Friday, November 15, 2019


কাজ
রাসু বড়ুয়া



দৈনন্দিন জীবন জীবিকায় বেঁচে থাকার এক মাধ্যম কাজ। কাজ ছাড়া মানুষের এক মুহূর্তও চলে না। বিনিময়ে কেউ পায় কাজের মূল্য, কেউ সম্মানী, কেউ বেতন, কেউ পারিশ্রমিক। আবার কেউ পায় বকশিস। যা দিয়ে জীবনটা মোটামুটি খেয়েপরে বেঁচে থাকার এক উপসর্গ। কিন্তু আমরা ক'জনা বা পাই কাজের সঠিক মূল্য বা মূল্যায়ন। অনেকের পাওয়াটা হয় অবিশ্বাস্য- আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। আবার অনেকের ত্রাহি অবস্থা- নুন আনতে পানতা ফুরোয়। যেখানে একপ্রকার শৃঙ্খলার অভাব পরিলক্ষিত হয়। সুশৃঙ্খলা আনয়নে তাই এই অবস্থার এক যুগোপযোগী পরিবর্তন হওয়া দরকার। 

খেয়েপরে শান্তিতে বেঁচে থাকা মানুষের মৌলিক অধিকার। কেউ খাবে কেউ খাবে না, তা হতে পারে না। তবে দেখি- সমাজে এটাই বিদ্যমান। বড়রা আরো বড় হতে চায়, ছোটরা থাকে সবসময় নিগৃহীত। আর মাঝখানে যাদের বসবাস তাদের তো কথাই নেই- না পারে উপরে উঠতে, না পারে নিচে নামতে। দেখবেন একই জিনিস কিনতে হয় ছোট-বড় সবাইকে একই পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে। কিন্তু জিনিসটি আনতে অনেকে যায়- আয়েশি করে আবার অনেকে পরিশ্রম করে। 

কাজের মধ্যেও দেখা যায়- অনেকে কঠোর পরিশ্রম করে পায় যৎসামান্য, আবার অনেকে হেলেদুলে কাড়িকাড়ি। এই অবস্থার একটা লাগাম টেনে ধরতে পারলে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ, হানাহানি, অন্যায়-অবিচার, হায়-হুতাশ ইত্যাদি অনেকাংশে লাঘব হত মনে হয়। এখন এই সময়ে বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে? একজন না হয় একজনকে এগিয়ে আসতে হবে। সব কাজ তো আর সবাইকে দিয়ে হয় না। অনেকে পারলেও গা-ছাড়া দিয়ে চাচা আপন প্রাণ বাঁচা অবস্থা। আবার অনেকে সাহস করে আসলেও অঙ্কুরে বিনষ্ট করার জন্য চলে বিভিন্ন পাঁয়তারা। শেষ অবধি যে দাঁড়িয়ে যেতে পারে সে-ই হয় ত্রাতা। স্বয়ং ইশ্বর, ভগবান, খোদা। 

কাজ কাজ-ই। ধরণ বুঝে বড় বা ছোট হতে পারে। আবার ভুলও হতে পারে। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে আগামীর পথে। সব কাজকে যদি আমরা সম্মানের চোখে দেখতে পারি তাহলে সম্মানীর ব্যবস্থাটাও সম্মানের হতে পারে। তখন সবার মুখে থাকবে অনাবিল হাসি। যে হাসিতে ভরে উঠবে সুন্দর পৃথিবীর সব সোনালী স্বপ্নগুলো। 

তাই সবার অন্তরে বেজে উঠুক সুন্দর কাজের প্রতিধ্বনি। চির জাগরিত থাকুক সুন্দর কাজ।


🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄

বাস্তবতা 
মোঃ সম্রাট শাহ্ 

বাস্তবতা খুব কঠিন 
যেখানে মিলে মিশে থাকার অভিনয়। 
বাস্তবতা সে স্বপ্ন গুলো কেড়ে নয়।

ভয়কে কাটিয়ে বেঁচে থাকার জয়।
সেখনে স্বপ্নটা হঠাৎই ভেঙ্গে যায়,

সকাল থেকে দূপুর কিংবা সন্ধ্যা 
গোধূলির যখন চিত্ত অালো জ্বলে
তখনই হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নগুলো কথা বলে।

মায়ের কোলে সদ্য জন্ম নেওয়া যে শিশুটি দোলে
কিছুদিন পর বাস্তবতা প্রতিবন্ধী বলে।

স্বপ্ন নিয়ে হাজার যুবক প্রেমের ফাঁদে ঝোলে
বাস্তবতা সেস্বপ্ন গুলো  পাগল বলে।

স্বপ্ন নই,,আবেগ নই, মিথ্যা কথা বলা নই।
মেনে নিতে হবে বাস্তবতায় যা হয়।





রাত
-শাহীন খান




রাত এলে চাঁদ জ্বলে, জ্বলে আরো তারারে

জোনাকির ওড়াউড়ি মন দিশেহারারে!
আকাশটা নদী বুকে দেখ কী যে দোল খায়
উড়ে উড়ে  নিশাচর গাছে গাছে বোল খায়।
ঘুমঘুম দেয় ঘুম নিঝ্ঝুম পরিবেশ
থেকে থেকে শেয়ালেরা ডেকে ওঠে শেষমেশ।
কুকুরের ঘেঁউঘেঁউ নীরবতা ভাংচুর
বটতলে বাঁশি বাজে আহা কি যে সুমধুর।
ধীরে ধীরে দাঁড়টানে বুড়ো মাঝি-মাল্লা
দূর গাঁয়ে মাইক বাজে মাহফিলে আল্লা।
মখমল জোছনাটা ঝরে ঝরে পড়ছে
মায়া মায়া ছায়া ছায়া যেন দূরে নড়ছে।
নভোযান ছুটে চলে ধোঁয়া ওঠে গগনে
ঝিঁঝিদের পালা গান এই মধু লগনে!
বাতাসটা বয়ে যায় ঝিরিঝিরি দখিনা
জানালাটা খোলা রাখে যদু  মধু সখিনা।
ডাল পড়ে পাতা ঝরে মাঝে সাঝে টুপটাপ
কবি লেখে  ছড়া, গান ঘরে বসে চুপচাপ।
মায়াবিনী রাত যেন লাগে আজ কুমকুম
স্বপনেরা চোখ জুড়ে স্নেহের দেয় চুম।






শাহীন খানবানারীপাড়াবরিশাল,বাংলাদেশ।

No comments: