বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর
ডাঃ নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়
----------জেগে দেখা স্বপ্নটাকে সত্যি করে
বুকের মধ্যে স্বাধীনতার বীজটি দিলে,
যত্ন নিয়ে বপন করে;
একটি মানুষ,
আপোষহীন সংগ্রামী মন
লড়াই শুধু, আজীবন ;
অত্যাচারীর চোখের দিকে চোখটি রেখে,
তানাশাহীর শাসনের দণ্ডটাকে কেঁড়ে নিয়ে,
বাঙালির যত ব্যাথা বুকের মাঝে আগলে রেখে-
একটি মানুষ লড়াই করে সারাজীবন,
স্বাধীনতার খোলালো দ্বার,
নিয়ে সবার বুকের ভার -
সেতো চির বান্ধব শেখ মুজিবর,
যে লিখল স্বাধীনতার নতুন গাঁথা,
নব অক্ষর;
হে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর।।
রমনা থেকে উঠলো ধ্বনি, মুক্তির সুরে, গানে,
যে বোঝালো, বাঙালিকে,
স্বাধীনতার মানে -।
সে যে কেউ নয় আর, যে জ্বাললো সেদিন,
মুক্তির দীপ;
সব হৃদয়ে আবেগের বিস্ফোরণ -
সেই আবেগের অন্য নাম , সবাই জানি
শেখ মুজিবর-,বাঙালির নয়নমণি ;
যে লিখে দিল বাঙালির স্বাধীনতার
নতুন আখর-
হে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর ।।
শোষন আর অত্যাচারের অবসানে,
যাঁর লড়াই, ত্যাগ, ভালবাসা,
ঘরে ঘরে তুললো আওয়াজ স্বাধীনতার,
সকল মনে -
গরীব, আমীর, যে যেখানে।
জন্ম দিল সে আওয়াজে, নতুন ভাবে একটি জাতি ;
লিখে দিল বাঙালির স্বাধীনতার নতুন আখর,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর,
হে বঙ্গবন্ধু, শেখ মুজিবর।।
যদি এমনই হয়, স্বজন, বন্ধু
যে কাঁদে, হাসায়,
ঝরায় অশ্রু সবার ব্যাথায়-
সে যে থাকে বুকের খাঁজে, তোমার আমার বঙ্গবন্ধু।।
সেই একটি মুজিব থেকেই যেন,
লক্ষ, কোটি, হাজার মুজিব-
রণক্ষেত্রে, শিক্ষালয়ে,জনপদে, ঘরে,ঘরে,
ছড়িয়ে গেল বহ্নিশিখায়,
প্রান্তরে ঐ বন্দরে ;
ঐ যে সুদুর দেশান্তরে-।
একটি নামের ছায়ার তলে,
হে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর,
শেখ মুজিবর।।
জন্ম নিল রক্তিম সেই সূর্যটাকে জাপটে ধরে,
কেতনের সবুজ বুকে-
একটি দেশ ;
বাংলাদেশ, সে আমার বাংলাদেশ -
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন মায়ায় জড়ানো আবেশ,
একটি দেশ-
বাংলাদেশ, সে যে বাংলাদেশ,
যতদিন সূর্য, চন্দ্র ঐ আকাশে,
হেসেছিল সেদিন যেমন, আজও হাসে -
ততক্ষন লক্ষ কন্ঠে ধ্বনিত হোক,
হে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর,
শেখ মুজিবর।।
ডাঃ নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়
কলকাতা
শিশুদের কষ্ট
চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু
কচি কচি শিশুরা
স্কুলে যায়,
পিঠে বোঝা বই টেনে
কষ্ট যে পায়।
ব্যাগে থাকে পেন্সিল
তিন হালি খাতা,
কি করে ঠিক থাকে
শিশুদের মাথা।
ওজনটা খুব বেশী
খাতা অার বই,
দুঃখটা বুঝবে
সে মানুষ কই ?
মা বাবা ব্যস্ত
ভোর বেলা ওঠে,
নাস্তাটা সেরে তাই
স্কুলে ছোটে।
খেলাধুলা ভুলে গেছে
সময়টা কই ?
দিনরাত সাথে থাকে
বই অার বই।
ডোরেমন ভালো লাগে
তবু মানা করে,
এত কিছু ছোটদের
মগজে কি ধরে।
শিশু অার শিশু নেই
যেন বই মেলা,
কচি কচি মুখগুলো
বড় অবহেলা।
##################
বড় বাজার,চুয়াডাঙ্গা,বাংলাদেশ
মন প্রাণ দেহ
মিজানুর রহমান মিজান
সঁপিলাম মন প্রাণ দেহ
তুমি ছাড়া এ সত্ত্বায় নাই কেহ।।
জগতে যত দেখি নদীনালা
দু’তীরে রয়েছে যত গাছপালা
অপরুপ শোভায় মুগ্ধতা প্রত্যহ।।
আকাশে তারার মেলা আরো কত কিছু
জল তলে অদ্ভুত ও বিচিত্র প্রাণীর পিছু
চোখে দেখি, খাই দাই বাড়ে বিগ্রহ।।
কুদ্রতে রাখ গাছের আগায় পানি
নয়ন জুড়ায় আনন্দ দান আরো কত জানি
মায়ের কোলে সন্তান পায় আদর স্নেহ।।
পশুপাখি, জীবজন্তু কত বিচিত্রতা
কত রঙ্গের কীট-পতঙ্গ সৃজিলে বৃক্ষলতা
সকলেরই ভাগ্য নিয়ন্তা পায় অনুগ্রহ।।
💎💎💎💎💎💎💎💎💎💎
নগ্নতা
- সুদীপ্ত বিশ্বাস
রাতের কাছে নগ্ন হতে লজ্জা তো নেই
বরং ও রাত ঘন কালো চাদর মুড়ে
ঢেকে রাখে আমার যত নগ্নতা সব।
ওই আকাশে নগ্ন হতে লজ্জা তো নেই
বরং আকাশ ছাতার মত মাথার উপর
মুড়ে রাখে সবকিছু তার বুকের ভিতর।
জল বাতাসে নগ্ন হতে লজ্জা তো নেই
তারা বরং একটু বেশি খুশি হয়েই
ফিসফিসিয়ে বলে কিছু বাড়তি কথা।
নদীর কাছেও নগ্ন হতে লজ্জা তো নেই
বরং নদী ছলাত-ছলাত ছন্দ তুলে
নগ্ন হয়েই আমায় শুধু নাইতে বলে।
বন-পাহাড়ে নগ্ন হতে লজ্জা তো নেই
বরং তারা খুব খুশিতে দুজনেই চায়
আমি যেন খালি পায়ে যাই হেঁটে যাই।
পশুপাখিওদের কাছেও লজ্জা তো নেই
বরং তারা বন্দুক আর চশমা-টুপি
এসব ছাড়াই সত্যি কোনও বন্ধুকে চায়।
এই পৃথিবীর সত্য যারা তাদের কাছে
নগ্ন হতে লজ্জা তো নেই,লজ্জা তো নেই
কারণ সত্য নগ্ন হতে লজ্জা পায় না।
মানুষ দেখে নগ্ন হতে লজ্জা করে
মানুষগুলো লুকিয়ে রাখে নিজের মুখও
তার শুধুই মিথ্যে বলে, মুখোশ পরে।
এই সমাজে নগ্ন হতে লজ্জা করে
গোটা সমাজ মিথ্যেবাদী, ভ্রষ্টাচারী
নগ্নতা আর সরলতার সুযোগ খোঁজে।
ভালবাসা যদি ফিরে পাই
তবে তো নাচবো ভাই
তাধিন তাধিন...
পোড়া বিড়ি দেব ছুঁড়ে ফেলে।
ফেলে দেব তামাকের শিশি
ছেড়ে দেব সব ছাইপাঁশ
তেতো জল, বিলিতি বা দিশি।
ভালবাসা যদি ফিরে পাই
তবে তো গাইবো ভাই
গলা ছেড়ে যা আসবে মনে
বাতাসকে বলে দেব আমি কত সুখি
আকাশকে বলে দেব আমি কত সুখি
পাহাড়কে বলে দেব আমি কত সুখি
তারাদের বলে দেব আমি কত সুখি।
ভালবাসা যদি ফিরে পাই
তাহলে তো ভাই
হয়ে যাব ফুল, পাখি, নদী।
ভালবাসা ফিরে পাই যদি -
নরম পালক নিয়ে
রামধনু রঙ মেখে এসে
বয়ে যাব তির-তির,
পাহাড়ের দেশে।
ভালবাসা যদি ফিরে পাই
তবে তো বাঁচবো ভাই
সমস্ত জীবন।
প্রতিটা মুহূর্ত বেঁচে বেঁচে
প্রতিটা শরৎ বেঁচে বেঁচে
প্রতিটা বছর বেঁচে বেঁচে
প্রতিটা দশক বেঁচে বেঁচে
তবুও তো ভরবে না মন।
বলে যাব, 'বড় ছোট এ জীবন।'
####-----##৳৳
নদী ও প্রেমিক
পাহাড়ের বুক চিরে ঝর্ণাটা নামে
অনেক না বলা কথা আছে নীল খামে।
ঝর্ণারা মিলেমিশে হয়ে যায় নদী
শুনবে নদীর গান , কান পাতো যদি।
ও নদী কোথায় যাও? ছল ছল তানে?
দাও নদী দাও বলে জীবনের মানে।
ঘন্টার ঠুন ঠুন, আজানের সুর
নদী জলে মিশে যায় সোনা রোদ্দুর।
ছোট ছোট ঢেউ তুলে নেচে নেচে যায়
সব মেয়ে তাই বুঝি নদী হতে চায়?
ও নদী চলেছ বয়ে, নদী তুমি কার?
প্রেমিকটা প্রাণপণ কাটছে সাঁতার।
সাঁতরে সাঁতরে আরো কতদূর যাবে?
কতটা গভীরে গেলে তবে তল পাবে?
নদীটা যেই না গিয়ে সাগরেতে মেশে,
প্রেমিক ঘুমিয়ে পড়ে সঙ্গম শেষে...
বাক্যহারা
- সুদীপ্ত বিশ্বাস
অবলা কথারা আটকে রয়েছে চোখে
অবুঝ মনের বোবা কান্নার মত
আজকে এখন পাথর চোখেতে শুধু
হারানো আবেগ পুরানো দিনের ক্ষত।
বুঝলে না কিছু বুঝতে চাওনি বলে
সুরের ইশারা সুরকার শুধু জানে
দূরের বাতাস দূরে চলে যায় আরও
মন শুধু বোঝে হারানো গানের মানে।
এসেছিল যেটা একদিন নিঃশব্দে
বাতাসেও ছিল চুপিচুপি আসা যাওয়া
রূপকথা দেশে হারানো বিকেলগুলো
সবটাই যেন মিথ্যে অলীক মায়া।
জীবনের খাতা ভাসানোর পর পর
দুচোখ ভেজায় অঝোর অশ্রুধারা
অল্প দুঃখে সশব্দে কেঁদে ওঠে
গভীর দুঃখে ঠোঁটেরা বাক্যহারা
Sudipta Biswas,Deputy Magistrate & Deputy Collector,(WBCS Exe.),
Nokari Uttar Para, PS-Ranaghat,Dist- Nadia,Pin- 741202
Nokari Uttar Para, PS-Ranaghat,Dist- Nadia,Pin- 741202
1 comment:
Hc
Post a Comment