Tuesday, August 31, 2021

পুরু পুরুষ ষ নির্যাতন ভিন্ন রুপে by মিজানুর রহমান মিজান

 

পুরু পুরুষ ষ নির্যাতন ভিন্ন রুপে 

মিজানুর রহমান মিজান 

  বিগত ২৩শে আগস্ট সোমবার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার ৬ পৃষ্টায় প্রকাশিত “সুইসাইড নোট বৌয়ের অপমান সইতে না পেরে শিক্ষকের আত্মহত্যা”ও ২০ পৃষ্টায় প্রকাশিত “মৌখিক ভাবে তালাক দেয়ায় স্বামীকে হত্যা করে স্ত্রী” সংবাদ দু’টি পাঠে আমি ভীষণ ভাবে চিন্তিত ও ভাবনায় ফেলে দেয়।ইদানিং পত্রিকার পাতা খুললেই সর্বাগ্রে যা নজর কাড়ে তা হচ্ছে পুরুষ নির্যাতন এবং তার হার কোন অংশেই কম নয়।পুরুষ হচ্ছে অহরহ নির্যাতিত, নিপীড়িত।অনেকে মান-সম্মানের ভয়ে নিরবে সহ্য করে যাচ্ছেন ও কোন রকমে দিনাতিবাহিত করছেন।দিন দিন নির্যাতনের সংখ্যাধিক্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে আশংকাজনক হারে।আমরা যাচ্ছি কোথায়?যেখানে পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন বিবাহের মাধ্যমে আমরা সুন্দর ও সঠিক ভাবে সমাজে বসবাসের মাধ্যমে জীবন পরিচালনার কথা।সভ্য, সুসংহত সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলে ভবিষ্যত জীবন গঠনের কথা,সমাজে সুখ-শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে জীবন অতিবাহিত করার কথা, সেখানে প্রতিনিয়ত ঘটছে নানাবিধ উপায়ে অশান্তির দাবানলে পুড়ে সংসার নামক জীবন যাত্রা হচ্ছে ব্যাহত।অশান্তির নিদর্শনে হচ্ছে পরিণত।মানুষ কেবল মানুষের আকৃতি নিয়ে জীব-জন্তু সদৃশ জীবন যাপন শুরু হয়ে গেছে।অবস্থা দৃষ্টে তাই-ই পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে আমার ধারণাবোধ জন্মে।আমরা যেন দর্জির ফিতার মাপে কাটসাট মানুষে হচ্ছি পরিণত।নারী নির্যাতন বলতে বলতে এখন শুরু হয়েছে পুরুষ নির্যাতন অধিক পরিমাণে।আমি পুরুষ বা নারী ‌নির্যাতন কোনটাই সমর্থন করি না।কোন প্রকার নির্যাতন কাম্য নয়, হতে পারে না।  

        প্রথম সংবাদ পাঠে জানা যায়,জহুরুল ইসলাম একজন কলেজ শিক্ষক।মানুষ গড়ার কারিগর।তিনির নামে থাকা নবনির্মিত একতলা একটি বাড়ি স্ত্রী তাপু তার নামে নেবার জন্য শুরু করে বিভিন্ন প্রকার মানসিক চাপ।সালিশও হয়েছে।তারপর তিনি তার নামে দিয়েও চেয়েছেন সংসার করতে।এতদসত্ত্বেও জহুরুল ইসলাম অত্যাচার আর মানসিক নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়াতে আত্মহত্যার মতো জঘন্যতম পথে পা বাড়ান।জীবন বিসর্জন দেন।একটি সংসার তিলে তিলে গঠিত হয়।স্বামীর নামের ভুমি বা বাড়ি কেন স্ত্রীর নামে দিতে হবে?সংসার নামক জীবনের গ্লানি, পরিশ্রম লব্ধ অর্থ সংগ্রহ তো পুরুষই করে থাকেন।স্ত্রীর প্রতি দায়িত্ব পালনের বোঝাও বহন করতে হয়।ভরণ পোষণে কিঞ্চিৎ অক্ষমতা হলে সমস্ত দায়ভার স্বামীর উপর বর্তায়।তারপরও কেন স্ত্রী তার নামে বাড়ি নিতে চান, স্বামীর উপর মানসিক নির্যাতন, চাপ প্রয়োগ করতে চান?মান-সম্মানের ভয়ে স্ত্রীর নামে প্রদান করেও নিষ্কৃতি পেলেন না আমাদের সমাজের সম্মানিত শিক্ষক মহোদয়।তিনির আত্ম-মর্যাদা কি নেই?তাঁর অপরাধ কোথায়?আমরা ইসলামী মুল্যবোধ,আদর্শ,সততা,সত্য পথে চলা, নৈতিকতা,শৃংখলাবোধ, দায়িত্ব ও কর্তব্য পরিহার করে অমানবিক আদর্শের পথে হচ্ছি ধাবিত।এটাতো আমাদের আদর্শ হবার কথা নয়।স্ত্রীর নামে সম্পদ নিয়ে অন্যায়, অবিচার করার, আচার আচরণে অপমানিত করার হীনমন্যতা সমৃদ্ধ হবার মনমানসিকতা সম্পন্ন মানুষ রুপে গড়ে উটার অভিষ্ট লক্ষ্যই হচ্ছে স্ত্রীর।তাই তিনি এ পথই মনে করছেন উৎকৃষ্ট।কিন্তু তা কোন ক্রমেই সম্ভব নয়।সে কথা স্ত্রী নামক ব্যক্তিত্ব ভুলে গেছেন।না হলে এ ধরণের আচরণ করতেন না।স্বামীবিহীন কতটুকু সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি সম্ভব?একজন স্ত্রী স্বামীর সহযোগি হয়ে তিলে তিলে গড়ে তুলতে পারতেন আদর্শবান পরিবার,সংসার, সন্তান ও জীবনযাপন প্রণালী।অনেক নারী উচ্চাবিলাসী,লোভী,কর্মবিমুখী, বিলাসবহুল জীবন যাপনের প্রত্যাশায় বিভিন্ন প্রকার অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে।এ ধরণের মন-মানসিকতা পূর্ণ নারীরাই একজন পুরুষের জীবনকে করে তুলে দুর্বিসহ, অতিষ্ট।সমাজে সৃষ্টি করে বিশৃংখলা।পুরুষকে অবৈধ পথে আয় রোজগারের জন্য, হারামখোর,ঘুষখোর হবার পথে ধাবিত হবার সম্পূর্ণ রুপে বাধ্য করে।(সব নয়)বৈধ আয়ে ইসলামিক পরিভাষায় বরকত থাকে।কিন্তু অবৈধ আয়ে তার বিন্দু বিসর্গ থাকে না।  

    দ্বিতীয় সংবাদেও অনুরুপ পরিলক্ষিত হয়।নিজ হাতে স্বামীকে খুন করে।কত পাষাণ হৃদয়ের অধিকারিনী।খুন করতে একটুও হাত কাঁপেনি।সুতরাং মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নিকট বিনীত নিবেদন পুরুষ নির্যাতন আইন প্রণয়ন করে এবং এ দুই মহিলার ক্ষেত্রে যথোপযুক্ত বিচারের মাধ্যমে দুষ্টান্তমুলক শাস্তি প্রদান করুন। 

লেখক মিজানুর রহমান মিজান, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক চাঁন মিয়া স্মৃতি পাঠাগার, রাজাগঞ্জ বাজার , বিশ্বনাথ, সিলেট।             



No comments: