Saturday, November 23, 2019

The Rise of English”- by Terry Eagleton এর বাংলা অনুবাদ। The Rise of English in bangla . The Rise of English”- by Terry Eagleton text .

The Rise of English”- এর বাংলা অনুবাদ:




অষ্টাদশ শতাব্দীর ইংল্যান্ডে সাহিত্যকে সেই হিসাবে বিবেচনা করা হত যা ‘ভদ্র বর্ণের’ মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যার অর্থ উচ্চবিত্তদের (সাধারণত) মূল্যবোধ এবং স্বাদগুলি মূর্ত করে তোলে। পূর্ববর্তী শতাব্দীর রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের পরে মধ্যবিত্তদের উচ্চবিত্তদের সাথে unityক্যে আনার ক্ষেত্রে সাহিত্য আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

আধুনিক বিবেচনায় সাহিত্যের উদ্ভব ঘটেছে teenনবিংশ শতাব্দীর রোমান্টিক সময়কালে; সাহিত্যের ধারণাটি কল্পনাপ্রসূত বা উদ্ভাবনী কিছু যখন প্রসাইক রচনাটি নিস্তেজ বা অযাচিত হয় ইতিহাসের তুলনামূলকভাবে নতুন ধারণা।

রোমান্টিক সময়কালে, কবিতার মতো সাহিত্যের ধরণগুলি কেবল লেখার প্রযুক্তিগত উপায় ছিল না, তাদের উল্লেখযোগ্য সামাজিক, রাজনৈতিক এবং দার্শনিক প্রভাব ছিল (অনেক বড় রোম্যান্টিক কবিরা নিজে রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন)। কল্পনার সার্বভৌমত্ব এবং স্বায়ত্তশাসনের উপর চাপ দেওয়া সাহিত্যের ধারণায় প্রবেশের আরেকটি জোর ছিল। ‘প্রতীক’ এর উত্থানও আঠারো শতকের শেষের দিকে এসেছিল; এটির সাথে বিভিন্ন বিপরীত ধারণাগুলি অবশেষে একসাথে ক্যাপচার করা যায়।

সাহিত্য, যেমন আগে leগলটন দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়, এটি একটি আদর্শ। Agগলটন পরামর্শ দেয় যে nineনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে ইংরেজি অধ্যয়নের বিকাশ ধর্মের ব্যর্থতার কারণে হয়েছিল, তার বিশ্বাস কিছু এমন একটি আদর্শ কিন্তু শক্তিশালী রূপ যা সর্বোপরি শান্তির প্রভাব থেকে wasর্ধ্বে ছিল। স্পষ্টতই, ইংরেজি সাহিত্য একটি উপযুক্ত প্রতিস্থাপন হিসাবে কাজ করে। মধ্যবিত্তদের চাষ করার জন্য এবং ইংরাজি অভিজাতদের কিছু মূল্যবোধ দিয়ে তাদের প্রভাবিত করার জন্য ইংরেজী একটি বিষয় হয়ে ওঠে; সুতরাং ইংরেজি সাহিত্য শ্রমজীবী ​​এবং মধ্যবিত্তদের প্রশান্ত করার নতুন উপায় হয়ে উঠল। সাহিত্য কালজয়ী সত্য প্রকাশ করবে এবং জনগণকে তাদের বর্তমান প্রতিশ্রুতি এবং c0nditions থেকে বিভ্রান্ত করবে; এটি এমন জিনিস বা ঘটনাগুলির অভিজ্ঞতা লাভ করার একটি উপায় ছিল যা কোনও ব্যক্তির জীবনে অনুভব করা সম্ভব ছিল না। একাডেমিক বিষয় হিসাবে ইংরেজি দরিদ্র মানুষের ক্লাসিক ছাড়া আর কিছুই ছিল না। এছাড়াও, নৈতিক আইন স্থানান্তর করার জন্য ইংরেজী নতুন বাহন হয়ে ওঠে, যা এখন ধর্ম থেকে নেওয়া হয়নি taken

যেহেতু ইংরাজিকে হুবহু একটি ‘বাস্তব’ বিষয় হিসাবে বিবেচনা করা হত না, এটি উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মহিলাগুলিতে প্রায়শই দেওয়া হত যখন এখন হতাশাজনকভাবে মহিলাদের ভর্তি করা হয়েছিল; তবে, শতাব্দীর সূচনা হওয়ার সাথে সাথে ইংরেজী আরও বেশ কয়েকটা পৌরুষের দিক নিয়েছিল। ইংরেজির অধ্যয়নের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে এখনও কিছুটা সময় লেগেছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইংরেজি সাহিত্য ক্ষমতায় আসে, বেশিরভাগ সময় যুদ্ধকালীন জাতীয়তাবাদের কারণেই। নতুন বিষয়টি বর্তমানে সামাজিক ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তিদের চেয়ে বুর্জোয়া শ্রেণীর দ্বারা তৈরি হয়েছিল।

এখন ইংরেজী অধ্যয়নটি "ইন" ছিল, এবং লোকেরা হয়তো ভাবতে পেরেছিল যে এটি অন্যথায় কীভাবে হয়েছিল। গভীর এবং তীব্র প্রশ্নগুলি সবচেয়ে তীব্র তদন্তের সাপেক্ষে পরিণত হয়েছিল। সাহিত্যের সম্ভবত একমাত্র জায়গা যেখানে সৃজনশীল ভাষা বিকাশ লাভ ছিল। অধিকন্তু, অধ্যয়নরতরা অনুভব করেছিলেন যে তারা সত্তর শতকের মতো সভ্যতার যে পথে চলার আগে হওয়া উচিত ছিল সেই বৃহত্তর আন্দোলনের একটি অংশ।

"যাচাই বাছাই" কোনওভাবেই সমাজকে পরিবর্তনের চেষ্টা করেনি; বরং তাদের লক্ষ্য ছিল এটি প্রতিরোধ করা। শিশুদের যে দুর্নীতিগ্রস্থ সংস্কৃতিতে তারা বাস করত সে সম্পর্কে তাদের শিক্ষা দেওয়া তাদের পক্ষে সাহিত্যের অর্থহীন অংশগুলি মুখস্থ করার পরিবর্তে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। Agগলটন বলেছিলেন যে স্ক্রুটিনি প্রকল্পটি ছিল “চুল উত্থাপনকারী র‌্যাডিক্যাল এবং সত্যই বরং অযৌক্তিক।” শেষ পর্যন্ত, স্ক্রুটিনি কেবলমাত্র অভিজাতদের একটি প্রকল্প ছিল। স্ক্রুটিনির দ্বারা আকাঙ্ক্ষিত ‘জৈব’ সমাজ অদম্য ছিল, অতীতের সোনালী দিনগুলিকে পুনরায় দাবি আদায়ের উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছাড়া আর কিছুই নয়।

কিছু ধরণের ইংরেজিকে অন্যদের চেয়ে বেশি ইংরেজী বলে বিবেচনা করা হত, যা উচ্চ শ্রেণীর আগে যুক্তিগুলির একটি ধরণের বিদ্রূপাত্মকভাবে মনে করিয়ে দেয়। যখন টি.এস. এলিয়ট ইংল্যান্ডে এসেছিলেন, মিল্টন এবং রোমান্টিকদের টপকে ওঠার সময় তিনি কবি ও নাট্যকারদের মর্যাদা উন্নীত করেছিলেন। সাহিত্যে পরিণত হয় যা এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়; সমস্ত কবিতা সাহিত্য হতে পারে, তবে সমস্ত কবিতা সাহিত্য হতে পারে না। এলিয়ট ভেবেছিলেন যে মধ্যবিত্ত উদারনীতি যুদ্ধের আলোকে ব্যর্থ হয়েছে এবং একটি কবিকে অবশ্যই কবিতায় একটি নতুন ধরণের সংবেদনশীল ভাষার বিকাশ করতে হবে যা তাদের বুদ্ধির চেয়ে ব্যক্তির ইন্দ্রিয়ের সাথে কথা বলবে। সেদিনের সাহিত্যের "বড় উইগগুলি" যে ধারণাগুলি নিয়ে আসে সেই ধারণাগুলিতে অনেকগুলি দ্বন্দ্ব দেখাতে শুরু করে।

ব্যবহারিক সমালোচনা বলতে এমন একটি পদ্ধতি বোঝানো হয়েছিল যা কোনও পাঠ্য আলাদা রাখতে ভয় পেত না, তবে ধরে নিয়েছিল যে আপনি তাদের সংস্কৃতিগত প্রসঙ্গ থেকে বিচ্ছিন্ন কবিতার টুকরো বা গদ্যকে কেন্দ্র করে সাহিত্যিক মহত্ত্ব বিচার করতে পারেন। ঘনিষ্ঠ পাঠের অর্থ বিশ্লেষণ বিশ্লেষণাত্মক ব্যাখ্যার অর্থ, তবে এটি বোঝাতেও বোঝাচ্ছিল যে সমালোচনার পূর্ববর্তী পদ্ধতিগুলি প্রতি লাইনে কেবল তিনটি শব্দই পড়ে read এও ধরে নিয়েছিল যে কোনও সাহিত্যকর্ম তার প্রসঙ্গ থেকে বিচ্ছিন্নভাবে বোঝা যায়।

রিচার্ডস, আধুনিক বিজ্ঞানের একজন উকিল অনুভব করেছিলেন যে, যদিও তিনি নিজেই ‘কী?’ বা ‘কেন?’ এর মতো প্রশ্নগুলিকে বৈধতা না দিয়েছিলেন, যদি এই ধরণের ছদ্ম প্রশ্নগুলিতে ছদ্ম-উত্তর না দেওয়া হত, সমাজ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ত। কবিতার ভূমিকা হ'ল এই জাতীয় উত্তর সরবরাহ করা।

আমেরিকান নিউ সমালোচনা এই মতবাদগুলির দ্বারা গভীরভাবে চিহ্নিত হয়েছিল যে আইনহীন নিম্নমানের মানুষের অনুপ্রেরণাকে আরও কার্যকরভাবে সংগঠিত করা উচ্চতর সূক্ষ্ম মানুষের বেঁচে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করবে (পুরাতন ভিক্টোরিয়ান বিশ্বাসের চেয়েও কম নয় যে নিম্ন শ্রেণীর আয়োজন করা উচ্চবিত্তদের বেঁচে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করবে)। নতুন সমালোচনা স্ক্রুটিনি থেকে খুব বেশি আলাদা ছিল না: এটি সাহিত্যে পুনর্নবীকরণ করেছিল যা বাস্তবে এটি খুঁজে পায় না। তারা সাহিত্যের গ্রেট ম্যান থিওরি নামে একটি জিনিস নিয়ে এসেছিল, যা বলে যে লেখকের লেখার উদ্দেশ্যগুলি পুনরুদ্ধার করা হলেও তাঁর বা তাঁর পাঠ্যের ব্যাখ্যার সাথে এগুলির কোনও প্রাসঙ্গিকতা ছিল না। একই সময়ে, পাঠকদের সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়াগুলিও কবিতার আসল অর্থ নিয়ে বিভ্রান্ত হতে পারে না। শেষ পর্যন্ত, নতুন সমালোচনামূলক উপায়ে কবিতা পড়া মানে নিজেকে কিছুতেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করা, বিশেষত কোনও কিছুর প্রত্যাখ্যান।



বিশেষ দ্রষ্টব্য:
 "ইংরেজদের উত্থান" একটি অসামান্য প্রবন্ধ যেখানে আজ আমরা বুঝতে পারি যে সাহিত্যের ধারণাটি কীভাবে বিকশিত হয়েছে, এর অধ্যয়ন কীভাবে একাডেমিকভাবে শুরু হয়েছে এবং ইংরেজিতে সাহিত্য সমালোচনা কীভাবে বিকশিত হয়েছে তা জরিপ করে। তিনি ব্রিটিশ উপনিবেশগুলিতে ইংরেজিকে একাডেমিক শৃঙ্খলা হিসাবে ব্যবহার করার পিছনে পুঁজিবাদী মোটিফিকে প্রকাশ করেছিলেন। আধুনিক-পরবর্তী তাত্ত্বিক হিসাবে, agগলটন নতুন সমালোচনার ত্রুটিগুলি বিশদভাবে আলোচনা করেছেন এবং নতুন অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে সাহিত্য পাঠগুলি দেখার জন্য এগিয়ে যাওয়ার পথ সুগম করেছেন। তবে “ইংরেজদের উত্থান” প্রবন্ধে তিনি ইংরেজিতে তাত্ত্বিক উন্নয়নের জন্য সমালোচনা করেছেন নতুন সমালোচনা পর্ব পর্যন্ত ।


Main text:



The Rise of English”- by Terry Eagleton

In eighteenth-century England, literature was considered to be that which conformed to the standards of ‘polite letters’, meaning that which embodied the values and tastes of the upper classes (usually).  After the bloody civil war of the previous century, literature became even more important in bringing the middle classes into unity with the upper classes.

Literature, in the modern sense, really emerged around the nineteenth century during the Romantic period; the idea that literature is something imaginative or inventive while prosaic writing is dull or uninspiring is a relatively new concept in history.

During the Romantic period, types of literature like poetry no longer were simply a technical way of writing, they had significant social, political, and philosophical implications (many major Romantic poets were political activists themselves).  The stress upon the sovereignty and autonomy of the imagination was another emphasis finding its way into the concept of literature.  The rise of the ‘symbol’ also came towards the end of the eighteenth century; with it, various contradictory concepts could finally be captured together.

Literature, as defined by Eagleton earlier, IS an ideology.  Eagleton suggests that the growth of English studies in the later nineteenth century was caused by the failure of religion, something he believes was a very simple yet powerful form of ideology that was above all else a pacifying influence.  Apparently, English literature worked as a suitable replacement.  English became a subject used to cultivate the middle class and infuse them with some values of the leftover aristocracy; thus English literature became the new way to pacify the working and middle classes.  Literature would convey timeless truths and distract the masses from their present commitments and c0nditions; it was also a way to experience things or events that were not possible to experience in a person’s life.  English as an academic subject was nothing more than the poor man’s Classics.  In addition, English became the new vehicle for transferring the moral law, which was no longer taken from religion.

Because English was not exactly considered a ‘real’ subject, it was often given to the ladies of higher learning institutions when were now grudgingly admitting women; however, as the century drew on, English took on more of a masculine aspect.  It still took a while for the study of English to be taken seriously, but finally English literature came into power, mostly because of wartime nationalism.  The new subject was created by the offspring of the bourgeoisie, rather than those who currently held social power.

Now the study of English was ‘in’, and people may have wondered how it had ever been otherwise.  Deep and intense questions became subject to the most intense scrutiny.  Literature was also perhaps the only place where creative language was allowed to flourish.  In addition, those studying felt that they were a part of a larger movement that was moving civilization back to the way it should have been, as in the seventeenth century.

“Scrutiny” didn’t seek to change society in any way; rather, their goal was to withstand it.  Teaching children about the corrupt culture they lived in was very important, instead of making them memorize pointless passages of literature.  Eagleton said that the Scrutiny project was “hair-raisingly radical and really rather absurd.”  In the end, Scrutiny was simply a project of the elitists.  The ‘organic’ society desired by Scrutiny was unobtainable, nothing more than a lofty desire to reclaim the golden days of the past.

Some types of English were considered more English than others, which ironically reminds one of the types of arguments given by the upper class before.  When T.S. Eliot came to England, he upgraded the status of the poets and dramatists while toppling Milton and the Romantics.  Literature becomes that which has the Tradition flowing through it; all poetry may be literature, but not all poetry may be Literature.  Eliot thought that middle-class liberalism had failed in light of the war, and a poet must develop a new type of sensory language in poetry that would speak to a person’s senses rather than their intellect.  Many contradictions began showing up in the ideas that the ‘big wigs’ of Literature of that day came up with.

Practical criticism meant a method that was unafraid to take a text apart, but also assumed that you could judge literary greatness by focusing on pieces of poetry or prose isolated from their cultural contexts.  Close reading also mean detailed analytic interpretation, but also seemed to imply that former methods of criticism read only three words per line.  Also assumed that any literary work could be understood in isolation from its context.

Richards, an advocate of modern science, felt that, even though he himself felts questions such as ‘what?’ or ‘why?’ were not valid, if pseudo-answers were not given to such pseudo-questions, society would fall apart.  Poetry’s role is to supply such answers.

American New Criticism was deeply marked by the doctrines that organizing lawless lower human impulses more effectively will ensure the survival of the higher finer ones (not too dissimilar from the old Victorian belief that organizing the lower classes will ensure the survival of the upper ones).  New Criticism was not too different from Scrutiny: it reinvented in literature what it couldn’t find in reality.  They came up with something called the Great Man theory of literature, which says that even if the author’s intentions in writing were recovered, they were of no relevance to the interpretation of his or her text.  At the same time, neither could the emotional responses of readers be confused with the poem’s true meaning.  Ultimately, reading poetry in the New Critical way meant committing yourself to nothing, a rejection of anything in particular.



Special Note:
“The Rise of English” is an outstanding essay where Eagleton surveys how the concept of literature as we understand today has developed, how its studies have begun academically and how literary criticism in English has evolved. He discloses the capitalist motif behind using English as an academic discipline in British colonies. As a post-modern theorist, Eagleton elaborately discusses the drawbacks of New Criticism and paves the way forward to look at the literary texts with newer insight. However, in the essay “The Rise of English” he criticises the theoretical development in the English up to the New Criticism phase.

🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄












ইচ্ছে করে
************************
 আখতারুল ইসলাম খোন্দকার




ইচ্ছে করে পৃথিবীর শ্রেষ্টতম উপমা দিয়ে
অমর প্রেমের মহাকাব্য রচনা করতে,
রিদয়ের সবটুকু আবেগ জড়িয়ে লাবন্য ভাষাই
তোমাই নিয়ে ভালবাসার কবিতা লিখতে।
ইচ্ছে করে সম্রাট শাজাহানের অনুরুপ না হলেও
অন্তত সুখভরা প্রেমের তাজমহল গড়তে,
কালজয়ী লাইলী-মজনু,শিরী-ফরহাদের সমতুল্য
বিরল অনাবদ্য ইতিহাস সৃষ্টি করতে।
ইচ্ছে করে অনন্ত প্রহর ধরে তোমাকে দেখি
লোক চক্ষু ফাঁকি দিয়ে অপলক দৃষ্টিতে,
মনের কল্পনাই লিওনার্দর মত তোমার ছবি আঁকি
যেন মোনালিসা লজ্জা পাই এ সৃষ্টিতে।
ইচ্ছে করে দুনিয়ার সমস্ত গোলাপ এনে ফেলি
তোমার নুপুর জড়ানো রাঙা চরণ তলে,
পাখির নিড়ের মত চোখে প্রেমের আল্পনা  এঁকে দিই
যেন সবাই শুভ্র বনলতা সেন বলে।
ইচ্ছে করে টাইটানিকে চলি অজানা সুমুদ্রে
ঐ অথই জলে দুর্বার নতুন স্বপ্ন বুনি,
অনন্তকাল ধরে শুধু তোমার বুকে মাথা রেখে
রোমিও-জুলিয়েটের প্রেমের গল্প শুনি।
ইচ্ছে করে বিধাতাকে অসং্খ্য ধন্যবাদ জানাই
তোমার শৈল্পিক সৌন্দর্যময় করে তৈরিতে,
আরও কৃতজ্ঞ তার প্রতি যেন আমাদের বন্ধন
কখুনো ছিন্ন করে গড়েনা বৈরিতে।
        ******************



আখতারুল ইসলাম খোন্দকার
গ্রামঃ- বিদির পুর
পোস্টঃ বসন্ত কেদার
উপজেলা- মোহন পুর
জেলা- রাজশাহী-৬২১০।

Friday, November 15, 2019

      

কৃষকের ক্ষেতে

        নিত্য রঞ্জন মণ্ডল

এ দেশ এ রাষ্ট্র জীবনের জনস্রোত
বয়ে নিয়ে যায় কত,
অজানা কৃষকের কথা ফসলের খেতে পড়ে রয় ;
খোলা হাতের ওষ্ঠাগত রক্ত
আমার কে আছে অজানার মত ভক্ত। 
আপনের মত কেউ কি আছে
আপন হতে দূরে চিনি না যারে সেই হলো আপন
কাছে ছিল যে সেই হলো পর। 
একটা যদি রাত আসে আমার মত করে
পলাশের শিশির ঝরা চোখের অশ্রু পড়ে,
খোলা চাষের মাটিতে আমি নাইবা হইলাম নব কচিপাতা
তোমার খাতায় গভীর রাতের  একান্ত কবিতা।

---------------------------
সুন্দরবন,পশ্চিমবঙ্গ






🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄






শমে-এ বাংলা অধ্যক্ষ  মাওলানা আলাউদ্দীন শাহ (রহ)

                মোহাম্মদ ইমাদ উদ্দীন



বাংলাদেশের দক্ষিণ চট্টগ্রাম চন্দনাইশের যে কজন ব্যক্তিত্ব তাদের কীর্তিতে আজীবন মানুষের মনের মণিকোঠায় অমর হয়ে আছেন তন্মধ্যে মাওলানা আলাউদ্দীন শাহ (রহ) অন্যতম। দ্বীন চর্চা, দ্বীন প্রচার এবং শিক্ষার প্রসারে তিনি ছিলেন এক অনন্য মহান পুরুষ। তিনি  চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ পৌরসভা এলাকার মাওলানা মঞ্জিলের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মুফতি শফিউর রহমান (রহঃ)। (তিনি “মুফতি সাহেব” নামে সুপ্রসিদ্ধ ছিলেন। তিনি নিজ এলাকা চন্দনাইশে হাশিমপুর মকবুলিয়া সিনিয়ার মাদ্রাসা এবং জোয়ারা ইসলমিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ পদে ইন্তিকালের পূর্ব পর্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সহিত নিবিড়ভাবে দায়িত্ব পালন করেন।) মাতার নাম আসমা খাতুন, দাদার নাম সৈয়্যদ হাসান মিয়াজি।  মাওলানা আলাউদ্দীন শাহ (রহ) তাঁর পিতার ৯ ছেলের ৪র্থ পুত্র। তাঁর বংশ পরিক্রমা হল-মুহাম্মদ আলাউদ্দীন  বিন শফিউর রহমান বিন সৈয়্যদ হাসান মিয়াজি বিন নুরুদ্দীন। বাল্যকালে তাঁর শ্রদ্ধেয়া আম্মাজান মারা যান। মাতৃহারা এ শিশু তাঁর মুফতি পিতা শফিউর রহমান (রহঃ) এর তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। 
অধ্যক্ষ  মাওলানা আলাউদ্দীন শাহ (রহ) ১৯৫৮ সালে চন্দনাইশস্থ জোয়ারা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা হতে দাখিল পাস করার পর ১৯৫৯ সালে চট্টগ্রাম দারুল উলূম আলিয়া মাদরাসায় ভর্তি হন। তিনি এ মাদরাসা হতে আলিম ও ফাজিল কৃতিত্বের সাথে পাস করেন। ১৯৬৬ সালে মাদরাসা-ই-আলিয়া ঢাকা হতে কামিল পাস করেন। ১৯৬৮ সালে সরকারী বৃত্তি নিয়ে মাদরাসা-ই-আলিয়া,ঢাকায় ছাত্র থাকাকালীন সময়ে "খাওয়াতীন-এ ইসলাম-কে কার নাম" উর্দু ভাষায় গবেষণা থিসিস রচনা করেন। এটি প্রকাশিত হয় নি। 
 মাওলানা আলা উদ্দীন (রহ:) যাদের সান্নিধ্যে শিক্ষা জীবন অতিবহিত করেন তাদের মধ্যে অন্যতম শিক্ষকমন্ডলীগণ হচ্ছেন: ১.আল্লামা আব্দুর রহমান কাশগড়ী (রহ:) ২.মুফতি সৈয়্যদ মাওলানা আমীমুল ইহসান ইবনে সৈয়্যদ আব্দুল মান্নান মুজাদ্দেদী (রহঃ), ৩. শায়খ মাওলানা আব্দুস সাত্তার বিহারী (রহ), ৪. শায়খ মাওলানা ওবাইদুল হক মুহাদ্দিস সিলেটী (রহঃ),  ৫. শায়খ মুফতি মাওলানা আমিন (রহঃ), ৬. মাওলানা ফোরকান  (রহঃ), ৭. শায়খ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী  (রহঃ) প্রমুখ।কর্মজীবনে জোয়ারা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় উপাধ্যক্ষ,  রাঙ্গুনিয়া নূরুল উলূম সিনিয়ার মাদরসায়  শিক্ষকতা করেন। পটিয়া অহিদিয়া ও বোয়ালখালী চরণদ্বীপ রিজভীয়া মাদরাসায় অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি ইন্তেকালের পূর্ব পর্যন্ত  সোবাহানিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসায় মুহাদ্দিস পদে কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি ইনতিকালের পূর্ব পর্যন্ত স্থানীয় মুরব্বীদের অনুরোধে "চন্দনাইশ মিজ্জির দোখান জামে মসজিদ” এর খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তাঁর কাছে যারা পড়েছেন কুরআন হাদীসের দরস নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে যে প্রতিষ্ঠানে খেদমত হচ্ছে, সেখানেই তাঁর ছাত্র আছে। বিভিন্ন মাদরাসা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ মুহাদ্দিস, প্রফেসর হিসেবে অনেক ছাত্রই আজ নিয়োজিত। তিনি ছাত্রদের কে কুরআন-হাদীসের পাশাপাশি ধর্মীয় ও আরবী শিক্ষা দেয়া, ইসলামী আদর্শ ও চেতনা জাগ্রত করা, আদর্শবান ও চরিত্রবান হিসেবে গড়ে তোলা, হানাফী মাযহাবের আলোকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত তথা সঠিক সুন্নী মতাদর্শ প্রচার প্রসার করাই ছিল এই আলেমে দ্বীনের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। যার ফলশ্রুতিতে গড়ে উঠেছে সুন্নী মতাদর্শ ভিত্তিক ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিপুল সংখ্যক ইসলামী চিন্তাবিদ এবং ইসলামী মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সহ আরো অনেক কর্মীবাহিনী। তাঁর অসংখ্য শিষ্য বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাড়া দেশের বাইরেও অনেক ভাল ও গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত । দেশের প্রশাসনিক লোকদের মধ্যে অসংখ্য ছাত্র আছে।উল্লেখ্য শায়খুল হাদীস অধ্যক্ষ  মাওলানা আলাউদ্দীন শাহ (রহ) এর ছাত্ররা নানাভাবে ধর্মীয় ও সামজিক ও রাষ্ট্রীয় নানাক্ষেত্রে খেদমত আন্জাম দিয়ে যাচ্ছেন।
তাঁর প্রণীত "লাইলাতুল কদর" শীর্ষক পুস্তকটি (উর্দু ও বাংলা) প্রকাশিত হয়েছে। তিনি আঞ্জুমানে মুহিব্বানে রসূল এর পৃষ্ঠপোষকতায় পাকিস্তানের খ্যাতনামা আলিম মুফতি শফি ওকাড়বী (রহ) এর রচিত সাওয়াবুল ইবাদত ও বরকাতে মীলাদ উর্দু দু'টি বই বঙ্গানুবাদ করেন। যা যথাক্রমে ১৯৭৯ ও ১৯৮১ সালে প্রকাশিত হয়। তিনি ১৯৯৮ সালের ১৯ জুলাই, ২৪ শে রবিউল আউয়াল ১৪১৯ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন। জোয়ারা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ঐতিহাসিক ময়দানে তাঁর জানাযা নামায অনুষ্ঠিত হয়।  পরে তাঁকে তার পারিবারিক কবরস্থান মাওলানা মঞ্জিলে দাফন করা হয়।আল্লাহ পাক তাঁকে আন্বিয়া, সোলাহা ও শুহাদার সাথে জান্নাতুল ফেরদাউসের আলা ইল্লিয়িনে মর্যাদাপূর্ণ স্থান নসীব করুন।

লেখক: কলামিস্ট।

লেখা প্রেরক :
মোহাম্মদ ইমাদ উদ্দীন
C/O,মাওলানা মন্জিল, চন্দনাইশ পৌরসভা, ওয়ার্ড নং ০২, পো: অফিস পূর্ব জোয়ারা (৪৩৮০), চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম।

🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄





তোই আমার সব   

   বিপ্লব গোস্বামী



তোই  যে আমার সবরে বন্ধু
তোই যে আমার সব।
দূরে গেলে ধ‍্যানলোকে
করি তব স্তব।
তোই যে আমার প্রথম প্রেম
তোই যে আমার শেষ।
তোর জন‍্যে সর্ব ত‍্যাগি
ধরব ভিখরী বেশ।
তোর কারণে বেঁচে আছি
মরতে পারে বললে।
রাতের তারা এনে দেব
তোই বায়না ধরলে।






  

ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদ আর নেই

বিশ্বের শীর্ষ বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদ ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। শুক্রবার রাত ৮টা ২৮ মিনিটে রাজধানীর বসুন্ধরার অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত অবস্থায় অ্যাপোলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ব্র্যাকের পরিচালক (কমিউনিকেশন) মৌটুসী কবীর তার মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে এবং তিন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।
আগামী রোববার (২২শে ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত তার লাশ ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। দুপুর সাড়ে বারোটায় আর্মি স্টেডিয়ামেই তার জানাজার নামাজ সম্পন্ন হবে। জানাজার পর ঢাকার বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
ব্র্যাক গ্লোবাল বোর্ডের চেয়ারপারসন আমিরা হক এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ফজলে হাসান আবেদের আত্মনিবেদন, কর্মনিষ্ঠা এবং সুদৃঢ় নৈতিক অবস্থান তাকে ব্র্যাক পরিবারের সকলের কাছে শ্রদ্ধেয় ‘আবেদ ভাই’ করে তুলেছে। মানুষকে মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি ছিল তার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি ব্র্যাকের পরিচিতি যখন বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হয়েছে তখনও সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের উন্নয়নই তার অগ্রাধিকার ছিল। সততা, বিনয় এবং মানবিকতার এক বিরল দৃষ্টান্ত ছিলেন তিনি। তার এসকল গুণাবলিই ব্র্যাকের প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠার ভিত্তি রচনা করেছে।’
ফজলে হাসান আবেদের বর্ণাঢ্য জীবন
ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন একজন ভূস্বামী। তার মায়ের নাম সৈয়দা সুফিয়া খাতুন। তার পূর্বপুরুষরা ছিলেন ঐ অঞ্চলের জমিদার। আবেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে ও পরে ব্রিটেনের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে তিনি শেল অয়েল কোম্পানীতে অর্থনৈতিক কর্মকর্তা হিসাবে যোগ দেন।
ফজলে হাসান আবেদের শিক্ষাজীবন শুরু হয় হবিগঞ্জে। হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণী থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। পরবর্তীতে দেশভাগের ঠিক আগে তার বাবা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে হবিগঞ্জ থেকে গ্রামের বাড়ি বানিয়াচংয়ে চলে আসেন। পরবর্তীতে তিনি চাচার চাকুরীস্থলে কুমিল্লা জেলা স্কুলে ভর্তি হন। সপ্তম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সেখানেই লেখাপড়া করেন। এরপর চাচা জেলা জজ হিসেবে পাবনায় বদলি হওয়ায় তিনিও চাচার সাথে পাবনায় চলে যান এবং পাবনা জেলা স্কুলে ভর্তি হোন। সেখান থেকেই ১৯৫২ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। ১৯৫৪ সালে এইচএসসি পাস করেন নটরডেম কলেজ থেকে। সে বছরই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্স বিভাগে অনার্সে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সালের অক্টোবর মাসে তিনি স্কটল্যান্ডে গিয়ে গ্লাসগো ইউনিভার্সিটিতে নেভাল আর্কিটেকচারে ভর্তি হন। নেভাল আর্কিটেকচারের কোর্স ছিল চার বছরের। দুবছর লেখাপড়া করে কোর্স অসমাপ্ত রেখে ১৯৫৬ সালে গ্লাসগো ইউনিভার্সিটি ছেড়ে লন্ডন চলে যান এবং সেখানে ভর্তি হন অ্যাকাউন্টিংয়ে। এখানে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিংয়ের উপর চার বছরের প্রফেশনাল কোর্স পাশ করেন ১৯৬২ সালে। এ ছাড়া তিনি ১৯৯৪ সালে কানাডার কুইনস ইউনিভার্সিটি থেকে 'ডক্টর অব ল' এবং ২০০৩ সালে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে 'ডক্টর অব এডুকেশন' ডিগ্রি লাভ করেন।
কর্মজীবন
চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিংয়ে পড়াকালীন সময়ে ১৯৫৮ সালে ফজলে হাসান আবেদের মায়ের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে তিনি লন্ডনে চাকরিতে যোগদান করেন। কিছুদিন চাকরি করার পর চলে যান কানাডা। সেখানেও একটি চাকরিতে যোগ দেন। পরে চলে যান আমেরিকা। ১৯৬৮ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসে তিনি শেল অয়েল কোম্পানির হেড অব ফাইন্যান্স পদে যোগদান করেন। এখানে চাকরির সময় সত্তরের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় হয়। ফজলে হাসান আবেদ উপদ্রুত এলাকা মনপুরায় গিয়ে ত্রাণকাজ পরিচালনা করেন। এর চারমাস পর শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ শেষ হলে তিনি আর চাকরিতে ফিরে যাননি।
ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা
১৯৭০ সালে ফজলে হাসান আবেদ বাংলাদেশের ভয়াবহ ঘূর্ণীঝড়ে আক্রান্ত দুঃস্থ মানুষের সাহায্যে ত্রাণ কর্মকাণ্ডে জড়িত হন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি তিনি দেশে ফিরে আসেন। ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ব্র্যাকের জন্ম। যুদ্ধের পর সিলেটের শাল্লায় ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বসবাসরত লোকজনকে দেখতে গেলেন। সেখানে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি শাল্লায় কাজ করবেন। এভাবেই স্বাধীন বাংলাদেশের দরিদ্র, অসহায়, সব হারানো মানুষের ত্রাণ ও পুনর্বাসনকল্পে শুরু করলেন 'Bangladesh Rehabilitation Assistance Committee' সংক্ষেপে যা 'BRAC' নামে পরিচিত। ১৯৭৩ সালে সাময়িক ত্রাণকার্যক্রমের গণ্ডি পেরিয়ে ব্র্যাক যখন উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে কাজ শুরু করে, তখন 'BRAC'-এই শব্দসংক্ষেপটির যে ব্যাখ্যা গ্রহণ করা হয়, সেটি হল 'Bangladesh Rural Advancement Committee'। বর্তমানে ব্যাখ্যামূলক কোনো শব্দসমষ্টির অপেক্ষা না রেখে এই সংস্থা শুধুই 'BRAC' নামে পরিচিত।
কবি বেগম সুফিয়া কামাল, অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, কাজী ফজলুর রহমান, আকবর কবীর, ভিকারুল ইসলাম চৌধুরী, এস আর হোসেন এবং ফজলে হাসান আবেদ, এই সাতজনকে নিয়ে ১৯৭২ সালে ব্র্যাকের গভর্নিং বোর্ড গঠিত হয়। বোর্ড ফজলে হাসান আবেদকে প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করে। কবি বেগম সুফিয়া কামাল হলেন ব্র্যাকের প্রথম চেয়ারম্যান। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘদিন ব্র্যাকের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন শেষে গত আগস্ট মাসে তিনি ওই পদ থেকে সরে যান। তার ওই পদে দায়িত্ব পালন করছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান। তবে চেয়ারপারসনের পদ ছাড়লেও সংস্থাটির সম্মানসূচক 'চেয়ার এমিরেটাস' পদে ছিলেন আবেদ।
পুরষ্কার
ফজলে হাসান আবেদ তার দীর্ঘ কর্মময় জীবনে অনেকগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরষ্কারে ভুষিত হন। তার মধ্যে অন্যতম হলো-সামাজিক নেতৃত্বে জন্য র‌্যামন ম্যাগসাইসাই পুরষ্কার (১৯৮০), ইউনেস্কা নোমা পুরষ্কার (১৯৮৫), এ্যালান শন ফেইনস্টেইন ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার পুরষ্কার (১৯৯০)ইত্যাদি।
এছাড়া নেদারল্যান্ডসের রাজার পক্ষ থেকে নাইটহুড ‘অফিসার ইন দ্য অর্ডার অফ অরেঞ্জ-নাসাউ’ খেতাবেও ভূষিত হন তিনি।




🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄

শ্রদ্ধাঞ্জলি
            -------------------
             (সনেট কবিতা)
            ******************
  ---------আখতারুল ইসলাম খোন্দকার
অসামান্য সুন্দরী প্রখর বুদ্ধিমতী
অর্ধ-শতাব্দীর অগ্রজা মহিয়সী নারী
অসূর্যস্পশ্য মুক্তির অন্তঃ পূরনী চারী
তাই শ্রদ্ধাঞ্জলি বেগম রোকেয়ার প্রতি।

মুসলিম নারী জাগ্রতের প্রতিশ্রুতি
নারী মানুষ্যত্বের অবমাননার সংস্কারি
বৈষম্য, জড়তা, কুসংস্কার দুর কারি
নানা অন্যায় অসহিংষুতার প্রসুতি।
পর্দার নামে নারীর ব্যক্তিত্বের লাঞ্চহনা
বিদূষীর তা তীব্র বেদনার সঞ্চার
প্রেরণা দিয়ে করেছে নারীকে শিক্ষিৎ।
শিক্ষা ছাড়া নারী সমাজ পাবে বঞ্চনা
তাই গড়েন আধুনিক শিক্ষা বিস্তার
রোকেয়া নারী জাগরণের পথিকৃৎ।
       **********-------******
আখতারুল ইসলাম খোন্দকার
গ্রাম-বিদির পুর
পোস্টঃ বসন্ত কেদার-৬২১০
উপঃ মোহন পুর
জেলা- রাজশাহী
বাংলাদেশ।






সাধারন

 সুজয় মজুমদার 


চলো না, একটু ঘুরে আসি
পায়ে পায়ে একটু করে
পাশপাশি  হেঁটে দুজনে
ইতিহাসের থেকে অনেকখানি দূরে ,
ঘাসের আগায় ভোরের শিশিরে
ধুইয়ে দেবে পা
ফিরতে হবে শীতল দিনের
মিঠেল রোদ্দুরে।

ভাতের বদলে মুড়িই  খাব
লঙ্কা পেঁয়াজ মেখে
হিসেব বুঝেই চলব পথে
ধার বাকি না রেখে।


 সুজয় মজুমদার 

Vill  :- Daulatpur, Po:- Panditpur 
Ps:- Dubrajpur,  Dist:- Birbhum 
West bengal, Pin:- 731123


🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄




এর চেয়ে ভালো ছিলো


কলমে - সৌমেন দাস


--------------------------------------------
ক্ষয়ে ক্ষয়ে বয়ে যাওয়া প্রতিটা মুহূর্ত
'গতকাল' নামে দিয়ে যায় হাতছানি।
একটা 'তুমি ছাড়া' মানুষের আর্তনাদে
ছেয়ে যায় শূন‍্য রাজপথ, যত অলিগলি।
একটা 'তুমি' ছিলে বলে
শীতের সব পাতা ঝড়ার দিনগুলোও
ছেয়ে থাকতো বসন্তের একরাশ
লাল নীল হলুদের আনন্দে।

বেশ তো আমি ভালোছিলাম,
ভুলেছিলাম একটা 'তুমি' আছো ভেবে !
কী লাভ, বলো কী লাভ পেলে
'তুমি নেই' অনুভূতির একপেয়ালা হাহাকারে ডুবিয়ে ?

এর চেয়ে ভালো ছিলো
তোমার সুখের জলসাঘরে
সাজানো
শখের ফুলদানিতে আমায় না হয় রাখতে সাজিয়ে,
একটা দুটো পড়তাম ঝড়ে মিথ‍্যে অভিনয়ে।

তবুও তো পেতাম সুযোগ
নিজের সৌরভটুকু দিয়ে রাখতে ভরিয়ে
তোমার আলো ঝলমলে সোনালি সন্ধ‍্যা।
নিশ্চুপ নির্বাক অভিমানে ঝরে পড়ার
প্রহর প্রতীক্ষায় আমি না হয় হতাম
রাতের রজনীগন্ধা।


কাজ
রাসু বড়ুয়া



দৈনন্দিন জীবন জীবিকায় বেঁচে থাকার এক মাধ্যম কাজ। কাজ ছাড়া মানুষের এক মুহূর্তও চলে না। বিনিময়ে কেউ পায় কাজের মূল্য, কেউ সম্মানী, কেউ বেতন, কেউ পারিশ্রমিক। আবার কেউ পায় বকশিস। যা দিয়ে জীবনটা মোটামুটি খেয়েপরে বেঁচে থাকার এক উপসর্গ। কিন্তু আমরা ক'জনা বা পাই কাজের সঠিক মূল্য বা মূল্যায়ন। অনেকের পাওয়াটা হয় অবিশ্বাস্য- আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। আবার অনেকের ত্রাহি অবস্থা- নুন আনতে পানতা ফুরোয়। যেখানে একপ্রকার শৃঙ্খলার অভাব পরিলক্ষিত হয়। সুশৃঙ্খলা আনয়নে তাই এই অবস্থার এক যুগোপযোগী পরিবর্তন হওয়া দরকার। 

খেয়েপরে শান্তিতে বেঁচে থাকা মানুষের মৌলিক অধিকার। কেউ খাবে কেউ খাবে না, তা হতে পারে না। তবে দেখি- সমাজে এটাই বিদ্যমান। বড়রা আরো বড় হতে চায়, ছোটরা থাকে সবসময় নিগৃহীত। আর মাঝখানে যাদের বসবাস তাদের তো কথাই নেই- না পারে উপরে উঠতে, না পারে নিচে নামতে। দেখবেন একই জিনিস কিনতে হয় ছোট-বড় সবাইকে একই পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে। কিন্তু জিনিসটি আনতে অনেকে যায়- আয়েশি করে আবার অনেকে পরিশ্রম করে। 

কাজের মধ্যেও দেখা যায়- অনেকে কঠোর পরিশ্রম করে পায় যৎসামান্য, আবার অনেকে হেলেদুলে কাড়িকাড়ি। এই অবস্থার একটা লাগাম টেনে ধরতে পারলে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ, হানাহানি, অন্যায়-অবিচার, হায়-হুতাশ ইত্যাদি অনেকাংশে লাঘব হত মনে হয়। এখন এই সময়ে বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে? একজন না হয় একজনকে এগিয়ে আসতে হবে। সব কাজ তো আর সবাইকে দিয়ে হয় না। অনেকে পারলেও গা-ছাড়া দিয়ে চাচা আপন প্রাণ বাঁচা অবস্থা। আবার অনেকে সাহস করে আসলেও অঙ্কুরে বিনষ্ট করার জন্য চলে বিভিন্ন পাঁয়তারা। শেষ অবধি যে দাঁড়িয়ে যেতে পারে সে-ই হয় ত্রাতা। স্বয়ং ইশ্বর, ভগবান, খোদা। 

কাজ কাজ-ই। ধরণ বুঝে বড় বা ছোট হতে পারে। আবার ভুলও হতে পারে। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে আগামীর পথে। সব কাজকে যদি আমরা সম্মানের চোখে দেখতে পারি তাহলে সম্মানীর ব্যবস্থাটাও সম্মানের হতে পারে। তখন সবার মুখে থাকবে অনাবিল হাসি। যে হাসিতে ভরে উঠবে সুন্দর পৃথিবীর সব সোনালী স্বপ্নগুলো। 

তাই সবার অন্তরে বেজে উঠুক সুন্দর কাজের প্রতিধ্বনি। চির জাগরিত থাকুক সুন্দর কাজ।


🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄

বাস্তবতা 
মোঃ সম্রাট শাহ্ 

বাস্তবতা খুব কঠিন 
যেখানে মিলে মিশে থাকার অভিনয়। 
বাস্তবতা সে স্বপ্ন গুলো কেড়ে নয়।

ভয়কে কাটিয়ে বেঁচে থাকার জয়।
সেখনে স্বপ্নটা হঠাৎই ভেঙ্গে যায়,

সকাল থেকে দূপুর কিংবা সন্ধ্যা 
গোধূলির যখন চিত্ত অালো জ্বলে
তখনই হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নগুলো কথা বলে।

মায়ের কোলে সদ্য জন্ম নেওয়া যে শিশুটি দোলে
কিছুদিন পর বাস্তবতা প্রতিবন্ধী বলে।

স্বপ্ন নিয়ে হাজার যুবক প্রেমের ফাঁদে ঝোলে
বাস্তবতা সেস্বপ্ন গুলো  পাগল বলে।

স্বপ্ন নই,,আবেগ নই, মিথ্যা কথা বলা নই।
মেনে নিতে হবে বাস্তবতায় যা হয়।





রাত
-শাহীন খান




রাত এলে চাঁদ জ্বলে, জ্বলে আরো তারারে

জোনাকির ওড়াউড়ি মন দিশেহারারে!
আকাশটা নদী বুকে দেখ কী যে দোল খায়
উড়ে উড়ে  নিশাচর গাছে গাছে বোল খায়।
ঘুমঘুম দেয় ঘুম নিঝ্ঝুম পরিবেশ
থেকে থেকে শেয়ালেরা ডেকে ওঠে শেষমেশ।
কুকুরের ঘেঁউঘেঁউ নীরবতা ভাংচুর
বটতলে বাঁশি বাজে আহা কি যে সুমধুর।
ধীরে ধীরে দাঁড়টানে বুড়ো মাঝি-মাল্লা
দূর গাঁয়ে মাইক বাজে মাহফিলে আল্লা।
মখমল জোছনাটা ঝরে ঝরে পড়ছে
মায়া মায়া ছায়া ছায়া যেন দূরে নড়ছে।
নভোযান ছুটে চলে ধোঁয়া ওঠে গগনে
ঝিঁঝিদের পালা গান এই মধু লগনে!
বাতাসটা বয়ে যায় ঝিরিঝিরি দখিনা
জানালাটা খোলা রাখে যদু  মধু সখিনা।
ডাল পড়ে পাতা ঝরে মাঝে সাঝে টুপটাপ
কবি লেখে  ছড়া, গান ঘরে বসে চুপচাপ।
মায়াবিনী রাত যেন লাগে আজ কুমকুম
স্বপনেরা চোখ জুড়ে স্নেহের দেয় চুম।






শাহীন খানবানারীপাড়াবরিশাল,বাংলাদেশ।

তার কাছে


দেবব্রত রায়



তার খোঁজে যে-যার মতোই বেরিয়ে পড়েছিলেন। কয়েকজন বায়ুযানে,কেউ কেউ মোটরসাইকেলে কেউবা, বাইসাইকেল নিয়েও!ওদের মধ্যে শুধুমাত্র,একজনই বেরিয়েছিলেন খোয়াইয়ের হাঁটাপথ ধরে। যারা খেচরযানে বেরিয়েছিলেন তারা দূরবীক্ষণযন্ত্রে চোখ লাগিয়ে মেঘ বায়ু তন্ন তন্ন করে পাহাড়ের চুড়ায় চুড়ায় খুঁজে বেড়ালেন , যারা মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিলেন তারা শহর গ্রামের সমস্ত
সড়ক, হাট-বাজার, কলেজ, হাসপাতাল চষে ফেললেন ! আর, সেই যে মানুষটি, পদব্রজে বেরিয়েছিলেন ,ঘাসমাটির পথ ধরে একটু এগোতেই,তিনি দেখতে পেলেন ঝাঁটিফুলের পাশেই  সে উজ্জ্বল হয়ে আছে একঝাঁক বুনো টিয়ার মতো  !
সবে তখন সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বলে উঠেছে অথচ, তার কাছে সময় অ-সময়, মঙ্গল অ-মঙ্গল, দিন রাত্রি,
ঘর এবং ঘাট সবকিছুই, শুভেচ্ছাবার্তার মতো
সমান উপভোগ্য!
                             ‌‌‌‌‌‌‌‌‍‍‍‍‍      
                           
****

Debabrata Roy
Hajrapara
P.O. Bishnupur
Dt Bankura
pin code 722122.   





🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄



বৃষ্টিভেজা একটি দিন
  

  কাঁকন খাঁড়া




সকাল থেকেই  weather টা কেমন একটা,মন কে উদাস করে দেওয়ার মতো। ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে....তবে স্নিগ্ধ, যেন নরম দুটো হাত দিয়ে ক্লান্ত শরীর টাকে জড়িয়ে ধরে বলছে.."অনেক তো হল,এবার একটু ছুটি দে"
সামনেই part-।। exam,খুব রাগ হয় ঐ বাঁশের factory র ওপর...আরে মানে Calcutta University আর কি হতে পারে। এরম আদুরে weather এ ভালো লাগে বল পড়াশোনা করতে?। জানিস.. সেই  যে তোর সাথে উত্তরের অলিগলিতে ভরদুপুরে কোলকাতা কে খুঁজে বেরিয়েছিলাম, খুব মনে পড়ছে সেই দিনটার কথা ঐ দুপুর টার কথা। ট্রামের মধ্যে আমার পাগলামি দেখে খুব হেসেছিলি....মনে আছে??  পড়ছিস হয়তো এখন খুব ব্যস্ত, সেটাই তো স্বাভাবিক কিছুদিন পরেই যে exam। তবে আমার না এখন আবার কোলকাতা য় হেঁটে বেড়াতে ইচ্ছে হচ্ছে। Race Course ধরে যে রাস্তাটা Red Road হয়ে Parkstreet বেরিয়েছে ঐ রাস্তাটা দিয়ে, গড়ের মাঠে একটু ছুটে বেড়াবো বা গাছের নিচে বেঞ্চে কিচুক্ষন বসব, তারপর সোজ্জা বাবুঘাট... না না.. মায়ের ঘাট। তখন তো ওখানে খুব ভিড় থাকে না তাই না? মাটির ভাড়ে গরম চা সাথে তেলেভাজা। যাবি আমার সাথে??
    আস্তে আস্তে বিকেলের আলো নিভে আসবে, দীর্ঘ ক্লান্ত একটি দিনের অবসান...আর তোর বলা সেই কথাগুলি আবার বলবি..." ভেজা হাওয়ায় ভিজে যায় শেষ বিকেলের শহুরে ব্যস্ততা,উড়ে যাওয়া বিকেলের ডাকে Red Road  এঁকে ফেলে আস্ত এক ধূসর পান্ডুলিপি"। আর তারপর শহর সাজবে ঝলমলে কৃত্তিম আলোয়।আমাদের পছন্দের  রাস্তায় জ্বলে উঠবে নিয়নের আলো,বৃষ্টিভেজা স্যাঁতস্যাঁতে হাওয়া জানান দেবে তার আদুরে উপস্থিতি। এইভাবেই শেষ হবে ব্যস্ততম দিনে আমাদের একসাথে কাটানো কিছু মুহুর্ত। শুধু ঘড়ি বিহীন  সময়টি সাক্ষী থাকবে সবকিছুর, দুজনের কিছু বলতে না পারা কথা,স্বীকার করতে না পারা কিছু অনুভূতি। হয়তো বা শেষ পথে মনের কোনে বেজে উঠবে গানের কিছু line...
          প্রেমে পড়া বারণ
       কারণে অকারণ
      ওই মায়া চোখে চোখ রাখলেও ফিরে       তাকানো বারণ




নাম- কাঁকন খাঁড়া
ঠিকানা- হাটপুকুর জি. আই. পি, রামরাজাত,   
 হাওড়া ।



🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄


রম্য ছড়া

মন্টু মিয়ার প্রেম
আব্দুর রাজ্জাক


পাশের বাড়ির মধুমতি
ভারি দুষ্টু মেয়ে,
মন্টু মিয়া তাইনা দেখে
থাকে চেয়ে চেয়ে!
সকাল সন্ধ্যা কাজের ফাঁকে
একটু সময় পেলে,
মন্টু মিয়া কাছে পেতে
থাকে দুহাত মেলে!
প্রতি হাটে বাজার থেকে
কিনে আলতা চুড়ি,
মাসের শেষে পড়িয়ে দেয়
নয়া মডেল ঘড়ি!
মধুমতি রেগে গেলে
কেঁদে ভাসে মন্টু,
তাদের এমন প্রেম দেখে
হেঁসে চলে ঝন্টু!



আব্দুর রাজ্জাকধামইরহাট,নওগাঁ,রাজশাহী


Wednesday, November 13, 2019

Rape of the Locke এর বাংলা অনুবাদ । রেপ অফ দ্য লক এর বাংলা অনুবাদ সহ বাংলা সামারি । the Rape of the Lock কবিতা বঙ্গানুবাদ এবং summary ।


💎💎💎💎💎💎💎💎💎💎💎💎💎💎💎



The Rape of the Lock আলেকজান্ডার পোপের রচিত একটি মক-বৌদ্ধিক গল্পের কবিতা। [1] উচ্চ বোরলেস্কের সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য উদাহরণগুলির মধ্যে একটি, এটি প্রথমে দুটি ক্যান্টোয় (৩৩৪ লাইন) লিন্টোটের বিবিধ কবিতা ও অনুবাদগুলিতে (মে 1712) বেনামে প্রকাশিত হয়েছিল; ১ Mr.১৪ সালের মার্চ মাসে একটি পাঁচ-ক্যান্টো সংস্করণ (79৯৪ লাইন) ছয়টি খোদাই সহ একটি সংশোধিত সংস্করণ "মিঃ পোপ দ্বারা রচিত" প্রকাশিত হয়েছিল। পোপ গর্বিত করেছিলেন যে এটি তার প্রথম চার দিনে তিন হাজারেরও বেশি অনুলিপি বিক্রি করেছে [[2] কবিতাটির চূড়ান্ত রূপটি 1717 সালে ভাল কৌতুকের উপরে ক্লারিশার বক্তব্য সংযোজন করে হাজির হয়েছিল। কবিতাটি অনেকটা অনুবাদ এবং ইউরোপে মক-বীরের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তায় অবদান ছিল।


বাংলা summary:

এই মক-মহাকাব্যের শুরুতে, পোপ ঘোষণা করেছিলেন যে একটি "মারাত্মক অপরাধ" (ক্যান্টো 1 লাইন 1) সংঘটিত হয়েছে। একজন প্রভু "মৃদু বেল" (লাইন 8) কে আঘাত করেছেন, যার ফলে তিনি তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারপরে তিনি এই অপরাধের গল্পটি বলতে এগিয়ে যান।


বেলিন্ডা যখন এখনও ঘুমোচ্ছেন, তার অভিভাবক সিল্ফ এরিয়েল তাকে "কিছু ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটাচ্ছে" বলে আগেই সতর্ক করেছিল। তার পরে বেলিন্ডা তার দাসী বেটির সহায়তায় জেগে ওঠে এবং দিনের জন্য প্রস্তুত হয়। সিলফগুলি, যদিও অদেখা, তারাও অবদান রাখে: "এগুলি মাথাটি স্থির করে এবং চুলগুলি ভাগ করে দেয় কেউ কেউ হাতা ভাঁজ করে, অন্যরা গাউনটি প্লেট করে" (146–147)। এখানে পোপ বেলিন্ডার চুলের দুটি লক বর্ণনা করেছেন "যা সুন্দরভাবে পিছনে ঝুলিয়ে রেখেছিল"। বেলিন্ডার অন্যতম অনুগ্রহকারী ব্যারন এই তালাগুলির খুব প্রশংসা করে এবং একটি চুরির ষড়যন্ত্র করে। একটি বেদী তৈরি করে, তিনি এটিতে "তাঁর প্রাক্তন প্রেমীদের সমস্ত ট্রফি" (লাইন 40) স্থাপন করেন এবং দৃ them়তার সাথে "শীঘ্রই লকটি পাওয়ার জন্য এবং দীর্ঘায়িত" (লাইন 44) প্রার্থনা করেন।


আসল ঘটনাটি দেখে অস্থির হয়ে ওঠেন, যদিও এটি কী হবে তা না জেনে তিনি অনেক সল্ফকে তাঁর কাছে ডেকে পাঠান এবং বেলিন্ডাকে যে কোনও সমস্যা হতে পারে তা থেকে রক্ষা করার নির্দেশ দেন, যদিও সে "তার প্রার্থনা ভুলে যায়, বা কোনও মুখোশকে মিস করে, বা তার হৃদয় হারাতে পারে, বা নেকলেস, একটি বল "(লাইন 108-1010)। তাই সুরক্ষিত, বেলিন্ডা হ্যাম্পটন কোর্টে পৌঁছে এবং ওম্ব্রে একটি খেলা খেলতে আমন্ত্রিত।


ষড়যন্ত্রকারী ব্যারন একজোড়া কাঁচি অর্জন করেছিলেন এবং তার একটি তালা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তবে নজরদারি করা সিলেফরা তাকে বাধা দেয়। এটি তিনবার ঘটেছিল, তবে শেষ পর্যন্ত ব্যারন সফল হয় (দুটিতে একটি সিল্ফ কাটাও যদিও পোপ আমাদের আশ্বাস দেয়, প্যারাডাইস লস্টে একটি প্যাসেজকে ব্যঙ্গ করে বলে, "শীতল পদার্থ শীঘ্রই আবার মিলিত হয়" [লাইন 152])। বেলিন্ডা যখন আবিষ্কার করে তার লকটি গেছে, তখন সে তন্ত্রের মধ্যে পড়ে যায়, যখন ব্যারন তার বিজয় উদযাপন করে।


অম্ব্রিয়েল নামের এক জিনোম এখন স্প্লিনের গুহায় যাত্রা করছেন এবং রানীর কাছ থেকে "দীর্ঘশ্বাস, স্নেহ, এবং আবেগ এবং জিহ্বার যুদ্ধ" (ক্যান্টো 4 লাইন 84) এবং একটি শিশি ভরা "হতাশ ভয়, নরম দুঃখে ভরা , গলে গলা বেদনা, এবং প্রবাহিত অশ্রু "(85-86 লাইন) এবং এগুলি বেলিন্ডায় নিয়ে আসে। মহিলা থ্যালাস্ট্রিসের মহিলার হাত থেকে তাকে বিচলিত অবস্থায় আবিষ্কার করে আম্ব্রিয়েল তাদের উভয়কেই pেলে দিয়েছেন।


অনেক লোক, বেলিন্ডার দুঃখে উদ্রেক হয়ে, তালাবন্ধি ফিরে পাওয়ার দাবি করে, তবে ব্যারন অনুশোচনা করে না এবং অস্বীকার করে। ক্লারিশা তাদের তাদের রসবোধকে সুরক্ষিত রাখতে উপদেশ দিয়েছিলেন, তবে তারা কান দেবে না এবং পরিবর্তে একটি যুদ্ধকে ঝলক, গান এবং বুদ্ধি হিসাবে অস্ত্র হিসাবে দেখা দেয়। বেলিন্ডা ব্যারনের সাথে লড়াই করে এবং তাকে বশ করার জন্য তার নাকটি নফ করে দেয়। তিনি যখন দাবি করেন যে তিনি লকটি পুনরুদ্ধার করেন, তবে এটি কোথাও পাওয়া যায় না। এটি একটি নক্ষত্রমণ্ডলে পরিণত হয়েছে এবং প্রতিযোগীদের ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে।


Canto summary:

Canto 1

দেরী ঘুমিয়ে পরে দিনের সামাজিক ক্রিয়াকলাপের জন্য প্রস্তুত বেলিন্ডা। তার অভিভাবক সিলেফ, অরিয়েল, তাকে স্বপ্নে সতর্ক করেছিলেন যে, কিছু বিপর্যয় তার উপর পড়বে এবং তাকে তার যথাযথ দক্ষতা রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেবে। বেলিন্ডা এই অলৌকিক ঘটনাটি সামান্য নোটিশ গ্রহণ করে তবে। ড্রেসিং এবং প্রাইপিংয়ের একটি বিস্তৃত অনুষ্ঠান পরে, তিনি লন্ডনের বাইরে একটি প্রাচীন রাজকীয় বাসস্থান, হ্যাম্পটন কোর্ট প্রাসাদে থেমস নদীতে ভ্রমণ করেন, যেখানে ধনী তরুণ সমাজের একটি দল একটি দলের জন্য জড়ো হয়। তাদের মধ্যে ব্যারিনের চুলের চুরি চুরি করার জন্য ইতোমধ্যেই ব্যারন রয়েছে। তিনি এন্টারপ্রাইজ সাফল্যের উন্নয়নের জন্য নামাজের এবং উত্সর্গমূলক সেট সঞ্চালন এবং সম্প্রসারিত করার জন্য দ্রুত উত্থাপিত হয়েছে। পার্টি পার্টি প্রাসাদে পৌঁছে গেলে, তারা কার্ডের একটি উত্তেজনাপূর্ণ খেলা উপভোগ করে, যা পোপ একটি যুদ্ধ হিসাবে মক-বীরত্বপূর্ণ পদ বর্ণনা করে। এই কফি একটি বৃত্তাকার অনুসরণ করা হয়। তারপর ব্যারিন এক জোড়া জোড়া কাঁচি এবং পরিচালনা করেন, তৃতীয় চেষ্টাটি, বেলিন্ডার চুলের লোভী লক কাটাতে। বেলিন্ডা ক্রুদ্ধ। উম্রিযেল, একটি দুষ্টু গনোম, স্পিলেনের গুহা পর্যন্ত হেসে ওঠে এবং শিয়ালের ফোস্কা এবং অশ্রুের ফোঁটা সংগ্রহের জন্য যা তিনি নায়িকারকে তার ভক্তের আগুনের ভক্তের জন্য উপহার দেন। ক্লারিসা, যিনি তার অপরাধে ব্যারনকে সাহায্য করেছিলেন, এখন বেলিন্ডাকে ভালো হাস্যরস এবং ভাল অর্থে, নৈতিক গুণাবলীর পক্ষে তার রাগ ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যা তার ভয়ানকতাকে অতিক্রম করবে। কিন্তু ক্লারিসার নৈতিকতা বধির কানগুলিতে পড়ে, এবং বেলিন্ডা মহিলা ও ভদ্রলোকদের মধ্যে এক ঝগড়া শুরু করে, যার মধ্যে সে কাঁটাচামচ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করে। এই ঠাট্টা যুদ্ধের বিভ্রান্তির মধ্যে লক হারিয়ে গেছে, তবে; কবি বেলিন্দাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে এটি আকাশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং একটি নক্ষত্র হিসাবে অমর করা হয়েছে।



Canto 2


 বেলিন্ডা তার সূর্যকে সূর্যের প্রতিদ্বন্দ্বী করে, হেমটন কোর্টের প্রাসাদের জন্য থেমস নদীতে নৌকায় উঠেছিল। তিনি একটি glitzy মহিলা ("Nymphs") এবং Gentlemen একটি দল দ্বারা সংসর্গী হয়, কিন্তু দলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় সদস্য দূরে এবং দূরে। পোপের তার চরিত্রের বর্ণনাটিতে তার "সাদা স্তন", "দ্রুত" চোখ এবং "প্রাণবন্ত চেহারা", "স্পার্কলিং ক্রস সেটি পরতেন" এবং তার সমস্ত অনুভূতির অতিথির মধ্যে সমানভাবে তার হাসি এবং মনোযোগ প্রদান করে সহজ রহমত অন্তর্ভুক্ত করে। তার মুজাহিদীন গৌরবগুলি তার দুইটি রিংলেট যা তার "আইভরি গলায়" ঝুঁকে পড়ে। এই কার্লগুলিকে প্রেমের ল্যাবরেটরি হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে, বিশেষ করে এমন কোনও দুর্বল হৃদয়কে ফাঁদে ফেলার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যা তাদের মধ্যে বিভ্রান্ত হতে পারে।

বোটের তরুণ ভদ্রলোকদের মধ্যে একজন, ব্যারন বিশেষ করে বেলিন্ডার তালের প্রশংসা করেন এবং নিজের জন্য চুরি করার সিদ্ধান্ত নিলেন। আমরা পড়ি যে তিনি প্রারম্ভিক সকালে এই প্রজাপতিতে ভালোবাসার জন্য প্রার্থনা ও প্রার্থনা করার জন্য বেদী নির্মাণ করেছিলেন। তিনি গার্লস, গ্লাভস এবং বিলেট-ডউক্স (প্রেমের অক্ষর) সহ তার প্রাক্তন প্রেমে কয়েকটি টোকেন উৎসর্গ করেছিলেন। তারপর তিনি "তার প্রাক্তন প্রেমের সমস্ত ট্রফি" দিয়ে নির্মিত একটি পায়ারের সামনে নিজেকে সিজদা করেছিলেন, যা তার "অগ্নিসদৃশ শ্বাসের" সঙ্গে তার অগ্নিকাণ্ডকে ফাঁস করে দিয়েছিল। দেবতারা তাঁর প্রার্থনা শুনলেন কিন্তু এর অর্ধেক অর্পণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

সুখ নৌকাটি চলতে থাকে, এরিয়েল ব্যতীত সবাই উদাসীন, যারা মনে করে যে কিছু খারাপ ঘটনা দিনের জন্য ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। তিনি sylphs একটি সেনাবাহিনী, যারা তাদের চারপাশে সৌন্দর্য তাদের চারপাশে জড়ো করা আহ্বান। তিনি তাদেরকে মহান অনুষ্ঠানের সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দেন যে, তাদের কর্তব্যগুলির মধ্যে একটি, মহাকাশচারী সংস্থা এবং আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণের পর এবং ব্রিটিশ রাজপুত্রকে রক্ষার পর "মেলা ঝোঁক": মহিলাদের পাউডার, পারফিউম, কার্ল এবং পোশাক, এবং "তাদের blushes সাহায্য, এবং তাদের বায়ু অনুপ্রাণিত।" অতএব, "কিছু ভয়ানক বিপর্যয়" বেলিন্ডা হুমকি যেহেতু, Ariel তার দেহরক্ষীদের একটি ব্যাপক বাহিনী বরাদ্দ। ব্রিল্যান্ট তার কানের দুল, Momentilla তার ঘড়ি, এবং Crispissa তার লক পাহারা করা হয়। অ্যারেল নিজেকে শক, ল্যাপডগ রক্ষা করবে। পঞ্চাশ সিলেফের একটি ব্যান্ড সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পেটিকোটকে রক্ষা করবে। এরিয়েল ঘোষণা করেছেন যে যে কোন সিএলএফ তার দায়িত্ব পালনকে উপেক্ষা করে কঠোরভাবে শাস্তি পাবে। তারা তাদের পোস্টে ছড়িয়ে পড়ে এবং ভাগ্য প্রকাশ করতে অপেক্ষা করে।



মূল কবিতার অনুবাদ:


(RAPE OF THE LOCK অবলম্বনে বাংলা মহাকাব্য - কেশ বলৎকার

মূল রচনাঃ আলেকজান্ডার পোপ , অনুবাদঃ অচিন্ত্য কুমার হালদার

যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত স্যাটায়ার রচয়িতা এবং জ্ঞাণী পাদ্রী কবি আলেকজান্ডার পোপ রচিত মক ইপিক "রেপ অব দ্য লক " বই খানির বাংলা অনুবাদ " কেশ বলৎকার " বই খানি । ইংরেজী ভাষা উত্তম রুপে না জানায় বাঙালী পাঠক এবং ইংরেজী সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ মহাকাব্য খানির প্রকৃত রস নিতে পারেন না । তবে বাংলা অনুবাদ পড়ে যদি সবাই কিছুটা হলেও প্রকৃত রস আস্বাদন করতে পারেন , যদি মূল গ্রন্থ পাঠ কালে এই অনুবাদ হতে পাঠক বৃন্দ কোনও আনন্দ পান তাতেই কবির এবং অনুবাদকের স্বার্থকতা ।)




Canto-1

প্রথম স্কন্ধ / আদি পর্ব

নগন্য সে কারণ হতে ঘটে বিষম দুর্ঘটনা ,

তুচ্ছ বস্তু লয়ে ঘটে তীব্র দ্বন্দ , উন্মাদনা ।

গীত দেবের কৃপায় গাঁথা ছন্দে বলি ব্যারণ প্রতি ,

ইচ্ছে হলে কাব্য শুনুক বেলিন্ডা ওই কোমল মতি ।

বিষয়বস্তু তুচ্ছ , তবু হতেও পারে মুল্যবান ,

শ্রীমতি সম্মতি দিলে , শ্রীমান দিলে শ্রবন দান । ৬

শোনাও মোরে হে মোর দেবী, কোন বাসনার হইয়া দাস

শ্রীমান বৃন্দ শ্রীমতি দের মান সম্ভ্রম করেন নাশ !

নাই ত জানা কোন কারনে , পাইনা কোনও ব্যাখ্যা গীতি ,

ভদ্রে গনের হৃদয় ভরে ভদ্র দিগে' উপেক্ষিতি !

এমন কঠিন অভিযানে ক'জন বা আর বাহির হয় !

অমন কোমল বক্ষে এত রোষ বা কোথায় জমাট রয় ! ১২

ঊষার প্রথম উঁকি শুভ্র বসন ঢাকা বাতায়নে

লজ্জা পেল উজ্জলতর দুইটি নয়ন উন্মীলনে ।

এমন ক্ষণেই পোষ্য কুকুর আলসে' চাল ' এ শরীর নাড়ে

প্রেমিক জন এই বারোটাতেই নিদ্রাহারা সয্যা ছাড়ে ।

কলিং বেল এ তিনটা ছোঁয়া , চঁটির পরশ পায় ধরণী,

রজত সময়যন্ত্র হতে সমান বাজে প্রতিধ্বনি । ১৮

এলিয়ে দেহ বেলিন্ডা তার পালক-ঝালর উপাধানে

অভিভাবক সিলফ প্রদত্ত্ব বিবর্ধিত সুখ-শয়ানে । ২০

এই সিলফ-ই আনিয়াছে তাহার নীরব বিছানাতে

প্রভাত স্বপ্ন , - যা বিস্তৃত পুর্ণ চিন্তা - চেতনাতে ।

"যৌবন এক ", জন্মদিনের সাজের চেয়ে উজল-সাজে !

সপ্ন শুধু , হায় রে ! তবু কপোল রাঙা বিষম লাজে । ২৪

জয় রত সেই ওষ্ঠযুগল বেলিনডার দু' কর্ণমূলে

অস্ফুটে কি বলছিল , বা ভাব যেন এই বলে-বলে !

মরণশীলের রুপ-শ্রেষ্ঠা , মোদের বিশেষ ত্রাশের তারা ,

সহস্র এই জ্যোতিঃ-পুরুষ বাতাশে বাস করছি যারা ,

কোমল তোমার হৃদয়েতে কাটলে আঁচড় একটি পাঠ

পাদ্রীনি আর সেবিকা-কুল এ' তক শিখায় যেসব ঠাঁট , ৩০

চাঁদের আলোয় ছায়ায় গড়া যত্ত পরীর গপ্প-গাঁথা ,

রুপোর টাকার কেচ্ছা , সবুজ মাঠে পরীর জলশা-তাঁথা !

অথবা যে সুন্দরীদের আশীষ দিল দেব-দুতেরা

স্বর্ণ-মুকুট , স্বর্গ-কুসুম পারিজাতের মাল্য দ্বারা !

শোনো এবং মানো, জানো নিজের সঠিক দাম এবার

মন দিওনা হীনের মত ধরার দ্রব্যে কদাচ আর ! ৩৬

কিছু গোপন সত্য শোনও , গর্ব লুকায় জ্ঞানীর থেকে ;

অনুড়াদের থাকেই যে তা , আর নাবালক শিশুর বুকে ;

কৃতিত্ত্বহীন সন্দীহান ওই বুদ্ধি হতে কি আর মেলে !

সুন্দরী ও নিষ্পাপীরা তা ই বিশ্বাস করবে হেেল !

এবার জেনো , তোমায় ঘিরে অসংখ্য সব আত্মা উঁড়ি

নীচ আকাশের তারার আলোক সাজের শুধু তারা ই জুড়ি । ৪২

যদিও না দেখছ , তবু , সদা ই ডানায় দিয়ে ভর

ঝুলে আছে বাক্সর উপর , ঘুরছে তারা রিং এর পর ।

বোঝও তোমার বায়ুতে কি জাকঁ - জমকের বিষম জোর ,

দুই বাহক আর পালকিটা তে সদাই দেবে ঘৃণার নজর !

এখন তুমি যেথায় সেথায় আমরা ছিলাম আগের দিনে ,

এবং ছিলাম সংযোজিত যুবতীর ওই রুপ আর গুনে ; ৪৮

অতঃপর এক কোমল ছোয়ায় বদল হয়ে নতুন বেশ- এ

মৃন্ময় ওই থানের থেকে পৌছে গেছি নতুন দেশে !

ভেবনা যে মহিলাদের অস্থায়ী শ্বাস বন্ধ হলে

সমস্ত তার দম্ভ সম্ভ্রম পুরাপুরী ই যায় অতলে ।

সফল দম্ভর অংশ বিশেষ অবস্য সে পেয়ে থাকে ,

যদিও আর খেলেনা তাস , তাসখেলা সে ঠিকই দেখে ! ৫৬

জীবদ্দশায় সজ্জিত ওই ঘোড়ার গাড়ীর মহা সুখ

অধিকন্তু ওম্বার প্রেম মরণ পারেও জুড়ায় বুক ।

সুন্দরীগন মরেন যদি সকল দম্ভ সঙ্গে লয়ে

তাঁদের বিশেষ উপাদানে যায় তখন ই বিলীন হয়ে !

যাহার মাঝে অগ্নি প্রবল অাগুনেতে- ই সে মিলায় ।

পুনরায় উত্থানের পরে "সেলামেন্ডার" নামটি পায় ! ৬০

হৃদয় যাদের জলের মত তারাই ভাসে নীর এর ধার' এ ,

" নি মফ " হইয়া তা দে র সা থে - ই চা য়ে র কা পে চুমুক মা রে !

গম্ভীর বা গোমড়া সবাই ডুবে গিয়ে অতল তলায়

ব্যাজারত্ব খুজতে ভুমে " নুম " নামেতেই বেরোয় , পালায় !

হালকা দলের ছিনালীরা " সিলফ " নামের রুপান্তরে

হাসে , খেলে , ঘোরে , ফেরে , ভাসে মোদের বায়ূস্তরে ! ৬৬

স্মরণ রেখো , " যদি কোনও সাদ্ধী এবং সুন্দরী

সুন্দরদের বিমুখ করে , আমরা তাকে আপন করি !"

কারণ সে , সেই মরণশীলের নিয়ম মুক্ত আত্মারা যে

সেচ্ছা দেহ ধরতে পারে পুরুষ কিম্বা নারীর সােজ !

যে শুভ শক্তি রক্ষা করে গলনরতার সতীত্ত্বকে

রাজকীয় কিম্বা মুখোশ নাচের সভায় মধ্যরাতে ৭২

সুযোগ গ্রাহী বন্ধু হতে , উদগ্র কাম-ঝলক-ছটায় ,

চমক দাতা দিবাদৃশ্যে , অমানিশার কুমন্ত্রনায়

যখন দয়াল উপলক্ষ আনে কামনার ওই বান

বাদ্য , গীত এ তন্দ্রা জাগে , নৃত্যে দাবানল - জ্বালান !

জ্ঞানী দেবতারাই জানেন সিলফ এর- ই সে সকল দায়

যদিওবা মর্তলোকের ব্যািক্ত -রা তার ইনাম পায় ! ৭৮

গোটাকয়েক নিমফ রয়েছে সচেতন স্ব-বদন নিয়া ,

কারণ- ছিল নুমের বাধ্য জীবদ্দশায় তাদের হিয়া ।

এটাই কেবল বাড়ায় তাদের গর্ব , আশার বহর - অতি

যে ক্ষণে প্রস্তাব ঘৃণা পায় , প্রেমে মিলে অস্বীকৃতি ।

মুক্ত মগজটা তে অনেক ভাবনা এসে জোটে তখন

সমতুল্য ব্যাক্তি বর্গ , বাহক সহ ডিউক যখন ৮৪

বর্ম সহ কিরীটি আর তারার রুপান্তরের তানে

" মহা - মা ন্যা " মধুর ধনি বা জে তা হা র উভয় কা ন এ ।

এই যে অপশক্তি নারীর হৃদয় গ্রাসে সবার আগে

ছিনালী দের নেত্র-গতি তাদের ই ইংগিতে জাগে ।

শিখায় কঁচি গালে লাজের লালের ছোঁওয়ার আকর্ষণ

যুবক কুলের প্রতি কাঁচা মোক্ষমতায় হানতে মন । ৯০

প্রায়ই যিখন বিশ্ব ভাবে নারীর নৈতিকতার শেষ

দুবোর্ধ্য সে কুটিলতায় সিলফরা তাদের ভোলায় রেশ ।

তখন তারা চঞ্চল সেই বৃত্তে ঘোরে লক্ষ্য দিয়ে

পুরোনো যায় , আসর জমে পোক্ত সুখে নতুন নিয়ে !

যতই কঁচি হোকনা ছুঁড়ী , হতেই হবে শিকার তাকে

এক পুরুষের বিরাগভাজন , সঙ্গী আর এর নাচের ডাকে ! ৯৬

ফ্লারিওর ওই ভাষণ থেকে কুমারীরা কি বুঝত বা !

ভদ্রে ডেমোন যদিবা তার কর মর্দন করত , - বাবা !

রঙ বে-রঙ এর দম্ভ নিয়ে তাদের সকল অঙ্গ হতে

হৃদয় ভরা ছলাকলার গামাল চালায় নানান মতে !

পরচুলাতে - পরচুলাতে , অসির সাথে অসির পাতে দ্বন্দ্ব সেথায় চলে -

বকস্ হটায় বকস্ সরোষে , কো'চের সুনাম কো'চের চাকায় দলে ! ১০২

আত্মভোলা মরণশীলের এসব কাজেই ভ্রান্তি ঘটে ,

শোন -লো সত্য - উদাসীনি , মোরাই তাদের ঠেঁকাই বটে !

তাদের মধ্যে আমিই সে , যে তোর রক্ষার দাবী করি ,

অতন্দ্র প্রহরায় আছি , এয়্যারিয়েল নামটি ধরি ।

পরন্তু যেই গেলাম আমি বায়ূর রাজ্যে স্ফটিক বনে

তোমার রাশির তারার বুকে দেখে এলাম বিষাদ - মনে ১০৮

দুর্ঘটনার ইংগিত এক , সতর্কতার পূর্ব আভাস

আজ-এর সূর্য ডোবার আগে ঘটবে অজানা সর্বনাশ !

কিন্তু স্বর্গ বলেনা - ত কি , কোনখনে , কখন হবে ,

সিলফ বলে , " সাবধান , মাথা খাও , পবিত্রা - গো , হুসেই রবে । "

বলতে গেলে এ সত্য সব তোমার সকল প্রভুই জানে ,

বিশেষ, পুরুষ হতে সামাল , - বোঝ-ই - ত এ কথার মানে ! ১১৪

ভাষণ শেষে , শক এর ভাবন , - ' কর্তৃ র এ নিদ গভীর ঘুম ' ।

পট গুটাল , নিদ টুটাল লাগিয়ে ভেজা জিভের চুম ।

সেই ক্ষণে-ত বেলিন্ডা গো , তথ্য হলে সত্য - ধর ,

নয়ন তোমার মেলেছিেল একখানা প্রেম -পত্রের উপর ।

চমক , বেদন , আলিঙ্গন আর ইংগিত পাঠ -নিমেষ শেষ ,

পলক যেতেই হৃদয় থেকে সকল কিছুই নিরুদ্দেশ । ১২০

এবার হল সজ্জা-খানার বন্ধ দুয়ার উন্মোচিত

যাহার মাঝে ঐশী সাজে রজত পাত্র শ্রেণীকৃত ।

সর্ব প্রথম শ্বেতান্বিতা নিমফ - বাসনা-যাঞ্চনা পূজা

অনাবৃতা মস্তকে ওই প্রসাধনী শক্তি সোজা ।

উঠল ভেসে আরসি মাঝে স্বর্গীয় এক দেবীর ছায়া

তারেই করে অভিবাদন দাসীই দেখে তাহার কায়া । ১২৬

অপরিনত পাদ্রীনি সেই পূজার বেদীর পার্শ্বে গিয়ে

প্রকম্পিত হস্ত বাড়ায় গর্ব-দেবীর অর্ঘ নিয়ে

তক্ষুনি নৈবেদ্য সকল উদঘাটিত হল সেথায়

সমস্ত বিশ্বের উপহার , যেসব দ্রব্য ছিল যেথায় ।

সঔৎসুক্য সর্ব দানের মাত্রা মত রুপ তুলিয়া

ধ্বংশী রুপে তার দেবীরে সাজাইল উজ্জ্বলিয়া । ১৩২

গহনার এই বাক্স হতে ভারতীয় রত্ন জ্বলে

সারা আরব শ্বাস ফেলিল পাত্রাচ্ছাদন আলগা হলে ।

কচ্ছপ , গজ ভুলে গিয়ে চিরাচরিত দ্বন্দ্ব প্রবল

চিরুণী তে একত্রিত , সাদায় কালোয় নকশা সরল !

ঐ যে হোথায় চুলের কাটা , ঝিকমিকিয়ে দাঁতের পাটি

পাফ , পাউডার , বাইবেল আর প্রেম-পত্রর মিলন খাঁটি ! ১৩৮

ভয়ঙ্করী সে সুন্দরী এবার সকল অস্ত্র ধরে

ঝলক চ্ছটা রুপ হতে তার পূনঃ পূনঃ ছলকে পড়ে ।

শানিয়ে নিয়ে মুচকি হাসি , জাগিয়ে সকল ইন্দ্রিয় যে

প্রকাশ করে বিশ্বশ্রেষ্ঠ মুখের সকল ভঙ্গিমা কে ।

ধীর - স্থিরার শুদ্ধ আভার ক্রমান্বয়ে প্রেকাশ ঘটে

তীক্ষ্মতর কটাক্ষ তার নয়ন তারায় জ্বলল বটে ! ১৪৪

ব্যাস্ত সকল সিলফ এবারে ঘিরল তাদের চারি ধারে

এ দল গেল মাথায় যদি , ও দল বেণীর প্রান্ত পারে !

আস্তিন কেউ গোটায় বসে , ভাংছে ক'জন আলোয়ান , -

পরিশ্রম পরের , তবু চলছে বেটীর গুনগান ।

দ্বিতীয় পর্ব /স্কন্ধ

ইথারে তৈরী সমতলে অল্প রূপ-প্রভা লয়ে

ঊষার প্রথম প্রকাশ যখন আরক্ত ওই চুঁড়া হয়ে

রূপের প্রতিদ্বন্দ্বী তাহার তখন চলে দর্প ভরে

রজত-শুভ্র টেমস বারিধির বক্ষ চিরে লঞ্চ এ করে ।

সুদর্শনা নিমফ ও সুবেশ যুবক দলে বেষ্টিতা সে

কিন্তু সবার লোলুপ নয়ন-লেহন পড়ে তার উপরে । ৬

শুভ্র বুকে স্তনের ফাকে মালায় দোদুল যীশুর ক্রুশ

পেলেই জিউস চুমা দিত , - অখ্রীষ্টানের রয় কি হুশ !

জীবন্ত তার কটাক্ষ ঘায় প্রেম - বিহীণ ও প্রেম কাঁতর

যেমন তাহার আলোর দ্যুতি , তেমন তাহার স্থানান্তর ।

পায়না কেহ কম বা বেশী , সবাইকে দেয় সমান হাসি

সর্বদা সে সরায় দুরে , দেয়না তবু আঘাত বেশী । ১২

সূর্য-তেজে ঝলশে নয়ন , তাকালে কেউ তাহার পানে ।

তাই ত তাহার রূপের প্রভা সবার উপর কিরণ দানে !

শুভেচ্ছা - প্রবণ সে তবু , গর্ব বিহীণ মিষ্টি স্বভাব

লুকায় অপরাধ , যদিবা কুমারীদের থাকে অ - ভাব ।

যদিবা তার ভাগে নারী সুলভ ত্রুটীর অংশ পড়ে

ভুলবে সবাই , যদিবা তার বদনেতে নজর পড়ে । ১৮

সত্য বলি এই সিলফ ই মানব জাতির ধ্বংশ মূলে

দুইটা বেনী করত লালন , থাকত মাথায় , পিছন-ঝুলে ।

সমান খাজের সমোঝতায় , সুঠাম - সফল সজ্জা দ্বারা

স্বর্ণ - বরন স্কন্ধ পরে দ্যুতির প্রভায় আত্মহারা ।

এই সে গোলক ধাঁধায় পড়ে সাজত সবাই ক্রীতদাশ ।

যেমন কঠিন হৃদয় টাকে বন্দী করে তুলার আঁশ ! ২৪

চুলের মতন ফাঁদের ফাঁস এ আমাই বাঁধাই (ধরি ) পক্ষীকুল

চুলের ফাঁস এ বন্দী পাখীর বিশ্ময় তার ভাঙ্গে ভুল ।

রূপের টানে বিশ্ব জয়ের অদম্য সাধ হয় যে বাসি

রূপ যে টানে গলায় দিয়ে একগাছা ক্ষীণ চুলের ফাঁসি !

দুঃসাহসী অভিযাত্রী ব্যারণ বেনীর সুকীর্তনে

তাকায় লোলুপ দৃষ্টি নিয়ে , পাবার উপায় আউড়ে মনে । ৩০

অটল হল বাঞ্ছা , শুধু পদ্ধতিটা কেমন হবে ,

শক্তি দিয়ে বিজয় ? না কি ছলা - কলায় দখল নেবে ?

কেন না ওই প্রেমিক সূজন সফল হলে প্রচেষ্টাতে

সুধোয়না কেউ ছল না বল এ ? ইনাম যোগায় প্রান্তটাতে !

তাইত দিবাকরের জাগার আগেই দিল ভক্তি -পূজা

সিদ্ধিদাতা স্বর্গকে আর দেবতাদের তুষ্টে , সোজা ! ৩৬

বিশেষ প্রেমের দেবতারে , - পূজার বেদীর সজ্জা নিয়ে -

ফ্রান্সীয় প্রেম -গাঁথার বাধাইকৃত দ্বাদশ পুথি দিয়ে !

তিন গার্টার সেথায় রেখে দস্তানার এক পাঃটির সােথ ; -

অতীত দিনের প্রেমিকাদের স্মৃতির সোহাগ জড়িয়ে যাতে !

; কমনী য় প্রেম - পত্রের বো ঝা য় জ্বেলে হো মে র অনল

প্রচন্ড তিন দীর্ঘশ্বাসের ঘৃতাঞ্জলি যোগায় , বিরল ! ৪২

হাটুর উপর ভর কলেবর , বর মেঙ্গেছে ব্যাগ্র চোখে

শীঘ্র যেন লাভ করে ধন , - জনম ভরা দেখবে লোকে !

দেবতাগন শুনিয়া পন অর্ধে কে দেয় অনুমতি

আধেক তাহার হারিয়ে বাহার বাতাস-শ্রোতে হারায় গতি ।

কিন্তু এখন নিরুদ্বেগী রঙ্গীন আধার পানে তাকাও ,

উষার আলোর নাচন ঢেউয়ে , - নয়নে তা একটু মাখাও । ৪৮

তরলায়ন - চলনরত বাদ্য গীতি আকাশ টানে ,

বিলীনরতঃ সকল ধ্বনির রেশ মিষে যায় ঢেউএর গানে ।

সুন্দর ওই তরঙ্গ - মালায় মন্দ বাতাস সোহাগ জানায় ,

জগৎ হাসে , - হাসি দেখে বেলিন্ডার ওই ঠোঁটের কোনায় ।

সিলফ ব্যাতিত অন্য সবাই উদ্বেগ , দুশ্চিন্তা ছাড়া

আসন্ন সেই বিপদ-আভাস হৃদয়ে তার দিচ্ছে নাড়া । ৫৪

সরাসরি বৈঠকে সে ডাকল যত বাতাসীদের ।

স্বচ্ছ তাদের যানের বহর বৃত্তে গেল কেন্দ্র পাল এর ।

অস্ফুট সে উচ্চারণে , এয়ারিয়েল , ছাতের আড়ে

ভাষন দিল , নীচেয় বসা সবাই ভাবে বাতাস বাড়ে ।

কোমল রোদে পতঙ্গ -প্রায় মেলল বা কেউ স্বচ্ছ পাখা ,

মলয় দোলায় দুলল কিছু সুবর্ণ-মেঘ-আড়াল ঢাকা ! ৬০

স্ফটিক - স্বচ্ছ গড়ণ তাহার , দৃষ্টির অতীত মরণশীলের

অর্ধ তাদের স্বচ্ছ শরীর দীপ্তি বাড়ায় আলোক-নীলের ।

মলয় ছোওয়ায় উড়ল তাদের বায়বীয় পরিচ্ছৎ ,-

প্রভাদীপ্ত পাতলা বুনন , স্বচ্ছ প্রভাত - শিশির বৎ ।

আকাশের ওই তিলোত্তমা -রঙ - দ্রবণে সিনান করি ;

যেথায় আলোক হারায় ধারা নিত্য - মিশেল পাক এ পড়ি ; ৬৬

নিত্য যে সব অস্থায়ী রং ফোটায় নতুন আলোর শিখা ,

তাহার মতন পাল্টে ররন তাদের কেহ নাড়লে পাখা !

বৃত্তের ঠিক কেন্দ্রটিতে সজ্জিত মাস্তুলের পরে

সবার চেয়ে উচু স্থানে এয়্যারিয়েল আসন করে ।

রক্ত - রাঙা উভয় ডানা সুর্যালোকে আলতো খুলে

ভাষন এবার করল শুরু রাজ - প্রতীক এক দন্ড তুলে , - ৭২

" শোন সি লফ আর সি লফি ড সব , তোদে র নে তা র বি শে ষ আদে শ

অপ্সরা , অপ্সরী যত , জ্বীণ , পরী , দেও , দানোরা শেষ , -

পয্যায় টা জানিস সবাই , যাদের যেমন দায়িত্ব ভার ,

আধ্মাত্মিক সংবিধানের ধারায় ধারায় পবন-প্রজার ।

কেহ কেহ শুদ্ধ ইথার-ক্ষেত্র মাঝে ক্রিড়ায় রত

এবং দিনের দীপ্ত ভাগের শ্বেতাংশ লয় মনের মত । ৭৮

গ্রহ দিগের গতি কয়েক জনার আছে নিয়ন্ত্রনে ,

বিশাল মহাশূেণ্য গোলক গড়িয়ে চালায় আর ক' জনে ।

কম শোধিত আর ক' জনা চাঁদের নীচে ঝাপসা-লোকে

বলায় কওয়ায় আটকে বসায় রাত তাড়াবার তারাটাকে !

কুজ্ঝটিকা জমায় ক' জন নীচের গড় -ওই বায়ূর মাঝে ,

নয়ত ভেজায় পাখনা তাদের রাম-ধনুর ওই বর্ণ-সাজ এ । ৮৪

হয়তবা ঝড়-ঝঞ্ঝা জমায় শীতকালে ওই পাহাড়-চুড়ায় ,

নয়তবা কর্ষিত ভুয়ে দয়ার বৃষ্টি-ধারা ঝরায় ।

অন্য সবাই ধরার পরে মানব-আচার নিয়ন্ত্রক ,

নজর রাখে তাদের পথে , কর্মকান্ড নির্দেশক ।

সে সব কাজের প্রধান - জাতির বিজয়-ধ্বজা উঁচিয়ে রাখা

বৃটিশ সিংহাসন ঐন্দ্রীক অস্ত্র হাতে আগলে থাকা ! ৯০

মোদের বিশেষ নতির রাজ্যে রূপ , লাবণ্য হয় লালন

নয় তা মোটেও হালকা সুখের , যদিও কম উজল-পালন ।

ভীষণ ঝড়ের করাল কবল হতে বাচাই পাউডার ।

কারারুদ্ধ সুগন্ধী দের দ্বার আ'-গলে রই অনিবার ।

বাসন্তী ফুল হতে খাটি রঙ আহরণ করার কাজ

পূবাল-এ ঝাপ , -করতে চুরি রাম ধনুর ওই রং এর সাজ , ৯৬

ঝকঝকে এক ঝলক প্রদান , কোচকানো , ঢেউ-তুল্য বেণী

লাজ-রাঙা ভাব ফুটিয়ে তোলা , বাতাসে সৃজন প্রেরণী ,

অধিকন্তু আমরা যে দিই আবিষ্কার ওই স্বপ্ন মাঝে

পাল্টে দিতে ঘাঘরা-কিনার , উপচ্ছদের বদল-কাজে ।

আজি কুলক্ষণে শ্রেষ্ঠা রূপসী পায় ভীষণ ত্রাশ ,

যা করেছে প্রহরী এক আত্মার সব সুখ বিনাশ । ১০২

কিছু শক্ত দুর্ঘটনা , কমজোরে বা শক্তি দ্বারা , -

কি সে এবং কোথায় ? ভাগ্য-রাতের আধার মাঝে হারা ; -

হয়ত বা নিমফ ফেলবে ভেঙ্গে ডায়না দেবীর আইন ধারা ,

নয়ত বা কোন চীনা কুঁজো আঘাতে তার ভেঙ্গে ই সারা !

হয়ত বা তার মান যাবে , নয় রেশমী বস্ত্র মলিন হবে ,

ভুলে যাবে প্রার্থনা বা মুখোশ-নৃত্য ফসকে যাবে । ১০৮

হয়ত বা হার , নয়ত হৃদয় হারাবে কোন নাচের ঘরে ,

অথবা স্বর্গ-মদদে তাহার পোষা শক টি মরে ।

ত্বরিতে হে শক্তি সবাই যে যার কার্য বুঝে নাও ,

আন্দোলিত পাখার তরে , জেফারেটা , তুমিই যাও ।

হীরক যুক্ত কানবালা ওই ব্রীল্যান্টিকে- ই দিলাম মোরা ,

মোমেন্টিলার দায় দ্বায়িত্ব ঘড়িটাকে রক্ষা করা ; ১১৪

ক্রিসপিসা কই - ? গ্রহন করো বেনী যুগল রাখার ভার

এয়ারিয়্যাল - আমি , স্বয়ং , দায় নিতেছি শক কে রাখার ।

পঞ্চাশ জন বাছাইকৃত সিলফ কে দিলাম বিশেষ নোট , -

" জীবন দি য়ে ও রক্ষা করো বে লি ন্ডার ওই পে টি কোট ।

প্রায়ই দেখি সাত পরতের ওই ও বেড়া ব্যার্থ কাজে ,

যদিও রয় ক্ষুরে বিবশ , তিমি 'র পাজরাস্ত্র সাজে ! ১২০

শক্ত কোনও রেখা থেকে রূপালী ওই কিনার ঘেষে

প্রশস্ত ওই পরিধি তে পাহারা তে দাড়াও এসে

যদি কোনও আত্মা করে দায়-দায়িত্ব অবহেলা

পদের অবমানন , কিম্বা সুন্দরী কে হেলা-ফেলা ,

পাপের উচিৎ শাস্তি সে ওই সাথে সাথে-ই বুঝে পাবে

বোতলে আবদ্ধ হবে , না-হয় সূচেই গেঁথে যাবে । ১২৬

ক্ষারক-পানির তিক্ত হ্রদে থাকবে ডুবে অনন্যোপায় ,

বাঁশ-সূঁচের ওই সূতার রন্ধ্রে চিরটা কাল নড়বে বেজায় !

আঁঠা এবং আঁঠাল দ্রব্য বন্ধ করবে তাহার ওড়া ।

যন্ত্রনাতে কাঁতর হবে , ব্যার্থ হবে পাখনা ছোড়া !

রক্তরোধী খনিজ লবণ জমিয়ে নেবে প্রবল জোরে

দুর্বল ঘ্রাণশক্তি তিাহার , - পুষ্প শুকায় যেমন করে ! ১৩২

আইকসায়ন বুঝল যেমন , দুষ্ট তেমন বুঝবে পরে ,

ঘুর্ণায়মান কলের চাকা বন-বনিয়ে কেমন ঘোরে !

কাতর হবে চকোলেটের গরম , ঘণ মন্ড মাঝে ।

আছাড় হবে উপর থেকে নীচেয় পড়া শ্রোতের ঝাঁঝ-এ !

বলেই গেল সে এতক্ষণ , পালে বসেই শুনল সবে ।

বৃত্তাকারে নিমফ কে ঘিরে সদলবলে বসল তবে । ১৩৮

ক' জন গেল কুন্তলের ওই গমন-কঠিন রত্নটা-তে ,

ঝুলল কিছু হীরক যুক্ত কর্ণাভরণ ধরে-ই হাতে ।

প্রকম্পিত হৃদয় নিয়ে রইল বিপদ আশঙ্কায় ,

উদ্বেগ-শ্বাস ঊর্ধগতি , ভাগ্য শেষে কি ঘটায় !

তৃতীয় স্কন্ধ / পর্ব

সবুজ মাঠের কোলে ফুলের অনন্ত কিরীটি শিরে

টেমস যেথা বর্ধিষুঞ চুড়ার কা'লি মেলায় দর্প ভরে ।

রাজকীয় সুনাম মাখা এক ইমারত দাড়িয়ে সেথায়

" হ্যাম্পটন কোর্ট " না মটি দি য়ে পড়শী রা তা য় চি না য় হে থা য় !

যুক্তরাজ্যের রাজন্যগন প্রায়ই হেথায় আভাস জানায়

গৃহের নিমফ বা ভিনদেশী সৈরাচার পতন হবে কোথায় ! ৬

এইখানেতে - ই মহান আন্না , ত্রিলোক যাহার অনুগত,

কদাচ-বা যুক্তি শেখেন , কভু চা খান মনের মত !

বীরোত্তম আর তিলোত্তমা-র মেলা এই স্থানে-ই ঘটে ,

কিয়ৎ-কালের দরবারী-সুখ এই স্থানেই মিলায় বটে !

নানান কথায় নানান সুখে ফলপ্রসু সময় যেত ,

শেষ কে দিল নাচের আসর , শেষ ভ্রমনের মান কে পেত ! ১২

একজন হয় বলতে থাকে বৃটিশ রাণীর গৌরব - গান ,

অন্যে করে ভারতীয় চল-চিত্র গুন - ব্যাখান !

তৃতীয় কেউ ব্যাখ্যা করে ভঙ্গি , সজ্জা , যুগল - নয়ন ,

তার প্রতিটা শব্দ হতে একটি হারে খ্যাতির মরণ !

নস্য এবং পাখার বাতাস আলোচনায় বিরাম আনে ,

গীতি-সুধায় , ইষৎ হাস্যে , হরেক রকম নয়ন বানে ! ১৮

ইতিমধ্যে গড়িয়ে দুপুর এলায় দেহ দিবাকরে ,

তির্যক তার অগ্নি-দেহের মিষ্টি , মধুর কিরণ ঝরে !

ক্ষুধায় কাতর ব্যাস্ত হাকিম মৃত্যুদন্ডে সহি করে ।

দুর্ভাগাদের ঝোলানো হয় জুরীগনের সুখ-আহার এ !

লেনা-দেনার পাট চুকিয়ে বণিক রা যায় শান্তিতে

বিরাম জোটে এতক্ষণে সজ্জা-ঘরের ক্লান্তিতে ! ২৪

খ্যাতির মোহে উদ্বেলিত বেলিন্ডা ওই ব্যাগ্র মনে

মোকাবেলায় নামল দু' জন নাইট-ঘাতি বিষম রণে ।

ওম্বারের ওই দ্বন্দ্বে তাদের ধ্বংশ ক' রে নির্বাচন

দুলছে হৃদয় অনাগত জয়ের পেতে আলিঙ্গন ।

তিন জনে ওই মুখোমুখি , তিন সারিতে অস্ত্র এল ,

সবার ভাগে ন' খান হারে পবিত্র তাস বাট-পড়িল । ৩০

বেলিন্ডা তাস তুলে নিতেই বায়ূ-লোকের রক্ষকেরা

প্রধান প্রধান তাসের উপর আসন পেতে দখল সারা !

এয়ারিয়েল বসল জেঁকে নাম-করা এক টেক্কা দেখে ,

ক্রমান্বয়ে বসল সবাই পদ , ক্ষমতা বজিয়ে রেখে ।

কেননা ওই সিলফ জাতির সেই অতীত রীতি স্মরণ আছে ,

নারী থাকা কালীন পদ-মর্যাদার - ই চলত পাছে । ৩৬

ওই দেখা যায় চারটি রাজা রাজ-অনুরুপ মর্যাদায় ,

তাগড়া-তাজা গুল্ফ তাদের , শক্ত শ্মশ্রু শোভা বাড়ায় !

সুন্দরী দুই জোড়া রাণীর গোলাব ধরা আটটি হাতে

কমনীয় শক্তি প্রকাশ প্রকারান্তে ঘটছে তাতে ।

চার জনা ওই গোলাম- চর্ম , বর্ম পরা , নিপূণ বেশ ,

নাঙ্গা তলোয়ার উঁচিয়ে , টুপিতে আটকেছে কেশ । ৪২

অতঃপর এক রঙের গোত্র , সুপ্রভা এক সৈন্য-সারি

মখমলের ওই সমতলে দ্বন্দ্বে টানে তরবারী ।

সুদক্ষ নিমফ যত্ন সহ শক্তি পূণঃ দেখে নিয়ে

" ইস্কাবন - ই তুরু প " - ব'লে , - চলল ক্রীড়া সে - মত ( রং ) দি য়ে ।

বেলিন্ডার ওই কৃষ রাজন রওয়ানা দিল রণাঙ্গনে

মুরের দলে নেতার মতন লাগল তাকে তুল্য-গ'নে ! ৪৮

ইস্কাবনের টেক্কা , চির -বিজয়ী যে জন্ম থেকে

খেদিয়ে নিল দখল-কারী দু' ট্রাম্প , জমিন মুক্ত রেখে !

খলসে , পুঁটি মরল কিছু তাহার তীব্র দাপট-ঠাঁট এ ।

দম্ভভরে তিনি গেলেন গোল করিয়া ফাঁকা মাঠে !

দেখা-দেখি চিড়ের টেক্কা নামল , কিন্তু ভাগ্য বিরুপ ,

এক খানা ফস-কাগজ পেল , আর এক খানায় ঘটল তুরুপ ! ৫৪

এবার এলেন খড়গ-হস্তে বয়ঃজেষ্ঠ , শ্রেষ্ঠ বীর

ইস্কাবনের গোলাম তিনি , রাজ-প্রতীম ধীর-স্থির !

প্রস্ফুটিত দৃশ্যে রাখে নর-সদৃশ একটা চরণ ।

বাদ-বাকী সব রাখল ঢেকে তাহার পোশাক নানান - বরন ,

বিদ্রোহী ওই সাহেব যে তার রাজ-কুমারের ঘটায় বিকার

প্রমান দিল জীবন দিয়ে , নিশ্চিত - ই রাজ-রোষের শিকার ! ৬০

প্রচন্ড - বল চিড়ের সাহেব , অনেক রাজা-রাণী জয়ী

লু - এর মাঠে সৈন্য-শ্রেণীর কাটলো মাথা একলা অয়ি ,

দুঃখ জনক লড়াই যে হায় ! উপকরণ যোগান - হারা ,

ইস্কাবনের হাতে সাধারণের মতন পড়ল মারা !

এ' তক উভয় শত্রু সেনা সুযোগ দিছে বেলিন্ডাকে

ফিরল বরাত ব্যারণ - সহায় ব্যারণ কৃত করুণ ডাকে ! ৬৬

ব্যারণ - দলে জয়ের স্বপ্ন বেলিন্ডার এ ভীতির কারণ ,

সাম্রাজ্যিক পরামর্শে , - ইস্কাবনের মুকুট ধারণ ।

চিড়েতনের কৃষন কালো সৈরাচারীর ফুরায় দিন ,

উদ্ধত সাজ , গোঁয়ার - পনার গর্ব হল ধূলায় লীন ।

মস্তকে তার এক , উজ্জল , অজ্ঞাত কি বৃত্ত দেখি ,

দৈত্য - প্রতীম সকল অঙ্গ সরল রেখায় সটান , সে - কি ! ৭২

মস্তানী - সাজ বহুৎ দুরে , পদাঙ্কানুসন্ধানে পাই ,

সমস্ত সম্রাটের থেকে ছিনিয়ে নিল ধরণীটা - ই ?,

এবার ব্যারণ জাত - রুহিতন সুমুখ পানে চুঁইয়ে আনে ,

আধেক তাহার বদন দেখায় নকশায়িত রাজার শাণ-এ !

দেদিপ্যমান বেগম তাহার সংযোজিত শক্তি লয়ে

নাম কুড়ালো ছত্রভঙ্গ সেনার উপর জয়ী হয়ে ! ৭৮

মহা হুলুস্থুল পড়িল হরতন , রুইতন , চিড়ের -

ত্রস্ত পলায়নে সবাই , সবুজ মাঠে কে যায় ফের !

এরুপ যখন পরাজিত ছত্রভঙ্গ সৈন্য ছোটে

এশিয়ার ওই গোত্রের বা আফ্রিকী কৃষ্ঞাঙ্গ-ঠোঁটে ,

তেমন-ই সন্দেহের চোঁটে বহু জাতিই পালায় ছুটে ,

বিচিত্র অভ্যাসের বাধ্য , নানান বর্ন গাত্রে ফুঁটে ! ৮৪

ভগ্ন - ব্যুহের সৈন্য -শ্রেণীর ইতস্ত - বিক্ষিপ্ত পতন ,

গাদার উপর জমছে গাদায় , এক নিয়তির বিধান-মতন !

রুহিতনের সাহেব দেখায় চাতুর্য - দক্ষতার খেলা ,

হরতনের ওই রাণী জিনে , ( লাজেই মরি , হায় কি-জ্বালা !

ব্যাপার দেখে বেলিন্ডার আজ রক্ত-শূণ্য মুখের দশা !

ফ্যাকাশে এক বর্ণ তাহার অবয়বে বাধল বাসা ! ৯০

আগুয়ান ওই বিপদ হেরি হলেন তিনি কম্পমান -

ঠিক ধ্বং শের চোয়াল সীমায় , - এই বুঝিবা শর্ট -খান !

এবং এখন ( যেহেতু দুঃসহ কোনও বিপদ হলে ) ,

সাধারণের ভাগ্য ফেরে একটা কুটিল চা'লের ফলে !

হরতনের এক টেক্কা এল , রাজা তখন সংগোপনে

বেলিন্ডার স্বপক্ষে ছিল , - হত রাণীর শোক - আসন এ , ৯৬

সুযোগ বুঝে বদলা নিতে আগ্রহে , উল্লম্ফ ভরে

বজ্র - আঘাৎ হানলো সে ওই চরিত্র - হীণ লম্পটেরে

বেলিন্ডার ওই আনন্দচ্ছাস শব্দে গগন পূর্ণ হল ,

লম্বা নালা , বন , নদীরা প্রতিধ্বনী ফিরিয়ে দিল ।

হায়রে চিন্তাবিহীন মানুষ ভাগ্যে আছিস উদাসীন

ক্ষণেক হাসি , কান্না ক্ষণেক , - থাকবে না তোর এমন দিন । ১০২

অকশ্মাতের এই সম্মান ছিনিয়ে নেওয়া হবেই ঠিক

ঘৃণ্য র ' বে জনম ভরা বিজয়ের এই দিনটা - ঠিক !

ওই দেখো ওই টেবিল ভরে পেয়ালা , চামচের সাজে ,

জাম ভেঙ্গে যোয় , কলের চাকার বৃত্ত্বে আবর্তণের মাঝে !

জাপান দেশ এ তৈরী হওয়া টেবিল নামক বেদীর পরে

রজত আলোক - দানী ; অগ্নি - আত্মা -দিগের কিরণ ঝরে । ১০৮

রুপায় গড়া পাত্র হতে ওই অমৃতের বইছে ধারা ,

চীনা-মাটির উৎসারনীর বাষ্প-ত্যাগী শ্রোত-ধারা !

এক নিমেষে চমক তাদের স্বাদে গন্ধে হৃদয় কাড়ে ,

বারংবারের যাওয়া - আসায় ওয়াক্ত - আভিজাত্য বাড়ে !

বেলিন্ডাকে কেন্দ্রে রাখা বৃত্ত্বে থাকা বাতাসী - গণ

করছিল সুগন্ধি পেয় পানের কালে পক্ষ - বায়ন । ১১৪

ত্রস্ত ডানার কসরৎ কেউ দেখাচ্ছিল কোলে বসেই

কম্পিত , সচেতন , অমন অভিজাত ভুষণ-বাসেই ।

কফি , - যাহা রাজনীতিকের বাড়ায় বিবেক , বুদ্ধি , জ্ঞান , -

করে আধেক নয়ন দিয়ে সকল বোঝার শক্তি দান ।

- বা ষ্প মা ঝে পা ঠি য়ে দি ল , ব্যারণে র মস্তিষ্ক মা ঝে

নতুন ধারার প্রযুক্তি ওই রম্য বেণী পাবার কাজে । ১২০

ক্ষান্ত হও হে গোঁয়ার যুবক , থামো , এ নয় সময় ঠিক

ন্যায় পরায়ণ দেবতা মানো , দেখো ওই স্ক্যালার দিক !

পক্ষীতে রুপ দেওযার পরে আকাশে তায় উড়তে দিল ,

নিশার ক্ষতি গ্রস্থ চুলের মাশুল দিতেই জীবন গেল ।

কিন্তু যখন মরণশীলের কু-কর্মে হয় অভিলাশ

কত ত্বরিতঃ যোগান মেলে পাপ সহায়ক সরঞ্জাম-আস ! ১২৬

মদদ দিতে তৎক্ষনাৎ-ই ক্লারিসা দিল বাহির করে

দুই কিনারা যুক্ত অস্ত্র ; চকচকে তার বাক্স ত' রে !

এই প্রকারেই অলীক - গাঁথায় ভদ্রেরা বীরগনের সহায়

তরবারী দেয় উপহার , সংগ্রামে সশস্ত্র রহায় !

আনন্দিত ব্যারণ তখন ওই উপহার হাতে নিয়ে

দু ' প্রান্ত বিস্তার করিল ক্ষুদ্র যন্ত্রে আঙ্গুল দিয়ে । ১৩২

বেলিন্ডার স্কন্ধ-পিছে বিস্তৃত সে করল তাহা

যেমনি ঝুকে পড়ল সে ওই পানীয়ে , - ঘ্রাণ ছাড়ছে যাহা ।

তৎক্ষণাৎ এক হাজার আত্মা বেণীতে সংলগ্ন হয়ে

সরিয়ে নিল পশ্চাতে তা ক্রমান্বয়ের পাখার বায়ে !

তিন তিন বার দিল তাঁরা কর্ণাভরণ - হীরায় টান ,

তিন বার -ই সে ফিরল পিছে , শত্রুও নেয় তিনটা দান । ১৩৮

এ দৃষ্টান্ত দর্শনান্তে উদ্বিগ্ন এয়ারিয়েল যাঁচে , -

নিকটবর্তী যত চিন্তা পবিত্রা এ কণ্যার আছে ।

তাহার বুকের বায়োস্কোপে উঠল ফুটে যেসব ছবি

দেখল তাদের মধ্য হতে প্রজ্জলিত ভাবনা সব-ই ।

তাহার সকল কলা সত্ত্বেও অকস্মাৎ নজরে আসে

পার্থিব প্রেমিকের চিত্র , - হৃদয়ে তার ওই উদ্ভাসে ! ১৪৪

হক-চকিত অবাক সে , তার শক্তি হারা এবার হল ,

ভাগ্যের উপর রেখে তাকে দীর্ঘশ্বাসেঃ বিদায় নিল !

ব্যারণ এবার মেলল তাহার চকচকে কাঁচির দু ' পাত

বেণীর নিকটবর্ত্তী ক'রে আটকালো , ওই বাজী - মাৎ !

এমন কি - ওই দুষ্ট-যন্ত্র যুক্ত হওয়ার সময়টাতে

দুর্ভাগা এক সিলফ সেখানে , - অতি প্রেমে , শরীর পাতে ! ১৫০

দুই ভাগ হয় সিলফ , ভাগ্য বিরুপ হায় !

বায়ূর কারনে তাহা সত্ত্বর-ই জুড়ে যায় !

মিলন কেন্দ্রে পবিত্র ওই বেনীর যে দুই খন্ড হয়

মনোহর ওই মাথা থেকে চির কালের বিদায় লয় !

জীবন্ত বজ্র জ্বলিল বেলিন্ডার দু ' নয়ন তারায়

আতঙ্কের তীব্র - চিৎকারে ভীত-কৃত আকাশ ভারায় ! ১৫৬

এর চেয়ে উচ্চ চিৎকারে স্বর্গকে কেউ কয়না দুঃখ ,

পতির পতন , বা , ওই পোষা কুকুর মরায় ভাংলে বুক !

নয়ত দামী চীনের পাত্র ঊর্দ্ধ হতে নীচেয় পড়ি

রঙ্গীণ ধূলো এবং কিছু টুকরো দিলে গড়াগড়ি -

মন্দির আমার সাজাও জয়ের মাল্য দ্বারা এই ক্ষণে ,

"ঐতিহ্যজ্জল এ পুরষ্কার আমার " - গর্বে ব্যারণ ভণে । ১৬২

বারি তে মীন , বায়ূ তে খগ থাকবে সুখে যত কাল

ছয় ঘোটকের এক রথে ওই বৃটেনের রূপ জ্বলবে লাল , -

আটলান্টাস যাবৎ লোকে অাগ্রহে তে করবে পাঠ

না-হয় , ক্ষুদ্র উপাধানে সাজবে যে-ত' ক নারীর খাট , -

পবিত্র সব দিন যতকাল আসবে বছর ভ্রমন করে ,-

সুগন্ধী মোম - আলোক - শিক্ষার যতেক বছর আলোক ঝরে , - ১৬৮

সুন্দরী গন করবে যে-ত' ক প্রত্যাক্ষান আর অভিসার

সে পর্যন্ত থাকবে অামার খ্যাতি , যশ আর পুরষ্কার !

সময় যাকে জীইয়ে রাখে ইস্পাতে পায় স্থায়িত্ব - তারিখ ,

জনগনের মতই সকল স্মারক - স্তম্ভ ও ভাগ্য দ্বারিক !

ইস্পাতের - ই শক্তি দেবতাদের শ্রম বিফল করে ,

ভীষণ ঘাত্ এ ট্রয়ের ও রাজ - প্রাসাদ ধূলায় বিলীন করে , ১৭৪

ইস্পাত - ই মানবাভিযান করতে পারত নিয়ন্ত্রন

বিজয় - সূচক স্তম্ভ গুলোর ঘটাতে মৃত্তিকায় পতন ,

ভাবছ কেন সুন্দরী - গো , উচিৎ তোমার বেণীর পাওয়া

চির জয়ী , অপ্রতিরোধ্য ওই ইস্পাতের একটা ছোওয়া ।

চতুর্থ স্কন্ধ / পর্ব

উদ্বেগ , দুশ্চিন্তা নিল উছল নারীর উচ্ছাস কেড়ে

এবং গোপন যাতনা ওই হৃদয় মাঝে উঠল বেড়ে ।

নয়ত ' বা যৌবণে কোনও রাজন যুদ্ধ - বন্দী হলে ,

না হয় কোনও রুপবতী রুপ থাকিতে নিন্দা পেলে -

উষ্ম প্রেমিক - দিগের সকল আশীষ নিলে গায়ের বলে ,

প্রত্যাক্ষান প্রাচীনা-গন চুমুর প্রস্তাবেতে পেলে , ৬

প্রায়শ্চিত্ত বিহীন যদি কঠোর সৈরাচারী মরে ,

সিনথিয়া তার ঘাঘরা থেকে সূচ বিধালেও ভুলের ঘোরে -

কদাচ এমন যাতনা পায় -নি , না - পায় এই হুতাশ

যেমন দুঃখে তুই সুকণ্যা চুলের লাগি ফেলিস শ্বাস !

কেননা , সে মুহুর্তে - ওই সিলফরা যখন বিদায় নিল

এয়্যারিয়েল কাঁদতে কাঁদতে বেলিন্ডাকে রেখে গেল, - ১২

গোমড়া সে এক আত্মা , - যাহার আম্ব্রিয়েল নামটি ছিল ,

আলোর সুন্দর বদন অদর্শনে-ই যাহার জনম গেল -

ভূ-গর্ভের কেন্দ্রে তোহার দৃশ্য-পটে হাজির হল ,

বিষণ্ণতার ঝাপসা গুহার দ্বার - উদঘাটন চেষ্টা নিল ।

কৃষ পাখায় ভর দিয়ে নুম ব্যাস্ত - গতি উড়াল দিয়ে

ধোঁয়ার রূপে করল প্রবেশ নিরানন্দ - রাজ্যে গিয়ে । ১৮

থমথমে এই জগৎ টাতে আনন্দ -বায় বয়না মোটে ,

আতঙ্কের ওই ঈশাণী - ঝড় পূর্ণ - বেগে সদায় ছোটে !

এই খানেতে গুহার মাঝে , বাতাস হতে আড়াল করে

ছায়া দ্বারা পর্দাকৃত , দিনের আলো বিহীন ঘরে ,

আনন্দহীন সয্যাতে ওই শুয়েই ফেলে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ,

মাথার বেদন কাঁদন জাগায় , ব্যাথায় বাজে দেহের দু ' -পাশ । ২৪

দুই দাসী দুই পার্শে তাহার আগলে আছে সিংহাসন ।

আদলেতে দ্বি - রূপ তারা , দ্বি - রূপ তাদের গুল - বদন ।

ওই দাড়িয়ে মন্দ-স্বভাব , দেখতে প্রাচীণ নারীর মত ,

কুচকে যাওয়া গড়ন তাহার , কালোয় সাদায় নকশা যত ।

সকাল , দুপুর , রাতের পূজার মজুদ সকল ব্যাসাৎ দিয়ে

হাত ভরা তার , বুক ভরা শ্লেষ , ব্যাঙ্গ , বিরূপ-ভেংচি নিয়ে । ৩০

আর-পাশে ওই ভনিতা রাণী রোগাক্রান্ত সাজ-পোশাকে ,

গন্ড দ্বারা ফুটিয়েছে ঐ অষ্টাদশের গোলাবটা কে ।

অস্ফুট-ভাষ রপ্ত তাহার , পার্শেতে শির সদায় কাৎ ,

বাতাসে মুর্চ্ছা যায় যেন , বিষন্ন গর্বেতে নির্ঘাৎ ।

আগত বেদনায় ডুবে বহু - মূল্য তোষক - পরে

জড়িয়ে আছে গাউন , - রোগে , লোক দেখানোর চেষ্টা ক 'রে । ৩৬

সুন্দরীদের সদাই থাকে এই প্রকারের শ'তেক রোগ ,

প্রতিটা নৈশ-বাস করে নতুন উপসর্গ যোগ !

বিরাম হীন এক ধূম্রজাল ঐ প্রাসাদ-চুড়ার উপর উড়ে ,

অদ্ভূত সব অপচ্ছায়া উঠতেছে ধূম্রজাল ফুঁড়ে ।

বিজন ছায়ায় সন্যাসীর ওই স্বপ্ন-প্রমান ভয়ঙ্কর ,

নিকট-মৃত্যু সুন্দরীদের রুপের চেয়েও উজ্জ্বলতর । ৪২

দুরাত্মা ও সর্প দিগের চলার দৃশ্য কন্ডলী-পাক ,

বিবর্ণ বিদেহী আসে , ম্লান শিখা যায় , কবর ফাঁক ।

তরল সোনা হ্রদ এল এই , এ্যালাইশিয়ান দৃশ্য-বল এ ,

অতঃপর স্ফটিক মিনার , দেবতাগন ওই যে কল এ !

প্রতি পার্শে সংখ্যাতীত জনতা ওই দৃষ্টি গোচর ,

মন্ত্র-বল এ আকার সবার ব্যাঙ্গকারী ভুচর - খেচর । ৪৮

এই যেন বা চা' এর পাত্র যার এক খানা হাত ওই সরল ,

অন্যখানা বক্র হাতল , প্রথম ঠিক ওই নির্গম-নল ।

ওই দিকে এক পিঁপে চলে হোমারের তেঁ-পায়ার মত ,

মশক হেথায় হুতাস ছাড়ে , নকসী কুঁজো - টিপনী যত !

বয়স্ক গন শিশুই প্রমান , শক্তির এমন নিপুন কাজ

মহিলাগন বোতল খুলে খুজছে ছিপি বিকিয়ে লাজ ! ৫৪

অলীক এ রূপ জগৎ সে নুম নিরাপদেই হইল পার ,

হাতে ধ' রে সম্মোহনী -ডাল এক খান প্রেতিনী-গাছার !

এই ভাষাতেই সম্ভাষণ ও করল , " শোনও পথ্ নি রাণী ,

তোমার রাজ্যে পনেরো থেকে পঞ্চাশ সব বাধ্য- যোনী ।

বাষ্প এবং নারী-সুলভ বুদ্ধি-জ্ঞানের পিতা, মাতা ,

কবি-সুলভ , না- হয় হিষ্টিরিয়ায় যিনি মুর্ছা দাতা , ৬০

নানান মেজাজ বোঝেন , নানান শান্ত পথে করেন কাজ ,

ওষুধ করে ন কাউকে আবার কাউকে পাঠান খেলার মাঝ ।

যিনি করান গর্বিতদের ভ্রেমন কার্যে বিলম্বন

পোষ্য ( কুুকুর ) মাঝে দেবত্ত্ব দেন , - যা-তেই চলে পূজার্চন ।

ওই খানে এক নিমফ যে বিতশ্রদ্ধ তোমার ক্ষমতায় ,

এবং ওই সহশ্র আরও তার সে মতে দিচ্ছে সায় ! ৬৬

পারত যদি তোমার এ নুম আশির্বানী বিফল দিতে ,

না হয় কোনও সুন্দরীর ওই বদনে এক ব্রণ ওঠাতে ,

রূপসী দের গন্ড গুলোয় নেবুর মদের ঝাঁঝ লাগাতে ,

হার-মুখী ক্রীড়াতে মুখের রং এর মিশেল বদলে দিতে !

বায়বীয় শিং যদি-বা লাগিয়ে থাকি মাথায় কারও ,

গুটিয়ে থাকি সায়া , না হয় বিছান ভেঙ্গে থাকি আরও - ৭২

অ-ক্রুদ্ধ আত্মাদের মাঝে সন্দেহ বীজ থাকলে দিয়ে ,

অবিন্যস্ত করে থাকি মানিনীর ওই ঘোমটা নিয়ে , -

কোষ্ঠ বদ্ধতা-তে যদি পোষ্য কুকুর ভোগাই কভু ,

ঝরালেও ওই উজল নয়ন যা উপশম হয়না তবু -

মুখ তুলে চাও , বেলিন্ডাকে দাও হে কঠোর , কটু - ভাষা -

যার এক অঙ্কে আধেক বিশ্ব লাজে মরার হয় তামাশা ! ৭৮

দেবী তখন কিছুটা অতুষ্টি নিয়ে চেহারাতে

" দুত্তোরি ছা ই " , এমন ভা বে না ড়ল মা থা প্রার্থনা তে ।

অদ্ভুত এক বাক্স তাহার দুই হাতে প্রদান করিল

যেমনটি তে ইউলিসিস ওই ঝড়-ঝন্ঝা আটকে ছিল ।

ইহার মাঝে সংগৃহীত রমনী রসনার জোর ,

দীর্ঘ নিঃশ্বাস , দুঃখ , আবেগ , রসনা-সংগ্রাম সে ঘোর , ৮৪

মুর্ছাকারী ত্রাস কিছুটা , পূর্ণ ক' রে বোয়েম মাঝে

কোমল - বিষাদ , গলিত বেদন , অশ্রু-সশ্রোত দেয় সাথে যে ,

আনন্দিত নুম তখন - ই সেই উপহার স্কন্ধে নিল ,

কৃষন পাখায় ভর করিয়া দিনের আলোয় বাহির হল ।

থ্যালেষ্ট্রিস এর হস্তে ডোবা নিমফ-কে করে আবিষ্কার ,

আলুলিত বেণীর বোঝা , ক্রোধ-উন্মত্ত্ব নয়ন বাহার ! ৯০

প্রসব-প্রান ওই থলিটি সে ঢালল তাদের মাথার পরে ,

সেই সাথে সব আক্রোশ যা পেয়েছে ওই ভু - বিবরে ।

বেলিন্ডা ওই প্রজ্জলিতা মরণশীলের চরম তেঁজে

পাখার বায়ে করছে সতেজ সে অগ্নি থ্যালেষ্ট্রিস -ই যে ,

" আহ- হা রে ও ভা গ্য হী ণা " - হা ত মে লে তা র ছিঁচ - কা ন্দন

" আহ- হা রে ও ভা গ্যহী ণা " - প্রতি ধ্বনি দে য় হ্যামটন ! ৯৬

এমন পরিনতির লাগি-ই করলে নিয়তঃ যতন

কিলিপ , কাঁকুই , সুগন্ধী তেল , তৈরীতে শ্রম এমন !

এজন্য - কি বেণী তোমার কাগজ মোড়ায় জড়িয়ে রাখা ?

বেদন-দায়ক লোহায় বুঝি এ উদ্দেশ্যে বেধে রাখা !

এ লক্ষ্য অর্জনে কিলিপ পিষেছে ওই কচিঁ মাথা !

দুঃসাহসে বহায়েছে দ্বিগুন ভারী শীষের যাঁতা ! ১০২

হায়রে কপাল ! হিংশুটে ওই করবে তোমার চুলের লীলা ,

ফুল-বাবুদের হিংসা হবে , দেখবে নারী সারা বেলা !

না-করুন ওই সম্মান ! কার প্রতিদ্বন্দ্বী-

হীন স্বরাজে

স্বাচ্ছন্দ , আনন্দ , সত্য এসব মোদের জাতি ত্যাজে ।

ভাবছি এতেই প্রকাশিত তোমার অশ্রু-জরিপ ফল ,

শুনেছিও তাদের কৃত জঘণ্য ওই ভাষ্য-সকল । ১০৮

তোমায় তারা দাম দিয়ে যায় কম দামী বিস্কুটের মত

এক বারের কানাকানিতে-ই ঘোচায় তোমার সুনাম যত !

সহায়হীন ওই মান-কে তোমার বাচাই আমি কোন পথে ?

অপমান হোক বন্ধু তোমার , - এই সাজা হয় বিচার-মতে ।

এবং হবে এই উপহার ধারণাতীত , হতেই হবে

স্ফটিকের মধ্য দিয়ে অবাক চোখে স্থান যে লবে । ১১৪

বলয়-কারী হীরক প্রভায় ঊর্ধেতে ঘটবে উত্থান ।

করবে - কি ওই লোভোদুষ্ট হস্তে চির কিরণ দান !

হাইড পার্ক সার্কাসে তৃণ গজিয়ে যাবে সত্তর-অতি

বো-ধ্বনি-তে বুদ্ধি গিয়ে লজিং - এ গড়বে বসতি ।

শীঘ্র ভূমি , মলয় , সাগর প্রলয় দ্বন্দ্বে সূচনা পা' ক

নর , বানর আর পোষা কুকুর , তোতা সমেৎ নিপাৎ যাক ! ১২০

এসব বলি , " যুক্তি-তর্কে , স্যার প্লুম-কে-ই লক্ষ্য করে,

মহামূল্য বেণীর দাবী করতে ব' লে আইন-জোরে ।

( সুগন্ধি নস্য - ডি বে যা র , স্যার প্লুম সে ই ব্যার্থ বী র ,

এবং মেঘাবৃত বেত্রকুঞ্জ প্রতীম আচার-ধীর ।

কিছুটা আগ্রহে এবং চিন্তা-বিরল গোল-বদনে

নস্যের সেই ডিবে খোলেন প্রথম , পরে বিষয় ভনে ! ১২৬

এই ভাবে বক্তব্য শুরু , " প্রভু ! কে ? কোন দুরাচার ?"

হ্যাচ্চো ! " বেণী তুচ্ছ , দোহাই খোদা , করুন সমাজাচার ।

প্লেগে ধরুক , কৌতুকাতীত , বসন্ত তায় নিক জিনি ,

দিন বেণী তার , " বলেই নস্য-আধাঁর বন্ধ করেন তিনি ।

" এতে আমা র প্রচুর দুঃখ , " জবা ব দি লে ন বি চা রক ,

" এত ভা ল বক্তা কোথা ও যুক্তি দি য়ে ব্যার্থ হোক ! ১৩২

কিন্তু বেণী , পবিত্র এই বেণীর নামে শপথ করি ,

( পূর্বের অং শ - সাথে যা হা জোড়া য় ব্যার্থ ধন্বন্তরী ,

আর কখনও যাবেনা তা ফিরে আপন মর্যাদায় ,

চুলের-কাটার সজ্জা নিয়ে জন্মেছিল যে মাথায় ! )

যে পর্যন্ত নাসিকাতে টানবো আমার জীবন - শ্বাস ,

এই বিজয়ী হস্তে ধারন করবো উজল-বেণীর বাস । ২৩৮

বলল এবং বলতে বলতে গর্বের ধন বিছিয়ে দিল ,

- বহু কালে র আকা ঙ্খিত , - যা বে লি ন্ডার মা থা য় ছি ল !

দুরাত্মা আম্ব্রিয়েল না চায় ঘটুক এমন ঘটনা ,

বিষাদ-ধারা বইয়ে দিল আলগা করে বোয়েম খানা !

এখন দেেখা নিমফ এসেছে রুপীয়-দুঃখের জগতে ,

নয়ন তাহার আধেক ভেজা , আধেক ডোবা অশ্রু-শ্রোতে । ১৪৪

ভারাক্রান্ত বুকের উপর ঝুলন্ত ওই মাথার ভার ,

দীর্ঘশ্বাসের দ্বারায় তুলেই এই ভাবে বলল এবার !

" এ দুঃসহ দি ন টি হউক অভি শপ্ত চি রতরে ,

যে দিন আমার কুঞ্চিত ওই কুন্তল-সুখ ধ্বংশ করে ।

আহারে সুখ ! দশগুন সুখ পেতাম আমার এইনা বুকে ,

হ্যামটনের এই প্রাসাদ যদি - না দেখিতাম এ দুই চক্ষে ! ১৫০

নই -ত প্রথম শিকার আমি একা এমন ভুল টি করি ,

প্রাসাদ প্রেমে এমন অপমান পেয়েছে শতেক নারী !

আহা ! যদি জীবন যেত যশ , খ্যাতি হীন , অন্তরালে

নির্জন এক দ্বীপে , না-হয় উত্তুরে ভূ-ভাগ ঢাল এ !

সজ্জিত ওই ঘোড়ার গাড়ি যেথায় পথে দাগ রাখেনা ,

অনন্য চা খায়না কেহ , ওম্বার খেলা শেখেনা , ১৫৬

- রু পরা শি মোর মরণশী লে র নয়ন-আড়া ল করি তা ম !

মরুর বুকের গোলাব সম ফুটেই ঝরে পড়িতাম !

এ সব যুবক লর্ড সকাশে ঘুরতে এলাম কিসের তাড়ায় !

আহ ! যদিবা গৃহে থাকি মত্ত হতাম সু-প্রার্থনায় !

পড়ছে মনে প্রভাত ওমেন এর-ই আভাস দিয়েছিল ,

প্যাঁচ বক্স ঠিক তিন তিন বার এ - হাত হতে পড়েছিল । ১৬২

বাতাস বিনা দোদুল চীনা হড়কে ছিল কোন ছোওয়ায় ,

সে জন্য পল শান্ত ছিল , শক পুরো-টা নির্দয়ায় ।

সেই এক সিলফ জানিয়েছিল ভাগ্য-ভয়ের পূর্বাভাস !

দুঃস্বপনে করতে হল , - কাঙ্গাল-কে বাসি বিশ্বাস !

দেখ-না এবার ধ্বংশাবশেষ লঘু কৃত সেই বেণীটার

আমার হাতেই দিতে হবে কাঁইচি-তে যা পাওনা তাহার ! ১৬৮

বিখ্যাত দুই রিংলেটের-ই থাকত তারা সমান ভাজে ,

তুষার-শুভ্র স্কন্ধদ্বয়ের নতুন শোভা গড়ার কাজে ।

সহোদরা বেণীটা ওই একলা বসে মানান হারা ,

বোনের ভাগ্য হতে নিজের ভাগ্যের ওই পায় ইশারা !

অবিন্যাস্ত ঝুলে থেকে ভাগ্যের ভাগ করছে দাবী ,

পূনঃ তোদের অভদ্র ওই হাতগুলোকে দিচ্ছে চাবি ! ১৭৪

হায় নিষ্ঠুর ! শান্তি যদি হত তোর ওই বলৎকারে -

দৃষ্টির আড়াল চুলে , না-হয় অন্য কোনও বেণী-ভারে !

পঞ্চম পর্ব / স্কন্ধ

বেলিন্ডা বলিল , সকল শ্রোতা ব্যাথায় যায় গ 'লে ,

জোভ আর ভাগ্য-দেবের কৃপায় ব্যারণ বধির কর্ণ-দলে !

ব্যার্থ হল থ্যালেষ্ট্রিসের পরিচালিত আক্রমন ।

বেলিন্ডা ব্যার্থ যেখানে সেথায় লড়ে সে কোন-জন !

পারত না ওই ট্রোজান-রা এর অর্ধ-বদ্ধ থেকে যেতে -

অান্নার অমন প্রার্থনাতে , ডিডোর রোষের ব্যার্থতা-তে । ৬

তখন গোমড়া ক্লারিসা সানন্দ-হৃদয় নাড়ল পাখা ,

নীরবতার পতন এবং নিমফ সুচীল ভাষণ রাখা !

" বলো কেন রুপসীরা প্রসংশিত , সম্মানিত ,

জ্ঞানীর হৃদয়-জ্বালা , এবং ব্যার্থদের বিস্কুটায়িত !

ভূমি বা বারিধি-শ্রেষ্ঠ সম্পদে তায় সাজায় কেন !

কেন-বা ইন্দ্রানী বলে , দেবীর মতন পূজ্য হেন ? ১২

শ্বেত ওই দস্তানার যুবকুল কেন মোদের গাড়ী ঘিরে ,

সাইড-বক্স কি জন্য নোয়ায় দাড়িয়ে দুরে , পিছন ফিরে ?

নিরর্থ এ সম্মান সব , এ সব মোদের যাতনা ভার ,

সুমতি না বাচালে ওই রূপ-লভিত মান-উপহার !

প্রথম বক্স এ কৃপা দিলে মানুষ বললে বলতে পারে

প্রথম ভালই সত্যে এবং বদন মাঝে বাছ-বিচারে ! ১৮

ওহ-হো সারা রাতের নৃত্য , দিবস জুড়ে সাজ-পোষাক

চমকে দিত বসন্ত-কে , বার্ধক্য-কে দাবার পাক !

কে না-করত ঘৃণা তা , যা গৃহিনীর উৎকন্ঠা-জাত ?

ব্যাবহারের উপযোগী কো

র , রং এর তলায় ঢাকার মত । ২৪

কিন্তু ও - হায় ! প্রজ্জলিত ও রুপ হবে মলিন-শেষ

কুঞ্চিত বা অকুঞ্চিত পাকবে সকল প্রকার কেশ !

রঞ্জিত বা অরঞ্জিত সকল কিছুই ফিকে হবে ,

শ্রীমান-বিমুখ শ্রীমতিগন কুমারী থেকেই মারা যাবে ।

কি থাকে আর অবশেষে সৌর্য্যের ব্যাবহার ছাড়া ,

যা যাবে যাক , বজিয়ে চল সু-কৌতুকে বদন নাড়া ! ৩০

বিশ্বাস আমায় করো প্রিয়ে , সু-কৌতুক-ই টিকতে পারে

যখন নিঃশ্বাস , প্রস্থান , অট্টহাসি হুঙ্কার টিকতে নারে ।

রূপ পারে তার যুগল নয়ন নিরর্থক-ই ঘুরিয়ে নিতে ,

চেহারাতে নয়ন ভোলে , মেধার দ্বারা-ই আত্মা জিনে !

এত ভাবে বলেও কন্যা না - পায় সজোর সমর্থন ,

বেলিন্ডা নীরব , কু-শক্তি থ্যালেষ্ট্রিসের আকর্ষণ । ৩৬

অস্ত্র দিয়ে , অস্ত্র দিয়ে , - ক্রোধোন্মত্তা কন্যা বলে ,

বিজলী-চমক-গতি ধেয়ে উপনীত দ্বন্দ্ব-স্থলে !

সবাই যে যার পক্ষ নিয়ে করল শুরু আক্রমন ,

পাখার ধ্বনি , রেশম-সরব , শক্ত চোয়াল কটকটন ।

বীর আর বীরাঙ্গণা সবার অনিশ্চিৎ চিৎকার ওই ওঠে ,

জলদ-গঁভীর , মোহন-বাঁশির , নানান সুর আকাশে ছোটে । ৪২

কোনও সাধারণ হাতিয়ার ছিলনা-ত তাদের হাতে ,

দেব-দেবীদের মতন লড়াই , মৃত্যু-জখম হয়না তাতে ।

যেমন হোমার নিয়োজিত করেছিল দেবতাদের ,

মানবীয় আসক্তির ওই তেজ দিয়ে সু-বক্ষে তাদের ।

পলাস , মার্সের বিপরীতে ল্যাডোনা , হার্মেস হাতিয়ার ,

সমস্ত ওই অলিম্পাসে বাজিয়ে তীব্র সংকেত -স্বার ? ৪৮

গর্জে জোভের বজ্র , স্বর্গ প্রকম্পিত চতুর্দিকে ,

নীল নেপচুন ঝন্ঝা ছোটায় , গভীর-গামী ঢেউ এর বুকে ।

মিনার গুলো নোয়ায় মাথা , পৃথ্বি-নাড়ায় জমিন ফাটে ,

বিবর্ণ মামদো-রা কাপে দিনের আলোর ঝলক-চ্ছাটে !

জয়-বিলাসী আম্ব্রিয়েল ওই মোম জ্বালাবার প্রদীপ-পরে

তুষ্ট পাখা দোলায় বসে , মহা সমর দেখার তরে ! ৫৪

বডকিন-কৃপাণ ভরসায় শক্তি-রা পরিমাপ নেয়

বাড়ন্ত ওই দ্বৈত সমর , দুর্বল-এ সাহায্য দেয় ।

ক্রোধোন্মত্ত্ব থ্যালেষ্ট্রিস ওই ছাপাখানা ভেদিয়া উড়ে

তাহার দুইটি নয়ণ হ' তে চতুর্দিকে মরণ ছুড়ে !

জনগনের মাঝে মরে বুদ্ধিজীবি স্ত্রৈণ মশাই ।

উপমাতে একজন যায় , সংগীতে আর-জন-কে পাই । ৬০

" ও নি ষ্ঠুরা ! মা নতে হ' ল আমা কে জী বন্ত-মরণ , "

কঁকিয়ে চেয়ার-পাশ-সমাধি ড্যাপারউইট করল বরণ ।

স্যার ফপ্লিং ঊর্দ্ধ পানে বিষাদ মাখা দৃষ্টি ফেলে ,

" ও চোখ এমন খুনী করে সৃষ্ট " - শে ষে র বা ক্য বলে !

এমন-ই ওই মিয়েন্ডারের পুষ্প-ঝালর কাণায় ঘুমায়

মৃত্যু-মুখী পানকৌড়ি , সে গাঁয় সে যে জীবন হারায় ! ৬৬

দুঃসাহসী প্লুম মহাশয় দাবিয়ে দিতে ক্লারিসা-কে

ক্লয় তখন-ই প্রবেশ ক' রে মারল তাকে ভুরুর-পাকে !

দুঃসাহসী বীরকে মৃত দেখেই তাহার হাসি ফোটে ,

কিন্তু তাহার হাসি-তে ওই যৌবন প্রাণ পেয়ে ওঠে ।

জোভ এবারে সোনার পাল্লা বাতাসে উন্মুক্ত ক' রে ,

পুরুষ-বুদ্ধি ওজন করে নারীর চুলের তুলন ধ' রে ! ৭২

সন্দেহ জড়িত শিখা এদিক-ওদিক দুলে শেষে

বুদ্ধি তোলে উপর দিকে , বেণীকে দেয় পাদদেশে ।

দেখো হেথায় প্রজ্জ্বলিতা বেলিন্ডা ধায় ব্যারণ-পানে ,

স্বাভাবিকের অধিক আগুন জ্বলছে তাহার নয়ণ বান -এ !

বি-সম সমর প্রচেষ্টা সেনাপতি ভয় না-পাবে ,

খুব বেশী দুর্ভাগ্যে না-হয় শত্রু-হাতেই জীবন যাবে ! ৭৮

কিন্তু এ সাহসী লর্ড মানব-শক্তি-র অধিকারী

রুখল তাকে তর্জনী আর বৃদ্ধাঙ্গুলী বেলিন্ডার-ই ।

যে পথ দিয়ে নাসিকা তার টানে জীবন-বায়ূর ধারা

নস্য-অস্ত্রে আঘাৎ সেথায় হান্ লো কণ্যা সুচতুরা ।

নুম-রা করে পরিচালন প্রতি অনু সঠিক দিকে

ঝাঝের দানা , উৎপাদিত হয় অদৃশ্য চূর্ণ থেকে । ৮৪

হঠাৎ করেই বণ্যা গড়ায় তাহার দু' টি নয়ন ছেপে ,

নাসার প্রতিধ্বনি-তে তার উচ্চ প্রাসাদ উঠল কেপে !

সুগন্ধা-বেলিন্ডা বলে , " তোর পরিনাম দেখ এবার "

বাহির করে পার্শ হতে মারনাস্ত্র - বডকিন তার !

সেই একই - তা , যা পূর্বপুরুষ - শোভা -সুনাম ধারী ,

তাঁহার প্র - প্র - পিতামহ পর ' ত এটা গলায় তাঁর-ই । ৯০

তিন-সীলের রিং -এ , পরে গলিয়ে নিয়ে মানান মত

কোমর-বন্ধ তৈরী হয়ে তার বিধবার গাউন-গত !

তার নাতনী-র বংশী রুপে আবির্ভূত হয় যে পরে ,

ঘন্টা সে ঠিক বাজিয়েছিল বাদন-কৃত বাঁশীর স্বরে !

অতঃপর এই কিলিপ রুপে মায়ের চুলের শোভা ছিল ,

দীর্ঘ উত্তরাধিকারে বেলিন্ডা যার দখল পেল । ) ৯৬

" মোর পতনে গর্ব কি সে র ? " - সে কয় , " শত্রু হে - উদ্ধত ,

আর এক জনে - ধরাশায়ী করবে তোরে - হীনের মত ।

মরণ অামায় দিচ্ছে পীড়া , - এমন চিন্তা করিসনা-রে ,

যে আতঙ্ক আমার - সে ওই ; - রেখে যেতে একলা তোরে ।

তার চেয়ে , আহ ! ভাল - আমায় বাচতে দেয়া পূনঃর্বার

কিউপিডের ওই শিখা জ্বেলে , - জীবন্ত জ্বাল হোক আমার ! " ১০২

" বে ণী পূণঃ স্থাপন করো " - শ্রীমতি কয় , চতুর্ভিতে

বেণী পূণঃ স্থাপন করো , - গম্বুজী-ছাত হাক 'লো সাথে !

ওজস্বী ওথেলো নয় এমন দৃঢ় উচ্চারণে

রুমাল ফেরৎ চেয়েছিল ক্রোধ -প্রসূত কু -গর্জনে !

কিন্তু দেখো উচ্চাভিলাশ কত দ্রুত খন্ডিত হয়

সকল পুরষ্কার বিলিয়ে -ই প্রধানেরা তৃপ্ত রয় । ১০৮

বেণীর বোঝা পাপের ফসল , যন্ত্রনা যার অনেক গেল ,

সকলখানে চেষ্টা করেও সন্ধান তার কেউ না - পেল ।

এমন পুরষ্কার ওই কোনও মরণশীলের ভাগ্যে নাই

সুতরাং ঐ স্বর্গের রায় , কে কয় সেথায়, " বিবাদ চাই ! "

কেউ বা ভাবে বেণী স্থাপন করা হবে চন্দ্রলোকে ,

যেহেতু সব মর্ত হতে বাহির হলেই সেথায় ঢোকে ।

পন্ডেরাসের বাক্সে সেথায় বীর সকলের বুদ্ধি থাকে ।

নারী-ঘেঁষা সবার বুদ্ধি - নমস্য, চরস-ডিবায় রাখে !

ভগ্ন শপথ , মৃত্যু-সয্যা-যাঞ্চনা সেথায় পাওয়া যাবে ।

প্রেমিক, প্রেমিকা দের হৃদয় ফিতের প্রান্তে বান্ধা পাবে !

সভাষদের প্রতিশ্রুতি, রুগ্ন লোকের বেদন সারি ,

পতিতাদের মুচকি হাসি , সাধ্বী দিগের নয়ণ বারি ,

ডাসের খাঁচা, কাটাসীদের জোঁয়ালে আটকানোর শিকল ,

শুষ্ক প্রজাপতির দেহ , জীবনী-সার গ্রন্থ সকল ।

মিউজ কে বিশ্বাস করো , সে উর্ধে যেতে দেখেছে তা ,

চপল , কাব্যিক নয়ণ ছাড়া অন্যে লক্ষ্য করেই নি যা ।

( রোমের প্রতিষ্ঠাতা যে পথ ধরে গেলেন স্বর্গে ফিরে ,

প্রকিউলাস - ই স্বীকৃত , যে দেখেছে সেই দৃশ্যটি রে !

আকস্মিক এক তারকা যার - তরল বায়ুর মধ্যে ছুট এ

বেণী-চিকন উজ্জল আলোর রোশনাই পশ্চাতে ফুটে !

প্রথম উঠেও বেরেনিসের বেণী না পায় এমন প্রভা

স্বর্গ-কৃপায় বাড়ছে ইহার এ'লো আলোর উজল-আভাঁ !

সিলফেরা এর প্রদীপ ধরে উড়ে চলে আকাশ মাঝে ,

এবং সদয় হয়ে সদায় হাত লাগায় উন্নয়ন-কাজে !

পার্ক-মূখী পথ চলতে ক্ষেত্রফল কষিবে স্ত্রৈন মশাই ,

স-বাদ্য গাহিবে প্রভার মঙ্গল-গুন প্রশস্তিটাই !

অসুখী প্রেমিক এই-গুণ ভেনাস দেবীর জন্য নেবে ,

রোজামনডার হ্রদ হতে এর দোহাই- শরাবাত পাঠাবে !

পারট্রাইজ ই দেখবে ইহা সত্তর , মেঘহীণ আকাশে ।

গ্যালিলিওর চোখ বরাবর যখন পূণঃ তাকাবে সে !

এবং অতঃপর অদ্ভুত এই জাদুকর আভাস দেবে ,

লুইস এর কি ভবিষ্যত আর রোমের পতন ঘটবে কবে !

তাই সু-কণ্যা শোক করো না তোমার হারা চুলের তরে ,

যা দিয়েছে নবৈতিহ্য কিরণ-দাতা স্কন্ধ-পরে,

সুন্দরী-মস্তকের শোভা পুরুষ যাহার গর্ব ধরে -

জাগাবে না ঈর্ষা তোমার হারা-বেণীর মতন করে !

কারণ - তোমার নয়ন দিয়ে সমস্ত খুন করার পরে

যখন লাখো মৃতের উপর নিজের জীবন পড়বে ঝরে ,

যে কালে ওই নয়ন-যুগল বন্ধ হবে , - হবেই জানি ;

এবং ওসব রূপ-লাবণ্য ধূলায় লবে শয্যা টানি,

গীত-দেবতা এই বেণীতেই খ্যাতির পরশ বুলিয়ে দেবে ,

নক্ষত্রের দলেতে ওই বেলিন্ডা-নাম লিখিয়ে নেবে !

মহাকাব্য সমাপ্ত এখানেই ।