন - বেগম রোকেয়া ৩২৯. দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ৩৩০. অহিংসা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ৩৩১. চিহ্ন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ৩৩২. চাঁদের পাহাড় - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৩৩৩. হাঁসুলি বাঁকের উপকথা - তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ৩৩৪. নাগিনী কন্যার কাহিনী - তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ৩৩৫. আরোগ্য নিকেতন - তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ৩৩৬. কারুবাসনা - জীবনানন্দ দাশ ৩৩৭. মাল্যবান - জীবনানন্দ দাশ ৩৩৮. বেনের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ৩৩৯. গীতাঞ্জলী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৩৪০. অন্তর্জলী যাত্রা -কমলকুমার মজুমদার ৩৪১. সুহাসিনীর পমেটম - কমলকুমার মজুমদার ৩৪১. নিম অন্নপূর্ণা - কমলকুমার মজুমদার ৩৪২. রাত ভর বৃষ্টি - বুদ্ধদেব বসু ৩৪৩. মোক্তার দাদুর কেতু বধ - সমরেশ বসু ৩৪৪. চাঁদের অমাবশ্যা - সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ ৩৪৫. জলাঙ্গী - শওকত ওসমান ৩৪৬. ঢোঁড়াই চরিত মানস - সতীনাথ ভাদুড়ী ৩৪৭. নৌকাডুবি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৩৪৮. চোখের বালি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৩৪৮. আট কুটুরী নয় দরজা - সমরেশ মজুমদার ৩৪৯. তালাশ - শাহীন আখতার ৩৫০. মুসলমানমঙ্গল - জাকির তালুকদার ৩৫১. কালোবরফ - মাহমুদুল হক ৩৫২. আই এম মালালা - মালালা ইউসুফজাই ৩৫৩. পরিণীতা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ৩৫৪. কপালকুণ্ডলা - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ৩৫৫. দুর্গেশনন্দিনী - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ৩৫৬. সে রাতে পূণিমা ছিল - শহীদুল জহির ৩৫৭. জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা - শহীদুল জহির ৩৫৮. আবু ইব্রাহীমের মৃত্যু শহীদুল জহির ৩৫৮. একুশে ফ্রেব্রুয়ারি - জহির রায়হান ৩৫৯. হার্বাট - নবারুণ ভট্টাচার্য ৩৬০. অগ্নিরথ - সমরেশ মজুমদার ৩৬১. দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৩৬২. নীল ময়ূরের যৌবন - সেলিনা হোসেন ৩৬৩. হাঙর নদী গ্রেনেড - সেলিনা হোসেন ৩৬৪. আওয়ামীলীগের ইতিহাস : ১৯৭১ - মহিউদ্দিন আহমদ ৩৬৫. আওয়ামীলীগের ইতিহাস : উত্থানপর্ব ১৯৪৯-১৯৭০ - মহিউদ্দিন আহমদ ৩৬৬. বিএনপির সময়-অসময় - মহিউদ্দিন আহমদ ৩৬৭. জাসদের উত্থানপতন : অস্থির সময়ের রাজনীতি - মহিউদ্দিন আহমদ ৩৬৮. শাপ মোচন - ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় ৩৬৯. ফাউন্ডেশন - আইজ্যাক আসিমভ ৩৭০. জুলভার্ণসমগ্র ৩৭১. একাত্তরের যীশু - শাহরিয়ার কবির ৩৭২. বিবাহবার্ষিকী - দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ৩৭৩. কালকেতু ও ফুল্লরা - সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ ৩৭৪. রাজপাঠ - তিলোত্তমা মজুমদার ৩৭৫. বসুধার জন্য - তিলোত্তমা মজুমদার ৩৭৬. জাহান্নাম হইতে বিদায় - শওকত ওসমান ৩৭৭. অলাতচক্র - আহমদ ছফা ৩৭৮. আগুনের পরশমণি - হুমায়ূন আহমেদ ৩৭৯. নেকড়ে অরন্য - শওকত ওসমান ৩৮০. উত্তরকাল - আমজাদ হোসেন ৩৮১. দুশো ছেষট্টি দিনে স্বাধীনতা - মুহাম্মদ নুরুল কাদির ৩৮২. পাকিস্তানীদের দৃষ্টিতে মুক্তিযুদ্ধ - মুনতাসির মামুন ও মুহিউদ্দিন আহমেদ ৩৮৩. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ : ভারত, রাশিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা - মেজর রফিকুল ইসলাম পিএসসি ৩৮৪. প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলি - আবু সাঈদ চৌধুরী ৩৮৫. বাংলাদেশের জন্ম - রাও ফরমান আলী খান ৩৮৬. ১৯৭১ : ভেতরে বাইরে - এ কে খন্দকার ৩৮৭. দ্য বিট্রেয়াল অফ ইস্ট পাকিস্তান - লে. জে. এ এ কে খান নিয়াজি ৩৮৮. আনব্রোকেন - লরা হিলেনব্রান্ড ৩৮৯. দ্য এম্পেরর অব অল ম্যালাডিস - সিদ্ধার্থ মুখার্জি ৩৯০. লেটস টেক দ্য লং ওয়ে হোম - গেইল কল্ডওয়েল ৩৯১. দ্য লাস্ট বয় - জেন লেভি ৩৯২. ব্রিলিয়ান্ট - জেন ব্রোক্স ৩৯৩. ওয়ার - সেবাস্টিয়ান জাঙ্গার ৩৯৪. লাইফ - কেইথ রিচার্ডস ৩৯৫. হেলহাউন্ড অন হিজ ট্রেইল - হ্যাম্পটন সাইডস ৩৯৬. কিওপেট্রা - স্টেসি স্কিফ ৩৯৭. ইউ আর নট এ গ্যাজিট - জ্যারন ল্যানিয়ার ৩৯৮. ফ্রিডম - জনাথন ফ্রাঞ্জেন ৩৯৯. অ্যা ভিজিট ফ্রম দ্য গুন স্কোয়াড - জেনিফার এগান ৪০০. স্কিপ্পি ডাইস - পল মুরে ৪০১. দ্য থাউজেন্ডস অটামস অব জ্যাকব ডি জোয়েট - ডেভিড মিশেল ৪০২. লর্ড অব মিসরুল - জেইমি গর্ডন ৪০৩. উইলসন - ডেনিয়েল কোয়েস ৪০৪. ম্যাটারহর্ন - কার্ল মারলানটিস ৪০৫. হাউ টু লিভ সেফলি ইন এ সায়েন্স ফিকশনাল ইউনিভার্স - চার্লস য়ু ৪০৬. দ্য প্যাসেজ - জাস্টিন ক্রোনিন ৪০৭. ফেইথফুল প্লেস - টানা ফ্রেঞ্চ ৪০৮. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ - সরদার ফজলুল করিম ৪০৯. পলিটিক্স - এরিস্টটল ৪১০. প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস - জেন অস্টেন ৪১১. দ্য ফরটি রুলস অব লাভ - এলিফ শাফাক ৪১২. দ্য কাইট রানার - খালেদ হোসাইনি ৪১৩. ইন প্যারিস অব আইডলনেস অ্যান্ড আদার এসেজ - বার্ট্রান্ড রাসেল ৪১৪. বৃষ্টির ঠিকানা - মুহম্মদ জাফর ইকবাল ৪১৫. ইউক্রেনের লোককথা - ভ্লাদিমির বইকোর ৪১৬. একজন কমলালেবু - শাহাদুজ্জামান ৪১৭. বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র ও আমি - আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ৪১৮. ভারতীয় দর্শন - দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় ৪১৯. মেঘনাদ বধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত ৪২০. আত্নকথা - মহাত্মা গান্ধী ৪২১. আরব জাতির ইতিহাস - সৈয়দ আমীর আলী ৪২২. পরার্থপরতার অর্থনীতি - আকবর আলি খান ৪২৩. মাদাম বোভারি - গুস্তাভে ফ্লবার্ট ৪২৪. আনা কারেনিনা - লিও তলস্তয় ৪২৫. ওয়ার অ্যান্ড পিস - লিও তলস্তয় ৪২৬. এন্ড অব দ্যা হিস্ট্রি - ফ্রান্সিস ফুকুয়ামা ৪২৭. ললিতা - ভ্লাদিমির নাবোকভ ৪২৮. দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব হাকলবেরি ফিন - মার্ক টোয়েন ৪২৯. ইন সার্চ অব লস্ট টাইম - মারসেল প্রোস্ট ৪৩০. দ্য স্টোরিজ অব অ্যানটন শেকভ - অ্যানটন শেকভ ৪৩১. মিডলমার্চ - জর্জ এলিয়ট ৪৩২. মুজেস এন্ড মনোথিইজম - সিগমুন্ড ফ্রয়েড ৪৩৩. থিওরি অব এভরিথিং - স্টিফেন হকিং ৪৩৪. তাজউদ্দীন আহমদ : নেতা ও পিতা - শারমিন আহমদ ৪৩৫. দ্য গডফাদার - মারিও পুজো ৪৩৬. ভবিষ্যতের বাঙালি - এস ওয়াজেদ আলি ৪৩৭. ক্যাপিটাল - কার্ল মার্ক্স ৪৩৮. এনিম্যাল ফার্ম - জর্জ অরওয়েল ৪৩৯. বুখারী শরীফ ৪৪০. মেশকাত শরীফ ৪৪১. তিরমিজি শরীফ ৪৪২. আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না - বার্ট্রান্ড রাসেল ৪৪৩. বিশ্বাসের ভাইরাস - অভিজিৎ রায় ৪৪৪. অবিশ্বাসের দর্শন - অভিজিৎ রায় ৪৪৫. মেটামরফোসিস - ফ্রানজ কাফকা ৪৪৬. আমার একাত্তর - আনিসুজ্জামান ৪৪৭. সিদ্ধার্থ - হেরমান হেস ৪৪৮. Love in the Time of Cholera - Gabriel Garcia Marquez ৪৪৯. The History of Sexuality - মিশেল ফুকো ৪৫০. সংস্কৃতি - আহমদ শরীফ ৪৫১. The story of a shipwrecked sailor - Gabriel Garcia Marquez ৪৫২. রাজা ইডিপাস - সফোক্লিস ৪৫৩. ফুড কনফারেন্স - আবুল মনসুর আহমদ ৪৫৪. মাও সে তুং - রাহুল সাংকৃত্যায়ন ৪৫৫. পৃথিবীর পাঠশালায় - ম্যাক্সিম গোর্কি ৪৫৬. জেগে উঠছে ইরান - শিরিন এবাদি ৪৫৭. পুঁজিবাদ : এক ভৌতিক কাহিনী - অরুন্ধতী রায় ৪৫৮. ক্ষমতা - বার্ট্রান্ড রাসেল ৪৫৯. দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি - আর্নেস্ট হেমিংওয়ে ৪৬০. জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও জনগণের মুক্তি ১৯০৫-৪৭ - সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ৪৬১. Dreams From My Father - বারাক ওবামা ৪৬২. মিডনাইট চিলড্রেন্স - সালমান রুশদি ৪৬৩. বিবাহ ও নৈতিকতা - বার্ট্রান্ড রাসেল ৪৬৪. মাই নেম ইজ রেড - ওরহান পামুক ৪৬৫. প্লেগ - আলবেয়ার কাম্যু ৪৬৬. মিগুয়েল স্ট্রিট - ভি এস নাইপল ৪৬৭. ইছামতী - বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় ৪৬৮. রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর শ্রেষ্ঠ কবিতা ৪৬৯. পূর্ব বাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি -বদরুদ্দীন উমর ৪৭০. বাঙলাদেশে ইতিহাস চর্চা - বদরুদ্দীন উমর ৪৭১. স্মৃতিকথায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় - মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর ৪৭২. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চেতনার বাতিঘর - ড. সৌমিত্র শেখর ৪৭৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : নতুন যুগের সন্ধানে - ইমতিয়াজ আহমেদ ৪৭৪. শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় - স্বপন কুমার দাস ৪৭৫. স্বাধীনতা সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় - রফিকুল ইসলাম ৪৭৬. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এলাকার ইতিহাস - মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম ৪৭৬. নারী প্রগতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রোকেয়া হল - সেলিনা চৌধুরী ৪৭৭. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : স্মৃতি নিদর্শন - ড. আয়শা বেগম ৪৭৮. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫৩৮ দিন - কাজী আল মামুন ৪৭৯. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশি বছর - রফিকুল ইসলাম ৪৮০. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রন্থিত ইতিহাস - ড. রতন লাল চক্রবর্তী ৪৮১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা - বিভাগের ইতিহাস - মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ৪৮২. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি ১৯৪৭-১৯৫১ - এ. জি. স্টক ৪৮৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণহত্যা: ১৯৭১ (জগন্নাথ হল) - রতনলাল চক্রবর্তী ৪৮৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: রাজনীতি ও বিবিধ প্রসঙ্গ -গালিব আহসান খান ৪৮৫. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: আগষ্টের ঘটনা গ্রেপ্তার রিমান্ড ও কারাগারের দিনগুলি - ড. হারুণ অর রশিদ ৪৮৬. বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৪৭-১৯৭১) - ড. রতন লাল চক্রবর্তী ৪৮৭. কাঠগড়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : রিমান্ড ও কারাগারের দিনলিপি - ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন ৪৮৮. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ : ইতিহাস ও ঐতিহ্য - ডক্টর প্রদীপ রায় ৪৮৯. স্যার ফিলিপ হার্টগ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য - সৈয়দ আবুল মকসুদ ৪৯০. কান্টের নীতিদর্শন - শেখ আবদুল ওয়াহাব ৪৯১. চে - মুস্তাফিজ শফি ৪৯২. রাজনীতিকোষ - হারুনুর রশিদ ৪৯৩. আন্তর্জাতিক রাজনীতিকোষ - তারেক শামসুর রেহমান ৪৯৪. গবেষণায় হাতেখড়ি - রাগিব হাসান ৪৯৫. দর্শনকোষ - সরদার ফজলুল করিম ৪৯৬. ইতিহাস গবেষণা পদ্ধতি - আহমেদ কামাল ৪৯৭. বাংলাদেশের নায়কেরা : সফলদের স্বপ্নগাথা - মতিউর রহমান ৪৯৮. পৃথিবীর ইতিহাস - জওহরলাল নেহরু ৪৯৯. দর্শনের সমস্যাবলি - বার্ট্রান্ড রাসেল ৫০০. মনঃসমীক্ষা - সিগমুন্ড ফ্রয়েড ------ তালিকাটি তৈরি করতে সহায়তা করেছে: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।

500 বইয়ের তালিকা পেতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক ভাল বইয়ের তালিকা তৈরি করেছে। কিন্তু আমার ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও আমি আমার প্রিয় বইয়ের তালিকা তৈরি করতে পারিনি। কারন সেই বই গুলো আমি পরে শেষ করতে পারিনি। এখন মনে হচ্ছে, বাংলা সাহিত্যের সেরা বইয়ের তালিকা তৈরি করা যেতে পারে। এবং আমার ধারনা আপনারা সবাই আমার সাথে একমত হবেন। বই আমাদের মানুষ করেছে, আমাদের সুসভ্য করেছে৷‌ তাই আজ যারা বই-বিমুখ, যারা শুধু কম্পিউটার, পানশালা
আর টিভি সিরিয়ালে আনন্দ পায়, তাদের কি সভ্য বলা যাবে? অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার। তাকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল, 'ভালো বই কাকে বলে?' উত্তরে তিনি বলেছিলেন, 'যে বইটা পাঠককে ভাবায়, সেটাই ভালো বই।' বাংলা সাহিত্যের একনিষ্ঠ পাঠকদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই আমার পছন্দের বইয়ের তালিকার সাথে একমত হবেন আশা করি। পাঠকদের কাজ হল বই পড়া। বইয়ের মধ্য থেকে নিজের জন্য আনন্দ খুজে ফেরা। ''তিনটি ভাল বই একবার করে পড়ার চেয়ে একটি ভাল বই তিনবার পড়া বেশি উপকারী।” আমাদের জীবনের আয়ু তো সীমিত। বইপত্র নিয়ে এলোমেলো পড়তে গিয়ে প্রচুর সময় নষ্ট হয়। বইটি পড়ার আগে ভাবতে হবে আমি এই বইটি কেন পড়ব, বইটি থেকে কী চাই। যা পড়া হয়, তা আত্মস্থ করা গুরুত্বপূর্ণ। বই পড়ার মূল উদ্দেশ্য থাকতে হবে আত্মিক উন্নয়ন। আপনার বইয়ের শেলফ যত বেশি সম্ভব ভিন্ন ধরনের বই দিয়ে ভর্তি করবেন, আপনার অ্যাডভেঞ্চারও তত বেশি হবে। ১। 'শেষের কবিতা' ও 'গোরা' লেখক- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। উপন্যাসের নায়কের নাম গোরা। মূলত গোরার পিতা ইংরেজ। সিপাহি বিদ্রোহের সময় এক ব্রাম্মন পরিবারের গোয়ালে তার জন্ম। জন্মের সময় সে মাকে হারায়। ব্রাম্মন দম্পতি তাকে মাতা-পিতার পরিচয়ে বড় করে। এই গোরা কালক্রমে বড় হিন্দু নেতা হয়ে যায় এবং ইংরেজ বিরোধী। এবং শেষের কবিতায় বিলেত ফেরত ব্যারিস্টার অমিত রায় প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত এবং রোমান্টিক যুবক। তর্কে প্রতিপক্ষকে হারাতে সিদ্ধহস্ত। এই অমিত একবার শিলং পাহাড়ে গেল বেড়াতে । আর সেখানেই এক মোটর-দুর্ঘটনায় পরিচয় ঘটল লাবণ্যর সাথে। এই বইটি দুটি আমি প্রতি বছর একবার করে পড়ি। ঠিক করেছি আমৃত্যু পড়ে যাব। ২। 'প্রদোষে প্রাকৃতজন' লেখক- শওকত আলী। উপমহাদেশের এক কোনায় বাংলাদেশে হঠাৎ করে এত বিপুল সংখ্যক মানুষের ইসলাম গ্রহণ যে কারণেই হোক একটি সর্ব অজ্ঞাত ঘটনা। লীলাবতীর মধ্যে আবহমান বাঙালী নারীকেই পাই। বইটি লিখতে লেখকের প্রায় ১৫ বছর লেগেছে। আজীবন মনে রাখার মত অসাধারণ একটি বই। ৩। 'লৌহকপাট' লেখক, 'জরাসন্ধ' (ছদ্মনাম)। আসল নাম- চারুচন্দ্র চক্রবর্তী। বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্ব শেষ করে এক তরুণ যুবক চাকরির সন্ধানে ঘুরতে ঘুরতে শেষপর্যন্ত যে কাজটি পেলেন, সেটি হল কারা বিভাগে। ছোটখাটো একটি জেলের ডেপুটি জেলারের পদ। সম্পূর্ণ একটা নতুন জগতের সঙ্গে পরিচয় ঘটল সেখানে। পরিচয় হল বদর মুন্সীর মত ভয়ঙ্কর ডাকাতের সঙ্গে - খুন,জখম, নারীধর্ষণ যার কাছে ছেলেখেলা। কিন্তু সেই লোকটিই একবার ডাকাতি করার সময়ে গৃহস্বামীকে কথা দিয়েছিল, শুধু টাকা-গয়নাই নেবে - নারীর সম্মান নষ্ট করবে না। কিন্তু দলের একজন সেই হুকুম মানে নি বুঝতে পেরে, নিজেই ধরা দিল সেই অপবাদের বোঝা নিজের মাথায় নিয়ে। ৪। 'অন্তর্লীনা' লেখক- নারায়ণ সান্যাল। গল্পের নায়ক কৃশানু মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে। বুদ্ধিদীপ্ত, কিন্তু সাধারণের দৃষ্টিতে স্মার্ট নয়, কারণ সে লাজুক, ইন্ট্রোভার্ট, নিজের মধ্যে নিজেকে গুটিয়ে রাখতে ভালবাসে। এছাড়া তার মধ্যে আছে এক শিল্পীমন, সে সাহিত্যের ছাত্র, ছবিও আঁকে। অথচ তার স্কেচবুকে নেই কোনও নারীর ছবি। তার বয়সী এক যুবক শিল্পীর কাছে একটু অস্বাভাবিক ঘটনা, সন্দেহ নেই। শুধু স্কেচবুক বলে তো নয়, সে ট্রামে উঠে চেষ্টা করে লেডিজ সীট থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকতে, তার সহপাঠী মেয়েদের মুখের দিকে সে কখনও তাকায়না পর্যন্ত। উপন্যাসটা পড়তে শুরু করলে, ভাল লাগতে শুরু করবে। ৫। 'খোয়াবনামা' পূর্ববাংলার আঞ্চলিক ভাষাকে অবলম্বন করে যে কি চমৎকার উপন্যাস লেখা যায় তার সার্থক উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস তার দীর্ঘ কলেবরের উপন্যাস খোয়াবনামার মাধ্যমে। আঞ্চলিক ভাষার অধিক ব্যবহার রয়েছে বইটিতে, রয়েছে কিছু খিস্তি-খেউরও। ’৪৭ এর দেশভাগ গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখল করে আছে খোয়াবনামা। ৬। 'শুন বরনারী' লেখক- সুবোধ ঘোষ। জন্মেছিলেন ১৯০৯ সালে ঢাকার বিক্রমপুরে জেলায়, মৃত্যু ১৯৮০ সালে। সহজ সরল একটি উপন্যাস। এ উপন্যাসকে সম্পর্কে হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন- অতি সাধারণ উপন্যাস মুগ্ধ হয়ে বারবার পড়েছি। হিমাদ্রিশেখর দত্ত ওরফে হোমিও হিমু। পেশায় হোমিও চিকিৎসক। যদিও কেউ তাকে ডাক্তারি করতে দেখেনা। লোকের ছেলেপেলে পড়িয়ে রোজগার চলে। আর,আসল কাজ হচ্ছে পরোপকার, মানে, অমুকের সাথে অমুক জায়গায় যেতে হবে,অমুকের মেয়েকে ট্রেনে করে হোস্টেলে দিয়ে আসা, নিয়ে আসা, অমুক কে তীর্ত্থে নিয়ে যাওয়া, এইসব। না করতে পারেনা হিমু। এমন কাজেই ডাক পড়ে তার। https://estikutum24.blogspot.com/ ৭। 'কবি' লেখক- তারাশঙ্কর। বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ উপন্যাসগুলোর মধ্যে এটি একটি।কবি উপন্যাসের নায়ক একজন কবি । তবে কবি বলতে আমরা সাধারনত যা বুঝি সেই কবি তিনি নন,উপন্যাসের নায়ক নিতাইচরন একজন কবিয়াল । একবার এক মেলাতে এক বিখ্যাত কবিয়াল না থাকাতে নিতাইকে মঞ্চে তুলে দেয়া হয়,তারপরে নিতাই তার প্রতিদ্বন্দ্বী কবিয়ালকে প্রায় ঘায়েল করে ফেলে শেষে তার প্রতিপক্ষ কবিয়াল নিতাইয়ের পরিবার নিয়ে অশ্লীল আক্রমণ করে কবিয়াল লড়াইয়ে জিতে যায়,কিন্তু অই মঞ্চেই নিতাই জয় করে নেই হাজারো মানুষের মন । ৮। 'তবুও একদিন' লেখক- সুমন্ত আসলাম। বইটি একটু সময় নষ্ট করে পড়ে ফেলুন। ভালো লাগবেই। ৯। ‘লালসালু’ লেখক- সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ। বেশ কয়েকটি শক্তিশালী নারী চরিত্রের প্রাধান্য পেয়েছে এই উপন্যাসে,তাদের মধ্যে জমিলা অন্যতম। জমিলা অত্যন্ত সাহসী এক নারী। মজিদ নামের প্রতিকী দ্বারা ভ্রান্ত না হয়ে, মজিদের সাথে না লেগে থেকে সে পরিবর্তন চেয়েছে। ধর্মকে পুঁজি করে যারা সমাজকে শোষন করে জমিলার মৃত্যু তাদের কপালে কলংকের চিহ্ন এঁকে দেয়। ১০। 'হাজার বছর ধরে' লেখক- জহির রায়হান। এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র টুনি,অবশ্য অনেকে আম্বিয়াকেও কেন্দ্রীয় চরিত্র বলে আখ্যায়িত করে থাকেন। তবে আম্বিয়ার চেয়ে টুনির জীবনের উত্থান পতনকেই লেখক বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন। টুনি গ্রামের সহজ, সরল, চঞ্চল এক মেয়ে। টুনির পরিণতি হয়েছে হৃদয় চিরে যাওয়ার মতো কষ্টকর। শেষ পর্যন্ত শূন্য বুকে বাপের বাড়ি ফিরে টুনি,তবুও শৃংখল ভাঙ্গেনি। নিজের পছন্দের উপর ভিত্তি করেই বই পড়া উচিত। অন্যের পছন্দ বা ভাললাগার মূল্য না দিয়ে নিজের পছন্দ অনুসারে বই বাছাই করুন। অনেকের কাছে ভাল লেগেছে, এমন বই আপনার পছন্দ নাও হতে পারে। এছাড়া কোন বই অনেকেই পড়েছে বলে আপনাকেও পড়তে হবে এমন কোন কথা নেই। অন্যের পছন্দের বই আপনাকেও পড়তে হবে, এমন মনে করাটা বোকামী। প্রত্যেকের নিজস্ব একটি ভাললাগার জগৎ থাকে। কারো ভূতের গল্প পছন্দ, কারো ফুটবল আবার কারো বা ভ্রমণকাহিনী। কারো পছন্দ বা প্ররোচনায় বই বাছাই না করে নিজের দিকে তাকান। নিজে যা চান তাই করুন, অন্যের চাপে নয়। নিজের যে বইটি পড়তে ভাল লেগেছে, অন্যকেও সেই বই পড়তে উৎসাহ দিন। পছন্দের বই নিয়ে অন্যদের সাথে আলোচনা করুন। ভাই-বোনকে নিজের পছন্দের বই পড়তে উৎসাহ দিন। তাদেরকে তাড়াতাড়ি বইটি শেষ করতে তাগাদা দিন, যাতে আপনি তাদের সাথে কথা বলতে পারেন। বই পড়ার আনন্দ ভাগাভাগি করা বই পড়ার চেয়ে আরো বেশি আনন্দদায়ক। ১১। 'দৃষ্টিপাত' লেখক-যাযাবর। বইটি প্রকাশিত হওয়া মাত্রই বাঙালী শিক্ষিত সমাজে যে আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছিল তাহা যেমন বিস্ময়কর তেমনি অভূতপূর্ব । 'দৃষ্টিপাত'-এ রাজনৈতিক আলোচনার সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে ইতিহাস, স্থাপত্য, সঙ্গীত, মনুষ্যচরিত্র নিয়ে নানান আলোচনা । নিরস ভাবে নয়, গল্প ও ঘটনার সহজ প্রবাহের সঙ্গেই সেগুলি এসেছে; করেছে বইটিকে তথ্য-সম্বৃদ্ধ । ১৯৫০ সালে সমকালীন বাংলা সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ বই হিসেবে 'দৃষ্টিপাত' নরসিংহ দাস পুরস্কারে সন্মানিত হয় । facebook.com/gopalroy24 ১২। 'তেইশ নম্বর তৈলচিত্র' লেখক- আলাউদ্দিন আল আজাদ। ১৯৬০ সালে পদক্ষেপ নামক এক পত্রিকার ঈদ সংখ্যায় উপন্যাসটি প্রথম ছাপা হয় । শিল্পীর অপূর্ণতাবোধ, বেদনা এবং অশেষ সৌন্দর্যতৃষ্ণা এ উপন্যাসের প্রধানতম থিম । শিল্পীর মনের টানাপড়েন এবং নতুন ধরনের মূল্যবোধের কারণে ‘তেইশ নম্বর তৈলচিত্র’ প্রসিদ্ধ হলেও এ উপন্যাসের অন্য উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে এর নায়ক পরিকল্পনা । ১৩। 'কাবিলের বোন' ও 'উপমহাদেশ' লেখক- আল মাহমুদ। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বর্তমানে ভূরি ভূরি বই প্রকাশিত হতে দেখছি আমরা । বাজার থেকে এরকম দশটি বই তুলে নিয়ে পাঠ করলে দেখা যাবে, ইতিহাস ও বাস্তবতাকে পাশ কাটিয়ে একরৈখিকভাবে আরোপ করা হচ্ছে লেখকের অন্তরে প্রতিষ্ঠিত কোনো ধারণা । প্রত্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা কবি ও কথাশিল্পী আল মাহমুদ তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় জারিত হয়ে লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস—‘কাবিলের বোন’ ও ‘উপমহাদেশ’। মুক্তিযুদ্ধের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে উত্সারিত আল মাহমুদের এ দু’টি উপন্যাস বহুল আলোচিত, পঠিত ও নন্দিত হওয়ার পরও এগুলোর মর্যাদা এখনও চিহ্নিত হয়নি । ১৯৯৪ সালে আল মাহমুদের ‘কাবিলের বোন’ উপন্যাস প্রকাশ করার কারণে বাংলা একাডেমীর একুশে বইমেলায় বাংলা সাহিত্য পরিষদের স্টলে ভাংচুর করা হয় এবং বইতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় । ১৪। 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' লেখক- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমার চেতনার অনেকটা জুড়ে আছেন তিনি। দুঃখের মাঝে ধৈর্য, কষ্টের মাঝে হাসি, বিপদের মাঝে কঠিন মনোবল আর নীতির প্রশ্নে মাথা নিচু না করার মানসিকতা আমি তার জীবনীর মধ্যে পেয়েছি। তাকে জীবনের অন্যতম মহামানব ভাবতে পেরে আত্মতৃপ্তিটুকু পেয়েছি। https://estikutum24.blogspot.com/ ১৫। 'লোটা কম্বল' লেখক- সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। আমার পড়া একটি অম্ল-মধুর, হাস্য-রস মিশ্রিত মধ্যবিত্ত ঘরের বর্ণনা সম্বলিত চমৎকার উপন্যাস। দুই খন্ডের বই। প্রায় আটশ' পৃষ্ঠা জুড়ে এর কাহিনীর বিস্তার। বইয়ের নিজের ভাষায়, "ভেঙে যাওয়া যৌথ পরিবারের পটভূমিকায় দাঁড়িয়ে নিঃসঙ্গ এক পৌঢ়, হিমালয়ের মত যাঁর ব্যক্তিত্ব, অসম্ভব যাঁর আদর্শনিষ্ঠা, আপাত কঠোর যেন প্রুশীয়ান জেনারেল অথচ ভেতরে ভেতরে কুসুম কোমল। আর সেই মানুষটির একমাত্র মাতৃহারা যুবক সন্তান, মাঝে দুই পুরুষের ব্যবধান। পূর্বপুরুষ উত্তর পুরুষে সঞ্চারিত করতে চায় জীবনের শ্রেষ্ঠ গুণ আর মূল্যবোধ। মানুষের মত মানুষ করে তুলতে চায়।....দুই পুরুষের মূল্যবোধ আর দৃষ্টিভঙ্গির ঠোকাঠুকির মধ্যে আর এক পুরুষ। তিনি বৃদ্ধ মাতামহ। আধ্যাত্মিকতার বাতিটি তুলে যিনি খুঁজে পেতে চান সেই চির-চাওয়া পরমপুরুষটিকে..." ১৬। 'কড়ি দিয়ে কিনলাম' লেখক- বিমল মিত্র। অসাধারণ একটি বই। প্রাক স্বাধীন ভারতের প্রেক্ষাপটে রচিত এই উপন্যাসের কাহিনী। দুই খন্ডের বিশাল উপন্যাসটি দেখে আমার মত অনেকেই ভয় পেতে পারে। তবে এই বইটি না পড়লে আমার বই পড়া জীবনটি অসম্পূর্ন থেকে যেত। কিছু বই আছে যা পড়লে কখনও ভুলা যায় না। কড়ি দিয়ে কিনলাম বইটি সে ধরনের একটি বই। এত বড় উপন্যাসটি পড়ার সময় একবারও আমার মনোযোগ ছুটে যায়নি। বিমল মিত্রের অসাধারন লেখনি পাঠকদের নিয়ে যাবে কাহিনীর গভীর থেকে গভীরে। ১৭। 'ন হন্যতে' লেখক- মৈত্রেয়ী দেবী। আমাকে অনেক কাঁদিয়েছেন মৈত্রেয়ী দেবী, আর বোধ করি আমার মতো অনেককেই অতি অনায়াসে সত্যের সামনে দাঁড়িয়ে আপনমনে নিজেকে বিশ্লেষণ করতে শিখিয়েছেন। এ উপন্যাসটি আমি লাইনকে লাইন মুখস্থ বলতে পারি। বাংলা ভাষায় এক তুলনাহীন উপন্যাস এটি। ১৮। 'তিতাস একটি নদীর নাম' লেখক- অদ্বৈত মল্লবর্মণ। এই একটি উপন্যাস লিখে লেখক খ্যাতি অর্জন করেন। এই উপন্যাসে গ্রামের দরিদ্র মালো শ্রেণীর লোকজনের দুঃখ-দুর্দশার কাহিনী ফুটিয়ে তুলেছেন। পরবর্তীকালে এই উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। ১৯। 'ওদের জানিয়ে দাও' লেখক- শাহরিয়ার কবির। এই বই সম্পর্কে লেখক বলেছেন, এটি কাল্পনিক উপন্যাস নয়। তার ভাষায়, ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে বসে লেখা। কেবল ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে। উপন্যাসটি ছোট আকারে ১৯৭৪ সালে বিচিত্রায় ছাপা হয়েছিল। পড়ে এটিকে খানিকটা বড় করা হয়েছে। শাহরিয়ার কবির এটি লিখেছিলেন ১৯৭৪ সালে। ২০। ‘পার্থিব’ ও 'দূরবীন' লেখক- শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। অজস্র চরিত্র, নানান ঘটনাবলী, মানুষের জীবনের নানা টানাপোড়েন, উত্থানপতন, ঘাত-প্রতিঘাত ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি এখানে, এবং যেভাবে সবাইকে একজায়গায় জড়ো করে এক স্রোতে মিলিয়েছেন, সেটা এককথায় অতুলনীয়। পার্থিব উপন্যাসের প্রথম লাইন হচ্ছে- "বাদামতলায় রামজীবনের পাকা ঘর উঠছে ওই ।" আর শেষ লাইন হচ্ছে- "এসো আমার সঙ্গে তুমিও কাঁদো, এসো কান্নায় একাকার হয়ে যাই। একাকার হয়ে যাই ।" এই উপন্যাসে শহর গ্রাম মিশে একাকার হয়ে গিয়েছে- কখনও লন্ডন-আমেরিকা । বুড়ো বিষ্ণুপদর তিন ছেলে ও দুই মেয়ে । এক মেয়ে নিখোঁজ। বড়ো ছেলে কৃষ্ণজীবন একজন বিজ্ঞানী । মেজ ছেলে রামজীবন- একজন ডাকাত । আর কন্যা বীনাপানি-যাত্রাপালা অভিনয় করে এবং তার সাধু স্বামী নিমাই । অ্ন্য দিকে হেমাঙ্গ - হেমাঙ্গ খুব সৌ্খিন এক যুবক। রশ্মি রায় ।হেমাঙ্গর চাচাতো বোন চারুশীলা । চয়ন- মৃগী রোগী । কিন্তু ছাত্রদের পড়ায় ভালো । ঝুমকি-, ঝুমকির বোন অনু- মনীশ, রিয়া এবং আরও অনেক চরিত্র । দূরবীন উপন্যাসে তিনটি প্রজন্মের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। প্রথমজন পুর্ববঙ্গের জমিদার হেমকান্ত চৌধুরী, দ্বিতীয়জন ব্রিটিশ ভারতের বিপ্লবী এবং স্বাধীন ভারতের ডাকসাঁইটে রাজনীতিবিদ ও হেমকান্তর নয়নের মণি কৃষ্ণকান্ত চৌধুরী ও কৃষ্ণকান্তের বখে যাওয়া ছেলে ধ্রুব চৌধুরী; লোফার, হৃদয়হীন থেকে শুরু করে অনেক বিশেষনই তার সাথে যুক্ত করা যায়। উপন্যাসের ব্যাপ্তি অনেক বিশাল। তিনটি প্রজন্মের তিন ধরণের মানুষের কাহিনী বা জীবনাচরণ এখানে বিধৃত করা হয়েছে। এটি শুধু সাড়ে পাঁচশো পৃষ্ঠার একটি উপন্যাস নয়; মানুষের ভাব, প্রেম, পদস্খলন, সংগ্রাম, বিরহ, জীবন-জীবিকা, আনন্দ-বেদনার- সব কিছুর এক প্রতিচ্ছবি। বই পড়া আমার প্রিয় শখ। যদি আমাকে কেউ প্রশ্ন করে তুমি কি করতে বেশি পছন্দ কর? তাহলে আমি এক কথায় উত্তর দেব বই পড়তে। সত্যিই কেন জানি বই পড়তে আমার বেশি ভালো লাগে। প্রত্যেক রাতেই আমি বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়ি। এমন কিছু বই আছে, যেগুলো পড়লে মনের মধ্যে ‘দোল’-এর অনুভূতি একটু বেশি অনুভূত হয়। আর সেটা দোলায়মান থাকে বহুদিনের জন্য। পড়ার ক্ষেত্রে আমি সর্বভুক শ্রেণির পাঠক। যা পাই তাই পড়ি। https://estikutum24.blogspot.com/ ২১। 'কেরী সাহেবের মুন্সী' লেখক- প্রমথনাথ বিশী। ঐতিহাসিক কাঠামোতে গঠিত অসাধারণ এক উপন্যাস। ১৯৬০ সালে "কেরী সাহেবের মুন্সী" গ্রন্থের জন্য রবীন্দ্র' পুরস্কার পান লেখক। বই থেকে কয়েকটা লাইন তুলে দিলাম- “ এমন সময় একটা হাতী দেখে কেরী ভাবল, যাক হাতীতে আজ রক্ষা করল বাঘের হাত থেকে। কেরী বলল, ঐ দেখ। সকলে দেখতে পেল গজেন্দ্রগমনে প্রকান্ড এক হাতী চলেছে, কাঁধের উপরে তার মাহুত, আর পিছনে জন দুই-তিন বর্শাধারী পাইক। কিন্তু কেরী আজ এত সহজে রক্ষা পাবে না. মিসেস কেরী উদ্বিগ্নভাবে বলল, বাঘ শিকারে চলেছে বুঝি? টমাস ব্যাপারটা অনুমান করতে পেরেছিল, তাই বলল , না না, এদিকে বাঘ কোথায়! আর দু-চারটে থাকলেও তারা মানুষ খায় না। কেন, সবাই বাইবেল পড়েছে বুঝি?—পত্নীর এবম্বিধ অখ্রিস্তানোচিত উক্তিতে মর্মাহত কেরী প্রমাদ গনল। রামরাম বসু মনে মনে বলল —বাঘগুলো এখনও বাইবেল পড়েনি, তাই রক্ষা। ” ২২। 'খেলারাম খেলে যা' ও 'নিষিদ্ধ লোবান' লেখক- সৈয়দ শামসুল হক। বাবর আলী। সুন্দর নিপাট গোছানো মানুষ। কথার মায়াজাল বুনায় তার জুড়ি মেলা ভার। জীবন নিয়েও আপাত অর্থে তার কোনো টানাপোড়েন নেই। ব্যাবসার টাকায় বেশ আয়েশে, নিশ্চিন্তিতে দিন কাটে তার। নিজের বাড়ি, গাড়ি, টেলিভিশনে অনুষ্ঠান করার সুবাদে সমাজের কাছে পরিচিতি— সবই আছে তার। ফলে, বলা যায় নির্ভার আনন্দময় জীবন বাবরের। শিক্ষিত, সুদর্শন, অবিবাহিত, সুকথক, সমাজের অন্য দশজনের থেকে বিত্তবান, মাঝবয়সী এই বাবরের যেন কোনো দুঃখ নেই। পিছু টান নেই। মনে হয়, যেন নিজের শরীরের সুখের জন্যই, শিশ্নের ইচ্ছেকে চরিতার্থ করবার জন্যেই সে কেবল উদগ্রীব। তার লেখা অসংখ্য বইয়ের মধ্যে নিষিদ্ধ লোবান বইটি অন্যতম। ভেতরের আবেগী মনটাকে শক্তকরে নাড়া দেবার মতো উপাদানে সমৃদ্ধ ছোট পরিসরের এ উপন্যাসটির পরিশীলিত ভাষা ও সুলীখন সত্যই আবিষ্ট করে রাখবে পাঠককে। ২৩। 'রাইফেল রোটি আওরাত' লেখক- আনোয়ার পাশা। শহীদ বুদ্ধিবীবি আনোয়ার পাশার এই একটি বইই যুক্তিশীল যে কোন মানুষকে ৭১ এর বাংলাদেশের যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়ে যেতে পারে। শ্রদ্ধা জানাই এই বীরকে। https://estikutum24.blogspot.com/ ২৪। 'প্রথম আলো' 'সেই সময়' এবং 'পূর্ব-পশ্চিম' লেখক- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ওপর আমার একটা দূর্বলতা আছে। তিনখানা টাইম ট্রিলজি নিয়ে আমার বিস্ময়ের শেষ নেই। আমার প্রথম পড়া হয়েছিল পূর্ব পশ্চিম। সেসময় বলতে গেলে সমাজতন্ত্রে দীক্ষা পেয়েছিলাম এখান থেকেই। এই তিনটি উপন্যাস শেষ করে ওঠা মাত্রই একধরণের বিষণ্ণতা জেগে ওঠে। কারন উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্র পাঠকের মনের ভেতর একটা জায়গা তৈরি করে নেয় এর মধ্যেই। সুনীল একবার বলেছিলেন ‘প্রথম আলো’ লিখতে তাকে সারা জীবনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় স্টাডি করতে হয়েছিল। ২৫। 'নন্দিত নরকে' 'শঙ্খনীল কারাগার' এবং 'জোৎস্না ও জননীর গল্প' লেখক- হুমায়ূন আহমেদ। নন্দিত নরকে বাংলা কথাশিল্পী হুমায়ুন আহমেদের প্রথম উপন্যাস। নন্দিত নরকে পড়ে চোখ ছলছল করেনি এমন পাঠক কি আছে? বাকৃবিতে শিক্ষকতা করার সময়ে তিনি শঙ্খনীল কারাগার উপন্যাসটি লিখেছিলেন। কোনো কোনো রাতে অপূর্ব জোছনা হয়। সারা ঘর নরম আলোয় ভাসতে থাকে। ভাবি, একা একা বেড়ালে বেশ হতো। আবার চাদর মুড়ি দিয়ে নিজেকে গুটিয়ে ফেলি। যেন বাইরে উথাল পাথাল চাঁদের আলোর সঙ্গে আমার কোনো যোগ নেই। মাঝে মাঝে বৃষ্টি নামে। একঘেয়ে কান্নার সুরের মতো সে শব্দ। গ্রেট হুমায়ন, গ্রেট জোছনা ও জননীর গল্প। "জোছনা ও জননীর গল্প" মূলত মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে উপন্যাস হলেও এতে প্রেম,ভালোবাসা সবই আছে। হুমায়ুন তার স্বভাবসুলভ গল্প বলার ভঙ্গিতে ৭১'এর সেই ভয়াল ৯ মাসের কথা বলেছেন পাঠকদের।উপন্যাসের শুরু হয়েছে নীলগঞ্জ স্কুলের আরবী শিক্ষক মাওলানা ইরতাজুদ্দীন কাশেমপূরীকে দিয়ে যিনি ঢাকায় তার ভাইয়ের সাথে দেখা করতে আসেন।... তারপর শাহেদ আর আসমানীর মমতায় পরিপূর্ণ সংসারজীবনের গভীরে যেতে যেতে পাঠকের পরিচয় ঘটবে নিজের চেনা জগতের সঙ্গে। শাহেদের বড় ভাই ইরতাজউদ্দিন কাশেমপুরির ঢাকায় আসা, রাস্তা হারিয়ে ফেলা, ভুল ঠিকানা, পরিশ্রম আর ক্লান্তিতে বিপর্যস্ত জীবন অস্থির উত্তাল মিছিল স্লোগানমুখর ঢাকায় তার বিপন্ন জীবনবোধ শুরু করিয়ে দেয় এক মহাযাত্রার। ২৬। 'নারী' ও 'ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইল' লেখক- হুমায়ূন আজাদ। শুরুতে কখনও নারীবাদ নিয়ে কাজ করেননি হূমায়ন আজাদ। কিন্তু যখন শুরু করলেন তখন যেন বাংলা সাহিত্যের নারীবাদী ধারায় গোলাভরে গেল নতুন ফসলে। তবে তার এই প্রচেষ্টাকে তির্যক দৃষ্টিতে দেখতে ছাড়েননি অনেকেই। ‘নারী’ গ্রন্থটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে হুমায়ন আজাদ প্রথাবিরোধী লেখক হিসাবে পরিচিতি পান। পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে নারীকে কি কি রূপে দেখা হয় বইটির প্রতিটি পৃষ্টায় তা ছড়িয়ে আছে। হুমায়ুন আজাদ মানুষকে সচেতন করার প্রয়াসী ছিলেন। ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের মানুষ তার কবিতায় উঠে এসেছে। মানুষের মনোভঙ্গি, স্মৃতি, দুঃখ-কষ্ট, যাপিত জীবন ঘিরে কবির আগ্রহ। তিনি মানুষের মধ্যে খুঁজে পেতে চেয়েছেন শুভ্রতা। হুমায়ুন আজাদ বাংলাদেশের সবুজ বনভূমি, উদার মানুষ ও নিসর্গের কাছে সমর্পিত। বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সামগ্রিক অবস্থা কবিচিত্তে আলোড়ন তোলে।তার কবিতা পাঠককে সমৃদ্ধ করে। ২৭। 'মেমসাহেব' লেখক- নিমাই ভট্টাচার্য। নিমাই ভট্টাচার্য এখানে যেন তার নিজের জীবনেরই কাহিনী লিখছেন খানিকটা কল্পনা আর অনেকটা বাস্তবের মিশেলে। মনে দাগ কেটেছে যে কয়েকটা বই, মেমসাহেব এর একটি, সম্ভবত এই বইটা পড়ে চোখে পানি এসে গিয়েছিল। নিমাই ভট্টাচার্যের মূল জীবিকা সাংবাদিকতা। ২৮। 'সূর্য দীঘল বাড়ি' লেখক- আবু ইসহাক। ‘জোঁক’ গল্পের সার্থক গল্পকার আবু ইসহাক উল্লেখযোগ্য কিছু সাহিত্যকর্ম রেখে গেছেন বাংলা সাহিত্যে বলার অপেক্ষা রাখে না। তার প্রথম উপন্যাস ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ একটি শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি জীবনাখ্য। পূর্ব বাংলার বিস্তীর্ণ নদ-নদী জলাভূমি-কৃষি ক্ষেতের পটভূমিকায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ, তার মধ্যে রক্তচক্ষু বের করা কতিপয় মানুষ নামের চারপায়া জানোয়ার, কিভাবে দিনের পর দিন বছর শতাব্দী যাবৎ ধর্মীয় ভণ্ডামিতে আবদ্ধ করে রেখেছে আমাদের, তার প্রতিছবি তার সাহিত্যকর্মে তার মেধা মননে আমরা প্রত্যক্ষ করি। উপন্যাসের গতিপ্রকৃতি দেখে বিশ্বাস হবে, আবু ইসহাক খুব কাছ থেকে সমাজের এই পিছিয়ে পড়া অন্ত্যজ এবং অনগ্রসর নিুবৃত্তকে বড় বেশি মমতা মাখিয়ে তার উপন্যাসে স্থান করে দিয়েছেন। ২৯। 'আগুনপাখি' লেখক- হাসান আজিজুল হক। জীবনসংগ্রামে লিপ্ত মানুষের কথকতা তাঁর গল্প-উপন্যাসের প্রধানতম অনুষঙ্গ। আগুনপাখি কেবল প্রথাগত চরিত্র নির্মাণ ও সংলাপ ধারণার বাইরের কোনো উপন্যাস নয় বলেই বলছি না, এর কাহিনীতে সেই অর্থে কোনো গল্প ফাঁদা নেই, বলবার মতো কোনো প্রণয় নেই, আকৃষ্ট করবার মতো ন্যূনতম কোনো যৌনতা নেই; এমন কি যে ভাষায় কাহিনীটি কথিত হয়েছে, সেই ভাষাটির সাথেও এদেশের অধিকাংশ পাঠকের বিশেষ কোনো যোগাযোগ নেই। ৩০। 'পদ্মা নদীর মাঝি' ও 'পুতুল নাচের ইতিকথা' লেখক- মানিক বন্দোপাধ্যায়। 'পদ্মা নদীর মাঝি' উপন্যাসের লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে লিখেছিলেন জীবনের প্রথম গল্প 'অতসী মামী'। তার লেখাটি 'বিচিত্রা' নামক পত্রিকাতে পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে তা ছাপা হয়েছিল। উপন্যাসের শেষে জেলে পাড়ায় থাকতে না পেরে কপিলাকে নিয়ে ময়নাদ্বীপেরর অজানা রহস্যময় দ্বীপের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় কুবের। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসে আবহমান বাংলার সামজিক জীবনের টানপোড়নের ছবি একেছেন, একটা মেসেজ দিয়েছন, বার বার পড়েন, অনেক বার পড়েন, অবশ্যই একদিন মেসেজটা বুঝতে পারবেন! মানুষ যত উপরের দিকে উঠতে থাকে ততই বুঝি সে একা হতে থাকে?! কর্তব্যের চাপে, ব্যস্ততার কোলাহলে বুঝি বা একে একে হারিয়ে যেতে থাএক সব চেনা চেনা মুখ! শ্বাশত এই কথাই যেন "পুতুল নাচের ইতিকথা"য় বলে দিয়েছেন অমর কথাশিল্পী মানিক বন্ধ্যোপাধ্যায়। এই উপন্যাসের প্রধান নারী চরিত্র পরাণের স্ত্রী তেইশ বছরের বাঁজা মেয়ে কুসুম। প্রকৃ্তপক্ষে কুসুম এক অস্থির, বেপরোয়া,ও দূর্বোধ্য গ্রাম্য রমণী । https://estikutum24.blogspot.com/ ৩১। 'নূরজাহান' লেখক- ইমদাদুল হক মিলন। বিশাল ক্যানভাসের উপন্যাস ‘নূরজাহান’। হুমায়ুন আহমেদ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদারসহ আরো প্রথিতযশা কথাসাহিত্যিকদের মতে; ইমদাদুল হক মিলনের লেখা শ্রেষ্ঠ উপন্যাস এটি । শুধু তাই নয়, ‘নূরজাহান’ উপন্যাসটিকে ভারতের সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা দৈনিক ‘আনন্দ বাজার’ বাংলা সাহিত্যের সাম্প্রতিক সময়ের শ্রেষ্ঠ রচনা বলে উল্লেখ করেছে । ‘নূরজাহান’ ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্র নূরজাহান । এক উচ্ছল প্রাণবন্ত কিশোরী । বাবা দবির গাছি । আর মা হামিদা । অভাবের সংসারে তাদের একমাত্র আলো নূরজাহান । কিন্তু গ্রামের ফতোয়াবাজ ভন্ড মাওলানা মান্নানের বিরূদ্ধে প্রতিবাদ করায় নূরজাহানের জীবনে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ । সমাজের ফতোয়াবাজ ও কালো মনের মানুষদের দেওয়া এই দুভোর্গের বোঝা মাথায় নিয়ে চলতে থাকে নূরজাহানের দিনরাত্রি । ৩২। 'শেষ বিকেলের মেয়ে' লেখক- জহির রায়হান। উপন্যাসের জাহিনী এই রকম- কাসেদ । মধ্যবয়সী এক যুবক । কেরানিগিরি তার পেশা । মা ছাড়াও তার ছোট্ট পরিবারে আছে নাহার । নাহার তার কেউই নয় । ছোট্টবেলায় বাবা-মাকে হারিয়ে কাসেদদের বাড়িতে তার আশ্রয় হয়েছে । কাসেদের মা এই মেয়েকে নিজের সন্তানের মত মায়া-মমতা দিয়েই বড় করেছেন । কাসেদের মত নাহারকে নিয়েও মায়ের সমান চিন্তা । ভালো দেখে একটা পাত্র জুটিয়ে নাহারকে বিয়ে দিবেন, মেয়েটি যেন তার চিরকালই সুখে থাকে । বেশিরভাগ সময় কেরানিগিরি নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও কাসেদের ভিতরে আছে এক রোমান্টিক মন । মাঝেমধ্যে টুকটাক কবিতাও লেখে কাসেদ । অবসর পেলেই সে জীবিকার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে এক অন্যরকম রোমান্টিক ভাবসাগরে আত্মনিমগ্ন হয় । জাগিয়ে তোলে কল্পনার চিত্রপটে আঁকা তার মানসীর ছবি । মানসীর নাম জাহানারা। ৩৩। 'সাতকাহন' ও 'গর্ভধারিণী' লেখক- সমরেশ মজুমদার। সাতকাহন উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র দীপা ছিলো সাহসী ও স্বতন্ত্র চরিত্রের অধিকারীনি এক নারী। যার নামের মধ্যেই নিহিত ছিলো অন্ধকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পুর্বাভাস। সাহস আর একাগ্রতা ছিলো বলেই নিজের নিষ্ঠুর অতীতকে মুছে ফেলে শুরু করেছিলো নতুন জীবন, জয় করেছিলো নিজের ভাগ্য, পড়াশুনা। কাছের মানুষ এমনকি নিজের মায়ের ঘৃণা, শত্রুতা, তাদের ভিতরকার বিভৎস লোভী চেহারাও দীপাকে পর্যুদস্ত করতে পারেনি। সে সময়ের কাঁধে মাথা ঠেকিয়েছে, কিন্তু ভেঙ্গে পড়েনি। কাছের মানুষ বলতে কেউই ছিলো না দীপার, দু-ফোঁটা চোখের জল ফেলার সময় কেউ কাঁধ বাড়িয়ে দেয়নি দীপার দিকে। সুযোগ ছিলো অনেক,চাইলেই তা হাত বাড়িয়ে নিতে পারতো দীপা। কিন্তু তা সে করেনি। সাধারনের মাঝেই দীপা অসাধারন। যার জীবনে এসে মিশেছে নানা নাটকীয়তা, আর এসব নাটকীয়তাকে ছাপিয়েই যার জীবন এগিয়ে গেছে সমান্তরালভাবে-সেই দীপা। দীপাবলি বন্দোপাধ্যায়। 'গর্ভধারিণী'র কাহিনী এই রকম- জয়িতা বড়লোক বাবা মার স্বেচ্ছাচারী আধুনিক মেয়ে। জয়িতার সাথে তথাকথিত নারী বা নারীত্বের সংজ্ঞা মিলে না। সে ছেলেদের পোশাক পড়ে, ধূমপান করে, ছেলেদের সাথেই মিশে। তাই এটা সেটা নিয়ে জয়িতার সাথে তার বাবা মার ঝামেলা লেগেই থাকে। কিন্তু এত কিছু সত্বেও জয়িতা অনেক পুরুষেরই স্বপ্নের নায়িকা। জয়িতা স্বপ্ন দেখে সমাজকে বদলে দেবার। তিন বন্ধুকে নিয়ে নেমে পড়ে যুদ্ধে, এভাবেই সে একসময় জড়িয়ে পড়ে রাজনীতির সাথে। সমাজপতিদের কৌশলের মারপ্যাঁচ, রাজনৈতিক গ্যাঁড়াকলে পড়ে জয়িতা শহর ছাড়তে বাধ্য হয়। তারপর ও থেমে থাকেনা তার যুদ্ধ। গ্রামে গিয়েও নানান জটিলতায় পরতে হয় জয়িতাকে। জীবনের সহজ সরল অংকগুলো জটিল মারপ্যাঁচে হারাতে চায় জয়িতাকে । ৩৪। 'তিথিডোর' লেখক- বুদ্ধদেব বসু। সত্যেন, "তিথিডোর" উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র, সাধাসিধে রাজেনবাবুর কনিষ্ঠ কন্যা স্বাতীকে কবিগুরুর শেষযাত্রায় নিয়ে যেতেই ছুটে এসেছে জোড়াসাঁকো হতে টালিগঞ্জের স্বাতীদের বাড়িতে। অনবদ্য একটি মধ্যবিত্তের কাহিনী জুড়ে পাতায়-পাতায় চরিত্রদের সঙ্গে একাত্ম আঠা হয়েই বহুবার পঠিত এই বাইশে শ্রাবণের কবিগুরুর মহাপ্রয়াণের ক্ষণটি যতবার পড়েছি ততবারই অদেখা মুহূর্তটি আশ্চর্য জীবন্ত দৃশ্যমান যেন বা! facebook.com/gopalroy24 ৩৫। 'দেশ বিদেশে' লেখক- সৈয়দ মুজতবা আলী। "দেশে বিদেশে" মূলত একটি ভ্রমন কাহিনী নির্ভর রচনা। প্রকাশকাল – ১৯৪৮। সৈয়দ মুজতবা আলী’র লেখায় সাবলীল বর্ণনা থাকে, আর থাকে রসাত্মক উক্তি। তার লেখার প্রতিটি পরতে সূক্ষ্ম রসবোধের পরিচয় পাওয়া যায়। উপযুক্ত শব্দচয়ন, প্রাঞ্জল ও রসাত্মক বর্ণনা এবং আফগানিস্থানে তার বিচিত্র অভিজ্ঞতা ‘দেশে বিদেশে’ বইটি-কে পাঠকপ্রিয় করেছে। কিছুদূর এগোলেই বোঝা যায় মুজতবা’র লেখায় বাঙলার কালচার ও সাহিত্যের সাথে মিশে গিয়েছে ইউরোপীয় নানা দেশের কালচার এবং সাহিত্য, আর তাতে উপযুক্ত অনুপাতে যোগ হয়েছে অভারতীয় প্রাচ্যদেশীয় বিষয়ও। ৩৬। 'পঞ্চম পুরুষ' লেখক- বাণি বসু। যোগাযোগটাই নাটকীয়। সেই কবেকার কলেজ জীবনের কিছু পাত্র-পাত্রীর আবার কুড়ি বছর বাদে দেখা হবে মহারাষ্ট্রে। কলকাতা থেকে বক্তৃতার কাজে এসেছেন অধ্যাপক মহানাম। অজন্তার টানে এসেছে মহানামেরই এক পুরনো ছাত্রী এশা।... পড়ুন এবং তারপর দেখবেন মন প্রান আনন্দে ভরে উঠবে। ৩৭। 'মাধুকরী' লেখক- বুদ্ধদেব গুহ। বইটির ছোটো একটি অংশ তুলে ধরছি, ”পৃথু ঘোষ চেয়েছিল, বড় বাঘের মতো বাচঁবে। বড় বাঘের যেমন হতে হয় না কারও উপর নির্ভরশীল না নারী, না সংসার, না গৃহ, না সমাজ সেভাবেই বাচঁবে সে, স্বরাট, স্বয়ম্ভর হয়ে। তার বন্ধু ছিল তথাকথিত সমাজের অপাংতেয়রা। পৃথু ঘোষ বিশ্বাস করত, এই পৃথিবীতে এক নতুন ধর্মের দিন সমাসন্ন। সে ধর্মে সমান মান-মর্যাদা এবং সুখ-স্বাধীনতা পাবে প্রতিটি নারী-পুরুষ।” “মাধুকরী” শুধু পৃথু ঘোষের বিচিত্র জীবঙ্কাহিনী নয়। “মাধুকরী” এই শতকের মানুষের জীবনের যাবতীয় অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আগামী প্রজন্মের মানুষের সার্থক ভাবে বেঁচে থাকার ঠিকানা। এই কারণেই এ উপন্যাস উৎসর্গ করা হয়েছে ‘একবিংশ শতাব্দীর নারী ও পুরুষদের হাতে’। ৩৮। 'হাজার চুরাশির মা' লেখক- মহাশ্বেতা দেবী। উপন্যাসটি একটি লাশের গল্পকে কেন্দ্র করে নির্মিত। মহাশ্বেতা দেবী একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক ও মানবাধিকার আন্দোলন কর্মী। তিনি ১৯২৬ সালে বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন । তিনি সাঁওতালসহ অন্যান্য আদিবাসীদের ওপর কাজ এবং লেখার জন্য বিখ্যাত । তাঁর লেখা শতাধিক বইয়ের মধ্যে হাজার চুরাশির মা অন্যতম। ৩৯। 'ঈশ্বর পৃথিবী ভালোবাসা' লেখক- শিবরাম চক্রবর্তী। শুরুতেই শিবরাম বলে নিয়েছেন তাঁর শৈশব ছিল ঈশ্বর-পীড়িত । মা বাবা দুজনই অসাধারণ দুটি মানুষ কিন্তু তাঁর । পরে বুঝতে পারি তাঁর Bohemian জীবনের বীজ ওই বাবার বৈরাগী পদ্ব্রাজক ভাব, আর মার নিরাসক্ত আত্মশক্তির মধ্যেই বোধ হয় । চাঁচোলের এক রাজ-পরিবারেই তাঁর জন্ম — সম্পর্কের কাকা ছিলেন রাজা, কিন্তু রাজ-জোটক ছিল না তাঁর কপালে । বাবা ছোট বেলায় সংসার-ত্যাগী সন্ন্যাসী হয়ে ছিলেন, পরে এসে বিয়ে করেন তাঁর মা-কে । দুজনই সাদাসিধে মানুষ, গন্য মান্য ছিলেন, কিন্তু মনে হয় কোনো উন্নাসিকতার মধ্যে ছিলেন না । মা-ই ছিলেন শিব্রামের গুরু, বন্ধু, সবই । তাঁর কাছেই তিনি যা কিছু সার শিখেছেন । তার পর তার সঙ্গে জারিয়ে নিয়েছেন জীবনের অভিজ্ঞতা । শিব্রামের ভাষায়, পেলেই পড়ি, পড়লেই পাই ! ৪০। 'শাপ মোচন' লেখক- ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়। একটা ঘটনা বলি- বাড়িতে পুরোনো কাগজের গাদা ছিল। কী মনে করে ঘাঁটতে গিয়ে একটি বই পেলাম। নাম শাপমোচন। লেখক ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়। এক দুই পাতা করে পড়তে লাগলাম। পড়া শেষে হাউমাউ করে কাঁদলাম। সেই থেকে বইয়ের জন্য মনটা কাঁদতে শুরু করল। এরপর যেখানে বই পাই, পড়ে ফেলি। ৪১। 'সংশপ্তক' লেখক- শহীদুল্লাহ কায়সার। সংশপ্তক শব্দের অর্থটি চমৎকার- হয় জয় না হয় মৃত্যু। ১৯৬৪ সালে রচিত এই উপন্যাসটি ১৯৬৫ সালে প্রকাশিত হয়। সংশপ্তক উপন্যাসের কাহিনির শুরু ইংরেজ আমলের অন্তিমকালে, শেষ পাকিস্তান আমলের সূচনাপর্বে ।কাহিনির অনেকখানি স্থাপিত পূর্ববঙ্গের গ্রামাঞ্চলে,খানিকটা কলকাতা ও ঢাকায়। এর বৃহত্তর পটভূমিতে আছে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ ,মন্বন্তর ,পাকিস্তান আন্দোলন , সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ঘটনা। এতে প্রধান্য ভাল করেছে শাখা প্রশাখাসমেত এক সৈয়দ পরিবারের কথা। তার এক সৈয়দ প্রাচীন পন্থী নান সংস্কারের সঙ্গে ইংরেজি শিক্ষা ও ইংরেজের চাকরি সমন্বিত করেছেন। আরেক সৈয়দ স্ত্রী-কন্যা ফেলে নিরুদ্দেশযাত্রা করে দরবেশ হয়েছেন। প্রথমোক্তজনের পুত্র জাহেদ আধুনিক শিক্ষা জীবন বোধ আয়ত্ত করে প্রথমে পাকিস্তান-আন্দোলন এবং বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। প্রাচীনতার সঙ্গে তার ভয়াবহ দ্বন্দ্ব। কাহিনির শেষ হয় বাম রাজনীতিতে সংশ্লিষ্টতার কারণে জাহেদের গ্রেফতারে এবং তার প্রতি রাবুর দেহাতীত প্রেমের স্থিতিতে। https://estikutum24.blogspot.com/ ৪২। 'জীবন আমার বোন' লেখক- মাহমুদুল হক। জীবন আমার বোন গ্রন্থের পেছনের প্রচ্ছদে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কবি শামসুর রাহমান লিখেছিলেন-‘খুব বেশি নয় তার রচনার পরিমাণ কিন্তু মাহমুদুল হক যখনই লেখেন, লেখেন স্থায়ীভাবে, বারবার পড়তে হয় তার প্রতিটি বই, অসামান্য ভাষা শিল্পী তিনি। উপন্যাসে তিনি একাত্তরের উত্তাল দিনগুলোর ছবি এঁকেছেন কাব্যের ভাষায়। ভিন্ন চোখে দেখে ঘটনার বর্ণনা করেছেন একান্তই নিজস্ব শৈল্পিক ভাষায়। অশরীরী উপন্যাসেও একাত্তরের কথা, পাক হানাদার ক্যাম্পে অম্বিয়ার করুণ যন্ত্রণা-পরিণতি পাঠকের কাছে দাঁড় করিয়েছেন। ৪৩। 'উপনিবেশ' লেখক- নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়। উপন্যাসটি তিন খন্ড। ৪৪। 'অলীক মানুষ' লেখক- সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ। এই উপন্যাস সম্পর্কে লেখক নিজেই বলেছেন- 'অলীক মানুষ উপন্যাসটা লেখার পেছনে ছিল অগ্রজ গৌরকিশোর ঘোষের প্রণোদনা। মুসলিম জীবন নিয়ে এতকাল যা কিছু লিখেছি তার নির্যাস বললে বাড়িয়ে বলা হবে না। নিরন্তর সংবাদ লিখতে লিখতে যখন আমার হাত বসে যাওয়ার দশা, ঠিক সে অবস্থায় আর কোনো কিছু না ভেবে আমার মাওলানা দাদা সম্পর্কে লিখতে শুরু করলাম। ফরায়েজি আন্দোলনের প্রবক্তা এই মানুষটি, গ্রাম-গ্রামান্তরে ঘুরে বেড়ানোটাই ছিল যাঁর কাজ, 'আংরেজ হঠাও' স্লোগান দেওয়া কট্টর মৌলবাদী এই পিতামহটি যে রসকষহীন ছিলেন তা নয়, নানা বৈপরীত্যে গড়া আশ্চর্য এক আকর্ষণীয় চরিত্র। ৪৫। 'আমরা হেঁটেছি যারা' লেখক- ইমতিয়ার শামীম। ইমতিয়ার শামীম স্পষ্টতই একই সঙ্গে গল্প ও উপন্যাস-লেখক, তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ডানকাটা হিমের ভেতর ও গল্পগ্রন্থ শীতঘুমে একজীবন একই বৎসর প্রকাশিত হয়েছিল। এই শীতঘুমে…-র গদ্যে যে-কাব্যময়তা ছিল তার থেকেও তিনি সরে এসেছেন অনেক। তার লেখায় আগের মতোই রাজনীতি উপস্থিত কিন্তু তা কোনওভাবেই কাহিনিকে নিয়ন্ত্রণ করে না বরং অনেক বেশি অন্তঃস্রোতে এই আবহ ধরা পড়ে। তাঁর উপন্যাস আমার হেঁটেছি যারা এবং গল্পগ্রন্থ গ্রামায়নের ইতিকথা তার পূর্বেকার রচনা থেকে আলাদা করে তুলেছে। বিষয় ও আঙ্গিকের দিক দিয়ে এটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগ্রন্থ। ৪৬। 'আমি তপু', 'আকাশ বাড়িয়ে দাও' এবং 'আমার বন্ধু রাশেদ' লেখক- মুহম্মদ গাফর ইকবাল। “আমি তপু” মুহাম্মদ জাফর ইকবালের এক অনন্য কিশোর উপন্যাস। এই উপন্যাসে লেখক মানুষের এমন বয়সের এমন এক পরিস্থিতির করেছেন যেই বয়সে যেই পরিস্থিতিতে আমরা কেউ পড়লে কি ঘটবে আমাদের জীবনে তা এই বই পড়লে সহজেই উপলব্ধি করা যায়। জাফর ইকবালের সেরা কিশোর উপন্যাসের মধ্যে এই উপন্যাস নিঃসন্দেহে অন্যতম। একজন মানুষ সে বড় হোক কিংবা ছোট, তার জন্য একটা পরিবার যে কত গুরুত্বপূর্ণ তা এই গল্প পড়লে অনুধাবন করা যায়। সেই সাথে বোঝা যায়, প্রতিভার বীজ লুকিয়ে থাকে সবার মাঝে, প্রয়োজন অঙ্কুরোদ্গমের পরিবেশ।আর প্রত্যেক খারাপ মানুষের জীবনে থাকে এক ভয়ংকর খারাপ ইতিহাস। কেউ খারাপ হয়ে জন্মায় না। 'আকাশ বাড়িয়ে দাও' শুধু বলব, বইটা পড়ুন। তারপর আপনি বলুন। 'আমার বন্ধু রাশেদ' সম্পর্কে লেখক বলেছেন- ‘আসলে আমার বন্ধু রাশেদের ঘটনাগুলো ১৯৭১-এ দেশের সবখানেই ঘটেছে। আমাদের দেশের কিশোরেরাও কিন্তু অসম্ভব সাহসিকতার সঙ্গে অংশ নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধে। সেদিক থেকে বলতে গেলে ঘটনাগুলো সবই সত্যি। কিন্তু যে চরিত্রগুলোর কথা আমি বইয়ে লিখেছি, তারা সবাই কাল্পনিক।’ ৪৭। 'ক্রাচের কর্নেল' লেখক- শাহাদুত জামান। লেখক শাহাদুজ্জামান'র টান টান উত্তেজনায় ভরা 'ক্র্যাচের কর্নেল' বইটিকে শুধুমাত্র একটি উপন্যাস বললে কম বলা হবে। কারন, এই অসাধারণ বইটি পড়লেই বুঝা যায় লেখক অনেক সময় নিয়ে, অনেক গবেষণার পর এই বইটি লিখেছেন। তার লেখনি ক্ষমতার গুণে এই বইটি একটি সাধারণ উপন্যাস থেকে কর্নেল তাহের-এর অসাধারণ জীবনী হয়ে উঠে। যারাই এই বইটি পড়বেন, তাদের কেউই যে বইটি শেষ না করে উঠতে পারবেন না এ ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে বলে দেওয়া যায়। ৪৮। 'ফুল বউ' লেখক- আবুল বাশার। সম্পর্ক, সমাজ এবং ধর্ম নিয়ে চমৎকার উপন্যাস। ৪৯। 'কৃতদাসের হাসি' লেখক- শওকত ওসমান। সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন এবং রাজনীতির অন্ধকার দিক লেখক সহজ সরল সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। ৫০। 'নিশি কুটুম্ব' লেখক মনোজ বসু। মনোজ বসুর বই গুলর মধ্যে একটা আলাদা বন, জঙ্গলএর গান্ধ পাওয়া যায়। ৫১। 'উত্তর পুরুষ' লেখক- রিজিয়া রহমান। রিজিয়া রহমানের কোন বই পড়ি নাই আগে। আর মহিলা রাইটার বলে খুব একটা উৎসাহও ছিল না পড়ার। অসাধারণ বই এই "উত্তর পুরুষ"! আমাদের বাংলা সাহিত্যের প্রথম সারির এ্যাসেট। উপন্যাসের শুরুতেই বঙ্গোপসাগরকে যে উপমায় বাঁধেন লেখিকা তা পড়ে তার আঙুল ছুঁয়ে আসতে ইচ্ছে করে। সারাটা উপন্যাসে উপমার সার্থক ব্যবহার পাঠককে যেমন সম্মোহিত করে তেমনি উপন্যাসটিকে করে তুলে অনেক বেশি বাঙ্ময়। ৫২। 'কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ' লেখক- সুস্মিতা বন্দোপাধ্যায়। এ উপন্যাসটির প্রেক্ষাপট রচিত হয়েছে আফগানিস্তানে তালেবানদের সাথে রাব্বানির যুদ্ধকালীন সময়ে ধর্মের নামে কায়েম হওয়া সন্ত্রাসের রাজত্ব, মেয়েদের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে অন্ধাকারে পাঠিয়ে দেয়া, কোরআন শরীফের মনগড়া অপবেখ্যা, সংকীর্ণতা এবং সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে। বাস্তবতা হলো লেখিকা তাঁর ”কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ” উপন্যাসে নিজের জীবনের কাহিনী তুলে ধরেছেন। কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ” এর কাহিনীর সংক্ষিপ্ত রুপ হচ্ছে, কলকাতার ব্রাক্ষ্মন পরিবারের একটি মেয়ে বিয়ে করে আফগাস্তানের কাবুলের গজনি এলাকার এক মুসলিম যুবককে। স্বামীর সাথেই পাড়ি জমান শ্বশুর বাড়ি আফগানিস্তান। সেখানে যাওয়ার পর ওই বাঙালি বউয়ের উপলব্দিতে হলো এরা শুধু ধর্মান্ধ নয়, এদের মানসিকতাও রুচিহীন। পরদেশী একজন বাঙালি নারীকে ছেলের বউ হিসাবে তারা কিভাবে গ্রহন করলো, তাদের দর্শন, তাদের দেশে নারীর মর্যাদা, পারিবারিক সম্পর্ক, দাম্পত্য জীবনসহ খুটিনাটি নানা বিষয় গল্পে গল্পে তুলে ধরা হয়েছে উপন্যাসে। ৫৩। 'পথের পাঁচালি' লেখক- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। উপন্যাসের গল্প এ রকম- "গ্রাম্য গরীব একটি পরিবারের সুখ দুঃখের মাঝে দুটি চঞ্চল শিশুর বেড়ে ওঠা । নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সন্তান অপু ও দূর্গা । বাবা হরিহর রায়, মা সর্বজয়া, আর অপু-দূর্গার বৃদ্ধা ফুফু ইন্দিরা ঠাকুরকে নিয়ে পরিবারটির সদস্য সংখ্যা পাঁচ । হরিহরের পেশা পুরোহীতগিরী করা । সামান্য আয় । কোন রকমে সংসার চলে । টানাটানির সংসারে বিধবা বোন ইন্দিরা ঠাকুর বাড়তি বোঝা । হরিহর কিছু না বললেও স্ত্রী সর্বজয়ার সাথে প্রায়ই ছোটখাট ঝগড়া হয়ে যায় । অপু বড় বোন দূর্গার সাথে বনে বাঁদাড়ে ঘুরে বেড়ায় । মিষ্টিওয়ালা, বায়োস্কোপ, আর ট্রেনের পিছনে ছুটতে ছুটতেই দিন কেটে যায় । সংসার, দারিদ্রতা কোন কিছুরই চিন্তা নেই ওদের । এদিকে অপু, দূর্গা খেলতে গিয়ে হঠাৎ একদিন বনের মধ্যে বৃদ্ধা ইন্দিরা ঠাকুরকে মৃত আবিস্কার করে। মর্মান্তিক দৃশ্য । বৃষ্টিতে ভিজে জ্বরে আক্রান্ত হয় দূর্গা । চিকিৎসার অভাবে বাড়তে থাকে জ্বর। গভীর রাত । বাইরে প্রচন্ড ঝড়-বাতাস । ঘরদোর উড়িয়ে নেয়ার পালা । সেই রাতেই দূর্গা মারা যায় । হরিহর ফিরে আসে তারও কিছুদিন পর । সবার জন্য অনেক কিছু কিনে এনেছে । শাড়ি হাতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে সর্বজয়া ।বুঝতে বাকি থাকে না হরিহরের । পাথরের মত নিশ্চল হয়ে যায় । ছবির সবচেয়ে মর্মান্তিক দৃশ্য অবলোকন করে দর্শক । এত কষ্ট! এত সংগ্রাম! তবু পিছু ছাড়ে না দারিদ্র । সব ছেড়েছুড়ে হরিহর স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গরুর গাড়িতে চড়ে অজানার উদ্দেশ্যে ........। https://estikutum24.blogspot.com/ ৫৪। 'আমি বীরাঙ্গনা বলছি' লেখক- নীলিমা ইব্রাহীম। খুব সহজ ভাষায় সাতটি মেয়ের বীরত্বের কাহিনী এতে লেখা আছে। একশো ষাট পৃষ্ঠার এই বইটি পড়তে খুব বেশী সময় লাগার কথা নয়। জীবন যুদ্ধে যারা শত কষ্টের মাঝেও হেরে যায় নি শুধু তাদের গল্প দিয়েই বইটি সাজিয়েছেন লেখিকা। আমরা যারা সহজে হতাশ হই, হাল ছেড়ে দেই, নৈরাশ্যের অন্ধকারে হারিয়ে যেয়ে মুক্তি খুঁজি তারা যেনো যুদ্ধ করার, লড়ার মনোবল রাখি। ৫৫। 'পুত্র পিতাকে' লেখক- চানক্য সেন। 'পুত্র পিতাকে' উপন্যাসে পুত্র পিতাকে লিখে, 'তোমরা আমাদের সরিয়ে দাও, দূরে রেখে দাও, তোমাদের বড়দের দুনিয়ার বাইরে, কেননা সে নিষিদ্ধ দুনিয়া মিথ্যা, অর্থ-মিথ্যা, চাতুরি-চালাকি, পারস্পরিক প্রবঞ্চনা প্রতারণার ধনদৌলত ভরা তোমাদের দুনিয়া আমদের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখতে তোমরা কী চেষ্টাই না করো। অথচ, বাবা, তোমরা জান না যে আমরা তোমাদের অনেক কিছুই জেনে ফেলি, দেখে ফেলি, শুনে ফেলি। আমাদের হিসাব গোড়া থেকেই গোলমাল হয়ে যায়' (পৃষ্ঠা-১২, সপ্তম সংস্করণ, প্রকাশ ভবন প্রকাশনী, কলকাতা) ৫৬। 'দোজখনামা' লেখক-রবিশংকর বল। রবিশংকর এর জন্ম ১৯৬২। বিজ্ঞানের স্নাতক। একটা বাংলা দৈনিকের সাংবাদিক। বাংলা ভাষার প্রথম সারির কথা সাহিত্যিক। ২০১১ সালে "দোজখনামা" উপন্যাসের জন্য বঙ্কিম স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছেন। ৫৭। 'যদ্যপি আমার গুরু' লেখক- আহমদ ছফা। যদ্যপি আমার গুরু গ্রন্থটি আব্দুর রাজ্জাককে নিয়ে সব্যসাচী লেখক অহমদ ছফার একটি গভীর ও সরস রচনা। দীর্ঘদিনের সান্নিধ্যের কারণে ব্যক্তিগত দূর্বলতা থেকে অধ্যাপক রাজ্জাক হয়তো লেখকের বিশেষ কিছু অনুভূতি দখল করেছেন তবে তাঁর প্রতি দেশ ও বিদেশের অনেক প্রখ্যাত ব্যক্তির শ্রদ্ধার বর্হিপ্রকাশই প্রমান করে, তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থেই একজন কি;বদন্তী। অধ্যাপক রাজ্জাককে নিয়ে রচিত এই গ্রন্থটিতে সেই সময়ের সমাজ, সমকালীন বিশ্ব ও রাজনীতির যে বিষয়গুলো উম্মোচিত হয়েছে তা এক কথায় অসাধারণ একটি সামাজিক দলিল। ইতিহাসের সহজ প্রকাশ। ৫৮। 'চতুষ্পাঠী' লেখক-স্বপ্নময় চক্রবর্তী। প্রথম উপন্যাস 'চতুষ্পাঠী' প্রকাশিত হয় আনন্দবাজার পূজা সংখ্যায় (১৯৯২) । প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বিশিষ্ট লেখকররূপে চিন্হিত হয়েছিলেন। ৫৯। 'নামগন্ধ' লেখক- মলয় রায়চৌধুরী। ঠাস বুনন, অভিনব বর্ণনা এবং নানা জনের অজানা হরেক তথ্যা ভরা নামগন্ধ নামের নাতবৃহৎ উপন্যাসটি স্রেফ ভিন্ন নয়, বিশিষ্ট মেজাজের, যা সদ্য-অতীত জটিল সময়ের এক বিচিত্র অভিলেখ। 'নামগন্ধ' সাহিত্যের বাজারি বিপণনে বিমোহিত বহু পাঠাকের কাছেও সুপাঠ্য এক অনন্য উপহার। ৬০। 'বিষাদবৃক্ষ' লেখক- মিহির সেনগুপ্ত। উপন্যাসটিতে হিন্দু মুসলিম সমস্যাটাই শুধু আসেনি, এসেছে দেশ ভাগ, তার ইতিহাস, তৎকালীন রাজনৈতিক সামাজিক মনস্তত্ব, জীবনসংগ্রাম, পাশাপাশি স্বপ্ন দ্রষ্টা কিছূ মানুষের উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা, মোট কথা, একটি ভুখন্ডের ইতিহাস। ৬১। 'অলৌকিক নয়,লৌকিক' লেখক- প্রবীর ঘোষ। আপনাদের অনুরোধ করবো- আপনারা অবশ্যই- অলৌকিক নয় লৌকিক ১ম-৫ম খন্ড পড়বেন ।আমি জোর দিয়ে বলতে পারি বইগুলো পড়ে আপনি যা পাবেন তা হয়ত সারা জীবনেও পাবেননা এবং আমার কথা সারা জীবন মনে রাখা লাগবে । বইগুলো পড়লে ৯৯% অলৌকিক বিশ্বাস দূর হয়ে যাবে । ৬২। জীবনানন্দ দাশের কবিতা সমগ্র। সাহিত্যের আলোচনায়, অথবা যে-কোনো শিল্পের ক্ষেত্রে শিল্পীর জীবনী জানবার প্রয়োজন আছে কি না তাই নিয়ে গত শতকে তর্ক তুলেছিলেন প্রকরণবাদী সাহিত্য-ভাবুকেরা। আমি আপনাদের অনুরোধ করবো, কবিতা সমগ্র পড়ার আগে- জীবনানন্দ দাশ এর জীবনী ভাল করে পরে নিবেন। ৬৩। 'চরবিনাশকাল'- আবু বকর সিদ্দিকের ছোটগল্প। অথবা এটা ভাল না লাগলে রশীদ কবিমের ' মায়ের কাছে যাচ্ছি'' পড়ে দেখতে পারেন। ৬৪। 'গল্পমালা' লেখক- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। গ্রহ-নক্ষত্রের কথা, পশুপাখি ও গাছপালার কথা, জ্ঞান-বিজ্ঞানের কথা, রামায়ণ-মহাভারত ও পুরাণের গল্প, দেশ-বিদেশের নতুন ও পুরোনো কাহিনি, ইতিহাস ও ভূগোল, ছড়া-কবিতা-গান ইত্যাদি রচনা করেছেন। নিজের বইয়ের ছবি নিজেই আঁকতেন। স্কুলজীবনেই ছবি আঁকায় দক্ষতা অর্জন করেন। কলেজে পড়াকালে শেখেন ফটোগ্রাফি। গান-বাজনায়ও আগ্রহ ছিল। ৬৫। 'নিমন্ত্রন' লেখক- তসলিমা নাসরিন। নিমন্ত্রন পড়ে তো আমি হতবাক!!! মেয়েরা সুদর্শন ছেলে দেখে প্রেমে পড়ে এবং সেই ছেলের দ্বারা প্রতারিত হয়ে তার বন্ধু-বান্ধব‘দের দ্বারা ধর্ষিত হয়। এই লেখিকার বই পড়ার আগে তার জীবনী ভাল করে পরে নিবেন। তসলিমা নাসরিন নিজেই নিজের সম্পর্কে সহজ সরল ভাষায় লিখেছেন। খুবই সাহসী মহিলা। আমি তাকে শ্রদ্ধা করি। আমার ক্ষমতা থাকলে আমি তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনতাম। ৬৬। 'প্রথম প্রতিশ্রুত', 'সুবর্নলতা' ও 'বকুল কথা' লেখক- আশাপূর্না দেবী। প্রথম প্রতিশ্রুতি বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর একটি বিখ্যাত উপন্যাস। এই উপন্যাসের জন্য তিনি ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মান জ্ঞানপীঠ পুরস্কার লাভ করেন । পরবর্তী কালে এই উপন্যাসটি অবলম্বনে একটি বাংলা সিনেমাও তৈরি হয় । এটি একটি উপন্যাস ত্রয়ীর প্রথম উপন্যাস । পরবর্তী দুটি উপন্যাসের নাম হল সুবর্ণলতা এবং বকুলকথা। সত্যবতী - সুবর্ণলতা - বকুল : তিন প্রজন্ম। সত্যবতীর অগ্নিসম বিদ্রোহিনী রূপ থেকে যাত্রা শুরু করে সুবর্ণলতার চাপা আকাঙ্ক্ষার পথ ধরে বকুলের সময়ে সনাতনী যুগের অবসান প্রাঙ্গনে এসে সমাপ্ত আশাপূর্ণা দেবীর এই ট্রিলজি উপন্যাস। এত অপূর্ব লেখা, শেষ হওয়ার পরেও কিছুক্ষণ বইটা হাতে নিয়ে বসে ছিলাম। শেষ হয়েও শেষ না হওয়ার এক অবর্ণনীয় অনুভূতি রেখে গেলো। ৬৭। 'ফেলুদা সমগ্র' লেখক- সত্যজিৎ রায়। ফেলুদা সত্যজিৎ রায় সৃষ্ট বাংলা সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র। ১৯৬৫ সালের ডিসেম্বর মাসের সন্দেশ পত্রিকায় ফেলুদা সিরিজের প্রথম গল্প "ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি" প্রকাশিত হয়। ১৯৬৫ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত এই সিরিজের মোট ৩৫টি সম্পূর্ণ ও চারটি অসম্পূর্ণ গল্প ও উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। ফেলুদার প্রধান সহকারী তাঁর খুড়তুতো ভাই তপেশরঞ্জন মিত্র ওরফে তোপসে ও লেখক লালমোহন গাঙ্গুলি (ছদ্মনাম জটায়ু)। ৬৮। 'কুবের সাধু খাঁর বিষয় আশয়' লেখক- শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়। 'এ হাউস ফর মি. বিশ্বাস' এবং 'কুবেরের বিষয় আশয়' উপন্যাস দুটির কাঠামোও প্রায় একই রকম। উপন্যাস দুটির ঘটনা একটানা বর্ণিত হয়নি। বরং দুটি উপন্যাসেই চরিত্রগুলো, নায়ককে সামনে রেখে নানা পর্ববিভক্ত হয়ে মূল কাহিনীকে টেনে নিয়ে গেছে। https://estikutum24.blogspot.com/ ৬৯। 'বসুধারা' লেখক-তিলোত্তমা মজুমদার। লেখক ‘বসুধারা’ উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার। এই উপন্যাসে পশ্চিমবঙ্গে নকশাল আন্দোলনের পরবর্তী সময়ের ছবি দারুণভাবে ফুটে উঠেছে। আমি বিশ্বাস করি, পাঠকের মননকে সমৃদ্ধি দান করবে এই বই। ৭০। 'দুচাকায় দুনিয়া' লেখক- বিমল মুখার্জী। ভূ-পর্যটক বিমল মুখার্জীর সাইকেলে চড়ে বিশ্ব-ভ্রমণের অমর আখ্যান। ২৩ বছরের ভারতীয় এক তরুন ১৯২৬ সালে একটা সাইকেল আর সামান্য কিছু টাকা নিয়ে পৃথিবী ভ্রমণে বেড়িয়ে পরেন। পুরো বিশ্ব ভ্রমণ করে ভারত ফিরে আসেন ১৯৩৭ সালে। পথে কত রহস্য কত রোমাঞ্চ, এমনকি তরুন হিটলারের সাথে দেখা পর্যন্ত। সে সব শুনুন তারই বয়ানে। ৭১। 'কলকাতার কাছেই', 'পৌষ ফাগুনের পালা' এবং 'উপকন্ঠ' লেখক- গজেন্দ্র কুমার মিত্র। এই তিনটি খন্ড আমার অনেক বেশি প্রিয়। আসলে এটি ত্রিপিটক উপন্যাস, খাস ইংরেজিতে যাকে বলে 'ট্রিলজি'। একটা কিনলে বা পড়লে পরবর্তী বাকী দু'টির জন্য হাঁসফাস করবেন! একেকটি বই যেন একেকটি নেশা। পৌষ ফাগুনের পালা শেষেরটি পড়ার পরেও দুঃখ হয় তারপর কি ...। কথাসাহিত্যিক গজেন্দ্র কুমার মিত্রের সর্বোত্তম সাহিত্যসৃষ্টি। উনবিংশ শতাবিংশ শতাব্দীর শেষ ও বিংশ শতাব্দীর শুরু -এই রকম সময়ের পটভূমিতে এই ট্রিলজি কাহিনীর সূত্রপাত। কুলীন ব্রাহ্মণের বিধবা পত্নী রাসমণি ও তার তিনি কন্যার জীবন নিয়ে এই উপন্যাস-ত্রয়ীর কাহিনী শুরু। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে মধ্যমা শ্যামাকে কেন্দ্র করে কাহিনী আবর্তিত হয়েছে, তবু রাসমণির তিন কন্যার ক্রমবর্ধমান পরিবারের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখার নরনারী বিভিন্ন ঘটনাসূত্রে কাহিনীতে অসাধারণ বৈচিত্রের সৃষ্টি করেছে এবং শেষ পর্যন্ত কাহিনীর অখন্ডতা লাভ করেছে। সংস্কারে সংস্কৃতিতে উন্নত অথবা নিদারুণ দারিদ্র ক্লিষ্ট মধ্যবিত্ত সমাজের এই সব মানুষের ব্যক্তিগত ক্ষুদ্র স্বার্থ-সংকীর্ণতা, আশা-নিরাশা, ছোট বড়, সুখ দুঃখ. বিপদ আপদ সবকিছুর মধ্যদিয়েও তাদের অপরাজেয় জীবনাকোঙ্ক্ষার এবং জীবনযুদ্ধের এক নিটোল অনবদ্য কাহিনী শুনিয়েছেন লেখক যা আমরা আগে শুনিনি, আজকাল শোনা যায় না, অদূর ভবিষ্যতে শুনব কিনা সন্দেহ। অনেকেই হয়তো গজেন্দ্র মিত্রকে সেভাবে জানেন না। পড়ুন এবং তারপর জানবেন। ৭২। 'আমার প্রিয় ভৌতিক গল্প'- হুমায়ূন আহমেদ সম্পাদিত। মোট চব্বিশটি গল্প আছে। দারুন সব গল্প, ভূতের গল্প। জনপ্রিয় সব লেখকদের- চমৎকার সব গল্প। পড়ুন। আমার বিশ্বাস আপনাদের অনেক ভাল লাগবে। ৭৩। 'অসাধু সিদ্ধার্থ' লেখক- জগদীশ গুপ্ত। উপন্যাসের নটবর দলছুট চরিত্র। সে 'লঘু-গুরুর' বিশ্বম্ভর কিংবা পরিতোষের মতো 'স্বভাবসিদ্ধ ইতর' বা 'কোমরবাঁধা শয়তান' নয়; শয়তানিতে তার দক্ষতা প্রশ্নাতীত, কিন্তু উপন্যাসের আখ্যানে এটি অতীত, তার মানুষ আর প্রেমিক হয়ে ওঠার সাধনাটুকুই তার সপ্রাণ বর্তমান। এই বর্তমানটুকু মনে রাখলে তার বাইরের এবং ভেতরের মানুষটিকে চেনা যায় সহজেই। তার পরিণতির বেদনাটুকুও বোঝা যায়। জগদীশ গুপ্তের উপন্যাসে সব সময়ই দ্রুত ঘটে যায় সব ঘটনা। ৭৪। 'সেয়ানা' লেখক- সত্যেন সেন। সত্যেন সেন জেল প্রকোষ্ঠে বসেও তিনি লিখেছেন নিরন্তর। এক সময় জেলখানায় পত্রিকা দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে বাইরের খবর তিনি জানতেই পারতেন না। তখন সময় কাটবে কি করে ? এটা ব্রিটিশ যুগের কথা। ও সময় অবশ্য পত্রিকা বন্ধ করে বাইবেল দেয়া শুরু হলো। তাতেই সন্তুষ্ট হলেন সত্যেন সেন। তিনি বইবেলের কাহিনী নিয়ে লিখলেন দু”খানা উপন্যাস- অভিশপ্ত নগরী ও পাপের সন্তান। সেয়ানা নামের উপন্যাসটির নায়ক জেল খানারই হয়তো কেউ। তিনি লিখতেন একদম ভেতর থেকে। তাই তার লেখা মানুষকে স্পর্শ না করে পারে না। সত্যেন দা” জেলে বসেও উবু হয়ে নিরন্তর লিখে চলতেন। জেলখানায় তো চেয়ার টেবিল ছিলো না, তাতে সত্যেনদার কিছু যেত আসতো না। সিমেন্টের ফ্লোরে দিনের পর দিন উবু হয়ে বসে লিখতে লিখতে তার কনুইয়ের চমড়া ইস্পাতের মতো হয়ে গিয়েছিলো। ৭৫। কাশবনের কন্যা' লেখক- শামসুদ্দীন আবুল কালাম। শামসুদ্দীন আবুল কালামের দু’টি উপন্যাস সম্পর্কে হাসান আজিজুল হকের মন্তব্য। তিনি লিখেছেন, “... শামসুদ্দীন আবুল কালামের ‘কাশবনের কন্যা’ এবং ‘কাঞ্চনমালা’য় সমসাময়িক রাজনীতির কোনো ছাপ নেই... সময়ের কোনো বোধ নেই... ‘কাশবনের কন্যা’ ও ‘কাঞ্চনমালা’য় নরনারীর প্রেমই তো আসল বিষয়। তবু বলতে হয়, শামসুদ্দীন আবুল কালাম একটি স্থূল ও পুরুষ্টু কাহিনী ছাড়া আর কিছুই আমাদের দেন না। বরিশাল অঞ্চলের গ্রামজীবনকে কেন্দ্র করে ‘কাশবনের কন্যা’ উপন্যাসটি যেভাবে এগিয়ে চলে তা পাঁচশো বছর আগেকার গ্রাম হতে পারতো এবং যে-কোনো গ্রাম্য পুঁথির বিবরণ হলে তাতে কোনো বাধা ছিলো না। আধুনিক বাংলা উপন্যাসের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে উপন্যাস দুটি যে কাহিনী আমাদের উপহার দেয়, তার মধ্যে চিরায়ত বাংলাদেশের কোনো সত্যও ধরা পড়ে না। শ্লথ গদ্যে লেখা এই কাহিনী দুটিতে এক ধরনের আন্তরিকতা ছাড়া আর কিছু তেমন ধরা পড়ে না।...” ৭৬। 'জলরাক্ষস' লেখক- আবুবকর সিদ্দিক। লেখক আবু বকর সিদ্দিকীর ”জলরাক্ষস” বইটি প্রকাশিত হবার পর এরশাদের সামরিক-শাহী লেখকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। লেখককে সংক্ষিপ্ত বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তার প্রায় বিশ বছর পর এই লেখকেরই কন্যা বিদিশা সেই বিশ্ববেহায়ার অঙ্কশায়িনী হয়েছে। চেতনা বোধহয় প্রজন্মান্তরে বাধাহীনভাবে প্রবাহিত হয় না। নয়ত পিতাকে নির্যাতন আর অপমানকারীকে আলিঙ্গন করতে কন্যার বাধে না কেন? আবুবকর সিদ্দিক কথাসাহিত্যের ক্ষেত্রে কট্টর বস্তুবাদী, সমাজনিষ্ঠ শিল্পী। আর বামপন্থী রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ দিয়ে জীবনকে সমীক্ষা করার একটা স্বতঃস্ফূর্ত প্রবণতা এক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয়। জীবনের একটা প্রধান সময় তাঁর অতিবাহিত হয়েছে বাম চিন্তাদর্শের ঘনিষ্ঠ সানি্নধ্যে। সেখান থেকে যে গভীর অভিজ্ঞতা ও প্রেরণার শাঁস তুলে এনেছেন তা যেমন বাস্তববাদী, তেমনি অকৃত্রিম। ৭৭। 'বিলোরিস' লেখক- অঞ্জলি লাহিড়ী। প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন কমিউনিষ্ট বিপ্লবী। তেভাগা আন্দোলনের সক্রীয় কর্মী। বাংলা দেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়েও অসম মেঘালয়ে সক্রীয় স্বেচ্ছাসেবী, জীবনের পঞ্চাশ বছর পার করে লিখতে শুরু করেন অঞ্জলি লাহিড়ি। ক্রমেই অসমের বাংলা সাহিত্যের অভিবাবক স্বরূপা হয়ে উঠেন। নিজে অবিভক্ত কমিউনিষ্ট পার্টির সদস্য ছিলেন যখন বিয়ে করেছিলেন তখনকার আর সি পি আই দলের আরেক কর্মী প্রয়াত নিরেন লাহিড়িকে। ৭৮। 'বাওয়ালী উপাখ্যান' লেখক- হুমায়ূন রহমান। নাম কি তোমার? করিম বাওয়ালী।- ভয়ার্তকন্ঠ বাওয়ালীর কুঠির খাতায় নাম লিখিয়েছিলে?-সক্রোধ দৃষ্টি রেনী সাহেবের। না হুজুর! আর কোন প্রশ্ন করার প্রয়োজন মনে করলো না রেনী সাহেব, শপাং শপাং চাবুকের আঘাতে ককিয়ে উঠলেন করিম বাওয়ালি, মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন তিনি। বাবার এই অবস্থা দেখে গোলপাতার আড়ালে আর লুকিয়ে থাকতে পারলোনা কিশোরী কমল। সুন্দরবনের বাঘের হাত থেকে বাঁচার জন্য যে বর্শাটা সে সাথে রাখতো সবসময়ে, সেটাই সর্বশক্তি দিয়ে আকড়ে ধরে লাফিয়ে এসে পরলো রেনীর সামনে। এই আতর্কিত হামলার জন্য রেনী প্রস্তুত ছিল না, কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই কমল বর্শাটা ছুড়ে দিল রেনীর বুকের দিকে লক্ষ করে। তবে রেনী ভাগ্যভাল যে সেটা বুকে না লেগে বাহুতে লাগলো, যন্ত্রনায় চিৎকার করে উঠলো সে। অতো কিছু খেয়াল করার সময় নেই কমলের; সে তার বাবা দুজনে মিলে রেনীর চাবুকটা দিয়েই পেচিয়ে তাকে বেধে রেখে তার ঘোড়ায় করে গহীন অরন্যের দিকে হারিয়ে গেলেন। তারপর? ... বইটা পড়ুন। পুরান বইয়ের দোকানে গিয়ে দেখুন বইটা খুঁজে পান কিনা। ৭৯। 'মোহিনীর থান' লেখক- নাসিমা আনিস। কবি ও সাহিত্যিকদের কলমে আরেক উপেক্ষিত হচ্ছে হিজড়া সম্প্রদায়। তাদের সুখ-দুঃখ নিয়ে কেউ মাথা ঘামাননি; ব্যতিক্রম নাসিমা আনিসের সাম্প্রতিক উপন্যাস ‘মোহিনীর থান’। ৮০। 'কুহেলিকা' ও 'মুত্যুক্ষুধা' লেখক- কাজী নজরুল ইসলাম। "কুহেলিকা" নজরুলের শ্রেষ্ট একটি সৃষ্টি। এই উপন্যাস পাঠকদের মন ছুঁয়ে যাবে। কুহেলিকা'র মূল চরিত্র "জাহাঙ্গির" পার্শ্ব চরিত্র আরো আছে। তবে আমাকে ভবিয়েছে জাহাঙ্গিরের জন্ম সংক্রান্ত বিদ্রোহের বর্ণনা। বন্ধু হারুণের সাথে হারুণের বাড়ীর দিকে যাত্রা। হারুণের পাগলী মায়ের অদ্ভুত আচরণ। তাঁর অন্ধ পিতা, খোন্দকার সাহেব সহ তাঁর দুই বোনের চরিত্র, সাথে উপন্যাসের সংলাপ গুলো গভীর মনস্তাত্বি ভাব বহন করে। মৃত্যুক্ষুধা প্রথম মহাযুদ্ধ পরবর্তীকালের রচনা। এ উপন্যাসের ভাষা একান্তই নজরুলীয় বৈশিষ্ট্যসমৃদ্ধ। তিনি চরিত্রের স্বাভাবিকতার স্বার্থে যার যার মুখে যে সংলাপ প্রযোজ্য তাই রাখতে সচেষ্ট ছিলেন। উপন্যাসের প্রথমাংশ কৃষ্ণনগরে এবং শেষাংশ কলকাতায় রচিত। কৃষ্ণনগরে অবস্থানকালে নিদারুণ দুঃখ-কষ্ট এবং দুঃসাধ্য কৃচ্ছ্রসাধন ছিল নজরুলের নিত্য জীবনযাত্রার অঙ্গ। তাই দারিদ্রের চিত্র, সাম্য ও বিপ্লবীচেতনা এ উপন্যাসের রূপকল্পের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। ৮১। 'কারাগারে রাত দিন' লেখক- জয়নাব আল গাজালী। একটি ইসলামী আন্দোলন কি পরিমান জুলুম নির্যাতনের মধ্য দিয়ে ধৈর্য্য ও বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় সেই অবিস্মরণীয় সত্য ঘটনা জানতে বইটি পড়ুন। ৮২। মন প্রকৌশল স্বপ্ন অনুপ্রেরণা আর জীবন গড়ার ফরমুলা - রাগিব হাসান । বইটা পড়ে এক ধরনের অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়। এতে স্বপ্নের কথা বলা হয়েছে, ঘুরে দাঁড়ানো মানুষদের কথা বলা হয়েছে। অসংখ্য উদাহরণ দেয়া হয়েছে, অসংখ্য গল্প বলা হয়েছে। আমাদের তরুণদের কিছু বাঁধাধরা সমস্যা আছে সেই সমস্যাগুলোর কথা বলা আছে। হতাশ হয়ে যাওয়া সেই তরুণদের কেউ না কেউ নিশ্চয়ই এই বইটা পড়ে এক ধরনের শক্তি পাবে, এক ধরনের সাহস পাবে, নিজের ভেতর অনুপ্রেরণা খুঁজে পাবে। ৮৩। আরজ আলি মাতুব্বর এর রচনাসমগ্র- প্রথাবিরোধী ধর্মদর্শনের প্রাচীন ধারাবাহিকতার বাংলাদেশী রূপকার হলেন আরজ আলি মাতুব্বর। তিনি মনে করতেন পশু যেমন সামান্য জ্ঞান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকে ধর্মবাদী ব্যক্তিগণও তেমনি সামান্য জ্ঞান নিয়েই জীবন কাটিয়ে দেয়। মেধার বিকাশ, মুক্তচিন্তা, মুক্তজ্ঞান, বিজ্ঞান চেতনা ইত্যাদি মুক্তবৌদ্ধিক মনোভঙ্গির বিপক্ষে ধর্মপ্রবণ ব্যক্তিগণ দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করে। তাই ধর্ম অনেকাংশেই মানুষের মানবিক বিকাশকে সমর্থন করে না; মুক্তবুদ্ধি, জ্ঞানচর্চা, উদারতা, সহানুভূতিশীলতা, মানবিকতা প্রভৃতির প্রসার-প্রচারকে অনেকাংশেই সীমিত করে তোলে। তিনি জানেন সমাজের যথার্থ মুক্তি ঘটে একমাত্র বস্তুবাদী দর্শনের চর্চাতেই। নিজের প্রান্তিক জীবনের সাধারণ কয়েকটি ঘটনাতেই তিনি বুঝে নিয়েছেন তার ও তার সমাজের আচরিত ধর্মের স্বরূপ। ক্রমাগত গ্রন্থ পাঠে বুঝে নিয়েছেন এর কারণাবলী। এই অন্ধকারাচ্ছন্নতার বিরুদ্ধে তার অবস্থান ছিল সুস্পষ্ট। তাই তিনি অনবরত প্রশ্নবাণে দগ্ধ করেছেন তথাকথিত সমাজপিতা ও তাদের আচরিত-প্রচারিত ধর্ম ও দর্শনকে। ৮৪। 'বিবর্তনের পথ ধরে' লেখক- বন্যা আহমেদ। বিবর্তন নিয়ে বাংলা ভাষায় এখন পর্যন্ত রচিত নিঃসন্দেহে সবচেয়ে শক্তিশালী বই এটি। না পড়লে চোখ বুজে বলে দেয়া যায় আপনি ঠকলেন। ৮৫। 'যে গল্পের শেষ নেই' লেখক- দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। "যে গল্পের শেষ নেই" বইটি ১৯৫১ সালে প্রকাশিত হয়। প্রাক মানুষ, মানুষ, পরিবার, সমজ, রাষ্ট্র, বিশ্ব রাজনীতি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তর মোটা মোটা বই লেখা হয়েছে, রয়েছে অতি মূল্যবান রেফারেন্স বই কিংবা এনসাইক্লোপেডিয়া। কিন্তু এই বইটিতে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে তুলে ধরা হয়েছে শুন্য থেকে শুরু করে মানুষের উদ্ভব এবং আজকের সমাজ ব্যবস্থা পর্যন্তসকল বৈশিষ্টকে। এই বইটিতে দ্বান্দ্বিক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে সমাজ ও সভ্যতার ক্রমবিকাশকে স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। একেবারে গল্পের মত করে শুধুই মানুষের কথা বইটির প্রতিটি পাতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। হোক না তা বহু বছরের আগের কথা, কথাগুলো তো আজও সত্য। ৮৬। 'ভোলগা থেকে গঙ্গা' লেখক- রাহুল সাংকৃত্যায়ন। 'ভোল্গা সে গঙ্গা' গ্রন্থখানি ২০টি ছোটো গল্পের সমাহার। এই ছোটো ছোটো গল্প বা কাহিনীগুলো নিছক কল্পনা প্রসূত নয়, সমাজবিকাশের বিভিন্ন পর্যায়ের দিকে লক্ষ্য রেখে গল্পগুলো ধারাবাহিক ভাবে রচিত হয়েছে। ইতিহাস আর সমাজবিজ্ঞান এর মূলতত্ত্বকে সর্বত্রই মেনে চলা হয়েছে। প্রায় ৬০০০ খৃষ্টপূর্বাব্দে ভোলগা নদীর তীরে যে মানবগোষ্ঠী পরিবার স্থাপন করেছিলো, তাদেরই আবাস ও জীবন নিয়ে রচিত হয়েছে প্রথম গল্পটির দৃশ্যপট। ক্রমে সেই মানুষ মধ্য ভলগাতটে অগ্রসর হয়ে মধ্য এশিয়া অতিক্রম করেছিলো। উত্তর কুরু, তাজিকিস্তান পেরিয়ে একসময় সমগ্র গান্ধার এলাকা জুড়ে বসতি স্থাপন করেছিলো এই আর্যরা। ইতিহাসের এই ধারায় বিংশ শতাব্দীতে পৌছে সমাপ্ত হয়েছে গ্রন্থটির আখ্যান। এই ধারাবাহিকতা নিয়েই রচিত হয়েছে প্রতিটি গল্পের দৃশ্যপট। ৮৭। 'নারী, সৃষ্টি ও বিজ্ঞান' লেখক- পূরবী বসু। পূরবী বসুর দুটি পরিচয়- কথাশিল্পী এবং পুষ্টিবিজ্ঞানী। উভয়ক্ষেত্রে তাঁর পরিচিতের পরিধি সুবিস্তৃত। বিজ্ঞানজগতে পূরবী বসু একটি সম্মানিত নাম, বাংলাসাহিত্যে তাঁর কলমের খ্যাতি সর্বত্র। তাঁর প্রতিভার এই দ্বিমুখী ধারা এই গ্রন্থটির মধ্যে এক অপূর্ব মোহনায় মিশেছে- বইটি পড়ে এই মনে হয়েছে আমার। ৮৮। 'ঈশ্বরের বাগান' লেখক-অতীন বন্দোপাধ্যায়। অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক। তার জন্ম ১৯৩৪ সালে বাংলাদেশের ঢাকায়। ‘ঈশ্বরের বাগান’ উপন্যাসটিতে অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বাস্তু পরিবার, তাদের দৈনন্দিন যন্ত্রণা, চারিত্রিক বৈপরীত্য ও দ্বন্দ্বময় সংঘাতের ছবি এঁকেছেন। লেখকের জাদুকরী কলমের টানে উপন্যাসটি অনন্যতার দাবি রাখে। বিদগ্ধ পাঠকমণ্ডলীর সংগ্রহশালায় এ উপন্যাস অপরিহার্য। ৮৯। 'আয়না' লেখক- আবুল মনসুর আহমদ। আয়না গল্পগ্রন্থের প্রথম গল্প 'হুজুর কেবলা'র শুরুটি এরকম_ এমদাদ তার সবগুলি বিলাতি ফিনফিনে ধূতি, সিল্কের জামা পোড়াইয়া ফেলিল; ফ্লেক্সের ব্রাউন রঙের পাম্পশুগুলি বাবুর্চিখানার বঁটি দিয়া কোপাইয়া ইলশা-কাটা করিল। চশমা ও রিস্টওয়াচ মাটিতে আছড়াইয়া ভাঙ্গিয়া ফেলিল; ক্ষুর স্ট্রপ, শেভিংস্টিক ও ব্রাশ অনেকখানি রাস্তা হাঁটিয়া নদীতে ফেলিয়া দিয়া আসিল; বিলাসিতার মস্তকে কঠোর পদাঘাত করিয়া পাথর বসানো সোনার আংটিটা এক অন্ধ ভিক্ষুককে দান করিয়া এবং টুথক্রীম ও টুথব্রাশ পায়খানার টবের মধ্যে ফেলিয়া দিয়া দাঁত ঘষিতে লাগিল। ৯০। 'ত্রিপিটক' –গৌতমবুদ্ধ। ত্রিপিটক বৌদ্ধ ধর্মীয় পালি গ্রন্থের নাম। বুদ্বের দর্শন এবং উপদেশের সংকলন। বুদ্ধের দর্শনের প্রধান অংশ হচ্ছে দুঃখের কারণ ও তা নিরসনের উপায়। বাসনা সর্ব দুঃখের মূল। বৌদ্ধমতে সর্বপ্রকার বন্ধন থেকে মুক্তিই হচ্ছে প্রধান লক্ষ্য। এটাকে নির্বাণ বলা হয়। ৯১। 'আয়না' লেখক- আবুল মনসুর আহমেদ। তৎকালীন সমাজের কিংবা জাতীয জীবনে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে যেসব অসঙ্গিত লেখককে পীড়া দিয়েছে তাই তিনি তির্যক বাণীভঙ্গিতে লিপিবদ্ধ করেছেন তাঁর কালজয়ী সৃষ্টি আয়না নামক গল্পগ্রন্থে। আবুল মনসুর আহমেদের প্রথম ব্যঙ্গ গল্প সংকলন আয়না। গল্পগুলোর রচনাকাল ১৯২২ সাল থেকে ১৯২৯ সাল অর্থাৎ বিশ শতকের বিশের দশক। গল্পগুলো প্রথম সওগাত পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। আয়নার উৎসর্গপত্রে আবুল কালাম শামসুদ্দীন-এর প্রতিটি উদ্ধৃতিটি ছিল এরকম: “বন্ধুরা বলেছেন, এই বইয়ে আমি সবাইকে খুব হাসিয়েছি। কিন্তু এ্ই হাসির পেছনে যে কতটা কান্না লুকানো আছে, তা তুমি যেমন জান, তেমন আর কেউ জানে না।” ৯২। 'মুক্তচিন্তা' লেখক- রতনতনু ঘোষ একজন প্রাবন্ধিক ও গবেষক। মুক্তমনারা বইটি খুবই পছন্দ করবেন আশা করি। ৯৩। 'তিস্তাপারের বৃত্তান্ত' লেখক– দেবেশ রায়। তিস্তাপারের বৃত্তান্ত সমাজবাস্তবতা নির্ভর এক প্রকল্পায়ণ কথাসাহিত্য, যা পরিত্রাণহীন সত্যের দর্শন থেকে নেতিদেশ ও দৈশিকতার দর্শণয়িত পথ অভিসারী। এপিকধর্মী এই উপন্যাসের ক্রমপুষ্টিকরণ যে নির্দিষ্ট টাইম এবং স্পেস থেকে উৎসারিত, তা এক আকাশের হাঁ-মুখ থেকে নেমে আসা নদীবিস্তৃতিকে পুরায়ত জনপদের ঐকান্তিক ইতিহাস বলে দায়ী করে। ৯৪। 'উদ্ধারণপুরের ঘাট' লেখক– অবধূত। অবধূত ছিলেন একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক ও তন্ত্রসাধক। তাঁর প্রকৃতনাম দুলালচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। জন্ম কলকাতার ভবানীপুরে। পুত্র অমল মুখোপাধ্যায়ের জন্মের পর প্রথমা স্ত্রীর মৃত্যু হলে উজ্জ্বয়িনীর মহাকাল মন্দিরে সন্ন্যাস (অবধূত) গ্রহণ করেন। অবধূত ছদ্মনামে তিনি একাধিক গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। ৯৫। 'বারো ঘর এক উঠোন' লেখক– জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী। উপন্যাসটি পড়তে পড়তে মনে হয় বারো রকমের গল্পকে তিনি যেন বর্ণিত আখ্যানের মধ্যে অদৃশ্য সুতো দিয়ে জুড়ে দিয়েছেন। মনে হয় উপন্যাসের বর্ণিত আখ্যানের সর্বত্রই, তলে অবতলে গভীরে, ক্রমশই গল্পের সম্মোহনী ছায়া-প্রচ্ছয়া ঘনীভূত হচ্ছে। উপন্যাসের মধ্যে বারবার গল্পশিল্পের অতিরিক্ত এই সংক্রমণ, তার প্রভাব, তার আধিক্য, উপন্যাস রচনার কারুকৃতিকে অনেকাংশেই কিন্তু নষ্ট করে দিয়েছে। ৯১। 'আয়না' লেখক- আবুল মনসুর আহমেদ। তৎকালীন সমাজের কিংবা জাতীয জীবনে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে যেসব অসঙ্গিত লেখককে পীড়া দিয়েছে তাই তিনি তির্যক বাণীভঙ্গিতে লিপিবদ্ধ করেছেন তাঁর কালজয়ী সৃষ্টি আয়না নামক গল্পগ্রন্থে। আবুল মনসুর আহমেদের প্রথম ব্যঙ্গ গল্প সংকলন আয়না। গল্পগুলোর রচনাকাল ১৯২২ সাল থেকে ১৯২৯ সাল অর্থাৎ বিশ শতকের বিশের দশক। গল্পগুলো প্রথম সওগাত পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। আয়নার উৎসর্গপত্রে আবুল কালাম শামসুদ্দীন-এর প্রতিটি উদ্ধৃতিটি ছিল এরকম: “বন্ধুরা বলেছেন, এই বইয়ে আমি সবাইকে খুব হাসিয়েছি। কিন্তু এ্ই হাসির পেছনে যে কতটা কান্না লুকানো আছে, তা তুমি যেমন জান, তেমন আর কেউ জানে না।” ৯২। 'মুক্তচিন্তা' লেখক- রতনতনু ঘোষ একজন প্রাবন্ধিক ও গবেষক। মুক্তমনারা বইটি খুবই পছন্দ করবেন আশা করি। ৯৩। 'তিস্তাপারের বৃত্তান্ত' লেখক– দেবেশ রায়। তিস্তাপারের বৃত্তান্ত সমাজবাস্তবতা নির্ভর এক প্রকল্পায়ণ কথাসাহিত্য, যা পরিত্রাণহীন সত্যের দর্শন থেকে নেতিদেশ ও দৈশিকতার দর্শণয়িত পথ অভিসারী। এপিকধর্মী এই উপন্যাসের ক্রমপুষ্টিকরণ যে নির্দিষ্ট টাইম এবং স্পেস থেকে উৎসারিত, তা এক আকাশের হাঁ-মুখ থেকে নেমে আসা নদীবিস্তৃতিকে পুরায়ত জনপদের ঐকান্তিক ইতিহাস বলে দায়ী করে। ৯৪। 'উদ্ধারণপুরের ঘাট' লেখক– অবধূত। অবধূত ছিলেন একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক ও তন্ত্রসাধক। তাঁর প্রকৃতনাম দুলালচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। জন্ম কলকাতার ভবানীপুরে। পুত্র অমল মুখোপাধ্যায়ের জন্মের পর প্রথমা স্ত্রীর মৃত্যু হলে উজ্জ্বয়িনীর মহাকাল মন্দিরে সন্ন্যাস (অবধূত) গ্রহণ করেন। অবধূত ছদ্মনামে তিনি একাধিক গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। ৯৫। 'বারো ঘর এক উঠোন' লেখক– জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী। উপন্যাসটি পড়তে পড়তে মনে হয় বারো রকমের গল্পকে তিনি যেন বর্ণিত আখ্যানের মধ্যে অদৃশ্য সুতো দিয়ে জুড়ে দিয়েছেন। মনে হয় উপন্যাসের বর্ণিত আখ্যানের সর্বত্রই, তলে অবতলে গভীরে, ক্রমশই গল্পের সম্মোহনী ছায়া-প্রচ্ছয়া ঘনীভূত হচ্ছে। উপন্যাসের মধ্যে বারবার গল্পশিল্পের অতিরিক্ত এই সংক্রমণ, তার প্রভাব, তার আধিক্য, উপন্যাস রচনার কারুকৃতিকে অনেকাংশেই কিন্তু নষ্ট করে দিয়েছে। https://estikutum24.blogspot.com/ ৯৬। 'সাদা খাম' লেখক– মতি নন্দী। এই গ্রন্থে ধরা পড়েছে প্রতারণা ও স্বীকারোক্তির এক আশ্চর্য সংঘাত, আর্তনাদের ভেতর রূপান্তরিত মানুষের সংবেদ; যা সংশয় ও ফলশ্রুতির ভেতরে চিরকালীন জিজ্ঞাসা ফেলে রেখে, পাঠককে অনুসন্ধানী করে তোলে। ৯৭। 'নুন চা' লেখক– বিমল লামা। বইয়ের ফ্লাপ থেকেঃ ভৌগোলিক তরঙ্গ জমে ছিল পাহাড় হয়ে। তারই খাঁজে খাঁজে নিস্তরঙ্গ জীবনের নুনকথা। টয় ট্রেনর মতো ধারাবাঁধা নিসর্গের ভেতর দিয়ে ওঠা নামা। অপরূপ কিন্তু জীর্ণ। নিরাপদ কিন্তু অস্বাধীন। একথা বুঝতে সময় লাগেনা উরগোনের যখন লাল পতাকার পাশ দিয়ে উঠে এলো সবুজ নিশান। লাল সবুজের দ্বৈরথে তৈরি হল হলুদ শিখা। পুড়তে লাগল ঘরবাড়ি। ক্ষেত গোয়াল। স্মৃতি আর স্বপ্ন। নিসর্গের দাউ দাউ চিতা। তবু লুকিয়ে ভালো বাসতে ছাড়ে না জুনি। জীবন বাজি রেখে ভালো বাসতে চায় উরগেনকে। জ্বলন্ত চিতার ফাঁকেই খুঁজে নিতে চায় কোনো স্নিগ্ধ কোণ। নিভৃতে শুধু ভালোবাসবে বলে। কিন্তু যেই নিভৃতের খোঁজ মেলার আগেই বুনো মোষের মতো তেড়ে আসে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলে জুনিকে। তার যোনির ভেতর ঢেলে দেয় তপ্ত গরল। কিন্তু জুনি যেন নিজেকে অভিযোজিত করতে চায় ভালোবাসার সংশ্লেষকের মতো। ভালোবাসতে চায় বহিরাগ গরলকেও। আর সেখানেই শুরু হয় তার সমান্তরাল এক লড়াই। সবার হয়ে কিন্তু একা একা। রাজনীতির নিশানে যখন আকাশ ঢাকে, জুনি পড়ে থাকে মাটি কামড়ে, পৃথিবীর দিকে পিঠ করে, এগোতে চায় আর এক পৃথিবীর দিকে। পৃথিবীটাকে অবাক করে, হতবাক করে। https://estikutum24.blogspot.com/ ৯৮। 'গড় শ্রীখন্ড', ও 'রাজনগর' লেখক– অমিয়ভূষণ মজুমদার। অমিয়ভূষণ মজুমদারের প্রথম প্রকাশিত রচনা হল একটি নাটক। প্রথম উপন্যাস গড় শ্রীখণ্ড – ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় সঞ্জয় ভট্টাচার্য সম্পাদিত পূর্বাশা পত্রিকায় ১৩৬০ বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠ সংখ্যা থেকে। গড় শ্রীখণ্ড আবহমান বাংলার উপন্যাস। ভারত স্বাধীনতার আগে-পরের সময়কালে পদ্মাপাড়ে স্থাপিত এ উপন্যাসের কাহিনী। রাজনগর-এর কাহিনী শেষ ১৮৮৩-তে। নয়নতারাতে নয়নতারাও রাজচন্দ্রের মুহূর্তিক শারিরীক সম্পর্কের ফসল যুবক কুমারনারায়ণকে দিয়ে উপন্যাসটি শেষ করা হয়েছে। মানবমন ও সমাজের বিচিত্র অনালোকিত জগতই তাঁর আরোধ্য। বিশ্বসাহিত্যে সিরিয়াস ধারার একজন বুভুক্ষু পাঠক অমিয়ভূষণ মজুদার তাঁর মনন ও শৈলী দিয়ে সে সকল জগতকেই চিত্রায়িত করেছেন। গত পঞ্চাশ বছরের বাংলা উপন্যাসে তাঁর অমোঘ উপস্থিতি আমাদেরকে নিরন্তর প্রাগ্রসর করেছে। ৯৯। 'ক্রান্তিকাল' ও 'কেয়াপাতার নৌকা' লেখক– প্রফুল্ল রায়। ‘"ক্রান্তিকাল" বইটি পড়লে বোঝা যাবে ভারতীয় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের স্বাধীনতার আকুতি। এই উপন্যাসটি অবলম্বনে ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক শেখর দাস "ক্রান্তিকাল" নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মান করেছেন। যেখানে রূপা গাঙ্গুলী, সৌমিত্র চট্টপাধ্যায়সহ অনেক বাঘা বাঘা অভিনেতা-অভিনেত্রী অভিনয় করেছেন। কেয়াপাতার নৌকো’র পরবর্তী খণ্ড ‘শতধারায় বয়ে যায়’ এবং তারও পরবর্তী খণ্ড ‘উত্তাল সময়ের ইতিকথা’। তিনটি উপন্যাসই আকারে মহাকাব্যিক। অসামান্য ক্ষমতাসম্পন্ন এইঔপন্যাসিক সারা জীবন জুড়ে পুরস্কারও পেয়েছেন প্রচুর। এই লেখকের আরেকটি বইয়ের কথা বলার লোভ সামলাতে পারছি না। তারই রচিত আরো একটি বই ঈশ্বরপুত্র। এই বইটির ঘটনাপ্রবাহ আবর্তিত হয়েছে মাইকেল সমরেশ দত্ত নামের এক বিপত্নীক মানুষকে ঘিরে। মাইকেল সমরেশ দত্ত আদর্শহীন মানুষদের মধ্যে বিরলতম চরিত্র। বহুজন হিতায় নিজেকে সপে দিয়েছে সে। বহু দুঃস্থ, সম্বলহীনের পরম আশ্রয় সে। নারী পাচার চক্রের কবল থেকে একটি সরল গ্রাম্য যুবতীকে বাচাতে গিয়ে কোন মূল্য দিতে হয় তাকে তাই নিয়ে এই আশ্চর্য আখ্যান ঈশ্বরপুত্র। ১০০। 'মহাস্থবির জাতক' লেখক– প্রেমাঙ্কুর আতর্থী। প্রেমাঙ্কুর আতর্থীর জন্ম ১৮৯০ সালে। 'মহাস্থবির জাতক'-এর প্রথম খণ্ডের ভূমিকায় 'মহাস্থবির' (প্রেমাঙ্কুর আতর্থী) লিখেছিলেন: "মানুষের জীবনের কাহিনীই সব-চাইতে বিচিত্র উপন্যাস - উপন্যাসের ঘটনা ও চরিত্রের জন্য আশা করি কারও কাছে কোনও জবাবাদিহিতে পড়তে হবে না"। চার-খণ্ডের সম্পূর্ণ বইটি লিখে ও বলে শেষ করতে ওঁর লেগেছিল কুড়ি বছর। চতুর্থ খণ্ড প্রকাশিত হয় প্রেমাঙ্কুর আতর্থীর মৃত্যুর পরে। এই খণ্ডটি লেখার সময়ে তিনি প্রায় দশ বছর শয্যাশায়ী ছিলেন। কবি উমা দেবীকে মুখে মুখে বলতেন, আর তিনি সেগুলো লিপিবদ্ধ করতেন। চতুর্থ পর্ব-এর নিবেদনে উমা দেবী লিখেছিলেন: "মহাস্থবির জাতকের প্রথম পর্ব যখন লেখা হচ্ছিল, তখন একদিন কথা প্রসঙ্গে (প্রেমাঙ্কুর আতর্থী) বলেছিলেন, যে, পঁচিশ বছর বয়স পর্যন্ত সময়ের কথাই তিনি লিপিবদ্ধ করবেন। কিন্তু কিছুদিন পরেই তিনি সে ইচ্ছে ত্যাগ করেন।" 'বাংলা সাহিত্যের যে ১০০টি বই আপনাকে পড়তেই হবে' শেষ হয়ে গেল। মনটা অসম্ভব খারাপ হয়ে গেল। এখন বেশ কিছু ভাল বই এই তালকায় দিতে পারিনি। চারিদিকে এত্ত এত্ত বইয়ের ছড়াছড়ি যেন বইয়ের মেলা । এত বই কি এক জীবনে পড়া করা সম্ভব ? সম্ভব নয় । এক্ষেত্রে একটি কাজ করা যেতে পারে , প্রখ্যাত লেখকদের সেরা উপন্যাসগুলো পড়া যেতে পারে । আমি এভাবেই পড়ার চেষ্টা করি । আমি এরকম একটি লিস্ট তৈরী করেছি , আমার মতে এগুলি বাংলাসাহিত্যের অবশ্যপাঠ্য উপন্যাসগুলির মধ্যে পড়বে । অনেক উপন্যাস বাদ পড়তে পারে , আবার অনেক লেখক বাদ পড়তেও পারেন , সেক্ষেত্রে সেটি আমার অজ্ঞতা ধরে নেবেন । একজন লেখকের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস কোনটি এটা নিয়ে মতানৈক্য থাকতে পারে । আশা করি, সত্যিকার পড়ুয়ারা এই বই গুলো পড়েছেন, সব গুলো না পড়া হলেও কিছু কিছু যে পড়েছেন তা আমি জানি। আর যারা পড়েননি তারা আজ থেকেই বই গুলো সংগ্রহ করে পড়তে শুরু করে দেন। ১০০ টা বই শেষ করতে দুই-তিন বছরের মত সময় লাগবে। সবাই । Posted 29th December 2017 by Unknonts Lo

An ilish story by Khademul Islam in bangla translation and summary

খাদেমুল ইসলামের একটি ইলিশ গল্প (ইংরেজি পাঠ) এটি 197াকায় 1972 সালের ডিসেম্বর (তত্কালীন acাকা)। রায়ের বাজারের পেছনের বারান্দায় মধ্য-সকালে এক উজ্জ্বল। আমার মা এবং আমি আরামে বুড়ো বেতের মোরাগুলিতে আমার মাতামহী নানীকে মাছ ধরতে দেখছি on সে একটি পুরানো বোটির অন্ধকার, বাঁকা ব্লেডের পিছনে বসে আছে এবং তার ডান পা দিয়ে কাঠের দাগযুক্ত কাঠের স্টকটি ধরে রেখেছে। ব্লেড গ্লিন্টের ধারালো প্রান্ত। বোটির নীচে একটি ছোট, দাগযুক্ত রিড মাদুর ছড়িয়ে পড়ে। তার পাশে, মোটা লাল সিমেন্টের উপরে, একটি সামান্য উইকার ঝুড়ি। তিনি চারপাশে কর্কশ মেঘের মতো সাদা, কঠোরভাবে শাড়িযুক্ত একটি ক্ষুদ্র মহিলা। আমি ছোটবেলা থেকেই তাকে দেখিনি। আমাদের পরিবার, আমার বাবা-মা, আমি, আমার ভাই এবং বোন, করাচি থেকে পুরান পশ্চিম পাকিস্তান থেকে Dhakaাকায় পালিয়ে এসেছিলাম এক মাস আগে, সবেমাত্র জেগে উঠেছে বাংলাদেশের রাজ্যে, আমরা আমাদের পাদদেশ খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আমার মামার সাথে থাকতাম। আমি বারান্দার ছাদ বরাবর আকাশের দিকে তাকালাম, সেই একই তরল আলোতে জ্বলজ্বল করছে যেদিন আমরা, তিনটি স্যুটকেস লাগিয়ে পাঁচজন শরণার্থী, বেনাপোলের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে এসেছি। আমার ঠাকুরদা আমাদের সাথে দেখা করতে চট্টগ্রাম থেকে নেমে এসেছিলেন, তাঁর নাতি নাতনিদের বৃদ্ধিতে অবাক হয়ে এবং পাকিস্তান থেকে আমাদের বিমানের গল্প শুনে সহানুভূতিতে আঁকড়েছিলেন। "ইলিশ মাচ," সে আমাকে হাসিমুখে জানিয়েছিল, বাতাসে চেপে ধরেছিল। পদ্মা থেকে। "তাজা (তাজা)" তিনি একটি চমকপ্রদ পরিষ্কার, প্রসারিত চোখের দিকে ইঙ্গিত করে যোগ করেছিলেন। এবং প্রকৃতপক্ষে, সরু নোট হিসাবে স্নিগ্ধ দেহ, তার পিঠে দৃain়ভাবে নীলাভ সবুজ রঙের সূর্যের আলোতে চমকে উঠেছে। এটি একটি মাঝারি আকারের ইলিশ ("তারা শীতের সময় ছোট"), এটির মুখের নীচের দিকে তির্যক এবং এর নীচের চোয়ালের কৌণিক লাইন এটি একটি অস্পষ্টভাবে নির্ধারিত বায়ু দেয়। আমি শেষবারটি দেখেছিলাম মনে করতে পারছি না। শুকনো, গাun় রঙের, বিস্তীর্ণ করাচি নগরীতে জন্ম ও বেড়ে ওঠা, এই সমস্ত - মাছ, নদী, আত্মীয়স্বজন, Dhakaাকার আকস্মিক সবুজ ঘাস এবং খেলনা আকারের ডাকঘর - আমার কাছে নতুন। আমার দাদী একাত্তরের কথা বলছেন। ১৯2২ সালের প্রতিটি বাঙালি ১৯ 1971১, মুক্তিযুদ্ধ, শরণার্থী এবং পরবর্তী ভয়াবহতা থেকে মুক্তি সম্পর্কে একাত্তরের কথা বলেছিলেন। "একাত্তরটি আবারও ১৯৪ 1947 সালের মতো ছিল," তিনি বলেছিলেন যে তিনি নিজের হাতের সাথে মাছের উভয় প্রান্তটি ধরে রেখে দৃig়তার সাথে ব্লেড জুড়ে পিছনে পিছনে দেখেছিলেন। মাছের আঁশগুলি সমস্ত দিকে উড়ে যায় এবং কয়েকটি সিজল wardর্ধ্বমুখী হয়, সিমেন্টে নামার আগে তাদের চাপ, অ্যাকোয়ামারিন এবং পোখরাজ স্প্যানগলের শীর্ষে মুহুর্তে ভাসে। 1947 সালে, দেশ বিভাগের সময় আমার দাদা-দাদি অন্যান্য মুসলমানদের সাথে কলকাতা (বর্তমানে কলকাতা) থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। একদিনে পুরো পাড়া জবাই করে, আমার মা বলেছিলেন। বাচ্চাদের দেয়ালের উপরে ফেলে দেওয়া। কাঁপানো প্রাপ্ত বয়স্ক এবং কাঁদানো শিশুরা পেল-মেল থেকে পালাচ্ছে। তারপরে ধূসর, অস্বীকৃত শরীরের উপর ব্রাশের ছদ্মবেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে এবং শীর্ষে একটি পাতলা দাগ, একটি রক্তাক্ত রেখা রেখে তিনি ধূসর, অস্বীকৃত শরীরের উপর ছোট ডোরসাল ফিনটি কেটে ফেলেন। তারপরে ছোট ছোট পাখাগুলি স্নিপ করুন, tchk, tchk, যতক্ষণ না ক্ষুদ্রতম স্টাবগুলি বাকি থাকে। "আমাদের বাড়ি থেকে রাস্তা নামিয়ে," তিনি আমাদের দিকে এক নজরে তাকিয়ে দেখেন, চোখের ইরিজগুলি তাবিজের টান মতো কালো, "সেখানে একটি হিন্দু পরিবার ছিল।" তার হাতগুলি সুপারি বাদামি এবং হলুদ দাগযুক্ত, একটি পরিশ্রমী মাতৃত্বকের হাত, নিরবচ্ছিন্নভাবে নির্দেশনা দেওয়া, ল্যাডলিং, টাক ইন, দৈনিক বাজারের অর্থ প্রদান করা, মসৃণ করা, একটি প্যান পাতা ভাঁজ, বাছাই। তিনি ঝাঁকুনি দিয়ে আস্তরণের চাঁদের নীচে ফলকটি ফিট করে এবং সেগুলি ছিঁড়ে ফেলেন এবং হাড়ের আঠালো, জটলা বালসা কাঠের টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো করা একে অপরের উপরে রাখা গিলস, সেরেটেড ফ্ল্যাপগুলি একটি স্বতন্ত্র, ফ্লাশযুক্ত মেরুন। "তাজা," তিনি আবার বলেছেন এবং অনুমোদনের সাথে সম্মতি জানায়, তার মাথার চারপাশে ফোটা চুলের করোনার গতিতে আলোড়ন তোলে। সুদূর প্রাচীরের পিছনে তার শাড়ির টুকরো টুকরো করার জন্য দুটি খালি ফুলের পট এবং একটি লাল মাটির বাটি bowl তাদের ছায়া, কৃষক-গা dark় ডাবলগুলি তীব্রভাবে খোসা ছাড়ানো হলুদ রঙের চুনে আঁকা থাকে। পিঁপড়ার একটি কলামটি পাশের দিকে এগিয়ে চলছে এবং বাটির রিমটি গোল করে round “তারা আমাদের পাড়ার দীর্ঘকালীন বাসিন্দা ছিল। আমরা তাদের স্নানের জন্য আমাদের বড় পুকুর ব্যবহার করতে দিয়েছিলাম, ”তিনি বলেন, গভীরভাবে ভী-ডি লেজের কাছে শেষ কয়েকটি স্কেল জোরেশোরে স্ক্র্যাপ করে। তার কথাগুলি তার চলন, কর্মরত অস্ত্র, ছিটানো, পরে থামার পরে আবার ছড়িয়ে পড়ার সাথে একযোগে হয়। "ঠিক আছে, আপনি জানেন, চট্টগ্রাম একটি রক্ষণশীল জায়গা এবং আমাদের মৌলভী ছিলেন শান্তির কমিটির সদস্য।" পিস সেনাবাহিনী প্রচার ও সন্ত্রাসবাদের জন্য পলিটিক্যাল কমিটিগুলি বেশিরভাগ গ্রামাঞ্চলে বাঙালি ইসলামিক দল ছিল। তিনি মাছটিকে wardর্ধ্বমুখী করেন এবং বটিটির ডগা দিয়ে একে একে গলার ঠিক নীচে একটি চেরা তৈরি করেন, তারপরে আদা দিয়ে ছোট্ট ফিশের থলি এবং গ্রন্থি বের করে দেয়, ধূসর এবং হলুদ বর্ণের ধরণের ধোবার ধোয়ার মতো তরল লাইনে আঁকা। মাদুরের সাথে ক্লিক করার জন্য মাইক্রো পাউচ এবং ব্যাগ, মুক্তো এবং আম্বরা আসবে। প্রথম মাছি হাজির। তিনি তখন দু'হাত দিয়ে শক্ত করে মাছ ধরেন, একটি মুখের উপরে এবং অন্যটি তার মাঝখানে চারপাশে চাপড়ে ফেলেছিল এবং তার মাথাটি কেটে দেয়, তার উপরের বাহুতে মাংস চেষ্টায় ঝাঁকিয়ে পড়ে। প্রাথমিক প্রতিরোধের পরে মেরুদণ্ড হিসাবে একটি বিচ্ছুরিত শব্দ, পথ দেয়। লাল দাগগুলি তার দাগহীন ডান হাঁটুতে ছড়িয়ে দেয়। ছাই রঙের থ্রেডস, ফাঁকা কাণ্ডের অভ্যন্তরে জল এবং আগাছার একটি বহিরাগত বিশ্বের কোমল লিঙ্কগুলি দৃশ্যমান। মুখ ফাঁক। তিনি নৈমিত্তিক, পরিচিত ছোট্ট ফুলের সাথে মাথাটি ছাঁটাই এবং ঝুড়িতে রাখেন। "একটি রাত - ভালই, সকাল প্রায় দুটো নাগাদ, আমরা চিৎকার শুনেছিলাম এবং নারাই তাকবীরের চিৎকার শুনেছি," তিনি ১৯৪ 1947 সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় মুসলমানদের বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন। তিনি ব্লেড বরাবর লম্বা ইলিশ ধরে, এটিকে তার মাথাবিহীন ঘাড়ের দু'টি দড়ি দিয়ে আঁকড়ে ধরুন যাতে তার পিছন তার দিকে থাকে এবং টুকরাগুলি একক তরল wardর্ধ্বমুখী গতিতে নরম সাদা আন্ডারবিলিভাবে খোলে। তারপরে সে মাছটিকে তার কাছে নিয়ে আসে এবং ভিতরে ersুকে যায়। "ডিম?" আমার মা জিজ্ঞাসা। "আমি কোনও দেখতে পাচ্ছি না," আমার নানী উত্তর দেয়। "তারা কেবল বর্ষাকালে ডিম পান।" মা মাছি হাত থেকে বাড়াতে হাত waves তিনি অনুশীলিত আঙ্গুলের সাহায্যে মার্বেল, আর্দ্র গহ্বর থেকে সরল সাহস বের করেন। গাted় স্ট্রিং জমাট রক্তের সাথে লেপযুক্ত। তার চৌকস আঙ্গুলগুলি ফাঁক, নৌকো আকারের পেটের গর্ত, ডিট্রিটাসের জন্য পরীক্ষা করা এবং পুনরায় পরীক্ষা করার মধ্যে চিন্তিত। জীবন জন্য, ভিজা, আর্দ্র, মিউকাস-বোঝা। "পরের দিন সকালে আমরা শুনেছিলাম যে তাদের আক্রমণ করা হয়েছিল এবং হত্যা করা হয়েছিল," তিনি আমাদের দিকে অন্য এক নজরে বলেছেন, ডান হাতের পেছন দিয়ে রিমলেস চশমাটি পিছনে ঠেলে, আঙ্গুলগুলি লেন্সগুলি পরিষ্কার রাখার জন্য যত্নবান। "তারা বলেছিল যে মোল্লা নিজেই তাদের গলা কেটে দিয়েছে।" তার কণ্ঠস্বর একটি অভিযুক্ত নোটে শেষ হয়। "কে বলেছে?" আমার মাকে জিজ্ঞাসা। "তাদের আশেপাশের প্রতিবেশী। মুসলিমরা।" একটি নীরবতা, যার মধ্যে একটি বাতাস ছিঁড়ে যাওয়া পাতা দিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। তিনি চতুরতার সাথে তার হাতের নিচে মাছটি ঘুরিয়ে নিচ্ছেন এবং তার হাতের কাজটি যাচাই করে দেখছেন। প্রায় শেষ সমাপ্ত ক্যানভাসের জরিপকারী কোনও চিত্রশিল্পী, ছায়াছবি এবং সুরগুলি মূল্যায়ন করছেন। তারপরে, আস্তে আস্তে, প্রায় স্বপ্নের সাথে, তিনি মাছটিকে আনুষঙ্গিক, হৃদপিণ্ডের আকারের টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো পরে। মাথার ডানদিকে লেজ অবতরণ করে। রক্তের অশ্রু, তাত্ক্ষণিক ত্বকে সূর্যের উজ্জ্বল জ্বলতে ফ্যাকাশে গোলাপী মাংসের খণ্ডগুলি থেকে ভাল। বোটি ফলক, তার নখদর্পণীর মতো, রক্ত ​​এবং আঠালো পদার্থের চটজলদি ট্রেসযুক্ত। মৎস্য নিঃসরণ, যার চারপাশে উড়ে উড়ে সুখে। "মৌলভী এখন কোথায়?" আমার মা জিজ্ঞাসা। "ওহ, তিনি এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছেন, হ্যালো এবং হৃৎপিণ্ডে।" তিনি "জবাই" শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন কুরবানী theদের ভাষা, যে পশুপাখির আনুষ্ঠানিক উত্সর্গের দিনটি আমি শৈশব থেকেই ste এটি গলা বিচ্ছিন্ন করা মানে। পাকিস্তানের উর্দুতে এটি তীক্ষ্ণ, ধাতব "জাবাই"। Eidদের দিন ভয় পেয়ে, বন্য-চোখের গরুগুলি তাদের খুর বাঁধতো এবং সিমেন্টের উঠোন বা ঘায়ে ঘায়ে নামত এবং তার পরে মোল্লা তার কলমা এবং তার নতুন ঘৃণ্য ছুরিগুলি নিয়ে প্রবেশ করত। মোল্লার হাত, নখ তাড়াতাড়ি কামড়ায়, দোয়ার পক্ষে বা দাড়ি ছোঁড়াতে, একটি তর্জনী একটি খোলা কোরআনে একটি রেখার সাথে শ্রদ্ধার সাথে চলমান যেন এটি তার উদীয়মান ছন্দগুলি আন্ডারলাইন করে। যে হাত এতিমখানা চালিয়েছিল, মৃতদের স্নান করেছে, বিয়ে করেছে, কুরবানির doorদে ঘরে ঘরে গিয়ে তাদের ব্যবসা বাণিজ্য করেছে। গরুটি কেবল তার ফাটল, খোলা গোলিটি, দেওয়াল্লাস ফড়িংয়ের মধ্য দিয়ে শোরগোলের বাইরে বেরোনোর ​​জন্য দুর্দান্ত মুখের মধ্যে দিয়ে বাতাস টেনে তুলত, এবং এই শব্দটি আমাদের মাথার উপরে বাতাসকে ভরিয়ে তুলবে, আমরা বাচ্চাদের আমাদের esদের নতুন উত্সব পোশাকগুলিতে ( ঝাঁকুনি জারি এবং সিল্কের চুলের ফিতাগুলিতে ছড়িয়ে পড়া ছোট মেয়েগুলি) একটি বৃত্তে দাঁড়িয়ে ধমনী রক্ত, লাল, সান্দ্র, পিচ্ছিল হিসাবে দেখা হত, প্রথমে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরে পৃথিবীতে epুকে পড়ে। করাচির নিরবচ্ছিন্ন, নীল গ্রীষ্মের আকাশের নীচে। আমি আমার কাতরানো খেজুরগুলি, আমার ঠাকুরমার গালের দিকে তাকাই, এই সমস্ত বিভ্রান্ত দশকের পরেও মসৃণ, আমার মায়ের পায়ের আঙ্গুলের চিপানো টমেটোতে। বাঙ্গালী ত্বক, কোমলভাবে একটি জাফরান রোদে উষ্ণ হয়। আমাদের মাংস, রহস্যময়, বিশেষত, জীবন্ত টিস্যুর প্রায় প্রাথমিক ঘনত্ব, এর পাপপূর্ণ অবনতি, কোষ এবং ঝিল্লি একসাথে সেলাই করা, সত্যই, বিশ্বাস এবং প্রার্থনা দ্বারা। কি আমাদের unmakes, আমাদের তোলে। পরে মধ্যাহ্নভোজনে, সিস্টেটিম আলোর মিষ্টি বর্গক্ষেত্রগুলি পাতলা সাদা পর্দার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং আমার দাদির চুলগুলি তার স্নান থেকে এখনও ভেজা, আমার মামা লক্ষ্য করেছেন যে আমি মাছের তরকারিটিকে প্রশস্ত বার্থ দিচ্ছি। "আপনি ইলিশ খাচ্ছেন না?" "আজ না." "হাড়গুলি বাছাই করা যায় না, তাই না?" "হ্যাঁ। আমার মনে হয় আমার আরও বেশি সময় লাগবে।" একটি বিরতি আমাকে বাদে সবার জন্য আর এক দফা ভাত আর ডাল। "আপনি মোটেই খাচ্ছেন না।" "আমি খুব ক্ষুধার্ত নই।" " তাহলে আপনি আমাদের acাকাকে কী ভাবেন? "" ভাল (ভাল)। খুবি ভাল (খুব ভাল)। "খাদেমুল ইসলাম একজন লেখক ও অনুবাদক। তিনি বেঙ্গল লাইটসের সম্পাদকও।

An ilish story by Khademul Islam ( English text )

It is December 1972 in Dhaka (then Dacca). A brilliant mid-morning on a back verandah in Rayer Bazaar. My mother and I are comfortably perched on old cane moras watching my maternal grandmother about to gut a fish. She is seated behind the dark, curved blade of an old boti, holding down its scarred, wooden stock with her right foot. The sharpened edge of the blade glints. A small, stained reed mat is spread beneath the boti. By her side, on the coarse red cement, is a little wicker basket. She is a tiny woman with a white, stiffly starched sari like a crackling cloud around her. I haven't seen her since I was a child. Our family, my parents, I, my brother and sister, had escaped from Karachi, from the old West Pakistan, to Dhaka, to the newly-risen state of Bangladesh barely a month back, and were staying with my maternal uncle till we could find our footing. I look up at the sky bordering the verandah roof, at the day glowing with the same liquid light in which we, five refugees lugging three suitcases, had crossed the Indo-Bangladesh border at Benapole. My grandmother had come down from Chittagong to visit with us, marvelling at her grandchildren's growth and clucking sympathetically at stories of our flight from Pakistan. "Ilish mach," she had informed me with a smile, holding it up in the air. From the Padma. "Taja (fresh)," she had added, pointing to a startlingly clear, protruding eye. And indeed, the sleek body, silvery as a sitar note, faintly bluish-green on its back, had winked in the vivid sunlight. It is a medium-sized ilish ("they're small in the wintertime"), the downward slant of its mouth and the angular line of its lower jaw giving it a vaguely determined air. I cannot remember the last time I had seen one. Born and raised in dry, dun-colored, sprawling Karachi city, all this – fish, rivers, relatives, Dhaka's sudden swathes of green grass and toy-sized post offices – is new to me. My grandmother is talking about 1971. Every Bengali in 1972 talked about 1971, about the liberation war, refugees, and the subsequent release from the daily horror. "1971 was like 1947 all over again," she says as she holds both ends of the fish with her hands and vigorously saws it back and forth across the blade. Fish scales fly in all directions and a few sizzle upward, float momentarily at the top of their arc, aquamarine and topaz spangles, before gliding down on to the cement. In 1947, during the Partition, my grandparents had fled from Calcutta (now Kolkata) along with other Muslims. Whole neighborhoods slaughtered in a day, my mother had said. Babies thrown over walls. Trembling adults and crying children fleeing pell-mell. She then cuts off the small dorsal fin on the gray, denuded body, brusquely ripping through cartilage and tendon, leaving a thin scar, a bloodied line, on top. Then snips the smaller lower fins off, tchk, tchk, till the tiniest stubs are left. "Down the road from our house," she continues with an upward glance at us, the irises of her eyes black as amulet string, "there was a Hindu household." Her hands are betel-nut brown and turmeric-stained, a working matriarch's hands, ceaselessly directing, ladling, tucking in, handing out the daily bazaar money, smoothing out, folding a paan leaf, picking. She neatly fits the blade under the crescent moons of the gill covers and shears them off, exposing the glutinous, intricate balsa wood fretwork of bone, spotted with scarlet moss and lichen, that knits together fish head. The gills, serrated flaps laid on top of each other, are a distinct, flushed maroon. "Taja," she says again and nods approvingly, the corona of sprung hairs around her head stirring with the motion. Behind her against the far wall are two empty flowerpots and a red earthen bowl with drained rice starch for crisping her saris. Their shadows, peasant-dark doubles, are sharply etched on the peeling yellow limewash. A column of ants is marching up the sides and round the rim of the bowl. “They were long-time residents of our neighborhood. We allowed them to use our big pond for bathing,” she says, vigorously scraping the last few scales off near the deeply Vee-d tail. Her words are in sync with her moving, working arms, spilling out, then halting, then spilling again. “Well, you know, Chittagong is a conservative place, and our maulvi was a Peace Committe member.” Peace committees had been Bengali Islamic groups, largely in the rural areas, fostered by the Pakistan army for propaganda and terror. She turns the fish upward and makes an incision just below its throat with the tip of the boti, a precise surgical cut, then gingerly draws out tiny fish sacs and glands, gray and yellow snot strung on liquid lines like a surreal dhoba's wash. Out come micro pouches and bags, pearl and umbra, to be flicked on to the mat. The first flies appear. She then grips the fish solidly with both hands, one clamped over the mouth and the other around its middle, and cuts its head off, the flesh on her upper arms jiggling with the effort. A snapping sound as the spine, after an initial resistance, gives way. Red specks spatter her spotless right knee. Ash-colored threads, supple links to an external world of water and weeds, are visible inside the hollow stem. The mouth gapes. She trims the head with casual, familiar little flourishes and puts it in the basket. “One night – well, it was around two o’clock in the morning, we heard screaming and shouts of narai takbir,” she continues, referring to the Muslim rallying cry during the 1947 communal riots. She holds the ilish lengthwise along the blade, grasping it by the twin prows of its headless neck so that its back is towards her and slices open the soft white underbelly with one single fluid upward motion. She then brings the fish closer to her and peers inside. "Eggs?" my mother asks. "I don't see any," my grandmother replies. "They get eggs only during the rainy season." My mother waves her hands to ward off the flies. She pulls out the slithery guts from the marbled, moist cavity with practiced fingertips. Dark strings coated with clotted blood. Her agile fingers worry inside the gaping, boat-shaped abdominal hole, checking and rechecking for detritus. For life, wet, humid, mucous-laden. "The next morning we heard that they had been attacked and killed," she says with another glance at us, pushing back rimless spectacles with the back of her right hand, careful to keep her fingers clear of the lenses. "They said the mollah himself had slit their throats." Her voice ends on an accusing note. "Who said?" asks my mother. "Their immediate neighbors. Muslims." A silence, in which a breeze sighs through torn leaves. She deftly turns the fish over and under in her hands, scrutinizing her handiwork. A painter surveying an almost finished canvas, assessing shades and tones. Then, slowly, almost dreamily, she slices the fish into proportionate, heart-shaped pieces, bullying only through the spine and translucent rib bones, and plops them into the basket. The tail lands right by the head. Teardrops of blood, instant rubies in the hot bright gush of sun, well up from the chunks of pale pink flesh. The boti blade, like her fingertips, is streaked with blood and slick traces of gummy matter. Fishy secretions, around which the flies happily buzz. "Where’s the maulvi now?" my mother asks. "Oh, he’s still walking around, hale and hearty." She had used the word "jobai," the language of Qurbani Eid, the day of ritual sacrifice of animals that I have been steeped in since childhood. It specifically means to slit the throat. In Urdu, in Pakistan, it is the sharper, metallic "zabai." On Eid day, scared, wild-eyed cows would have their hooves tied and brought crashing down on to cement courtyards or bruised grass, and then the mullah would step in with his kalma and his newly whetted knives. Mullahs' hands, nails bitten to the quick, raised in supplication or stroking a beard, an index finger reverently running along a line in an open Qur'an as if to underline its surging rhythms. Hands that ran orphanages, bathed the dead, performed marriages, went door to door on Qurbani Eid plying their trade. The cow would draw air through its mouth in great heaving gasps only for it to vent noisily through the ripped, open gullet, dewlaps flapping, and as this noise would fill the air above our heads, we the children in our festive new Eid clothes (the littler girls spangled in flickering zari and silk hair ribbons) would stand in a circle and watch as arterial blood, red, viscid, slippery, would first spurt and then seep into the earth. Beneath Karachi's peerless, fabulously blue summer skies. I look at my tingling palms, at my grandmother's cheeks, still smooth after all these ruffled decades, at the chipped tomato of my mother's toes. Bengali skin, tenderly being warmed by a saffron sun. Our flesh, the mysterious, particular, almost prim denseness of live tissue, its sinuous declivities, the cells and membrane stitched together, really, by faith and prayer. What unmakes us, makes us. Later at lunch, with sugary squares of siestatime light streaming in through thin white curtains and my grandmother's hair still wet from her bath, my mama notices that I am giving the fish curry a wide berth. "You're not eating the ilish?" "Not today." "Can't sort out the bones, eh?" "Yes. I think I need more time." A pause. Another round of rice and daal for everybody except me. "You're hardly eating at all." "I'm not very hungry." "So what do you think of our Dacca?" "Bhalo (good). Khubi bhalo (very good)." Khademul Islam is a writer and translator. He is also Editor, Bengal Lights.