Thursday, February 7, 2019

কীভাবে জেলা প্রশাসক (DC) হবেন । তার ক্ষমতা কেমন?

জেলা প্রশাসক বাংলাদেশের জেলার প্রধান
প্রশাসনিক ও রাজস্ব কর্মকর্তা।[১] তিনি
একাধারে জেলা প্রশাসক, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট
(District Magistrate), জেলা কালেক্টর (District
Collector)ও ডেপুটি কমিশনার(Deputy Commissioner)।
ফলে তিনি একইসাথে আইনশৃঙ্খলা, ভূমিপ্রশাসন,
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সমন্বয় এবং সাধারণ ও
স্থানীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরকারের
প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। জেলা প্রশাসক
জেলাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রতিনিধি।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানমতে
বাংলাদেশ মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার হওয়ায়
জেলা প্রশাসকগণ জেলাতে জাতীয় সরকারের
প্রতিনিধি।তিনি ঐ জেলার সবকিছুর জন্য জাতীয়
সরকারের নিকট জবাব্দিহি করেন। তিনি সরাসরি
সরকার প্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে
যোগাযোগকারী ক্ষমতাপ্রাপ্ত জেলার একমাত্র
কর্মকর্তা। জেলা প্রশাসক মন্ত্রিপরিষদ
বিভাগের অধীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও বিভাগীয়
কমিশনারের নির্দেশ ও তত্ত্বাবধানে কাজ করেন।
তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের প্রশাসন
ক্যাডারের জেষ্ঠ পর্যায়ের সদস্য ও সরকারের
একজন গুরুত্বপূর্ণ আমলা। বাংলাদেশ সিভিল
সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডার হতে পদোন্নতিপ্রাপ্ত
সরকারের উপসচিবগণের মধ্য হতে জেলা প্রশাসক
নিয়োগ করা হয়। Warrant of Precedence, 1986
অনুসারে উপসচিব এর পদমর্যাদার ক্রম ২৫ হলেও
জেলা প্রশাসকের পদমর্যাদার ক্রম ২৪। তবে
জেলা প্রশাসক শব্দটি ডেপুটি কমিশনার শব্দের
বঙ্গানুবাদ নয়, বরং দুটো আলাদা পরিচিতিকে
নির্দেশ করে। বর্তমান বাংলাদেশের প্রশাসনিক
ব্যবস্থায় জেলা প্রশাসক শব্দটির সর্বব্যাপী
প্রয়োগ সুপ্রতিষ্ঠিতভাবে লক্ষ করা যায়। বিশেষত
সরকারি দপ্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার
বাধ্যতামূলকভাবে গৃহীত হওয়ার কারণে
কেবলমাত্র ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কাজের
ক্ষেত্রেই নয়, কালেক্টর বা ডিস্ট্রিক্ট
ম্যাজিস্ট্রেট বা ডেপুটি কমিশনারের সামগ্রিক
কাজের ক্ষেত্রে একক বাংলা প্রতিশব্দ হিসেবে
জেলা প্রশাসক এর ব্যবহার প্রায়োগিক ক্ষেত্রে
প্রতিষ্ঠিত। জেলা প্রশাসক জেলার চিফ
প্রটোকল অফিসার।
ইতিহাস ও উৎপত্তি
বৃটিশ শাসিত ভারতে ১৭৭২ সালে ওয়ারেন
হেস্টিংস কর্তৃক প্রথম জেলা কালেক্টরের পদ
সৃষ্টি করা হয়। ব্রিটিশ আমলে প্রথম সৃষ্ট পদটির
নাম ছিলো ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর। এজন্য জেলা
প্রশাসকের কার্যালয়কে আজও ঐতিহ্যগতভাবে
কালেক্টরেট হিসেবে অভিহিত করা হয়।
পরবর্তীতে তাঁকে দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনে
ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থার ক্ষমতা অর্পণ করা হয়,
ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট নামে আরেকটি পদ
দেয়া হয়। এটি জেলার সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা
রক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট। পরবর্তীতে পাকিস্তান
আমলে District Magistrate বা Collector এর জন্য
আরেকটি পদ সৃষ্টি করা হয় জেলার উন্নয়ন
কর্মসমূহের সমন্বয় সাধনের জন্য, যার নাম ডেপুটি
কমিশনার। ডেপুটি কমিশনার পদ সৃজনের দ্বারা
আগের ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর এবং ডিস্ট্রিক্ট
ম্যাজিস্ট্রেট পদ বিলুপ্ত করা হয় নি বা উক্ত
পদের জন্য অন্য কাউকে নিয়োগ প্রদান করা হয়নি।
২০০৭ খ্রিস্টাব্দে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ হলে
ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এ পরিবর্তন সাধন
করা হয়। বিচারিক কাজের জন্য জেলা পর্যায়ে
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পদ সৃষ্টি করা হয়।
কিন্তু জেলার সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মূল
দায়িত্ব পূর্বের ন্যায় ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের
হাতেই অর্পিত রয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটগণ
জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি। জেলা
পুলিশ সুপারগণ উপর্যুক্ত কমিটির সদস্য। Magistrate
শব্দটি ল্যাটিন Magistratus শব্দ থেকে এসেছে
যার মানে Administrator বা শাসক। ভারতে জেলা
ম্যাজিস্ট্রেটকে বাংলায় বলা হয় 'জেলা শাসক'।
'শাসক' শব্দটি সহনীয় করে বাংলাদেশে 'প্রশাসক'
শব্দটি গ্রহণ করা হয়েছে। 'জেলা প্রশাসক' বহুল
ব্যবহৃত District Magistrate শব্দের পরিবর্তিত
বাংলারূপ যা এখনো ভারতে জেলা শাসক নামে
অভিহিত করা হয়।
জেলা প্রশাসক যে সকল
কমিটির সভাপতি
ডিউটিজ অব চার্টার অনুযায়ী জেলা প্রশাসক
জেলার বিভিন্ন দপ্তর সম্পর্কিত ১২০ টি কমিটির
সভাপতি। এসব কমিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত
গ্রহণ করে থাকে। জেলা প্রশাসক জাতীয়
সরকারের যাবতীয় কাজ জেলা পর্যায়ে করে
থাকেন। জেলায় অবস্থিত প্রতিটি মন্ত্রণালয় বা
বিভাগের অফিস জেলা প্রশাসনের অংশ এবং
জেলা প্রশাসকের সাধারণ নিয়ন্ত্রণে(General
Control) কাজ করে থাকে। জেলা পর্যায়ে এনজিও
বিষয়ে সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণ কার্যাদি সম্পন্ন করে
থাকেন। আইন শৃংখলা, অবকাঠামো উন্নয়ন, ব্যবসা
বাণিজ্য, চিকিতসা, বিনোদন, শিক্ষা, বিজ্ঞান,
কর্মসংস্থান, নারী ও শিশু, ধর্ম, পাঠাগার, দূর্যোগ
ও ত্রাণ, কৃষি, প্রাণি, সার ও বীজ ইত্যাদি বিষয়ে
সমন্বিত কাজ করেন। স্থানীয় পর্যায়ের সার্বিক
অবস্থা সরকারকে অবহিত করেন, সমস্যার সমাধান
প্রদান করেন। এই সকল সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন
করা সাধারনভাবে সকল দপ্তরের জন্য আবশ্যিক
কর্তব্য। তিনি গুরিত্বপূর্ণ বিষয়াদি সরকারের
নজরে আনেন, জেলার সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে
প্রতি পনেরদিন অন্তর পাক্ষিক গোপনীয়
প্রতিবেদন(Fortnight Confidential Report-FCR)
সরকারের নিকট প্রেরণ করেন। তার সুপারিশে
সরকার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে।
নিয়োগ
জেলা প্রশাসক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের
(প্রশাসন ক্যাডার) জেষ্ঠ সদস্যদের মধ্য থেকে
নিয়োগ দেওয়া হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
কার্যবিধিমালা ১৯৯৬ এর তফসিল ৫ অনুসারে
জেলা প্রশাসক নিয়োগ, পদায়ন ও বদলি করে
থাকে। [২] মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে সভাপতি ও
জনপ্রশাসন, ভূমি ও স্বরাষ্ট্র সচিবদের সদস্য করে
গঠিত কমিটি নিয়োগের কাজ করে। তবে জেলা
প্রশাসকদের নিয়ন্ত্রণ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।





গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পদমর্যাদা ক্রম
হল একটি প্রোটোকল তালিকা বা রাষ্ট্রের
নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ
কর্মকর্তাদের পদ সমূহের ক্রমবিন্যাস। একজন
ব্যক্তি যখন একের অধিক পদ ধরে রাখে তখন
সর্বোচ্চ পদটি হিসাব করা হয়। এই তালিকাটি
শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অনুষ্ঠানে
বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ ও তাদের আসনের
ব্যবস্থা, রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী সহ
অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিদেশ গমন ও
প্রত্যাবর্তনের সময় তাদের বিদায় ও অভ্যর্থনা
জানানো এবং সমপর্যায়ের বিদেশি অতিথিদের
দেশে স্বাগত ও পরে বিদায় জানানোর
আনুষ্ঠানিকতার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এর কোনো
আইনি ভিত্তি নেই। সরকারের দৈনন্দিন
কার্যক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য হয় না বা কোন
ভুমিকা রাখে না।
পদমর্যাদা ক্রম
ক্রম পদ
১ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি
২ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় সংসদের স্পিকার
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি
৪ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিবৃন্দ

বাংলাদেশের মন্ত্রীবর্গ
প্রধান হুইপ
সংসদের ডেপুটি স্পিকার
সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা

মন্ত্রিপরিষদের সদস্য না হয়েও মন্ত্রীর
মর্যাদাপ্রাপ্ত ব্যক্তি
মন্ত্রীপরিষদের সদস্য
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের মেয়র [১]

বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও
কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের হাইকমিশনারগণ,
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ (আপীল
বিভাগ)

প্রজাতন্ত্রের প্রতিমন্ত্রিগণ
সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা
হুইপ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি
চেয়ারম্যান
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের
বিচারপতিগণ
এটর্নি জেনারেল,

প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদাপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ
রংপুর সিটির মেয়র
নির্বাচন কমিশনারগণ
১০ প্রজাতন্ত্রের উপমন্ত্রিগণ
১১
উপমন্ত্রীর মর্যাদাপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ
নারায়ণগঞ্জ সিটির মেয়র
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি দূতবর্গ
১২
মন্ত্রি পরিষদ সচিব
মুখ্য সচিব (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়)
ন্যায়পাল
কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল
সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধানগণ
১৩ জাতীয় সংসদ সদস্যগণ
১৪ বাংলাদেশে নিযুক্ত নন এমন সফররত
বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ
১৫
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান
পুলিশের আইজিপি
সিনিয়র সচিব
১৬
সরকারের সচিবগণ
জেলা ও দায়রা জজগণ(স্বীয় দায়িত্বের
আওতায়) [২][৩][৪]
সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল এবং
নৌ ও বিমান বাহিনীর সমপদমর্যাদার
অফিসারগণ
RAB প্রধান, পুলিশের অতিরিক্ত
ইন্সপেক্টর জেনারেল
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের
চেয়ারম্যান
১৭
সচিব পদমর্যাদায় অধিষ্ঠিত সরকারি
কর্মকর্তাবৃন্দ
বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্যগণ
জাতীয় অধ্যাপকগণ
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগের
মহাপরিচালক
অতিরিক্ত জেলা জজ
১৮ পৌর কর্পোরেশনের মেয়রগণ (স্ব স্ব
এলাকায়
১৯
সরকারের অতিরিক্ত সচিবগণ
বাংলাদেশে নিযুক্ত সাময়িক
দায়িত্বপ্রাপ্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূতগণ
বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত ও হাই
কমিশনারগণ
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেকশন গ্রেডের
প্রফেসরগণ
রাষ্ট্রীয় কর্পোরেশনসমূহের চেয়ারম্যান
কমিশনের চেয়ারম্যান
দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক
২০
অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার সরকারি
কর্মকর্তাগণ
বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপনা
পরিচালক
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস
চেয়ারম্যান
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্যগণ
পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্যগণ
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার
২১
সরকারের যুগ্ম সচিবগণ
বিভাগীয় কমিশনারগণ (স্ব স্ব দায়িত্বের
আওতায়)
চেয়ারম্যান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ
(রাজউক)
সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার এবং নৌ ও
বিমান বাহিনীর সমপদমর্যাদার
অফিসারগণ
সার্ভেয়ার জেনারেল অব বাংলাদেশ
২২
যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার সরকারি
কর্মকর্তাগণ
বিভাগীয় কমিশনারগণ (নিজ দায়িত্ব
আওতার বাহিরে)
পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল
(স্ব স্ব দায়িত্বের আওতায়)
কারা মহাপরিদর্শক
সেনাবাহিনীতে পূর্ণ কর্নেল পর্যায়ের
অফিসার এবং সম পর্যায়ের নৌ ও
বিমান বাহিনীর অফিসারবৃন্দ
২৩
অতিরিক্ত কমিশনারগণ (নিজ নিজ
দায়িত্বের আওতায়)
পৌর কর্পোরেশনের মেয়রগণ (নিজ
দায়িত্বের আওতার বাহিরে)
২৪
জেলা পরিষদের নির্বাচিত
চেয়ারম্যানগণ (নিজ নিজ দায়িত্বের
আওতায়)
জেলা প্রশাসক (স্বীয় দায়িত্বের
আওতায়)
পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল
(স্বীয় দায়িত্বের আওতা বহির্ভূত)
সেনাবাহিনীর লেফটেন্যাণ্ট কর্নেল
এবং নৌ ও বিমান বাহিনীর সমপর্যায়ের
অফিসারগণ
২৫
প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার চেয়ারম্যান
(স্বীয় দায়িত্বের আওতায়)
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (স্বীয়
দায়িত্বের আওতায়)
সিভিল সার্জন (স্বীয় দায়িত্বের
আওতায়)
সরকারের উপ সচিবগন
সেনাবাহিনীর মেজর পর্যায়ের
অফিসার এবং বিমান ও নৌবাহিনীর
সমপর্যায়ের অফিসারবৃন্দ
পুলিশ সুপার (স্বীয় দায়িত্বের আওতায়)।