Friday, November 15, 2019

তার কাছে


দেবব্রত রায়



তার খোঁজে যে-যার মতোই বেরিয়ে পড়েছিলেন। কয়েকজন বায়ুযানে,কেউ কেউ মোটরসাইকেলে কেউবা, বাইসাইকেল নিয়েও!ওদের মধ্যে শুধুমাত্র,একজনই বেরিয়েছিলেন খোয়াইয়ের হাঁটাপথ ধরে। যারা খেচরযানে বেরিয়েছিলেন তারা দূরবীক্ষণযন্ত্রে চোখ লাগিয়ে মেঘ বায়ু তন্ন তন্ন করে পাহাড়ের চুড়ায় চুড়ায় খুঁজে বেড়ালেন , যারা মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিলেন তারা শহর গ্রামের সমস্ত
সড়ক, হাট-বাজার, কলেজ, হাসপাতাল চষে ফেললেন ! আর, সেই যে মানুষটি, পদব্রজে বেরিয়েছিলেন ,ঘাসমাটির পথ ধরে একটু এগোতেই,তিনি দেখতে পেলেন ঝাঁটিফুলের পাশেই  সে উজ্জ্বল হয়ে আছে একঝাঁক বুনো টিয়ার মতো  !
সবে তখন সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বলে উঠেছে অথচ, তার কাছে সময় অ-সময়, মঙ্গল অ-মঙ্গল, দিন রাত্রি,
ঘর এবং ঘাট সবকিছুই, শুভেচ্ছাবার্তার মতো
সমান উপভোগ্য!
                             ‌‌‌‌‌‌‌‌‍‍‍‍‍      
                           
****

Debabrata Roy
Hajrapara
P.O. Bishnupur
Dt Bankura
pin code 722122.   





🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄



বৃষ্টিভেজা একটি দিন
  

  কাঁকন খাঁড়া




সকাল থেকেই  weather টা কেমন একটা,মন কে উদাস করে দেওয়ার মতো। ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে....তবে স্নিগ্ধ, যেন নরম দুটো হাত দিয়ে ক্লান্ত শরীর টাকে জড়িয়ে ধরে বলছে.."অনেক তো হল,এবার একটু ছুটি দে"
সামনেই part-।। exam,খুব রাগ হয় ঐ বাঁশের factory র ওপর...আরে মানে Calcutta University আর কি হতে পারে। এরম আদুরে weather এ ভালো লাগে বল পড়াশোনা করতে?। জানিস.. সেই  যে তোর সাথে উত্তরের অলিগলিতে ভরদুপুরে কোলকাতা কে খুঁজে বেরিয়েছিলাম, খুব মনে পড়ছে সেই দিনটার কথা ঐ দুপুর টার কথা। ট্রামের মধ্যে আমার পাগলামি দেখে খুব হেসেছিলি....মনে আছে??  পড়ছিস হয়তো এখন খুব ব্যস্ত, সেটাই তো স্বাভাবিক কিছুদিন পরেই যে exam। তবে আমার না এখন আবার কোলকাতা য় হেঁটে বেড়াতে ইচ্ছে হচ্ছে। Race Course ধরে যে রাস্তাটা Red Road হয়ে Parkstreet বেরিয়েছে ঐ রাস্তাটা দিয়ে, গড়ের মাঠে একটু ছুটে বেড়াবো বা গাছের নিচে বেঞ্চে কিচুক্ষন বসব, তারপর সোজ্জা বাবুঘাট... না না.. মায়ের ঘাট। তখন তো ওখানে খুব ভিড় থাকে না তাই না? মাটির ভাড়ে গরম চা সাথে তেলেভাজা। যাবি আমার সাথে??
    আস্তে আস্তে বিকেলের আলো নিভে আসবে, দীর্ঘ ক্লান্ত একটি দিনের অবসান...আর তোর বলা সেই কথাগুলি আবার বলবি..." ভেজা হাওয়ায় ভিজে যায় শেষ বিকেলের শহুরে ব্যস্ততা,উড়ে যাওয়া বিকেলের ডাকে Red Road  এঁকে ফেলে আস্ত এক ধূসর পান্ডুলিপি"। আর তারপর শহর সাজবে ঝলমলে কৃত্তিম আলোয়।আমাদের পছন্দের  রাস্তায় জ্বলে উঠবে নিয়নের আলো,বৃষ্টিভেজা স্যাঁতস্যাঁতে হাওয়া জানান দেবে তার আদুরে উপস্থিতি। এইভাবেই শেষ হবে ব্যস্ততম দিনে আমাদের একসাথে কাটানো কিছু মুহুর্ত। শুধু ঘড়ি বিহীন  সময়টি সাক্ষী থাকবে সবকিছুর, দুজনের কিছু বলতে না পারা কথা,স্বীকার করতে না পারা কিছু অনুভূতি। হয়তো বা শেষ পথে মনের কোনে বেজে উঠবে গানের কিছু line...
          প্রেমে পড়া বারণ
       কারণে অকারণ
      ওই মায়া চোখে চোখ রাখলেও ফিরে       তাকানো বারণ




নাম- কাঁকন খাঁড়া
ঠিকানা- হাটপুকুর জি. আই. পি, রামরাজাত,   
 হাওড়া ।



🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄🎄


রম্য ছড়া

মন্টু মিয়ার প্রেম
আব্দুর রাজ্জাক


পাশের বাড়ির মধুমতি
ভারি দুষ্টু মেয়ে,
মন্টু মিয়া তাইনা দেখে
থাকে চেয়ে চেয়ে!
সকাল সন্ধ্যা কাজের ফাঁকে
একটু সময় পেলে,
মন্টু মিয়া কাছে পেতে
থাকে দুহাত মেলে!
প্রতি হাটে বাজার থেকে
কিনে আলতা চুড়ি,
মাসের শেষে পড়িয়ে দেয়
নয়া মডেল ঘড়ি!
মধুমতি রেগে গেলে
কেঁদে ভাসে মন্টু,
তাদের এমন প্রেম দেখে
হেঁসে চলে ঝন্টু!



আব্দুর রাজ্জাকধামইরহাট,নওগাঁ,রাজশাহী


No comments: