Saturday, August 24, 2019

কীভাবে নগদের ব্যালেন্স দেখবো ? নগদের ব্যালেন্স দেখতে ডাইল করুন ।


নগদের ব্যালেন্স দেখতে ডাইল করুন: 👇

*167#





















.
.
.
.
.


.
.
.
.
.


.
.
.
.
.


.
.
.
.
.





আত্মগোপন 



সৌভিক রায়





কলকাতা বেতারবার্তা অফিস সেপ্টেম্বর,ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় বেতার সংস্থা বেতারবার্ত  আর তার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপস্থাপনা দূর্গাদুর্গতিনাশিনী প্রত্যেক বছর মহালয়ার দিন সরাসরি সম্প্রচার করা হয়,গত পঁচিশ বছর ধরে বাঙালির মহালয়ার সকল কাটে এই ভাবেই কিন্তু এ বছর চ্যানেল হেড পরিবর্তন হয়েছে তিনি নতুন কিছু একটা ভেবেছেন; তাই সকল কালকুশলী কে তিনি ডেকেছেন কনফারেন্স রুমে l নতুন চ্যানেল হেড তাও অবাঙালি প্রকাশ ধামেজা l
দূর্গাদুর্গতিনাশিনীর জনপ্রিয়তার অন্যতম আর একটি কারণ হলো রাজেন্দ্র লাল সেন  এর  অসাধারণ  স্তোত্র পাঠ,লোকে বলে ওনার কণ্ঠস্বর মানে জীবন্ত করে তোলে আর ওনার দূর্গা বন্দনা ছাড়া বাঙলির পুজো শুরু হয় না l এবং সাথে  মাহেন্দ্র কুমার মল্লিক এর সংগীত  আর  জীবন মুখার্জীর অসাধারণ নির্দেশনা l আমি হলাম প্রোগ্র্যাম ডিরেক্টর সোমেশ্বর রায় l
কনফারেন্স রুম,মিঃ ধামেজা: নামাস্তে! দেখেন আমার সোবাই জানি কে দূর্গা মা কা জো প্রোগ্র্যাম হাম টেলিকাস্ট করতে হায় ওহী হামারা সাবসে হিট প্রোডাকশন আছে লেকিন This year I want to change it.এক হি চিজ কিতনে শুনায়গে লোগো কো l
আমি :  সেকি স্যার  এটা কি করে হবে,This is our most popular producetion,and how we চেঞ্জ  it in such a short tiমে ? There is just one week left before the mahalaya and promotion has been started from last 2 weeks and every  thing has been announced, আর তা ছাড়া বাঙালির ইমোশন জড়িয়ে এর সাথে ………..
মিঃ ধামেজা: ও সব ইমোশন ছাড়ুন, only   the  think I care about it is bussiness only bussiness,আমার যা শুনাবো পাবলিক শুনবে আর চেঞ্জেস আছে বলে দেবেন;  আমি দুজন কে নিচ্ছি যারা সংস্কৃত মে ওসব মন্ত্র পড়েগা আপকে সাথ,আপকো স্রিফ শুরু মে 5 মিনিট বোলনা হো গা বাকি আপকা রেস্ট আর মিউজিক সেটআপ টোটাল চেঞ্জ, কাল সে নতুন করে রিহার্সাল শুরু করতে হবে l
 মাহেন্দ্র বাবু চলে গেলেন, মিঃ সেন : বুঝলাম মিঃ ধামেজা কিন্তু আমার মনে হয় এটা ঠিক হবে না আমরা এখন নতুন গবেষণার জন্য প্রস্তুত নই আর সে সময় আমাদের হাতে নেই ,রায় বাবু ঠিক বলছেন l
মিঃ ধামেজা: দেখেন রাজেন বাবু আমার চ্যাানেল ডিসিশন দেবে আর সে দিয়ে ভি দিয়েছে হামার কথাই শেষ কথা; হামরা ষ্টার বানাই,পাবলিক আমাদের চ্যানেল কে শোনে কোনো পার্টিকুলার ভয়েস নেহি,
তাহলে আমাকে ছেড়ে দিন এ বছরের মতো আপনার নতুনরাই করুক…… 
ধামেজা: না না ও বাত বললে কি করে হোবে,আপনার সাথে এগ্ররিমেন্ট আছে 
সেন:কিন্তু আমার মতামত বলেও তো একটা জিনিস আছে,
ধামেজা: নেহি ইস সাল আপনাকে আমাদের কথা কি মাফিক করতে হবে,নেহি এগ্রিমেন্ট লিয়ে কোর্ট যেতে হবে l একটাই ফেমাস প্রোগ্রাম আছে মন লাগিয়ে করেন l
সেন: ও ঠিক আছে,আমার কিছু বলার নেই আপনি রেডি করে স্ক্রিপ্ট দেবেন,আমি আজ চলি ,আসি রায় বাবু (আমার দিকে মুচকি হেসে রাজেন দা চলে গেলেন )
আমিও আসি স্যার আমার একটা কাজ আছে ,আসুন মিঃ রায় আর চেঞ্জেস গুলো প্রোমোশনে দিয়ে দিন!
আমি ঘর থেকে বাইরে এসে রাজেন দা কে ফোন করলাম বেজে গেলো কেউ ধরলো না l ওই দিন দুপুর থেকেই. নতুন প্রচার শুরু হল আর আমাদের ফোন আর মেইল আসতে শুরুকরলো; শুধু হুমকি যে তারা আর শুনবেন না আমাদের,মহালয়ার দিন অফিস ঘেরাও করবেন,অনুষ্ঠান আগের মতোই করতে হবে l
একদিন তো ধামেজা গাড়ি ভাংচুর হলো, মিঃ ধামেজার মাথা ফাটল আমি ভালো না বুঝে আমাদের বেতারবার্তার মালিক কে সব জানালাম উনি বললেন আমি তো শুনছেই রাজেন বাবু আর মহেন্দ্র বাবু নাকি শারীরিক অসুস্থতার জন্য অনুষ্ঠান থেকে সরে গেছেন,আচ্ছা রায় আমি কাল আসছি তুমি সবাই কে ডাক আর এই নতুন বিজ্ঞানপন টা বন্ধ করে পুরোনো টা চালাও ll
পরের দিন বেতার বার্তার মালিক যদুনাথ সরকার. এলেন কী ব্যাপার প্রকাশ কী সব শুরু করেছেন তোমাকে নিয়ে এইরকম হবে তা ভাবিনি, তুমি যদি আমার বন্ধুর ছেলে না হতে আমি তোমায় ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতাম, এই শেষ সুযোগ তোমায় দিলাম ,সবাই কে ডাকো রায়  আর তুমি প্রকাশ ক্ষমা চাইবে সবার. কাছে ,রায় প্রথমে রাজেন বাবু কে ফোন ধরো……হুঁ স্যার !
আমি ফোন করেই সার সর্বনাশ হয়ে গেছে,কি কি হলো আবার ?রাজেন দাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ,সে কী কী বলছো তুমি রায়……..
আমি ফোন করলাম বাড়ির ল্যান্ডলাইনে ওঁর চাকর পুঁটিরাম বলল,চলো তো দেখি, পুলিশ এ খবর দিয়েছে?না মনে হয় 
চল দেখি ,গাড়ি বের করতে বলো না স্যার পুঁটিরাম বললো  ও তো এখন আসে পাশে খুঁজতে যাচ্ছে  এখন হয়তো ওকে আর বাড়ি তে পাওয়া যাবে না l
ও আচ্ছা দেখছি আমি আমার ক্লাস মেট কে একটা ফোন করি  ACP Crime লালবাজার বিজয় চ্যাটার্জীকে……
মিঃ চ্যাটার্জী :  আরে সরকার বাহাদুর যে ,কি করতে হবে হুজুর বলুন 
মিঃ সরকার :এখুনি আমার কলকাতার অফিসে একবার আসতে পারবি খুব দরকার l
মিঃ চ্যাটার্জী: সরকারের জরুরি দরকার,তা বিষয় টি শুনি
ফোন এতো কিছু হবে না তুই আয় খুব সিরিয়াস কেস 
সেই মহালয়া নিয়ে যা হচ্ছে তোর ওখানে সেই বিষয় ?
সেই বিষয় বলতে পারিস  আবার নাও,তুই আয়
আচ্ছা তুই থাক আসছি 
মিঃ সরকার :ও আসছে ,যা হয়েছে সব তোমার জন্য একটা অকৃত দায় লোক সে আবার কেন চলে যাবে ওঁর টাকা পয়সার তো কোনো অভাব নেই তোমার কথা অপমানে কোথায় চলে গেছে,আমি তোমায় পুলিশ এ দেব প্রকাশ  আমার চ্যানেল এর ষ্টার প্রোগ্রামের ষ্টার মিসিং এখন লোক কি শুনবে, ইডিয়ট!  তোমার জন্য সব হলো ওঁর কিছু হলে আমি স্ট্রেট পুলিশ কে বলে দেব যে তুমিই  যত নষ্টের মূল তোমার প্ররোচনায় সব হয়েছে 
প্রকাশ বাবু: (কাঁদো কাঁদো সুরে) আমি কীকিছু করেছি বলেন রায়দা,সব দোষ আমার লাগছে,আমি তো নতুন আছি গলতি হতে পারে l
মিঃ সররকার : নতুন যখন চুপ করে যা হচ্ছিলো হতে দিতে ই পারো এক্সপেরিমেন্ট  এর কি দরকার ছ ছিল ,ও রাজেন সেন. যেখানে যাবে ওকে লুফে নেবে তুমি তো যেন রায় আমাদের শুরু থেকে আছে রাজেন দা ষ্টার ভয়েস অফ বেঙ্গল ,কতো অফার পেয়েছে কোনো দিন যায়নি বেশি টাকা পর্যন্ত রিফিউজ করেছে ,আবার আমাকে কে মিথ্যে বলা হয়েছে উনি অসুস্থ 5 মিনিটের বেশি  on air করতে পারবে না 
আমি বলি কি স্যার এখন সে সব থাক আপনার বন্ধু যখন আসছেই,আগে রাজেনদা কে  খোঁজা হোক,ঠিক আছে রায় তাই হবে l
বলতে বলতে মিঃ চ্যাটার্জী এলেন ,সাড়ে ছয় ফুট লম্বা আর তেমন ব্যায়াম করা চেহারা ইউনিফর্ম পড়া,কি রে সাকার বাহাদুরের  আবার কি হলো ?
মিঃ সরকার :মন ভালো নেই ফাজলামো  ছাড় আমার ঘরে চল…..
আমি আর স্যার ওনাকে ঘরে নিয়ে বসিয়ে সব বললাম,উনি শুনে বললেন রাজেন বাবুর কোনো শত্রু ছিল,আমি বললাম দেখুন স্যার ওনার সাতকূলে কেউ নেই,কারোর সাথে কোনো দিন ঝগড়া হয়নি অফিস এ আসে কাজ আর বই পড়া আর বাড়ি তে শুধু রাতের খাওয়া আর বই পড়া সারাদিন পড়তেন  এমন মানুষের শত্রু হয় না,
ও তার মানে  কিডন্যাপ নয় তাহলে এতক্ষনে হয়তো মুক্তিপনের ফোন আসতো আর এমন লোক কে অপহরণ করবে আর কাকেই বা ব্ল্যাকমেল করে ফোন করবে কোথাও এক্সিডেন্ট হলো কিনা কে জানে ??আমি খবর নিচ্ছি 
মিঃ সরকার : বিজু  দেখ এটা তুই কেস হিসাবে দেখিস না তুই পার্সোনালি ওঁকে খুঁজে বার কর কাল সকালের মধ্যে আর আমার চ্যানেল টা বাঁচা এই অনুষ্ঠান না হলে বেতারবার্তা শেষ হয়ে যাবে,বিষয় টা গোপন থাক l
আচ্ছা দেখছি যদু  কী করতে পারি তবে ওঁকে খুঁজে বার করা টা আমাদের ডিউটি,after all he is pride of bengal but  কোনো দুর্ঘটনা হয়ে থাকলে…….আমি দেখি কী করতে পারি আমি ওঁর কাজের জায়গা টা একটু দেখবো আর ওঁর বাড়ির ঠিকানা টা দে ?
এই তো রায় সব করে দিচ্ছে,রায়  নিয়ে যাও বিজয় বাবু কে
আসুন মিঃ চ্যাটার্জী,চলুন 
আচ্ছা রায় বাবু ,রাজেন বাবু কি খুব ডিসটার্ব ছিলেন ? তাতো ছিলেনই ওই দিন; যা হলো সবই তো শুনলেন,আমি বললাম এই যে এখানে উনি বসতেন,সব ছোট. ছোটো কাগজে অনুষ্ঠানের  সব টাইম আর ডেট লেখা l  চ্যাটার্জী বললেন  দারুন হাতের লেখা তো , আমি বললাম উনি কিন্তু বা হাতে লিখতেন বাহ্
উনি সব দেখে বলেন ঠিকানা টা দিন আমি চেষ্টা করছি কি করা যায় ,আমি কি যাবো আপনার সাথে …….
না,তার দদরকার হবে না  আমি দেখে আসি বাড়ি টা আর কখন কি হলো শুনি আপনাদের পরে জানাচ্ছি  ওনার একটা ছবি আপনি আমায় পাঠিয়ে দিন  মেইল  করে l
যদু আমি চলি রে জানাচ্ছি কী হলো না হল,বেরিয়ে গেলেন মিঃ চ্যাটার্জী l
30বি; এম জি রোড!  এটাই হবে ! বাড়ি তে কে আছেন!!!  ঠক ঠক করতেই একজন মাঝবয়সী বেরিয়ে এল নাম বললো পুঁটিরাম!
মিঃ চ্যাটার্জী :আমি আপনার বাবুর অফিস থেকে আসছি 
পুঁটিরাম: রেডিও থেকে?
মিঃচ্যাটার্জী: হুম,বাবু কে কখন থেকে পাচ্ছেন না?খুঁজে দেখেছেন?
পুঁটিরাম: কাল রাত থেকে ,অনেক খুঁজেছি কিন্তু পাই নি ,আমি তো বাবুর অফিস ছাড়া কারোর নম্বর জানি না আমি ঐখানেই ফোন করেছিলা, আমি ভাবলাম  বাবু বুঝি ওখানেই  গেছেন আমাকে বললেন আধ ঘন্টার মধ্যে আসছেন খাবার দিতে বলে গেলেন 
মিঃচ্যাটার্জী :  তা উনি হেঁটেই গেলেন ?কি পড়েছিলেন?আর কত রাত তখন ?
পুঁটিরাম: আপনি তো দেখি পুলিশের মতো জেরা করছেন আমার কি এতো মনে আছে নাকি !
মিঃ চ্যাটার্জী :আমি কেন জেরা করবো আমি শুধু প্রশ্ন করলাম,খারাপ লাগছে তাই বলছি 
পুঁটিরাম: তখন রাত 9টা হবে আর বাবু জামা পড়া ছিলেন আর কি যে সব গাড়ি ফোন দিয়ে বলেই হয় ডাকতে হয় না কি যে কয় ওরে তাতেই গেলেন 
মিঃ চ্যাটার্জী :আচ্ছা আপনার বাড়ি কোথায়?কত দিন আছেন ?
পুঁটিরাম:  আমি বাবুর সাথে 30 বছর আছি,আমার বাড়ি ববিহারl
মিঃ চ্যাটার্জী:  তা আপনি ভালো বাংা বলেনতো,আবার বাঙাল কথাও বলেন এত দিন থেকে শিখেগেছেন বলুন
পুঁটিরাম:  হু বাবু
মিঃ চ্যাটার্জী:  আপনার বাবুর ফোন নম্বর টা আমায় দিন আমার আগের ফোন টা চুরি হয়েগাছে,এতে নম্বর নেই l দেখি যদি খোঁজ পাই বাড়ির নম্বরে জানাবো এটা আছে আমার কাছে ,পুঁটিরাম বা হাতে দিয়ে লিখে দিলো একটা কাগজে মোবাইল নম্বরটা (দেখে সন্দেহ হলো মিঃ চ্যাটার্জীর আর চাকরের হাতে সোনার আংটি তাতে R লেখা ব্যাপারটা কি সন্দেহ বাড়লো  ) ,নম্বর টা নিয়ে আচ্ছা আজ আসি, বাবু ফিরলে অফিস এ একটা ফোন করে দেবেন l আপনি পুলিশে খবর দেন নি ? 
না বাবু ,পুলিশে আমার ভয় লাগে আমি বাবু কে ফোন না পেয়ে অফিসে ফোন করতে যাচ্ছিলাম  তখনি অফিস থেকে ফোন এলো বাবু ওখানেও নেই 
মিঃ চ্যাটার্জী বেরিয়ে গেলেন ,বাড়ির সামনে একটা পানের দোকানে গিয়ে ঠান্ডা মিনারেল. ওয়াটার চাইলেন,দোকানদার কি রাজেন দার কাছে এসেছিলান নাকি বাবু কোনো অনুষ্ঠান আছে নাকি?
হু অনুষ্ঠানই বটে ,কিন্তু দেখা পেলাম না ওনার চারক পুঁটিরাম এর সাথে কথা হলো l 
সেকি  রাজেন দা তো এই সময় থাকে, এই তো ককিছু ক্ষণ আগে  আমার কাছ থেকে সিগরেট নিলেন; আমায় জোরে ডাক দিয়ে বললেন আমার সিগারেট টা দিয়ে যা  l আমি বাইরের ঘরে রেখে দিয়ে বললাম এই যে রইলো উনি বললেন ঠিক আছে কাল টাকা দেবেন এখন উঠতে পাচ্ছেন না আর পুঁটিরাম নাকি এই হাওড়া গেছে ট্রেন ধরবে দেশে যাচ্ছে, আমি আবার বললাম রান্নার কি হবে উনি বললেন সব অর্ডার দেওয়া আছে  সব খাবার দিয়ে যাবে l
মিঃ চ্যাটার্জী :ও ঠিক আছে, বলেই গাড়িতে উঠে পড়লেন ;driver চলো লালবাজার সাইবার সেল,নেমেই দৌড়াতে দৌড়াতে দত্ত এই নম্বর টার ডিটেলস চাই লোকেশন ,কোথাও কোনো অর্ডার কোনো গাড়ি বুক দুদিনের মধ্যে কী  কী হয়েছে এই নম্বর  থেকে ….ফাস্ট.  দত্ত আমার টাইম নেই ফাস্ট আর ব্যানার্জী আছে আমার ঘরে পাঠাও  
ব্যানার্জী গত দুদিনের এক্সিডেন্ট আর বেওয়ারিশ লাশের রিপোর্ট চাই l
এদিকে মঃ চ্যাটার্জী আমার আর মিঃ সরকারের কোনো ফোন ধরছেন না ,মিঃ সরকারের তো টেনশনে প্রায় মূর্ছা যাবার উপক্রম l
(দত্ত স্যার লাস্ট লোকেশন এম জি রোড ওখানেই ফোন বন্ধ হয়েছে গত কাল রাত 10টা তে আর কোনো গাড়ি বুক হয়নি আর কোনো রকম কিছু অর্ডারও করা হয় নি আচ্ছা আর ব্যানার্জীর কি খবর না স্যার এক্সিডেন্ট ওই আপনি যে বয়সী লোকের কথা বলছেন  তেমন কারোর কিছু হয়নি আর দুটো লাশ পাওয়া গেছে  দুটোই মহিলা আর তেমন কোনো রিপোর্ট নেই ,ঠিক আছে আমি বেরোচ্ছি ,by the way happy puja কাল তো মহালয়া আমার কাল থেকে ছুটি আমি দেশের বাড়ি যাচ্ছি আবার পুজোর  পর দেখা হবে,
স্যার এই কেস টা কিসের ?কিছুই না জাস্ট আউট অফ কিউরিওসিটি,চলি,ভালো করে পুজো কাটিয় আনন্দ করে )
রাত 12টা মিঃ চ্যাটার্জীর ফোনে সরকার বাহাদুর নাকি টেনশন হচ্ছে না তো?বাড়ি তে না বেতারবার্তার অফিসে?
বিজু ইয়ার্কি ছাড়! আমি এখনো অফিসেই আছি, কি খবর হলো বল …….
আর কী সকালে দুর্গদূর্গতিনাশিনী তোরা রেডি তো আমি  ভয়েস অফ বেঙ্গল কে নিয়ে আসছি ………
সে কি পেয়েছিস;রাজেন্ দা কে………
মিঃচ্যাটার্জী: ফোন কেটে দিলেন…….
কি  হলো স্যার?রায় সব রেডি করে নাও রাজেন দা কে পাওয়া গেছে ওরা আসছে তুমি এদিক টা  দেখো,
আর?
আরতো কিছু বললো না বিজু তো এইরকমই ফোন কেটে দিলো এই টুকুই বললো,তুমি তাড়াতাড়ি নাও আমি সব রেডি করেদিছি এখনই দেখেছি স্যার ,আপনি বাড়ি যান l
না, একবারে কাল সকালে যাবো; তুমি  যাও সেটআপ রেডি করো l
(ওদিকে রাজেন বাবুর বাড়ির সামনে মিঃ চ্যাটার্জীর গাড়ি থামলো )
পুঁটিরাম বাবু বাড়ি আছেন নাকি,
কে ?
আমি আপনার  বাবুর রেডিও অফিসের লোক একটু আগে  এসেছিলাম না l
এতো রাতে,বাবুর কোনো খোঁজ পেলেন l
না, পুঁটিরাম বাবু পাই নি ,আপনার সাথে একটু কথা ছিল
আসুন ,ভেতরে
পুঁটিরাম বাবু একটা আবদার করবো,এক কাপ চা হবে নাকি?
দাঁড়ান আনছি, দাঁড়াবো কেন আপনি করুন আমি বসি l আপনার সাথে আপনার বাবুর কিন্তু অনেক মিল হাতের লেখা ,দুজনেই  বা হাতে লেখেন ,হাতে R লেখা সোনার আংটি আর একটা জিনিস আপনার বাবুর পোস্টার এর ছবি দেখলাম দু জনের কপালে একই জায়গায় লাল তিল,এর মধ্যেই  চা  রেখে গেলো পুঁটিরাম আরে আপনিও বসুন না,নিন সিগরেট  খান ……
না না, আমি খাই না,
আরে খান না রাজেনবাবু ,ধূমপান  করলে গলা খারাপ হবে না কাল তো আপনার আবার   মহালয়ার অনুষ্ঠান আছে , এটা কেন করলেন?আমি ACP ,ACP ক্রাইম চ্যাটার্জী নমস্কার 
নমস্কার;চ্যাটার্জী বাবু  আসলে কি জানেন আপনার তৈরী করা জিনিসের উপর কেউ যখন কর্তৃত্ব করে বা আপনার সৃষ্টি যখন নষ্ট করতে যায় তখন খুব খারাপ লাগে lওরা যখন আমায় ফোন করলো তখন আমি আর যেতে চাই নি আমি শিল্পী আমি কর্মচারী নই l
কিন্তু রাজেন বাবু আপনার সৃষ্টি তো আজ ধবংস হতে চলেছে,আপনি না গেলে বেতারবার্তা বন্ধ হয়ে যাবে আপনি চলুন,মাইক ভয়েস অফ বেঙ্গলের অপেক্ষায় আপনি না গেলে যে বাঙালির পুজো শুরু হবে না l
আমি যাবো ,আপনি আমায় নিয়ে চলুন………………ঠিক 4টে বাজতে 10 বেতার বার্তার অফিসে  এলেন সেই ধুতি আর পাঞ্জাবি পরা রাজেন্দ্র  লাল সেন সেই একই প্রতাপ নিয়ে নেমে এলেন যে ভাবে   সিংহ তার জঙ্গলে ফেরে l
 মিঃ সরকার ;রাজেন বাবু আমরা লজ্জিত এবং দুঃখিত আপনার কি হয়েছিল?
মিঃ চ্যাটার্জী :না ,এখন আর প্রশ্ন নয়, শুরু কর যদু দেরি হয়ে যাচ্ছে….
আমি: রাজেন দা আসুন ……..উনি শুধু  মেজা জীর দিকে হেসে বললেন মানুষ তাহলে ভয়েস ও শুনতে চায় কী বলেন??প্রকাশ জী
প্রকাশ জী নত মস্তক হয়ে রইলেন,আমি আর স্যার বিজয় বাবুর কাছে অভিমানী ভয়েস অফ বেঙ্গল এর গল্প শুনলাম আর শুনলাম  On air রাজেন বাবুর অদ্ভুত কণ্ঠস্বরে মাতৃ বন্দনা,দূর্গা দুর্গতি নাশিনী…………একই ভাবে শুরু হলো বাঙালির দেবীপক্ষ প্রতিবছরের মতোই l


No comments: