Monday, September 14, 2020

Grammarian's Funeral - Robert Browning - Bangla Translation

  Grammarians Funeral” হল Robert Browning এর লেখা একটি Dramatic Monologue. এটি হল একজন বৈয়াকরনিক এর ছাত্রের শোক গান, যিনি তাঁর সারা জীবন পার করে দিয়েছিলেন জ্ঞান সাধনায়। Robert Browning এখানে একজন মহান পণ্ডিতের শবদেহ বহন করে নিয়ে যাওয়া এবং শববাহকদের এই পণ্ডিতজনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের দিকটি তুলে ধরেছেন। শবযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের মুখ হতে মহান এই পণ্ডিতের সারা জীবনের কার্যাবলি এবং তার জ্ঞানান্বেষণের দিকগুলো উঠে এসেছে। তারা শবদেহ বহন করে নিয়ে যেতে যেতে এই মহান সুধী জুনের নানা গুণাবলী এবং ব্যক্তিজীবনে তার আচার আচরণ, তার জ্ঞান সাধনা ও জ্ঞান তৃষা সবই বর্ণনা করছে। শববাহকেরা খুবই ধীর গতিতে চলেছে এই পণ্ডিতের শবদেহ বহন করে, বনভূমি, পাহাড়ি পথ, গ্রামের পাশ ঘেঁষে কোনো এক ছায়াময় স্থানে তাকে সমাহিত করার উদ্দেশ্যে।

A Grammarians Funeral বাংলা অনুবাদ

এখানে এই মহান পণ্ডিতজনকে মানুষের বিবেক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। যিনি জাগতিক সব কামনা বাসনা হতে ছিলেন পুরোপুরি মুক্ত। জগৎ সংসারের হানাহানি, সংঘাত, সম্পদ লিপ্সা কিছুই স্পর্শ করেনি তাঁকে, তিনি সর্বদা নিরলস জ্ঞানের চর্চা করে গেছেন। জীবন যাপনের অর্থ তিনি উপলব্ধি করেছিলেন গভীরভাবে। হীনতর মানুষেরা আজীবন কাটায় লোভ লালসার মাঝে, জ্ঞানের দুয়ার রুদ্ধ থাকে তাদের জন্য। কিন্তু এই পণ্ডিত সর্বদা খুলে রেখেছেন তার জ্ঞানের দরোজা। মৃত্যুর পূর্ব মুহর্তেও তিনি থেকেছেন জ্ঞানান্বেষণে ব্যস্ত। মোট কথা কবি এখানে একজন জ্ঞানী পণ্ডিতজনের জীবন যাত্রা ও চিন্তা চেতনা শববাহক দলের মুখ থেকে পরিস্ফুট করেছেন।

শববাহকেরা বলছে, ইনি আমাদের পথ প্রদর্শক ওস্তাদ, আজ তিনি শান্ত, নীরব, তিনিই ছিলেন এই শাবাহকদের পথের দিশারী। তারা আরো বলছিল এই মানুষটি ছিল সাধারণ মানুষদের হতে সম্পূর্ণ আলাদা। সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রার সাথে তার মিল ছিল না কোনো কালেই। সাধারণ স্তরের মানুষেরা যখন সহায় সম্পদ, প্রাচুর্যের তরে নিরন্তর প্রতিযোগিতা করেছে তখন তিনি নীরবে জ্ঞানের অন্বেষণে ব্যস্ত থেকেছেন, ব্যস্ত থেকেছেন জ্ঞানের জগতে নতুন কিছু উপহার দেয়ার কাজে। মহান পণ্ডিত তাঁর জ্ঞানের আলোকে সর্বদা মানবের মুক্তির সন্ধান করেছেন। পার্থিব জীবনের প্রতি তাঁর লোভ ছিল না মোটেই, তিনি বলতেন তাঁর মহৎ কর্মের পুরস্কার প্রদান করবেন ঈশ্বর, তিনি বলতেন পার্থিব জগৎ নিয়ে বেশি মাতামাতি ঈশ্বর প্রাপ্তিতে বাধা এবং জ্ঞান প্রাপ্তির পক্ষেও বাধা। তিনি সর্বদা স্বপ্ন দেখেছেন দেশ ও সমাজকে জ্ঞানবান করার, মানুষের মাঝে জ্ঞানের বাণী পৌঁছে দেয়ার। এ কারণে এই পণ্ডিত পার্থিব জগতের সকল লোভ লালসাকে পরিহার করে সর্বদা জ্ঞানান্বেষণে ব্যস্ত থেকেছেন।

শববাহকগণ তার শবদেহ কাঁধে নিয়ে দীর্ঘ যাত্রা পথে শুধু তাঁর গুণকীর্তন করে গেছে। শববাহকেরা বলেছে, এই পণ্ডিত সাধারণ ব্যক্তি নন, তিনি যেন বিশ্ব ব্যক্তিত্ব। তারা বলেছে, এই পণ্ডিত আমাদের জ্ঞানের মশালধারী, আমাদের নেতা, আমাদের পথ প্রদর্শক।

এই জ্ঞানী ব্যক্তিটি যুবক বয়সে যেমন জ্ঞান অর্জনে রত ছিলেন তেমনি বৃদ্ধ বয়সেও তাই করে গিয়েছেন। সাধারন মানুষ যখন বৃদ্ধ বয়সে কাজ কর্ম ছেড়ে দিয়ে জীবন উপভোগের দিকে ছুটে বেড়ায় তিনি তা করেননি। চোখের দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়া এবং শরীরের শক্তি কমে গেলেও তিনি জীবন উপভোগের দিকে না গিয়ে বরং জ্ঞান সাধনায় রত ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন এই পৃথিবী আনন্দ ফুর্তির জায়গা নয়। তিনি মৃত্যুর পরের জীবনে ঈশ্বরের কাছ থেকে পুরষ্কার নিবেন। আনন্দ – ফুর্তি সেখানেই করবেন।

শেষ অংশে তাঁর শিষ্যরা তাকে পাহাড়ের চূড়ায় নিয়ে আসে কবরস্থ করার জন্যে, যেখান থেকে আকাশের উল্কার পতন দেখা যায়, দেখা যায় তারাদের যাওয়া আসা, যেখানে গঠিত হয় মেঘ, যেখান থেকে সৃষ্টি হয় ঝড়, যেখানে আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে সকালের শিশিরকণা। তারা মনে করে একমাত্র এই উঁচু স্থানটি তাঁর উপযুক্ত। কারন এটা পৃথিবীর মানুষের সন্দেহ সংশয়ের থেকে অনেক উপরে। আর যে মানুষটিকে এখানে কবরস্থ করা হবে, জীবনে মরনে তিনিও ছিলেন একজন অনেক উচূ মনের মানুষ।   




Grammarian's Funeral - Robert Browning -  Bangla Translation


চলুন আমরা শুরু করি আর উঠিয়ে নিয়ে যাই এই মরদেহ (বৈয়াকরণিক এর)

এক সাথে গান (শোকগান) গেয়ে।

সাধারন মাঠ আর অভদ্র গ্রামগুলো পার হয়ে যাই।

যেখানে সকলেই নিজ নিজ শেকলে [দুনিয়ার ঝামেলায়] আবদ্ধ।

সমভূমির বুকে নিরাপদে ঘুমায়।

ভোরের মোরগ আর কাক না জাগানো পর্যন্ত

ওদিকে দেখ কতই না দিনের আলো ফুটেছে।

পাথুরে পাহাড় ঘিরে।

ওই পর্বত শিখরই হচ্ছে উপযুক্ত স্থান; সে উচ্চতায় মানুষের চিন্তা

অধিকতর পরিশুদ্ধ ও কেন্দ্রীভূত।

সেথায় [পর্বত চূড়ায়] যেন কেন্দ্রীভূত মনের আকাঙ্ক্ষা, ফেটে বের হতে চায়,

ধূপের পাত্র থেকে যেমন বের হয় সুবাস।

চলুন আমরা ছেড়ে যাই অজ্ঞদের ভূমি যেথায় শুধু পশুর পাল আর ফসলই জীবন,

খুঁজে দেখি অন্য গোরস্থান

উঁচু পর্বতে, শহর শোভিত যার চূড়া

ভদ্রজনের যেখানে বাড়ি।

সবগুলো চূড়া উঁচু উঁচু, তবে একটি আছে সবগুলোকে ছাড়িয়ে

মেঘমালা ঢেকে রেখেছে ইহাকে

দূরবর্তী নগর থেকে আলো এসে পড়ে চূড়ায়।

যে নগরী ঘিরে রেখেছে পর্বতচূড়া।

সেখানেই আমাদের গন্তব্য, আমরা সেখানেই উঠব

তোমরা কি এখানে সংকেত পাবার জন্যে করবে একটু অপেক্ষা?

আমাদের নিচু জীবন নিচু ভূমিতে অন্ধকারে সমাধি পাওয়ার যোগ্য।

তার সমাধি হবে পর্বত চূড়ায়, ভোরের আলো লাগে প্রথম।

পা ফেল ছন্দে ছন্দে, সোজা হয়ে, শির রাখো উঁচু

কারণ লোকজন আমাদের দেখছে।

ইনি আমাদের নেতা, বিখ্যাত, শান্ত, আজ মৃত।

বহন করছি আমাদের কাঁধে করে।

ঘুমন্ত শস্যক্ষেত আর গো-মহিষের পাল! ঘুমন্ত গ্রাম আর মাঠ এখনো আঁধারে ঘেরা।

আবহাওয়টা নিরাপদ আছে!

যাকে আমরা পৌছে দিতে যাচ্ছি সুউচ্চ কবরে।

একত্রে শোক সঙ্গীত গাইতে গাইতে।

তার মুখমণ্ডল ছিল দর্শনীয় আর কণ্ঠ ছিল

এ্যাপোলোর কণ্ঠের মতো সুললিত!

দীর্ঘকাল ছিলেন তিনি যশ খ্যাতিহীন, কীভাবে তার

যৌবন বসন্ত গেল কেটে এসে পড়ল শীত [বার্ধক্য]?

দেখ দেখ অল্প একটু পরশ দিয়ে যেন যৌবন গেল চলে!

সংকুচিত করে দিল সকল কর্মকাণ্ডকে

ব্যথাতুর কণ্ঠে বলেন তিনি, অন্যরা নিবে এখন নতুন করে পদক্ষেপ

আমার কাজ হলো সারা,

না, এ হচ্ছে পৃথিবীর সাধারণ মানুষদের পথ।

(পার্বত্য নগরী ছাড়িয়ে উঠে যাও পাহাড়ের উপরে)

তিনি অর্থ বুঝতেন সংকেতের, গর্বের সাথে এগিয়ে যেতেন

থাকতেন মানুষের করুণার ঊর্ধ্বে।

খেলা ফেলে কাজে থাকতেন ডুবে, সংগ্রাম করতেন পৃথিবী আর

জীবনের রহস্য উদঘাটন করতে

মুক্তির তরে তার ছিল ঝোক

‘মহাজ্ঞানীদের বইগুলোতে কি আছে’ বলতেন তিনি,

‘কেন সেগুলো বন্ধ করে রেখেছে’?

শীত-বৃদ্ধ বয়সকে বোঝানো হয়েছে !

‘আমাকে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে দাও,

যারা ছিল খুব অধ্যয়নপ্রিয় মানুষ কবি, দার্শনিক

তিনি তাদের বেশে চলতেন,

সোজা মুখস্থ করতেন বই শেষ পৃষ্ঠা অবধি

এ বিজ্ঞজন হিসেবেই আমরা তাকে দেখতে পাই।

হ্যা, আমরা তাকে টাক মাথা কোটরের চোখ দুটি সীসার মতো ভারী

কথা বলতেন অস্পষ্ট

‘এটাই সময় জীবনকে উপভোগ করার’ অপর একজন বললেন

সরিয়ে ফেলুন এসব বই পত্তর!

শুনে এ লোকটি [বৈয়াকরণিক] বলতেন, ‘আসল জীবন আসবে পরে

এক মুহূর্ত ধৈর্য ধরো!

শোন, মহা মনীষীদের লেখা গ্রন্থাদি আছে মোর কাছে

তাদের আদেশ নির্দেশ তখনও তিনি পড়ছেন।

আমাকে সব বই সম্পর্কে জানতে দাও! অলসভাবে বল না যথেষ্ট

এ ই পড়া হয়েছে, আর দরকার নেই

সে জ্ঞানার্জন কঠিন হোক বা সহজ হোক

এমনকি ভোজের সর্ব শেষ ছোট্ট গ্রাসটিও আমি আনন্দচিত্তে গ্রহণ করব

[এমনকী ভোজের সর্বশেষ ছোট্ট গ্লাসটিও আমি আনন্দচিত্তে গ্রহণ করবো ব্যকরণবিদ জ্ঞানের শেষ কণিকাটিও আনন্দচিত্তে গ্রহণ করতে চান]

হ্যা অতিরিক্ত ভোজের জন্যে আমি অসুস্থ হবো না!

এ ধরনের জীবনই তিনি যাপন করতে চেয়েছিলেন।

যা তিনি জীবন সম্পর্কে শিখলেন

যখন তিনি অর্জন করলেন সব বইয়ের জ্ঞান,

শীঘ্রই করলেন বস্তুগত ভোগের জীবন প্রত্যাখ্যান।

ভাব পুরো বিষয় নিয়ে, তারপর গঠন কর অংশগুলো,

কল্পনা, তারপর নির্মাণ

সম্পূর্ণ কাজ শুরু করার পূর্বে, স্টীলের যন্ত্রপাতি পাথরের গায়ে ঘষে নাও

ইটে সিমেন্টের আস্তর দেয়ার আগে।

(এ হচ্ছে শহরের তোরণদ্বার; এখানে আছে মার্কেট

আমাদের সম্মুখের বিশাল খালি জায়গাটির পরে)।

হ্যা, এগুলো ছিল তার নিজস্ব গুণাগুণ

(আমাদের শোক সঙ্গীত আরো জোরে গাও)

জীবনকে যাপন করার আগেই তিনি শিখেছিলেন কিভাবে যাপন করতে হয়।

লেখাপড়ার শেষ নেই

জ্ঞান অর্জন কর প্রথমে, ঈশ্বর একটা উপায় বাতলে দেবেন

আমাদেরকে, উপার্জনের তরে।

অন্যরা অবিশ্বাস করে আর বলে, ‘সময় চলে যাচ্ছ।

এখনই জীবনকে যাপন কর নতুবা কখনো পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘সময় কি? ছেড়ে দাও এসময় কুকুর আর বানরের জন্যে

মানুষের সময় অনন্ত [যেহেতু মানবাত্মা অমর]

তিনি তাঁর বইতে ফিরে যান: গভীর মনোনিবেশ করেন।

ক্যালকুলাস রোগ, ব্যথায় কাতর করে তাকে

তার চোখ দু’টো ভারী এবং ঝাপসা হয়ে গেছে।

ক্ষয়কাশি তাকে করেছে আক্রমণ।

‘এখন, পণ্ডিত মহাশয় একটু বিশ্রাম নিন! তিনি তো শোনেন না!

(দ্বিগুণ সতর্ক হয়ে চলো

দু’জন দু’জন করে পাশাপাশি হাঁট, পথটা খুবই সরু)।

তিনি কোন বিরক্তি বোধ করতেন না রোগের কারণে।।

আবার ফিরে যেতেন অধ্যয়নে, আগের থেকে সতেজ ভাবে

ড্রাগনের মতো ধরতেন আঁকড়ে

তিনি (যার আত্মা সর্বদা পবিত্র জ্ঞানের তৃষ্ণায় তৃষ্ণার্ত )

শুষে নিতেন পুরোপুরি, জ্ঞানের পাত্র থেকে।

ওহ, আমরা ঘুরি দ্রুত প্রাপ্তির বৃত্ত বলয়ে

খেয়ালই করি না দূর প্রাপ্তির।

লোভী মোরা, দ্রুত লাভ পেতে চাই, অবশ্যই।

আমরা পাই খারাপটাই।

ইহা কি ভাল নয়? ঈশ্বরের উপর ছেড়ে দেয়া

(ঈশ্বরই এ দায়িত্বের বোঝা নিতে চান)

ঈশ্বরই পুরস্কার দেবেন মানুষকে জান্নাতের জীবনে।

পৃথিবীতে যদি সে উপযুক্ত কাজ করে।

তিনি কি মনের আকাশকে করেননি উদার, পরিষ্কার

কি দেখতে পাননি জীবনের অর্থ?

জীবনের মূল্য তিনি কমাননি, বোকারা এখানে যেমন করে

আংশিক সুবিধা পেয়ে।

তিনি করেন এক সাহসী আকাঙ্ক্ষা, হয় সবই পাবেন, নয় সবই হারাবেন

হয় স্বর্গে সফল, নয় মর্তে নিষ্ফল,

‘আপনি কি মৃত্যুর পর জীবনে বিশ্বাস করেন, না করেন না?

তিনি জবাব দেন, “হ্যা।

সুতরাং এ পার্থিব জীবন হচ্ছে মিথ্যা প্রলোভন।

ছোট মনের মানুষেরা ছোট কিছু করতে চায়।

দেখে তা, করেও তা

এ উঁচু মনের ব্যক্তি উঁচু কিছু চেয়েছেন করতে

মরে গেছেন তা করার আগেই।

নিচু মনের মানুষেরা স্বপ্ন দেখে এক এক করে

আর তিনি দেখেন শত স্বপ্ন

এই উচু মনের মানুষটির লক্ষ্য ছিল অযুত [সংখ্যক]

দু’একটি  হয়তো অপূরণীয় থেকে যায়

এ পার্থিব জীবনকেই তারা দেয় মূল্য, পরবর্তী জীবনে পুরস্কারের প্রয়োজন নেই

তাদেরকে মনে রাখতে দাও বস্তুগত দুনিয়ার কথা

এ উঁচু মানের ব্যক্তিকে ছেড়ে দাও আল্লাহর হাতে সন্দেহাতীতভাবে

আল্লাহকে সে খুঁজে পাবে।

যখন মৃত্যুর সাথে করছেন সংগ্রাম, মৃত্যুর শীতল স্পর্শ তার গলায়

তখনও তিনি ব্যাকরণ [শেখানো] নিয়ে ব্যস্ত

তখনও তিনি ব্যাকরণের পদ নিয়ে করছেন আলোচনা

যখন তার কথা আটকে যাচ্ছে মুখে,

তখনও তিনি গবেষণারত Hoti নিয়ে! [Hoti (Greek Word) = Because]

আর Oun এর উপযুক্ত ব্যবহার নিয়ে। [Oun (Greek Word) = Therefore]

আমাদেরকে দিয়ে যান মতবাদ De সম্পর্কে [De = Greek Suffix]

কোমর অবধি যখন তার অংশ হয়ে গেছে।

বেশ এখানেই সেই বেদী, এখানেই তার উপযুক্ত স্থান।

অভিবাদন জানাবে, হেথায় তোমায়

উর্ধ্বাকাশে বিচরণকারী পাখির ঝাক

বালিহাঁস আর ক্যারলিউ [curlews – এক রকমের পাখি]!

এ হচ্ছে উঁচু চূড়া! সাধারণ মানুষেরা নীচে !

করে বাস, কারণ সেটাই তাদের স্থান

এ লোক বাঁচার জন্যে বাঁচতে চায়নি, জ্ঞান আহরণের জন্যে,

এ লোককে এখানে সমাধিস্থ কর।

এখানে—এখানেই তার স্থান, যেখান থেকে উল্কা দেখা যায়, যেখানে মেঘ গঠিত হয়।

মেঘমালা থেকে আলো বিমুক্ত হয় হেথায়,

এখান থেকে তারকারাজির আসা - যাওয়া দেখা যায়, আনন্দে মেতে উঠে ঝড়ে

শিশির আনে শান্তির বাণী!

উচু স্থান অবশ্যই শেষ আবাস তার,

উঁচু স্থানে শুয়ে থাকা

রেখে যাও - যিনি এখনো পৃথিবীর সন্দেহ সংশয়ের উর্ধ্বে।

জীবিত এবং মৃত [অবস্থায়]।

No comments: